রাত্রি আকাশ।নিঃস্তব্ধ পরিবেশ।কোথাও কোন কোলাহল নেই।রাতের আঁধার, জোনাকিরা লোকচুরি খেলছে।ঝিঝি পোকারা ডেকে যাচ্ছে।একটা ছেলে ছাদের কোণে ডায়েরি নিয়ে লিখতে বসেছে।সুখের গল্প, দুঃখের গল্প, জীবনের গল্প, কাল্পনিক গল্প, বলা না বলার গল্প।
একটা মেয়ে এক মনে ছেলেটাকে দেখছে।নয়ন জুড়িয়ে দেখছে, তার এই দেখা যেন শেষ হবার নয়।মনে মনে কি যেন ভাবছে আর মুচকি মুচকি হাসছে।দখিনা বাতাসে মেয়েটার কেশরাশী উড়ে উড়ে চোখে মুখে এসে পড়ছে। মেয়েটা বার বার কেশরাশী ঠিক করে যাচ্ছে।কিন্তু অবাধ্য কেশরাশী কথা মানে না, বার বার এলোমেলো হয়ে পরছে।মেয়েটার শরীরের গন্ধে কেশের সুবাসে ছেলেটা মাতহারা হয়ে যাচ্ছে।মেয়েটার নীল রাঙ্গা চোখে নিজেকে হারিয়ে ফেলছে।ডায়েরিটাতে একটা শব্দও লিখতে পারছে না।একটা বাক্যও পুরো করতে পারছে না।শুধু মেয়েটাকে বার বার আড় চোখে দেখছে।সে তো গল্প লিখতে বসেছিল।কিন্তু হঠাৎ সে কিভাবে পাল্টে গেল? বুঝতে পারছে না সে।ছেলেটার অবস্থা দেখে মেয়েটা মুখ টিপে টিপে হাসছে।অজানা সুখে চোখে পানি চলে আসে।
– ‘কি শুরু করলেন ফারাহ ম্যাডাম? আমাকে এই লেখাটা শেষ করতে দিবেন না?’
তাওহীদের কথা শুনে ফারাহ মুখ টিপে হাসছে।নিজের হাসি লুকিয়ে ফারাহ বলে
– ‘আমি কি শুরু করেছি? আমি তো শুধু মাত্র আপনার পাশে বসে আছি।এছাড়া আর কি করছি আমি বলেন?’
তাওহীদ ভাবছে ফারাহকে কি বলবে? আসলেই তো ফারাহর কোন দোষ নেই। দোষ এই প্রকৃতির, প্রকৃতি তার বিরুদ্ধে আচরণ করছে।তাকে নিয়ে খেলছে।এখনও ফারাহকে দেখে যাচ্ছে।ফারাহর অবাধ্য চুলগুলো এখনও উড়ছে।কিছুক্ষণ চুপ থেকে তাওহীদ বলে
– ‘তাহলে আমি লিখতে পারছি না কেন? আপনি এখান থেকে চলে যান।তাহলেই আমি লিখতে পারব।’
– ‘এ কেমন কথা? আপনি লিখতে পারছেন কেন আমি কি করে বলব? আমি আপনার কলম ধরে রাখছি?
– ‘আমি কোন কথা শুনতে চাই না।আপনি এখান থেকে যান।তারপর আমি আপনার জন্য গল্প লিখব।’
– ফারাহ মন খারাপ করে চলে যেতে থাকে।সিঁড়ির কাছে গিয়ে একবার পিছনে ফিরে তাকায়।তারপর একটা হাসি দিয়ে নিচে চলে যায়। ফারাহর হাসি দেখে তাওহীদের হৃদয়টা কেমন কেঁপে ওঠে।যে হাসিতে ছিল অজানা এক ভয়।
তাওহীদ ভাবছে কি গল্প লিখবে? কিন্তু ভাবার সময় পায়নি নতুন সমস্যা দেখা দেয়।সেটা হলো নুপুরের শব্দ।থেমে থেমে নুপুরের শব্দ হয়।এতো রাতে নুপুর পায়ে কে হাটে? সেটা ভাবতেই তাওহীদের হৃদয়ে কাঁপন ধরে।যখনেই ডায়েরিতে লিখতে যাবে তখনেই নুপুরের শব্দ শুনে।নুপুরের শব্দটা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে থাকে।রাতের আঁধারে নুপুর পায়ে কে হাটছে? তাওহীদ কিছু বুঝতে পারছে না।এসব কি হচ্ছে? ফারাহর কথা মনে হতেই মনে ভয় ডুকে যায়।মনে মনে বলে, ফারাহ কোথায় আছে? কি করছে সে? ভয় পাচ্ছে না তো? মনে হাজারও চিন্তা ঘুরপাক খেতে থাকে।নুপুরের শব্দটা ধীরে ধীরে আরো স্পষ্ট হতে থাকে।এক সময় নুপুরের শব্দে নিজেকে হারিয়ে ফেলে।
