—এই শুনো না(মিতু)
—কি (আমি)
—বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে
—তো আমি কি করবো
—কি করবে মানে।ভিজবে
—বৃষ্টিতে
—হুম
—এই চলো না।বৃষ্টিতে ভিজি।
—না না।আমার ঠান্ডা লেগে যাবে।
—লাগবে না।আমি ও তো ভিজবো
—তুমি একলাই ভিজো আমি যাবো না
—তুমি যাবে (রাগি কন্ঠে)
—যাবো না
—যাবে
অতঃপর মিতু জোর করেই।ভিজতে নিয়ে গেলো
—আহ…আহ কি ঠান্ডা।বৃষ্টির পানি..
—আসো একসাথে ভিজি
—না, আমি এখানেই ঠিক আছি
মিতু বৃষ্টিতে ভিজতেছে।কি অপূরুপ লাগছে তাকে।সেই আগের মতোই রূপবর্তী।এতো টুকু জেন কমেনি, তার মায়াটুকু।বৃষ্টিতে ভিজতে মেয়েটা এতো পছন্দ করে।তা ওর সাথে দেখা না হলে বুজতামই না।মেয়েটা কি, এখনো ছোটো রয়েছে।ছোট মানুষের মত বায়না ধরে।ওর বায়না গুলা কেনো জানি শুনতে, রাখতে খুব ভালো লাগে।তাই তো ওর সাথেই থেকে গেলাম….
আমার আর মিতুর পরিচয় টা একটু বৃষ্টি ময় দিনে।আমার বৃষ্টি খারাপ লাগে তা না।আবার ভালোও লাগে না।কারন বৃষ্টিতে ভিজলেই আমার জ্বর চলে আসে তাই।ওই দিন বৃষ্টি না হলে হয়তো পাগলি বউ টার সাথে দেখাই হতো না….
অফিস থেকে বাসায় আসতে ছিলাম।আর হঠাৎ বৃষ্টি শুরু।কে জানতো আজ বৃষ্টি হবে তাই ছাতা ও নেই নি।
অনেকহ্মন দাড়িয়ে থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।একটু পর আমার চোখ আটকে গেলো।একটা মেয়ে বৃষ্টিতে আপনা আপনি ভিজতেছে।যেনো কতোদিনের স্বপ্ন আজ পুরণ হচ্ছে তার।হ্যাঁ মেয়েটা আর কেও না, মিতু।প্রথম দেখাতেই যেনো তার প্রেমে পরে গেলাম।কি অপূরুপ তার চাহনি, কি অপূরুপ তার,কোমল চোখখানি,অপুরুপ ঠোঁটের চিলিক হাসি।চুল গুলো এলোমেলো মুখের উপর আছরে পড়েছে।কতক্ষণ যে তার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে কেঁটে গেলো।নিজেও টের পাই নি।ঘোর ভাঙ্গলো গাড়ির হর্নে।
—এ ভাই মরলে দূরে গিয়ে মরেন।আমার চাকার তলে কি
—ওহ ভাই সরি
সেদিন থেকেই আমার মনটা যেনো ওকে দিয়ে দিলাম।ওর সেই দৃষ্টি,সেই হাসি।টি যেনো না ভেবে একটি রাতোও ঘুমাতে পারি না।ওকে নিয়েই কেনো জানি ভাবতে ভালো লাগে,এভাবে যে কতো রাত কেঁটেছে নিজেও জানি না
অনেক দিন ধরে তাকে খুঁজতেছি।কিন্তু কোথাও খুজে পেলাম না।মেয়েটা কি হারিয়ে গেলো দূর অজানায়।আর কি দেখা হবে না তার সাথে,কখনো কি কথা হবে না।বলা হবে না।প্রথম দেখায় তোমায় ভালোবেসে ফেলেছি।তোমায় নিয়ে কাটাতে চাই।বাকি জীবন টুকু।এগুলো ভাবতে ভাবতে কেঁটে গেলো অনেক দিন।
আজ আবার বৃষ্টি ধুর ভাল লাগে না।গত বৃষ্টিতে ঠান্ডা লেগে অবস্থা খারাপ আজ আবার।তাড়াতাড়ি ছুট দিলাম।হঠাৎ চোখ আটকে গেলো।ঐ তো সেই মেয়েটা গত বৃষ্টির সময় দেখা হয়েছিল।বৃষ্টির সময় কেনো দেখা হয়।আরও তো দিন আছে তখন হয় না কেনো।না আজ তাকে হাত ছাড়া করা যাবে না।মনের সব কথা বলে দিব।
—এএ এ এই যে।তোমার নাম টা জানতে পারি কি
—কেন
—না মানে, ইয়ে… না
—তোতলাচ্ছেন কেন।আপনি কি তোতলা
—না মেয়েদের সাথে কথা বলতে নিলেই তোতলা হয়ে যাই
—হি হি হি।আমি মিতু, আর আপনি
—আমি নিরব
—তুমার হাসি টা না খুব সুন্দর
—ওমা তাই
—হুম।তোমার নাম্বার টা পেতে পারি কি
—কেনো
—না ইয়ে আর কি
—আপনি দেন প্রয়োজন হলে আমি কল দিব
—ওকে।এই দুইটা আমার নাম্বার
—আচ্চা বায়
—হুম
রাতে অপেক্ষা করতেছিলাম কখন সে ফোন দিবে বিপ বিপ বিপ
—আসসালামুআলাইকুম
—ওয়াআলাইকুম
—কেমন আসেন
—ভালো।আপনি
—হুম।কি করেন
—আপনার কথা ভাবি
—কিহহহ!!!
—না কিছু না
—তা হঠাৎ করে তুমি থেকে আপনি
—আপনি।আপনি করে বলছেন।তাই আমিও
—হি হি হি।ওকে তুমি করে বলবা
—ওকে
এভাবেই কথা চলে।আমাদের।আর কখন যে আমি ওকে নিজের মনের কীট ভেবেছি নিজেও জানি না।তাইতো ওর সাথে বাকি জীবন টুকু কাটার সিদ্ধান্ত নিলাম…
হঠাৎ ব্জ্রপাতে মিতু চিৎকার দিয়ে আমায় জরিয়ে ধরলো…
—হা হা হা।কি ভয় পেয়েছ
—হুম
—আরও ভিজবে
—উহু
মিতুকে কোলে করে নিয়ে আসলাম।দুজনে ফ্রেশ হয়ে এলাম।ইতিমধ্যে আমার হাত পা কাপছে।
—উ কি ঠান্ডা
—সুপ খাবা
—হু
—বসো আনছি
—এই নাও খাও
—তুমি খাইয়ে দাও
—কেনো তোমার হাত নেই
—আছে, তবে তমার জন্য ঠান্ডা লাগছে তাই তুমি খাইয়ে দিবা
—আচ্ছা দিচ্ছি
—আহা আহ বউয়ের হাতে খাবো কি মজা
—আর নেকামো করতে হবে না
খাওয়ার পর…
—তোমার ঠান্ডা কমেনি
—না।খুব কাপনি দিচ্ছে
—কি করবো
—আমাকে জড়িয়ে সুয়ে থাকবে
—আচ্ছা
—আহ বৃষ্টিতে ভিজে লাভ ই হলো।আজ বউ কে ইচ্ছে মতো জড়িয়ে ধরে ঘুমাবো
—সব নেকামো।খালি জড়িয়ে ধরার ধান্দা
—হিহিহি