অনিলা এর গল্প

অনিলা এর গল্প

জানালা খুলে দাঁড়িয়ে আছে মেয়েটা,খুব বেশিই চিন্তিত আজকে শুধু তার প্রিয় মানুষটি আজকে খুব বেশিই কাঁদিয়েছে তাকে।

জানালা দিয়ে তাকিয়ে আকাশটা দেখার ইচ্ছা কিন্তু খুব ভালো করে দেখতে পারছে না চোখের আড়াল হয়ে যাচ্ছে অল্প একটু দেখার পরই।

মেয়েটা এইবার ভেবে নেয়,কি হবে কেঁদে,যার জন্য কাঁদছে সে কি তার কথা একবার ও মনে রেখেছে?নাকি তার কথা এখন মনে করছে?

মেয়েটি চিন্তা করে না এইবার সে ছাদে যাবেই,ছেলেটি তাকে ছাদে যেত বাড়ন করার পর আর কখনো ছাদে যাইনি কিন্তু আজকে সে যাবেই।যেই ছেলেটা তাকে কাদাতে পারে তার কথা সে
কেনো শুনবে?

গুটি গুটি পায়ে ছাদের দিকে রওয়ানা দেয় মেয়েটি,পরনে হালকা সবুজ রঙ এর ত্রিপিস।আর ছেলেটির খুব পছন্দের ছিলো এই ড্রেসটি কারণ ছেলেটিই তো মেয়েটির আগের জন্মদিনে ড্রেসটা কিনে দেয়।

ছাদের দরজার কাছে চলে এসেছে মেয়েটি,যখন ই ছাদে প্রবেশ করতে যাবে তখনই ছেলেটিকে দেওয়া প্রমিসের কথা মনে পরে।কি করে যাবে সে ছাদে খুব ভালোবাসে যে এখনো তাকে।তাকে দেওয়া প্রমিস যে সে কখনো ভাঙতে পারবে না।

এক দৌড়ে আবার নিজের রুমে এসে মুখে বালিশ গুঁজে কাঁদতে থাকে।ছেলেটির দেওয়া আগের এসএমএস গুলি দেখতে থাকে আর অঝরে কেঁদে যায় মেয়েটি,এইটাই ভাবে এই ছেলেটিই কি তাকে এতটা ভালোবাসত?যদি ভালোই বাসে এত তবে কাদায় কেনো এত?

কিন্তু মেয়েটির বোবা কান্নার শব্দ শুনতে পায়না ছেলেটি,বুঝতে পারে না তার চোখের পানির মূল্য।সে যে খুব ভালোবাসে কখনো কি ছেলেটি বুঝবে না?ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে যায় মেয়েটি….

সেইদিনের কথা মেয়েটি তাদের কলোনিতে সাইকেল চালানো শিখছিলো।তখন ও দেখে পাশের বাড়িতে নতুন ভাড়াটিয়া এসেছে।ট্রাকে তাদের মালপত্র,তিন তলায় নিয়ে যাচ্ছে মালামাল গুলি।তেমন একটা ভ্রুক্ষেপ না করে অবনী সাইকেল চালানো শিখায় মন দেয়।

আস্তে আস্তে করে সাইকেল টা খুব একটু ভালো না চালাতে পারলেও অল্প অল্প পারে।অবনী এইবার মনে মনে ধরেই নিলো পরে সে যায় যাবে তবুও সে আজকে শিখে নিবেই।যেই চিন্তা সেই কাজ এবার পা নিচে না দিয়েই অনেক খানি দূরে এগিয়ে যায় সাইকেল চালাতে চালাতে।কিন্তু যেই না ট্রাকের কাছে চলে আসে হাত কাপতে কাপতে পড়ে যায় মাটিতে।

অবনী ব্যাথায় কেঁদে দেয়,আর পাশেই একটা চশমা পড়া ছেলে তাকে দেখে হাসতে থাকে।অবনীর কান্নার আওয়াজ বেড়ে যায় ছেলেটার হাসি দেখে।ছেলেটাও ভয় পায়, একি মেয়ে এত বড় হয়েও রাস্তায় পড়ে গিয়ে এই ভাবে কাঁদে?তাই ছেলেটিও হাত বাড়িয়ে দেয় মেয়েটির দিকে যাতে উঠে।কিন্তু অবনী যে জেদি মেয়ে না হাত ধরলো না।ছেলেটি হাত বাড়িয়ে আছে আর অবনী
ম্যা ম্যা করে কান্নাই করে যাচ্ছে।

একটু পরেই ছেলেটির মা ছেলেটিকে ডাক দেয় “নিস্তব্ধ” বলে.নিস্তব্ধ মায়ের ডাকে সারা দিয়ে বলে এইত আম্মু আসছি।যাবার আগে অবনীকে বলে যায় আপনি রাস্তায় পড়েই কান্না করুন আমি যাই বাচ্চা মেয়ে একটা।অবনী কিছু বলার আগেই নিস্তব্ধ চলে যায়।অবনী নিজের দিকে একবার তাকিয়ে দেখে সত্যিই কি তাকে বাচ্চা মেয়ের মত লাগে?সে এইবার ইন্টারে পড়ে আর তাকে

বাচ্চা মেয়ে বলল ওই চশমা পড়া বাঁদরটা,ওকে বাঁদরটাকে পরে দেখে নিবো এই চিন্তা করে ব্যাথা হাত দিয়ে সাইকেল ধরে বাসার দিকে এগিয়ে যায় অবনী…..

