-কোথায় তুমি?
-বাসায়……।
-কি কর?
-ঘুমাই
-এত বেলায় ঘুমাচ্ছ মানে? কাল সারারাত কি করছ?
-তোমার সাথে না কথা বললাম!
-তো আমি কথা বলি নাই? আমি কি ঘুমাচ্ছি? (রাগত স্বরে)
-ঘুমাও না ক্যান?ঘুমাও……।
-ধুর……। অসহ্য।
-মাথায় পানি দিয়ে ঘুমিয়ে পড়। দেখবে সব সসহ্য লাগবে। আচ্ছা আজ এতবার ফোন দিচ্ছ!কাহিনী কি বলত?
-তোমাকে কি ফোন দেওয়া নিষেধ? আজ কত তারিখ তোমার মনে আছে?
-নাতো। কত তারিখ।
দুইজনই কিছুক্ষণ চুপ।সাকিবের মনে হল ফোনের ওপাশে তাসনিয়া কাঁদছে।ফোনটা কেটে দিল তাসনিয়া।আজ তার জন্মদিন।অথচ পাগলটা একদমই মনে রাখে নি।তাসনিয়া বারবার ফোন দিল,একটাবারও সাকিব উইশ করল না।
সাকিব ভুলে গেছে তাসনিয়ার বার্থডে।মাঝে মাঝে তাসনিয়ার সন্দেহ হয়,সাকিব কি আসলেই তাকে ভালবাসে?ভালবাসলে তার বার্থডেটা অন্তত ভোলা উচিৎ ছিল না।
কিছুক্ষণ পর……
তাসনিয়ার ফোন বাজছে।সাকিব ফোন দিচ্ছে।এখন সরি বললেও শুনবে না তাসনিয়া।
-হ্যালো
-একটু বারান্দায় আসবে?
-কেন?
-আরে আসই না।
-পায়ে ব্যাথা, যেতে পারব না।
-তাহলে আমি উপরে আসলাম।
-মানে? দাঁড়াও আসতেছি।
তাসনিয়া বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াল। বাসার একদম সামনে রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে সাকিব। হাতে একটা ফুলের তোরা।
-শুভ জন্মদিন
-এতক্ষণে
-তোমাকে একটু রাগিয়ে দিতে চেয়েছিলাম।
ফোনটা কেটে দিল তাসনিয়া। কাঁদার সময় কারো সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করে না। পাগলটা তাকে আসলেই ভালবাসে। অনেক ভালবাসে। এই ভালোবাসার মর্যাদা সে হয়ত দিতে জানে না।
আজ রিকশায় ঘুরবে দুজন। রিকশা বিলাস। পুরো শহরটা ঘুরবে রিকশায় করে।
পাশে বসা পাগলটার দিকে তাকাল তাসনিয়া। কেন যেন এই পাগলটা পাশে থাকলে তাসনিয়ার মনে হয়, পুরো পৃথিবীটা তার সাথে আছে, সব আনন্দগুলো তার পাশেই আছে। সেই আনন্দে খাঁদ নেই, দুঃখ নেই। এই পাগলটাকেই সে অনেক ভালবাসে। কেন ভালবাসে জানে না। ভালবাসা কখনো কোন কারণ দেখে না……………।