মাত্র কিছুদিন হল অনার্স শেষ করে একটা জব করছি ভেবেছিলাম একটা ভাল কিছু হোক তারপর বাকিসব হবে মানে আমি চাচ্ছিলাম ভাল চাকরি হোক, এরপর বাড়ি,জমি ব্যাংকে কিছু অর্থ তা হিসাবে ৮/৯ বছর লেগে যেতো লাগলে লাগুক ভালকিছু পেতে হলে একটু অপেক্ষা তো করতে হবেই তাইনা??? হ্যা তাই বড় ভাইয়া কিন্তু আমাকে এই ব্যাপারে সবসময় বলেন কিছু একটা করতে না পারলে সেটাকে আর লাইফ বলেনা কারণ মানুষ সারাজীবন তো আর কুড়েঘরে থাকতে চাইনা ঢাকায় একটা ডুপ্লেক্স বাড়ি একটা সুইমিংপুল,, পাশেই বড় জমি,, ব্যাংকে বেশ কিছু অর্থ এসব আমার প্লানিং!!
পরিচিত হয় আসুন→ আমি মেঘ অনার্স শেষ করলাম,, বাসায় আব্বু আম্মু ভাইয়া ভাবি,, ৩ টা গাভি দুইটা ছাগল ৬ টা হাস,, ১৬ টা কবুতর আছে,, আম্মু এটোটাই শৌখিন যে এগুলাকে তার মেয়ে বা ছেলে ভাবে… তার পেছনের দুটো লজিক আছে এক আমি বাসায় থাকিনা,, বাসায় কেউ নাই,, এজন্য এগুলাকে আব্বু আম্মু সন্তানের মত দেখে,,
আমি বাড়ি আসার কিছুদিনের ভেতরে আম্মু সকাল-বিকাল আমাকে জানান দিতে লাগলো এবার আমাকে বিয়ে দেবেই,, আমি না করে আম্মুকে বোঝালাম,, কিন্তু আব্বু স্কুলের শিক্ষক ছিলেন তাকে বোঝানো দায় হল এতকরে বললাম আব্বু একটু ধর্য্য ধরি আমরা কিছু একটা করি কিসে কি এত ইমু হয়ে আম্মু বলছিল যে, আমার স্বপ্ন খুলে দেশ ছেড়ে পালালো আম্মু বলছিল আগে বিয়েটা হোক তারপর সবকিছু হবে!! ভাইয়া আমাকে সাপর্ট করলেও আব্বুর সামনে চুপ আর এদিকে ভাবি আম্মুকে সকাল বিকাল মনে করিয়ে দেই মেঘের এবার বিয়ে দিন আম্মা,, ওর তো বয়স হয়েছে সংসার করবে কবে আরো নানান কথা দেখা যাচ্ছে আমি খেতে বসেছি আম্মু শুরু করলঃ
আম্মু— মেঘ বাবা আমাদের তো বয়স হয়েছে তোর বাবা হার্টের রোগী, কখন কি হয়ে যায়??
আমি– কিন্তু আম্মু??? ( আব্বু আমার দিকে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো)
আম্মু– তাই চাচ্ছিলাম তোর আব্বুর বন্ধুর মেয়েকে কাল দেখতে যাচ্ছি.. তুই কি যাবি বাবা??
আমি– না আম্মু আমার এসব দেখা লাগবেনা তোমরা যা ভাল মনে কর,, ( পেট আমার এসব শুনেই ভরে গেছে)
আম্মু— ঠিক আছে বাবা কাল আমরা যাচ্ছি পছন্দ হলে কা’লি পাকা কথা দিয়ে আসবো
ভাইয়া কে সব জানালাম ভাইয়া বলল ভাবিকে পাঠিয়ে দিচ্ছে কিছু করতে পারে কিনা আমি বললাম ভাবি সকাল-বিকাল আম্মুকে আমার বিয়ের কথা বলছে আর তুমি ভাইয়া তোমরা সব না কি পেয়েছ বিয়ের মাঝে তোমরাই জানো আচ্ছা ভাইয়া তুমিই বলো বিয়ে করে তো তুমি হ্যাপি নাই তাহলে কেন আমাকে???