বাসায় গিয়ে আম্মুর কাছে একটু বকুনি শুনে।পরে গোসল সেরে বেল-কনিতে চুল শোকাচ্ছে।আর মনে মনে ভাবছে চশমা পড়া বাঁদরটাকে কি করে শিক্ষা দিবে।হঠাৎ ই অবনীর মনে পড়ে বাঁদরটা না তাদের পাশের বিল্ডিং এ উঠেছে,যেই বিল্ডিং এর দিকে তাকায় অমনি দেখে বাঁদরটা বড় হড় চোখ করেই তার দিকে তাকিয়ে আছে।দুইটা বিল্ডিং এতটা কাছাকাছি যে আর হাত দুই

তিন এক হলেই একে অপরের ছাদে চলে যেতে পারত বা বেলকোনিতে।

অবনী বাঁদরটাকে দেখেই রুমের ভিতর চলে আসে লজ্জা পায়,কারণ গোছল করে কেবল আসছে শুধুই তোয়ালে দিয়ে চুল মুছতে ছিলো।রুমে এসেই বাঁদরটাকে জানলার ফাঁক দিয়ে দেখতে ছিলো।দেখে বাঁদরটা চোখ দুটি বড় বড় করে খুঁজছে অবনীর রুমের দিকে কাউকে।অবনী বলে কত বড় বাদর আমাকে দেখতে এমন করছে,এর মজা ঠিকই বোঝাবো।

তখন সন্ধ্যা ছুঁই অবনী হাতে কফির মগ নিয়ে বেলকোনিতে যায় দেখে বাঁদরটা টি-শার্ট পড়ে আর থ্রি কোয়াটার পড়ে চেয়ারে বসে কোলের উপর ল্যাপটপ চালাচ্ছে।অবনীর মাথায় বুদ্ধি আসে যে বাঁদরটাকে শিক্ষা দিবে।রুমে গিয়ে একটা সাদা কাগজে “চশমা পরা সাদা বাদর লিখে”।তার পর আবার বেলকোনিতে গিয়ে ছুড়ে মারে নিস্তব্ধ এর দিকে।নিস্তব্ধ একটু চমকিয়ে যায়

কাগজটি হঠাৎ গায়ে পড়ায়।কাগজটা তুলে দেখে লেখা চশমা পরা সাদা বাদর।নিস্তব্ধ বুঝতে পারে কিন্তু কিছুই বলে না আবার কাজ করে ল্যাপটপে।কাজ বলতে ফেসবুক চালাচ্ছে।

অবনী দেখে কাগজটা দেখে নিস্তব্ধের মাঝে কোন প্রতিক্রিয়া নাই তাই রাগে আবার রুমে চলে যায়।রাতে খেয়ে ঘুমায়, পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে বেলকোনিতে যায় অবনী।একটু অবাক হয়ে যায় কি ব্যাপার এত গুলি রঙিন বেলুন আর চকলেট ক্যানো সাথে গোলাপের পাপড়ি দিয়ে ঘেরা চকলেট গুলি।উফফফফফ একটা টেডিবিয়ার আছে, খুব খুশি হয় অবনী।

আশেপাশে খুঁজতে থাকে অবনী কিন্তু কাউকেই দেখে না হঠাৎ মনে বাঁদরের কথা।তাকাতেই দেখে বাদর তাকে হাত দিয়ে কি যেন ইশারা করছে।অবনীও জিজ্ঞেস করে কি শুধুই হাত দিয়ে।নিস্তব্ধ এর ইশারায় বুঝতে পারে অবনীকে সে গিফট গুলির কথাই বলছে?অবনী হাত দিয়ে চকলেট,ফুল,টেডিবিয়ার নেয়।যখন গোলাপের পাপড়ি গুলি সরায় তখন অবনী একটা ভাজ করা কাগজ দেখতে পায়,ওইটাও তুলে নেয়।