চারপাশটা কেমন যেন থমকে দাঁড়ায়।পুরো বাড়ির লাইট বন্ধ হয়ে যায়।এখন নুপুরের তালে তালে হাসির শব্দ হচ্ছে।কি ভয়ংকর হাসি! হাসি শুনতেই শরীরের লোম খাড়া হয়ে যাচ্ছে।তাওহীদ বুঝতে পারছে না তার সাথে এসব কি হচ্ছে? এমন তো তার সাথে কখনও হয়নি।কিন্তু আজ কেন এসব হচ্ছে? এই খিয়ালে পড়ে দুনিয়ার অন্য সব চিন্তা ভুলে যায়।একবার ভাবে মনের ভুলে সব শুনছে।কিন্তু পরে আবার ভাবে সম্পূর্ণটা বাস্তব।এক সময় দেখে একটা মেয়ে ধীরে ধীরে তার দিকে এগিয়ে আসছে।সাদা ড্রেস পড়ে এগিয়ে আসছে।
এই মেয়েটাকে সে চিনে, খুব ভালো করে চিনে।কিন্তু এখন চিনেও চিনতে পারছে না।এখন কেন চিনতে পারছে না সে? কেন তার এমন হচ্ছে? মেয়েটার পায়ে নুপুর কিভাবে এলো? মেয়েটা এমন সাদা পোশাক কোথায় পেলো? তাকে এসব পড়তে আগে এখনও দেখেনি।তাকে কি মেয়েটা মেরে ফেলবে? নাকি তুলে নিয়ে যাবে? তাওহীদ আর কিছু ভাবতে পারছে না।চিৎকার করে ফারাহকে ডাকতে ইচ্ছা করছে।কিন্তু সেটাও পারছে না।এখন একটি বারের জন্য শুধু ফারাহকে দেখতে মনটা চাচ্ছে।যদি তার আর কখনও দেখা না হয়? তাই একটি বারের জন্য তাকে দেখতে চায়।তাওহীদের সব কেমন যেন গুলিয়ে যাচ্ছে।চোখের পাতাগুলো ধীরে ধীরে ঝাপসা ঝাপসা হয়ে আসছে।এক সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
ফারাহ মুগ্ধ নয়নে তাওহীদকে দেখছে।মনে মনে বলে, ‘এখন কেমন দিলাম? আমাকে পাশে থাকতে দিলেন না।তাই আপনাকে লিখতেও দিলাম না।’ তাওহীদের কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে।মুখটা কেমন শুকিয়ে গেছে।মনের অজান্তেই ফারাহর মনটা কেঁদে ওঠে।বুকের ভিতর থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে।পলকহীন চোখে তাকিয়ে থাকে।অনেকটা সময় যাওয়ার পরও তাওহীদের জ্ঞান ফিরছে না।ফারাহর মনে ভয় ডুকে যায়।বুকের ভিতরটা ধুক ধুক করছে।শ্বাস প্রশ্বাস আটকে যাচ্ছে।এখন কিভাবে তাওহীদের জ্ঞান ফিরাবে? সে তো কিছুই জানে না, পারে না।এখন কি হবে? ফারাহ কাঁদতে শুরু করে।এক সময় তাওহীদের জ্ঞান ফরে।ফারাহর নয়নে হাসি ফুটে।তাওহীদ দেখে, ফারাহ পলকহীন চোখে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।তার চোখে জল মুখে হাসি।
– ‘আমার ভিতু স্বামী এভাবে ভয় পেলে হবে?এই কাপড় আর নুপুর তো আপনিই দিয়েছিলেন।আপনার মনে নেই? আর বলেছিলাম যে আমার জন্য গল্প লিখতে, এখন কতটুকু গল্প লিখেছেন বলেন?’
– তাওহীদ কিছু বলছে না চুপ করে আছে।ফারাহকে বোঝার চেষ্টা করছে।ফারাহর চোখে তাকে হারানোর ভয় দেখেছে।তাওহীদ বুঝতে পারছে ও ইচ্ছা করে এমনটা করতে যায়নি।নিজেকে স্বাভাবিক রাখার জন্য এখন এমন সুরে কথা বলছে।এখন তার মনে পড়েছে একদিন ফারাহকে এগুলো দিয়েছিল।সেদিন ফারাহ বলেছিল একদিন আপনাকে সারপ্রাইজ দিব।
– ‘কি হলো আমি কি আপনাকে কিছু বলেছি? লেখাটা কখন শেষ করবেন?’
অভিমানী সুরে তাওহীদ বলে
– ‘আমাকে লেখাটা শুরু করতে দিয়েছেন আপনি? আবার বলছেন লেখাটা শেষ হয়েছে কিনা! এভাবে বিরক্ত করলে লেখা কোনদিন শেষ হবে?’
– ‘বেশ করেছি। বেশ করেছি।তখন আমাকে কঠিন সুরে বলছিলেন কেন? ভালো করে বলা যেত না।আমাকে এই ভালোবাসেন! এতটুকু সময়ে আমার জন্য একটা বাক্যও লিখতে পারলেন না?’
তাওহীদ নিজেকে কেমন অপরাধী মনে করছে।অপরাধীর মতো হয়ে আছে।মনের গহীনে কষ্টের বাতাস বয়ে যায়।সত্যিই তো তাওহীদ কি তার জন্য একটা বাক্য লিখতে পারত না? অপরাধী সুরে তাওহীদ বলে
– ‘আমি দুঃখিত ফারাহ।’
– ‘দূরে সরে যান আমাকে দরতে আসবেন না।’
তাওহীদের হাত সরিয়ে ছাদের অন্য প্রান্তে গিয়ে দাঁড়ায়।বিষন্ন মনে জোনাকিদের আলো দেখছে।তার চোখ দু’টো ভেজা।তাওহীদ পিছনে গিয়ে দাঁড়ায়।তারপর ফারাহকে জড়িয়ে ধরে।ফারাহ ছাড়াতে চেষ্টা করে কিন্তু পারে না।তাই চিমটি কাটে।তাওহীদ আরো শক্ত করে জড়িয়ে রাখে।চোখের জল মুছে দিয়ে বলে, ‘এভাবে জড়িয়ে ধরে রাখব।আপনার চিমটি খাব আর আপনাকে গল্প শুনাব।’ আবার ফারাহ কেঁদে ফেলে।সুখের কান্না।আর চিমটি কাটতে সাহস পাচ্ছে না।কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না।তাওহীদের বাহুতে নিজেকে লুকিয়ে ফেলতে ইচ্ছা করছে।তাওহীদ গল্প বলছে।ফারাহ তাওহীদের বুকে মাথা রেখে চুপটি করে গল্প শুনে যাচ্ছে।
– ‘এই যে শুনছেন গল্প লেখা শেষ।’
ফারাহ শুনছে কিন্তু কিছু বলছে না।পলকহীন চোখে তাকিয়ে আছে।তাওহীদ সেটা লক্ষ করছে না।সে ফারাহর দিকে না তাকিয়ে আবার কথাটা বলে, ‘এই যে শুনছেন গল্প লেখা শেষ।’ যখন তাকায় তখন দেখে ফারাহ তার দিকে তাকিয়ে আছে।তাওহীদ চোখ নামিয়ে ফেলে সেজন্য ফারাহর খুব রাগ হয়।তার রাগ কেন হলো? ফারাহ নিজেকে প্রশ্ন করে কিন্তু উত্তর পায় না।কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে
– ‘গল্পটা লিখতে খুব কষ্ট হয়েছে না?’
– ‘না।’
– ‘আপনি তো গল্প লিখতে জানেন না, তাহলে কিভাবে লিখলেন?’
– ‘জানি না।গল্প হয়েছে কিনা সেটাও জানি না।কিন্তু গল্প লিখতে চেষ্টা করেছি।’
ফারাহ কি বলবে ভেবে পায় না।রাগ দেখিয়ে বলে
– ‘আমি যা বলব আপনি তাই করবেন? সেটা না জানলেও? কিন্তু কেন করেন?’
– ‘জানি না।’
– ‘জানি না, জানি না, করছেন কেন? জানি না ছাড়া অন্য কিছু মুখে আসে না?’
– ‘ভালোবাসি।’
ফারাহ স্তব্ধ হয়ে যায়।তাওহীদের মুখ থেকে ভালোবাসি কথাটা শুনার পর থেকে তার মনের ভিতর কেমন তুলপার শুরু হয়েছে।বোকা সোকা ছেলেটাকে যা বলে তাই করে।এখনও কত সহজে কথাটা বলে দিল? একবার ভাবার প্রয়োজন মনে করল না? তাওহীদ মনে মনে বলছে এটা আমি কি বলে ফেললাম? এখন উনি কি মনে করবেন? আমাকে কি ভাববেন।আমাকে তো উনি এই কথা বলার অধিকার দেননি।কিভাবে আমি বলে ফেললাম? চুপ করে ফারাহকে দেখছে।ফারাহ মনে করে তাওহীদকে সে এখনও ভালোবাসে না।কিন্তু তার হৃদয়ে কখন যে স্থান দিয়ে ফেলেছে সে নিজেও জানে না।এটা সেটা নিয়ে ভাবনার জগতে হারিয়ে যায়।
তাদের বিয়ে হয়েছে অনেক গুলো মাস কেটে গেছে।কিন্তু তাওহীদকে পছন্দ করে না ভালোবাসতে পারে না।কেন পারে না সে নিজেও জানে না।এমন না যে সে অন্য কাউকে ভালোবাসে। কতবার কারণ খুঁজার চেষ্টা করেছে, কিন্তু বার বার ব্যর্থ হয়েছে।অনেকে বলবে এটা কেমন কথা? কিন্তু এটাই সত্য।তার বাহিরে অন্য কোন কারণ নেই।আবার কখন থেকে তাকে ভালো লাগতে শুরু করেছে।ভালোবাসতে শুরু করেছে।সেটাও জানে না।মানুষের মন বড়ই অদ্ভুদ তাই না? কখন ভালোবাসে কখন ঘৃণা করে বুঝতে পারে না।প্রতিদিন তাওহীদকে কিছু না কিছু শাস্তি দিত কখনও বলে কখনও করিয়ে। আবার এক শর্ত দিয়ে বসেছে।তাকে কখনও তুমি করে বলতে পারবে না।
তাওহীদ বিশ্বাস করত কোন একদিন ফারাহ তাকে ভালোবাসবে।তাই তার কাছ থেকে জোর করে ভালোবাসা আদায় করত না।সে জানে জোর করলে কোন কিছুর ফল ভালো হয় না।আর যেদিন তাকে ভালো বাসবে সেদিনেই তার জয় হবে।এই ভেবে মুখ বুজে সব সহ্য করে।ঠিক তেমনি আজ শাস্তি হিসেবে তাকে দিয়েছে গল্প লিখতে।শাস্তি গুলো কখনও মধুর হয় আবার কখনও কঠোর হয়।তাওহীদ হাসি মুখে সব মেনে নিত।এবং খুশি মনে পালন করত।আর তার এই আচরণের জন্যই ফারাহ তার প্রেমে পড়তে বাধ্য হয়।এবং কেন তাওহীদের সাথে এরকম ব্যবহার করে? তার জন্যও সে নীরবে কাঁদে।
ফারাহ দেখে তাওহীদ ঘুমিয়ে পড়েছে।ডাকতে গিয়েও ডাকেনি।ডায়েরির দিকে তাকাতেই চোখ ফিরাতে পারে না।চোখের পাতি ফেলতে পারে না। মনে মনে বলে মানুষের হাতের লেখা এতো সুন্দর হতে পারে! ফারাহ দেখে গল্পের নাম দিয়েছে কল্পকথা।নামটা পড়ে মৃদু হেসে ফেলে।তারপর গল্প পড়তে শুরু করে।গল্প পড়তে গিয়ে কখনও হেসেছে, কখনও ভয় পেয়েছে, কখনও স্তব্ধ হয়েছে, কখনও কেঁদেছে।গল্পটা শেষ করে তাওহীদের দিকে চোখ ফিরায়।ফারাহ অনুভব করে তার চোখে জল জমেছে।ফারাহর কেন যেন ইচ্ছা করছে তাওহীদের আরো কাছে যেতে।গালটা একটু ছুঁয়ে দেখতে।কানে কানে ভালোবাসি কথাটা বলতে।তার বুকে মাথা রেখে রাতের তারা গুণতে।কিন্তু সে পারবে না।বুক চিরে দীর্ঘশ্বাস আসে।
দূরের মসজিদ থেকে আযানের মধুর ধ্বনি ভেসে আসছে।ফারাহর ঘুম ভেঙ্গে যায়।তাওহীদের বুকে নিজেকে আবিষ্কার করে।অজানা এক সুখের শিহরণ তাকে নাড়া দিয়ে যায়।ফারাহ মনের সাথে যুদ্ধ করে শেষ পর্যন্ত পারেনি।তাওহীদের কাছে গিয়েছিল, আলতু করে গালটা ছুঁয়ে ছিল।কানে কানে ভালোবাসি কথাটা বলেছিল।তার বুকে মাথা রেখে রাতের তাঁরা গুণতে গুণতে ঘুমিয়ে পরেছিল।তাওহীদের ঘুম ভাংতেই ফারাহর অস্তিত্ব অনুভব করে।বুক থেকে মাথা সরানোর চেষ্টা করতেই ফারাহ বলে ভালোবাসি।তাওহীদ স্তব্ধ হয়ে যায়। সুখের আবেসে নিজেকে হারিয়ে ফেলে।মনে মনে বলে আজ আমার ভালোবাসার জয় হয়েছে।তাওহীদ ফারাহর চুলের গন্ধ নিচ্ছে।ফারাহ তার বুকে মাথা রেখে সকালের রক্তিম সূর্য দেখছে।