বিকালে অফিস থেকে বাসায় আসার পর আম্মু-আব্বুর মুখে হাসি দেখলাম আমাকে ফ্রেশ হয়ে আসতে বলল,, এরপরে আমি বসলাম উনাদের সামনেঃ
আম্মু— বাবা মেঘ, মেয়েটিকে দেখে এলাম অনেক মিষ্টি আর লক্ষি আছে মেয়েটা,, এবার অনার্স সেকেন্ড ইয়ার্ড, আমরা পাকা কথা দিয়ে এসেছি,, আগামী পরশুদিন বিয়ে।
আমি– কিন্তু আম্মু এত দ্রুত কেন?? আমি মেন্টালি প্রিপারেড না আম্মু,,
বাবা– যাও নিজের ঘড়ে যাও
মনেমনে ভাবলাম আমি কি বলির পাঠা নাকি… ঠিক এখন একটা গফ কে খুব মিস করছি একটা প্রেম করলে এখন তাকে নিয়ে আসতে পাড়তাম,, কেননা কাকে না কাকে বউ ভাবতে হবে এসব ভেবেই হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে এসেছে।।
এর মধ্যে ভাইয়া ভাবি আরও অনেকে এলো,, সবায় আমাকে দেখে মুখ চেপে হাসল, যেন আমাকে জোভান ভাইয়ের মুখের মত ভোতা লাগছিল,, কিছুই আমার করার ছিলোনা বিয়েটা হল আমাকে জোর করে কবুল বলানো হয়েছিল,, পাশেই সবায় বসে ছিল দৌর দেওয়ার কোন রাস্তাছিলোনা বিয়ের সময় জানতে পারলাম মেয়ের নাম মায়া,, নাম দিয়ে আমার কি!!
বাসরঘরে ঢুকার আগে ভাবি আমাকে দুধ খাইয়ে দিলো আমি বলেছিলাম বিষ থাকলে দিতে,, কারন এই বিয়ে আমি করতে রাজি ছিলাম নাহ!! তবুও ভাবি মজা করে বলেছিলঃ বিড়াল টা যেন মারতে পারি! মানে কি আমার রুমে বেড়াল কিভাবে এলো?? আর ওটাকে মারতে কেন হবে??? ধুর ভাবির মাথা গেছে বুঝলাম আমি আস্তে আস্তে রুমের দিকে পা বাড়ালাম দোরজা আটকে রুমে যেতেই দেখি বউ ড্রেস চেঞ্জড করে ঘুমোচ্ছে শুনেছিলাম পা ধরে সালাম করে,, তারপর স্বামীর বুকে মাথা রাখে,, কিসের কি?? মেয়ে দেখি ঘুম আমি আমার ড্রেস চেঞ্জড করে বালিশ কাথা নিয়ে ফ্লোরে ঘুমাতে এলাম,, মাথায় কিছুই কাজ করেনা,, আমার ঘর কোন দিন কোন মেয়েকে আসতে দেইনি আজকে সেই রুমে এমটা মেয়ে শুয়ে আছে,, আর সে নাকি আমার বউ হায়রে আমার বউ !!!
সকালে ঘুম থেকে উঠলাম দেখলাম মেয়ে ঘুমিয়েই যাচ্ছে,, জানালা খুলে দিলাম,, মেয়ের কি ঘুমের রোগ আছে নাকি?? এবার আলো এসে মুখে পড়তেই দেখলাম না আসলে মিষ্টি চেহারা অনেকটা হৃদার মতো,, আর ঠোট মেহজাবিনের মত,, চোখ কার মতো জানিনা বাদ দিলাম মেয়ের ওঠার কোন পাত্তাই নেই আমি গোসল করে অফিসের দিকে যাব ভেবেই নাস্তা খেতে এসেছি ভাবি আমাকে দেখে একটা মুচকি হাসি দিলো,, তারপর বলল কই আমার সে.. আমি রাগ দেখিয়ে বললাম বেশি ঢং আমার পছন্দ না! ভাবি বুঝল রেগে আছি তাই কথা বাড়াল না আম্মু মেয়েটিকে ডাকতে গেলো!!
মনেমনে বললাম আম্মু এখন বুঝো কেমন লাগে বেটারবউ ডেকে তুলতে হয় যত্তোসব বিকালে বাসায় ফিরলাম বউ কই আমার জন্য ঠাণ্ডা পানি বা শরবত আনবে তানা ভাবির সাথে গল্প লাগাইছে টিভির রুমে আমি রুমে এসে অপরিষ্কার দেখেই বুঝলাম এই মেয়ে কাজকাম মনে হয়না পারে??? এদিকে রাগে আমার সর্বাঙ্গে জ্বালাপুরা শুরু হয়েছে,, অফিসে বসের ঝাড়ি খেয়েছি এক কলিগের জন্য তারপর বাসায় এসে দেখি এসব মেজাজ কি ভাল থাকে টিভির রুমে গিয়ে ভাবির উপর রাগ ঝাড়লাম সারাদিন কাজ কাম নেই?? এতো টিভি দেখার কি আছে?? যান রুমে যান,, ওরা আমার রাগ দেখে আর কিছুই বলল না রুমে চলে গেলো,, একটু পর আম্মু খেতে ডাকল দেখলাম মুরগীর মাংস রান্না হয়েছে, আম্মুকে জিগালামঃ
আমি– কে রান্না করেছে??
আম্মু;- কেন তোর ভাবি
আমি— বাড়িতে কি আর কেউ নেই?? সে কেন রান্না করেনা??
ভাবি— আহ মেঘ চুপ করো,, মাত্র এসেছে করবেতো
আম্মু– তুই খেয়ে নে মেঘ
রাতে ঘুমাতে এলাম মায়ার কোন খোজ নেই মানে টিভি দেখছে আরে আজব এত টিভি নিয়ে পড়ে থাকে কেন?? এটা কি সিনেমাহল?? মেজাজ খারাপ করে বসে আছি কিছুক্ষণ পর মায়া এলোঃ
আমি– এই নাম কি তোমার??
মায়া–/ বিয়ের সময় কি শুনেননি??
আমি— রান্না করতে পারো??
মায়া— না কখনো কিচেনেই যাইনি
আমি— ঘর পরিষ্কার??
— মাথা খারাপ নাকি আপনার এসব আমি কেন করব??
আমি— আমাদের বাসা কি সিনেমাহল??? থাপ্পড় দিয়ে আমি তোমার কান লাল করে দিবো,, বিয়াদপ মেয়ে আমার মুখের উপর তর্ক করো??? আর যেন নেক্সট না শুনি…!!
মায়া— ঠিকাছে,, ( আস্তে করে বলল বিছানায় শুয়েই কান্না করে দিলো,,)
আমি– এই মেয়ে আমার রুমে কান্না করা যাবেনা দরকার হলে ওয়াশ রুম থেকে কান্না করে রুমে আসবা বুঝেছ??
মায়া— চুপ
পরেরদিন দেখলাম মায়া সকালে উঠে আমার জন্য কফি রেখে তার নিচে একটা চিরকুট রেখে গেছে সেখানে লিখা কিছু ওষুধ আনতে বলা আছে,, আমি দেখে একটা মুচকি হাসি দিলাম মেয়ে আমাকে ভয় পেয়েছে,,
অফিসে চলে গেলাম সেদিনের মতো, পরে আম্মুকে কল দিয়ে জিগালামঃ
আম্মু– কিছু বলবি বাবা??
আমি– আচ্ছা আম্মু মায়া কি করে??
আম্মু– তোর ভাবির সাথে টিভি দেখে, কথা বলবি??
আমি– না না,, আচ্ছা রাখছি
বিকালে অফিস শেষ করে বাসায় এলাম দেখি মায়া ঘুমোচ্ছে,, মেজাজ খারাপ হল, কিন্তু কিছুই বললাম নাহ আজ আর,, সন্ধায় ঘুম থেকে উঠলো,,
আমি— ফ্রেশ হয়ে আসো কথা আছে
মায়া– আচ্ছা,,.
মায়া– জ্বী বলুন
আমি– দুপুরে কি করেছ আজকে??
মায়া— কিছুইনা কেন বলছেন??
আমি— বিয়াদপ মেয়ে,, এটা তোমার বাপের বাড়ি নয়, এটা শশুর বাড়ি,, এখানে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়,, টিভি দেখবা ঠিকাছে কিন্তু সব কাজ শেষ হবার পর আর আমি চাই বাড়ির সবায় তোমার উপর খুশি থাকুক,, আমি তোমার স্বামি আমার প্রতি কিছু দায়িত্ব আছে তোমার সেগুলো কিছুই কি কখনো করেছো??? তুমি অনার্স পড়ো কিন্তু এখনো রান্নায় পারোনা এটা কিছু হলো?? আমার পরিবার ভাল এজন্য তোমাকে কিছুই বলছেনা,, এর মানে এই নয় যে, তুমি কিছুই করবেনা আগামীকাল থেকে সকাল ৬টাই ওঠে সবার জন্য চাফি বানাবা, তারপর নাস্তা,, এরপরে বাড়ির কাজ বুঝেছ আর যেন ঘুমাতে না দেখি তোমাকে,, বুঝেছ কি বলেছি???
মায়া— হুম বুঝেছি,, কিন্তু আমিতো অনেক বাবু এত কাজ কিভাবে করব???
আমি– ওরে আমার বাবু রে,, বয়স কত?? ২০ হল এখনো বাবু??
মায়া– আপনি সবসময় আমাকে বকা দেন,, জানেন আমাকে কেউ আপনার মত বকা দেইনা
আমি— ঐ মেয়ে আমার সামনে হৃদার মত এমন ঢং করে কথা বলবানা বুঝেছ,,, আর হ্যা এখন দেখো কার কি লাগবে,, কিন্তু টিভির রুমে ভুলেও যাবানা,,, আমার বউ এত বাবু কেন আমি বুঝিনা রান্না পারেনা,, বাড়ির কোন কাজ পারেনা,, আরে কিছুই পারেনা পারোনা ভাল কথা এখন তো চেষ্টা করবা নাকি?? তুমি যদি টিভি দেখে আর ঘুমিয়েই কাটাও তাহলে বিয়ে কেন করলে হুম???
রাতে শুনলাম মায়া আম্মুকে রান্নার সময় হেল্প করছে,, আমি ওর দিকে তাকাতেই একটা লজ্জাভাব নিলো আমি রাতে আর তেমন কিছুই বললাম না সেদিন রাতে হুট করেই আমার জ্বর আসে
মায়া— আপনার কি খুব কষ্ট হচ্ছে??
আমি– হ্যা একটু মাথা ব্যথা করছে,,
মায়া– আমি মাথা টিপে দিবো??
আমি– হুম চাইলে দিতে পারো,,
ওর নরম হাতের আলতো স্পর্শ আমার চোখে নিদ্রা এনে দিচ্ছিল আমি ওর চোখের দিকে তাকাতেই একটা লজ্জাভাব পেলো,, এরপরে আমি ঘুমিয়ে গেলাম সকালে জ্বর এত হয় যে অফিসে যেতে পারলাম না ছুটি নিলাম ৩ দিনের অফিস থেকে সকালে মায়া রুমে এসে কফি দিয়ে কপালে হাত দিয়ে বললঃ জ্বর তো এখনো অনেক,, আব্বুকে বলেছি মেডিসিন নিয়ে আসতে,,
আমি– আব্বুকে কেন আবার বলতে গেলে??
মায়া– কোন কথা না বলে চুপচাপ শুয়ে থাকুন
আমি– বাব্বাহ দায়িত্ববান বউ নাকি???
মায়া— আপনার জানা লাগবেনা শুয়ে থাকুন
আগের থেকে এখন একটু ফ্রি হচ্ছি আরে ভাই, একটা বিছানায় ঘুমাই একটু আধদো টাচ তো লাগবেই আর মনের মাঝে তো সুর তুলবেই আমরা তো মানুষ তাই না??
একটু পরে খাবার নিয়ে রুমে এলো তারপর বলল একাএকা খেতে পাড়বেন?? আমি সোজা বলেদিলাম নাহ মায়া তখন বলল হা করুণ আমি হা করতেই মায়ার হাত আমার ঠোট স্পর্শ করল,, আমার গায়ে বিদ্যুৎ বয়ে গেলো,, আমি দুষ্টুমি করে হাতে হাল্কা একটা কামড় দিলাম।
মায়া— এটা কি করলেন??
আমি– কি করেছি??
মায়া– কি করেছি মানে?? আমার হাতে কামড় দিলেন কেন???
আমি– দিয়েছি তার প্রমাণ কি??
মায়া– যান আমি আর আপনাকে খাইয়ে দিবোনা
আমি– এমা তাহলে যে, আমি না খেয়ে মারা যাবো
মায়া— তাতে আমার কি হুম??
আমি– তুমি বিধবা হবা
মায়া– এ এসেছে উনি মারা যাবে, আমি আপনাকে মারা যেতে দিলে তো
আমি– আটকে রাখতে চাও??
মায়া— যদি কেউ থাকতে চাই,,
আমি— ভালবাসি
মায়া— বিশ্বাস হয়না… আপনি তো শুধু আমাকে বকায় দেন,, আর বলেন এটা করো ওটা করো.. টিভি দেখবানা
আমি– ও আচ্ছা.. তাহলে আমি আমি তোমার হাতে খাইতে পারতাম আজকে???
মায়া– আপনি অনেক পচা
আমি— চোখ বন্ধ করো
মায়া— ওকে
মায়া– এটা কি করলেন??
আমি— আরেক টা করি??
মায়া– আপনি অনেক দুষ্টু,, আমার থেকে দুইবছর এর বড় হয়ে এমন ভাব নেন যেন ৫ বছর এর বড় হুহ
আমি— হাহাহা আচ্ছা বউ আর বকা দিবো না
মায়া– তাহলে আবার বলুন ভালবাসেন
আমি– সেটা আর করছিনা ( এক টানে বিছানায়)
মায়া– আরে কি করছেন এখুনি ভাবি আসবেন তো
আমি— আমার রুমে কেউ আসেনা এটা আমার নিশেধ আছে
মায়া— আপনি না অসুস্থ আর এসব করছেন???
আমি– তুমি পাশে থাকলে আমি সুস্থ পিচ্ছি বউ
মায়া– কি বললেন আমাকে??? স্যরি বলেন এখুনি
আমি— পিচ্ছি বউ, পিচ্ছি বউ
মায়া— এএএএ ( কান্না করে দিলো)
আমি– আরে আজব কান্না করছো কেন?? আচ্ছা যাও স্যরি
মায়া– আপনি জানেননা বাবুদের কথা শুনতে হয়
এরপরে আর মায়া কে কিছুই বলে দিতে হয়নি মেয়েটা আস্তে আস্তে বাড়ির সব কাজ শিখে গেলো এখন আমাকেও দেখে অফিসে দুপুরে কল দিয়ে তারপর খাইয়ে দেয় আমি না খেলে খায়না। পিচ্ছি বউ নিয়ে আমি শুখেই আছি আজকে মনে হচ্ছে বিয়েটা করে তাহলে সেদিন ভুল কিছু করিনি!! অদ্ভুত মিষ্টি আমার পিচ্ছি বউটা
ভালোবাসি তোমার পিচ্ছি বউ আমার….