রুমের ভিতর গিয়ে অবনী কাগজটি খুলে পড়তে শুরু করে।পড়ছে আর হাসছে মোটামুটি একটা রচনার সাইজে প্রেমপত্র লিখছে।সাথে নিজের নাম্বারটাও লিখে দিয়েছে। অবনী চিন্তায় আছে কল দিবে কি দিবে না এই চিন্তায় ই সারাদিন কাটিয়ে দেয়।কিন্তু বাঁদরটাকে দুইদিন দেখেই কেমন যেন একটা ভালো লাগা মনের ভিতর কাজ করে।রাত্রের দিকে যখন বাসায় সবাই ঘুমিয়ে পড়ে অবনী কল দেয় নিস্তব্ধ কে।রিং হচ্ছে দুইবার রিং হবার পর নিস্তব্ধ ফোন ধরে।দুই পাশের দুইজন ই নিশ্চুপ।কে কি বলবে হয়ত নিস্তব্ধ বুঝতে পারে অবনীই তাকে ফোন দিয়েছে।

প্রায় ২মিনিট চুপ-চাপ থাকার পর অবনী বলে উঠে………..

অবনী: ওই বাদর নাম্বার দিছিস কথা বলবি না?

নিস্তব্ধ: ওই বাঁদরের বউ আগে নিজে বলতে পাড়িস না।

অবনী: বাদর মার্কা ছেলের বউ হতে আমার বয়েই গেছে।

নিস্তব্ধ: হুম দেখা যাবে আমি ফোন কেটে দিলেই আবার ফোন দিবে তুমিই।

অবনী: এত দরদ নেই তোমার প্রতি বুঝলে বাদর ছেলে,ফোন কেটেই দেখ কে ফোন দেয়।

নিস্তব্ধ: অহ সত্যি?আচ্ছা রাখলাম আমি।

এই বলেই ফোনটা কেটে দেয় নিস্তব্ধ, অবনী ফোনের ডিসপ্লের দিকে তাকিয়ে আছে।কিসের জন্য চোখের কোন থেকে জল গড়িয়ে পড়লো।একটু পড়েই আবার অবনীর ফোন বেজে উঠলো।নিস্তব্ধ ফোন দিয়েছে,অবনী ধরতেই নিস্তব্ধ বলে এইটুকুতেই কান্না করতে হয় বুঝি।অবনী আর নিজেকে সামলাতে পারলো না সত্যিই জোরে-জোরেই কান্না শুরু করে।নিস্তব্ধ অনেক বুঝিয়ে শান্ত করে।সারারাত দুইজনের মুঠোফোনেই কথা চলতে থাকে।

কতটুকুই বা দূরত্ব দুইজনের তবুও দুইজনের কাছে মনে হয় খুব বেশি।অবনী সারাদিন বেলকোনিতে বসে বসে থাকে আর তার বাঁদরটাকে দেখে।একদিন হঠাৎ করেই দুইজনেই সিদ্ধান্ত নেয় দেখা করবে।দুইদিন পর দেখা হচ্ছে তাদের।অবনী খুব সুন্দর করেই সেজেছে,আজকে সত্যি তাকে প্রিন্সেস এর মতই লাগছে।লেক-পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে নিস্তব্ধ এর মাঝেই অবনী আসে।প্রথমে

একটু চিনতে কষ্ট হচ্ছিলো তবুও ভালোবাসার মানুষকে যে ভোলার নয়।

নিস্তব্ধ কিছু সময় পর পর অবনীর দিকে তাকাচ্ছে, আর গলার দিকেই একটু বেশি ফলো করছে।অবনী জিজ্ঞেস করে কি দেখছ এত।নিস্তব্ধ বলে তোমার আর আমার মিল গুলি খোজার চেষ্টা করছি।অবনী জানতে চায় মানে?বলে দেখ তোমার গলায় তিল আমার ও।তোমার ডান গালে তিল আমার ও।অবনী বলে ছুঁয়ে দেখবে?নিস্তব্ধ চুপ করে থাকে,অবনী হাত ধরে নিস্তব্ধ এর।বুঝতে

পারে বাদর হলেও তার কাছে যে খুব লাজুক হয়ে গেছে তার বাঁদরটা।

নিস্তব্ধ আর অবনী সবুজ ঘাসের উপর দুজনেই বসে আছে,একে অপরের হাত ধরে।হঠাৎ করেই নিস্তব্ধ বলে তোমার হাতের রিংটা তো সুন্দর।অবনী বলে এইত গত বড় দিনের সময় ড্যাডি এইটা দিলেন বড়দিনের স্পেশাল গিফটটা।নিস্তব্ধ বলে মানে বড় দিনের মানে তুমি কি খ্রিষ্টান?অবনী বলে হ্যাঁ তুমি?নিস্তব্ধ চুপ করে আছে একটু পড়ে বলে আমি মুসলিম।অবনী বলে তবে তোমরা আমাদের কলোনিতে ক্যানো এখানে তো সব খ্রিস্টানরাই বেশি।

নিস্তব্ধ বলে বাবার বন্ধুর ফ্লাট ছিলো ওইটা আমাদের কাছে বিক্রি করে দেন।বাবা নিতে রাজি না হলেও মায়ের জোরাজুরিতে নিতে বাধ্য হয়।অবনী কি বলবে বুঝতে পারে না।দুইজনের চোখেই দুইজনকেই হারানোর ভয়।কেউ কাউকে কিছু না বলে উঠে দাঁড়ায় অবনী চলে যেতে থাকে বাসার দিকে।নিস্তব্ধ তাকিয়ে আছে।একটু পরে ডাক দেয় অবনী বলে।কাছে গিয়ে অবনীকে জড়িয়ে ধরে চোখের জল ফেলে বলে আমি তোমাকে ভালোবেসেছি শুধুই তোমাকে,এই ধর্ম-সমাজ এই জন্য আমাকে ছেড়ে যেও না।আমি কখনো তোমাকে জোড় করবো না তোমার ধর্ম ত্যাগ করতে বলে।

অবনী বলে বিশ্বাস রাখতে পারো ছেড়ে যাবো না।ভালো যখন তোমাকেই বেসেছি সারাজীবন তোমার হয়েই থাকবো।বাসায় গিয়ে দুইজনেই সিদ্ধান্ত নেয় তারা কাউকেই কিছু জানাবে না।লুকিয়ে আরো দুই বছর প্রেম করবে।দুইবছর পরে নিস্তব্ধ জব পাওয়ার পর ফ্যামিলিকে জানাবে।এই ভাবেই দিন গুলি চলতে থাকে।জন্ম দিনে অবনীকে একটা ড্রেস গিফট করে নিস্তব্ধ।খুব ভালোই যায় দিন গুলি।নিস্তব্ধ এর বারণ করা ছিলো অবনীকে কখনো ছাদে যাবে না।কারণ যদি পাগলিটা পা পিছলে পড়ে যায়।সেইদিন ফোনে নিস্তব্ধ কে প্রমিস করেছিলো আর ছাদে যাবে না অবনী তার পর সত্যি মেয়েটাকে আর কখনো ছাদে দেখা যায়নি,এইটাই হলো ভালোবাসা যখন নিস্তব্ধ কষ্ট দিত,রাগ করত তখন ও ছাদে যেতো না শুধু তার ভালোবাসার মানুষকে কথা দিয়েছে তাই।

নিস্তব্ধ জব পাওয়ার পর অবনীর ফ্যামিলি আর নিস্তব্ধ এর ফ্যামিলিকে জানানো হয়।কিন্তু নিস্তব্ধ এর পরিবার ছেলের মতে মত দিলেও অবনীর পরিবার মানে না।বাধ্য হয়ে অবনী আর নিস্তব্ধ পালিয়ে বিয়ে করে।অবনী বেলকোনি থেকেই নিজের ঘর দেখত,মাকে যখন দেখতে মন চাইতো বেলকোনিতে আসতে বলত।তার বাবা রাজি ছিলো না অবনী বিয়েতে,তার উপর অবনী স্বামীর ধর্ম অনুযায়ী মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে তাই।দিন গুলি এমন করেই যাচ্ছিলো দুই বছর পরে অবনী আর নিস্তব্ধের ঘরে একটা নতুন মেহমানের আগমন হয়।দুইজন মিলেই তাদের কন্যা সন্তানের নাম রাখেন “অনিলা”এই নামটির পিছনে একটা রহস্য আছে অবনীর “অ”আর নিস্তব্ধ এর “নি” এবং ভালোবাসা=লাভ এর “লা” সব কিছুর প্রথম অক্ষর নিয়েই তাদের মেয়ের নাম রেখেছে অনিলা।

মেয়েটি বড় হয় আর অবনীর বাবা-মা কলোনি তে বসে দেখে।একসময় নিজেদের ফুটফুটে নাতনীর মায়ায় পড়ে সব ভুলে মেনে নেয় অবনীকে।আজকে অনিলার জন্মদিন,তার নানু আর দাদু দুইজনেই সম্পূর্ণ কলোনি জুড়ে তাদের নাতনীর জন্মদিন আনন্দ করছেন।নিস্তব্ধ আর অবনী পাশাপাশি দাঁড়িয়ে,নিস্তব্ধ বলে জিজ্ঞেস করবে না তোমার বেলকোনিতে গিয়ে কি করে চিঠি রেখে

এসেছিলাম?অবনী বলে সত্যিই তো,এই বলো কি করে গিয়েছিলে?নিস্তব্ধ বলে ক্যানো আমি না তোমার বাদর তাইতো এক লাফে তোমার বেলকোনিতে।অবনী আবার ও নিস্তব্ধ এর হাতটা শক্ত করে ধরে বলে বাদর একটা। (সমাপ্ত)

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত