—ইমরান কোথায় যাও এইতো মামা বাসায় যাবো ।
—মামা বল্ল না আজকে যাওয়া হবেনা আগামী দিন যেও।
—আমি বাদ্ধ ছেলের মত বল্লাম ঠিক আছে। —মামা বল্ল চল আজকে কোথাও থেকে ঘুরে আসি
আর মাত্র তিন দিন বাসায় আছি তার পারতো চলেই যাবো।
—আমি বল্লাম কোথায় যাবো ..??
–মামা বল্ল অনেক দিনের ইচ্ছা গাব-খান ব্রিজে যাওয়ার চল ব্রিজেই যাই। —আমি বল্লাম না মামা ভান্ডারিয়া একটা নতুন পার্ক হইছে চলো ওই খানেই যাই।
—মামা বল্ল চল তাহলে তোর যখন ইচ্ছা ।
—আমি বল্লাম মামা বাইক কি তোমার টা নিয়ে যাবা নাকি আমার টাও মামা বল্ল দুইটাই নিবো আর আমাদের সাথে আর চার জন যাবে তবে ওদের বাইকে ওরা আর আমাদের বাইকে আমরা ।
—আমাদের বাসা থেকে ভান্ডারিয়া পার্ক এর দূরত্ব বেশি না ২৫ কি. মি. এর মত।
আমরা বিকাল ৩:৩০ এর দিকে রওনা দিলাম একটা কথা আগেই বলে রারাখা ভাল আমি ছাড়া সবারই গার্ল ফ্রেন্ড ছিল।
তাই সবাই মিলে বলতে ছিল আজকে আমাকে
সিঙ্গেল থেকে ডাবল করে দিবে।
—আমি বল্লাম না মামা আমার দরকার নেই।
—আমার মামা বল্ল তুই আমার ভাগিনা নামের কলঙ্ক। আমার তো এই কথা ভেবেই চিন্তা হয়
এই কি সেই ইমরান যে ছোট সময় একাই সব
মাতিয়ে রাখতো ।
—আমি বল্লাম মামা সবটাই আগের মত আছে শুধু সময়ের সাথে সাথে নিজেকে পাল্টে ফেয়েছি। —মামা বল্ল এত ভাল থাকার দরকার কি একটা
প্রেম করলেই কি সবাই খারাপ হয়ে যায়।
—আমি কি বলবো বুজতে পারতেছি না।
এর মধ্যে মামার একটা ফ্রেন্ড বলে উঠলো আজকে ভাগিনা কে একটা মেয়ে জুটিয়ে দিবোই আমি বল্লাম না মামা দরকার নাই একা আছি ভালোই আছি। মামা বল্ল সময়ে হলে দেখা যাবে ।
—গল্প দিতে দিতে কখন যে পার্ক এর কাছে চলে এসেছি বুজতেই পারিনাই। গাড়ি পার্কিং করে টিকিট নিয়ে আমরা ভিতরে প্রবেশ করলাম । —সবাই বল্ল অনেক দিন ফটো তোলা হয়না চল
আজকে সবাই ফটো তুলবো।
আমি বল্লাম তোমার সবাই তোলো কিন্তু আমি
ফটো তুলবোনা। আমার ফটো তোলতে ভাল লাগেনা। আমি বল্লাম এক কাজ করি আমি সবার ফটো তুলে দেই । —আমি একে একে সবার ফটো তুলতে ছিলাম এমন সময় কেউ এক জন বলে উঠলো ফোন দিয়ে ফটো তোলেন আর ভাবটা এমন নিচ্ছেন মনেহয় ডিএস এল আর দিয়ে তুলতে ছেন।
—আমি ফোন এর ক্যামেরা তার দিকে ঘুরিয়ে একটা ফটো তুল্লাম আর তখন শুরু হল সমস্যা ।
মেয়েটি বল্ল আপনি আমার ফটো কেন তুল্লেন আমি বল্লাম ইচ্ছা হয়েছে তাই তুলে ছি মেয়েটি বল্ল আপনার ফোন দিন আমি আমার ফটো ডিলেট করে দিবো । আমিও নাছর বান্দা ফোনতো কিছুতেই দিবোনা । মেয়েটি বল্ল আপনি জানেন না আমি আপনার কি করতে পারি আমি বল্লাম কি করবেন মেয়েটি বল্ল অপেক্ষা করেন আমি আসতে ছি।
—বুজতে পারছি মেয়েটা দেখতে যেমন ভয়ঙ্কর সুন্দরী ঠিক রাগীও। —আমি ফটোটা ফেসবুক আপলোড করে অনলিমী করে রাখছি।
—কিছু খন পরে মেয়েটি একটা ছেলেকে আর একটা মেয়ে কে সাথে করে নিয়ে আসলো।
বুজতে পারলাম বর ধরনের যে কোন সমস্যা তে পরতে যাচ্ছি। ছেলেটি এসে বল্ল আমার ভাগ্নীর ফটো কে তুলেছে আমি কোন কিছু না ভেবেই বল্লাম আমি তুলেছি আপনার ভাগ্নী একটা ব্যক সাউন্ড দিয়েছিল তাই তুলেছি।
—ছেলেটি বল্ল ফটো ডিলেট করে দাও এখনি ।
আমি বল্লাম যদি না করি তাহলে কি হবে।
ছেলেটি বল্ল আমি বলছি তাই এখনি ডিলেট করে দাও । এক পর্যায়ে ছেলেটি বল্ল আমি চাইলে তোমার অনেক কিছুই করতে পারি।
—আমি বল্লাম কি করবেন ছেলেটি বল্ল আমি বাংলাদেশে BGB আমি বল্লাম তাতে আমার কি।ছেলেটি বল্ল আমি চাইলে তোমাকে এখনি পুলিশে দিতে পারি আমি বল্লাম তাহলে তাই করেন।
—এত সময় এখানে আমি একা একা বক বক করে যাচ্ছি কিন্তু আমার হারামী মার্কা মামু কই গেল মামু কে ফোন দিতেই এসে বল্ল কি এখানে ।
—সেই ছেলেটি বল্ল আরে হানিফ কেমন আছো আর এই ছেলেকে কি ভাবে চিন মামা বল্ল চিনিমানে এইসেই
ইমরান আমার ভাগিনা।
যার কথা তোমাকে আমি বলে ছিলাম।
—এই বার মামার বন্ধু বল্ল ইমরান আমি শাওন তোমার মামা আর আমি এক সাথেই চাকরি করি।
—আমি সৌজন্য তার খাতিরে বল্লাম আমি ইমরান ।
–এইবার মামার বন্ধু তার সাথে থাকা মহিলা আর সেই ভয়ঙ্কর সুন্দরী মেয়েটির সাথে পরিচয় করিয়ে দিল।
—সেই মহিলা হল শাওন মামার বউ আর মেয়েটা হল
তার ভাগ্নী।
—আমি মেয়েটার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বল্লাম
আমি ইমরান ইসলাম কিন্তু মেয়েটা শুধু এই টুকু
বল্ল আমি রাইসা ইসলাম।
—এইবার মামার বন্ধু বল্ল হানিফ আজকে কিন্তু আমাদের বাসায় থাকতে হবে মামাতো কোন অবস্থাতেই থাকবে না । আমি তো থাকার জন্য বেকুব
তাই এক ফাকে মামাকে একটা এস এম এস করে
বলে দিলাম আমি কিন্তু থাকতে চাই হালার পো।
কোন সিনক্রেট করবিনা।
—মামা শাওন মামাকে বল্ল ঠিক আছে যাবো তবে আমার সাথে আর চার জন আছে তাদের বিদায় করে তার পর । শাওন মামা বল্ল না থাক যারা সাথে আছে
তাদের কে ও নিয়ে চল। কিন্তু মামা ওদের কে নিবেনা
তাই বিদায় দিয়ে আমরা চল্লাম রাইসা মানে ভয়ঙ্কর
সুন্দরীর নানুর বাসায় ।
—মনে মনে যা চাইছিলাম তাই হল যাওয়ার সময়
মামা তার বন্ধু শাওন এবং শাওন মামার বউ এক বাইকে আমি আর রাইসা এক বাইকে।
প্রথমে রাইসা আমার সাথে যেতে চায়নি কিন্তু একটা
কথা আছেনা যারে যে নেন্দে তারে সে পেন্দে
বাদ্ধ হয়ে আমার সাথে উঠতেই হল।
—যাওয়ার সময় রাইসার সাথে অনেক কথা হল কিন্তু রাইসার একটাই কথা তার ফটো ডিলেট করে দিতে হবে।
—তাই রাইসা কে বল্লাম পকেট থেকে ফোন বের
করে নিজেই ডিলেট করে দাও।
—রাইসা ফোন বের ফটো ডিলেট করে দিয়ে বল্ল
নিন আপনার ফোন আর আপনাকে ধন্যবাদ ফটো ডিলেট করতে দেওয়ার জন্য।
—কথা বলতে বলতে চলে এসেছি শাওন মামার বাসায় আপনারা আবার মনে কইরেন না আমার কিছু না নিয়েই চলে আসছি। আসার সময় মিষ্টি,আপেল,মাল্টা,চানাচুর,বিস্কুট ,পান এবং জর্দা
নিয়ে আসছি।
—শাওন মামা তার আব্বু আম্মুর সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিল । কিছু সময় পর রাইসা আমাদের জন্য নুডলস সেমাই সরবত আপেল মাল্টা এই গুল নিয়ে আসলো।
—আমরা সবাই এক সাথে বসে খেয়ে নিলাম।
—শাওন মামা আর হানিফ মামা বল্ল রাইসা ইমরান এর সাথে গল্প কর আমি আর তোর হানিফ মামা তোদের বাসায় যাবো তোর আম্মু আব্বু আর ছোট ভাইকে নিয়ে আসি।
—হানিফ মামা বল্ল ইমরান বাইক এর চাবি দাও
আমি বাদ্ধ ছেলের মত চাবি দিয়ে দিলাম তারা চলে গেল। আমি আর রাইসা বসে বসে গল্প করতে ছিলাম।
কিন্তু গল্প করা সত্ত্বেও নিজেকে বড্ড একটা লাগছিল তাই ফেসবুকে গেলাম।
—ফেসবুকে যেতেই দেখি ভালবাসার নিল ডাইরি আইডিটা এক্টিব তাই আমি তাকে এস এম করলাম কি করছেন আইডি থেকে রিপলে আসলো এইতো বসে আছি নানুর বাসায় আর এক ভাই এর সাথে গল্প দিতেছি।
নার কোন ভাই আছে আগে কখনো বলেননী তো।
—আইডি থেকে রিপলে আসলো আরে এই ভাই হলো আমার মামার বন্ধুর ভাগিনা।
—তার কথা শুনে আমির খানিক টা চমকে গেলাম।
এক পর্যায়ে তার কাছে তার একটা পিক চাইলাম কিন্তু সে পিক দিবেনা এমন কি এত দিন তার সাথে কথা বলতে ছি কখনো তার নামটাও বলে নাই।
—এই বার আইডি থেকে রিপলে আসলো যে তার নাম রাইসা আমি তার নাম দেখার সাথে সাথে আমার পাশে বসে থাকা রাইসার দিকে তাকিয়ে বল্ল আপনার ফোনটা একটু দেখতে পারি রাইসা বল্ল অবশ্যই ।
—রাইসার ফোন নিয়ে ফেসবুকে ঢুকতেই দেখি ওর আইডির নাম ভালবাসা নীল ডাইরি।
আমি রাইসার ফোন থেকে তার কয়েক টা পিক আমার আইডিতে পাঠিয়ে ওখান থেকে ডিলেট করে দিলাম।
তার পর রাইসার ফোন তাকে দিয়ে আমি ডাটা ঠিক অন রাখলাম কিন্তু তার এস এম এস এর কোন রিপলে দিলাম না।
—আমার আর বুজতে বাকিনাই এই সেই রাইসা আর এই সেই ভালবাসার নীল ডাইরি এর বালিকা।
—রাইসার সাথে ওখানে বসেই অনেক গল্প দিলাম । কিছু সময় পরে মামারা আসলো তার পর রাইসার আব্বু আম্মু আর ছোট ভাই এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিল।
—রাতের খাবার আমরা এক সাথেই খেলাম তার পর অনেক সময় গল্প দিয়ে আমাদের ঘুমানোর ব্যবস্থা করে দিল, আমরা ঘুমিয়ে গেলাম পরের দিন সকালে উঠে আমরা নাস্তা করে চলে আসলাম।
আসার সময় রাইসা বল্ল ভাইয়া আবার আসবেন কিন্তু আর কালকের জন্য আমি সত্যিই দুঃখিত।
আমি বল্লাম ঠিক আছে আমিও দুঃখিত।
তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম।
আসার সময় মামা বল্ল রাইসা দেখতে কিন্তু খারাপ না।
আমি বল্লাম খারাপ না মানে কি দেখতে তো সেই।
মামা বল্ল মনে ধরেছে নাকি। একবার মামার কাকাছে
সত্যি টা বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু পরক্ষণেই চিন্তা করলাম এই ভাবে কিছু হবেনা আর রাইসা আমাকে ইমরান নামে চেনে কিন্তু আজিজুল নামে তো নয় তাই যা করার আইডি থেকেই করতে হবে।
—আজকে রাতে ফেসবুকে ঢুকতেই দেখি রাইসা এস এম এস দিয়ে রাখছে কি খবর আপনার লেখক সাহেব সকাল থেকে ফেসবুকে নাই আর নতুন গল্প ও নাই ।
—আমি বল্লাম সমস্যা ছিল রাইসা বল্ল আমাকে নিয়ে একটা গল্প লিখবেন আমি বল্লাম অবশ্যই ।তবে কয়েক দিন পরে লিখলে হয়না । রাইসা বল্ল আপনার যখন সময় হবে তখন লিখেন তবে রোমান্টিক করে লিখবেন কিন্তু ।
—রাইসার সাথে অনেক দিন এভাবে কথা হলো এক পর্যায়ে রাইসা আমার কাছে আমার ফটো চাইলো কিন্তু বাহানা করে আমি কাটিয়ে দিলাম।
— কয়েক দিন পরেই মামার বিয়ে তাই মামা ছুটি নিয়ে বাসায় চলে আসছে ।আজকে রাইসাদের বাসায় গিয়ে ছিলাম বিয়ের দাওয়াত দিতে কিন্তু রাইসার সাথে দেখা হলনা।
বিয়ের আগের দিন বিকালে রাইসা আর তার নানা নানু মামি আসলো তারা বাসা ঠিক মত চেনেনা তাই মামা বল্ল আমি যেন বাস স্টান্ড থেকে গিয়ে নিয়ে আসি।
মামার কথা মত তাই করলাম।
তবে নানার বাসায় আসতে কিছুটা হাটতে হয় কিন্তু রাইখা বল্ল আমি হাটতে পারবোনা আমাকে আপনার বাইকে উঠান।
—আমি এত সময় যার অপেক্ষায় ছিলাম সেই অনাকাঙ্খিত চাওয়াটাও পূর্ণ হল।
—রাইসার সাথে গল্প করছিলাম আর এক দিকে চ্যাট করে যাচ্ছিলাম।
হঠাৎই রাইসাকে ফেসবুকে প্রপোজ করে বসলাম।
কিন্তু রাইসা বল্ল দেখুন ফেসবুকে এই ভাবে ভালবাসা হয়না আর আমরা কেউ কাউকে কখনো দেখি
তাই এই অনিশ্চিত সম্পর্কের
কোন মানেই নেই।
হ্যা তবে আপনার সাথে কথা বলতে বলতে আমার মনের মধ্যে এক ধরনের অনুভূতি তৈরি হয়েছে তবে সেটা ভালবাসা নয় ভাললাগা।
—জবাবে রাইসাকে শুধু এত টুকু বলে ছিলাম অপেক্ষায় থকলাম তোমার জানি তুমি আমারি হবে শুধু সময়টা আমার অনুকূলে আসলেই।
আর তুমি চাইলে যে কোন সময় তোমার সামনে আমি আসতে পারি।
—ভালতো তোমায় সেদিন লেগেছে প্রথম যেদিন তোমার রাগী আর ফর্সা উজ্জ্বল মূখটা দেখেছিলাম।
—রাইসা বল্ল তার মানে আপনি আমাকে চেনেন আমি বল্লাম অপেক্ষায় থাকো সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া বুদ্ধিমান এর কাজ তাই এখন কিছু বলতে চাইনা।
রাইরাইসা বল্ল প্লিজ আপনি আমার সাথে একটি বারে দেখা করেন ।
—আমি বল্লাম তুমি এখন বিয়ে বাড়িতে আছো আর আমি চাইনা তোমার অনন্দ ময় সময় টাকে বিষন্ন করে দিতে তবে কথা দিলাম কালকে তোমার সাথে দেখা করবো।
—রাইসা বল্ল আমার বিয়ে বাড়ির আনন্দ এর চাইতেও আপনার পরিচয় পেয়ে যদি আমার মনটা
বিষন্নতায় ছেয়ে যায় তাতেও আমি খুশি।
একটি বারের জন্য হলেও আপনি আমার সাথে দেখা করেন প্লিজ।
—বুজতে আর বাকি রইলনা রাইসা আমাকে ইমোশনাল ব্লাকমিল করতে শুরু করেছে।
আমি এস এম এস সিন করে রেখে দিলাম।
—কিন্তু রাইসা আবার এস এম এস করে বল্ল এই সমস্যা কি আপনার কথা বলেন না কেন।
—আমি বল্লাম ঠিক আছে দেখা করতে পারি তবে
এই কথা তুমি কাউকে বলতে পারবেনা।
—রাইসা বল্ল ঠিক আছে বলবোনা ।
—আমি বল্লাম তাহলে ছাদে চলে এসো তবে এখনি না ঠিক ৩০ মিনিট পরে।
—রাইসা বল্ল ঠিক আছে আসবো তবে আপনি আমার সাথে কোন প্রকার চালাকি করবেন না ।
—আমি বল্লাম কথা দিলাম কোন চালাকি করবোনা।
—এর মধ্যেই সবাইকে রাতের খাবার খাওয়ার জন্য ডাকা হাল তাই আমিও খেতে গেলাম।
—তবে রাইসার নজর সম্পূর্ণ আমার দিকে কিন্তু এই বাড়িতে বর্তমানে আমি ছাড়া তো আরো ৭ জন ছেলে আছে তবে রাইসা আমার দিকে আর চোখে কেন তাকাচ্ছে আর রাইসার পাশে আমার ছোট খালার মেয়ে তাহলে কি ফাজিল টা আমার সম্পর্কে সব বলে দিয়েছে রাতে যখন রাইসার সাথে চ্যাট করছিলাম তখন ও দেখে নিয়ে ছিল।
—আমি খাবার খেয়ে উঠে চলে গেলাম তবে রাইসা উঠলোনা, ওখানেই বসে ছিল ।
—৩০ মিনিট পূর্ণ হতে আর মাত্র ৮ মিনিট বাকি আছে কিন্তু রাইসার আসার কোন খবর নেই তাহলে কি আমার সম্পূর্ণ পরিকল্পনা ব্যর্থ।
—আমি আনমনে ছাদে হেটেই যাচ্ছিলাম তবে রাইসার কোন খবর নেই। হঠাত সিঁড়ি বেয়ে উপরে কাউকে
উঠে আসতে টের পেলাম। তাই ছাদ এর দরজার পাশে আড়াল হয়ে দারালাম।
—রাইসা ছাদে উঠে তার অপরিচিতা কে খুজতে লাগলো কিন্তু পেলনা তাই এক কোন চুপটি হয়ে দাঁড়িয়ে গেল।
—তখন বুজতে পারলাম তাহলে আয়সা আমার সম্পর্কে রাইসা কে কিছু বলেনাই। দেখলাম রাইসা এস এম এস কি জানি লিখতে ছিল তবে আমার ফোন এর ডাটা অফ করে রাখছিলাম। তাই এস এম এস আসেনি।
—আমি পিছন থেকে আসতে করে রাইসার ঘারে হাত রাখলাম রাইসা পিছনে ঘুরেই খুব জোরেই একটা থাপ্পড় মারলো ।
—আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই রাইসা বল্ল গল্প লিখেন যান্তাম তবে অভিনয় ও করেন ঠিক যান্তামনা।
—কি মনে করে ছিলেন আমি কিছু বুজতে পারিনাই । খাবার টেবিলে যখন আর চোখে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলেন তখনই বুজতে পেরছি আপনি সেই লেখক Rtr Azizul Islam তবে চেয়ে ছিলাম আপনি নিজের মূখে সবটা বলবেন কিন্তু আপনি ৩ মিনিট দেরি করেছেন তাই রাগটা আর সামলাতে পারলাম না।
—আমি ছাদের রেলিং ধরে দাড়িয়ে রাইসার দিকে তাকিয়ে বল্লাম এই সামান্ন তম কারনের জন্য আমার ঠোঁট টা না ফাটালেও পারতে।
—চাঁদের হালকা আলতো দেখলাম রাইসার ফর্সা মূখ মেঘের মত কাল রূপ ধারণ করেছে ।
—রাইসা আমার দিকে একটু এগিয়ে এসে ফোন এর টর্চ অন করেই আমার দিকে ঘুরিয়ে বল্ল সরি আমি বুজতে পারিনাই এই ভাবে লেগে যাবে ।
—দেখলাম রাইসা কিছুটা ইমোশনাল মুডে আছে ভাবলাম এই টাই সঠিক সময় রাইসা কে প্রপোজ
করার । তাই আর দেরি না করে রাইসার জন্য আনা গোলাপটা রাইসার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বল্লাম ।
রাইসা তুমি আমার লেখা গল্পের সত্যি
কারের নাইকা হবে
—রাইসা ফুলটা নিতে যাবে সেই সময় রাইসার মামি আর আমার আম্মু দুজনেই হাজির।
রাইসার মামি বল্ল একবার নয় দুইবার নয় হাজার বারের জন্য হবে। আর আম্মু বল্ল বাহ্!আমার ছেলেটা
এত বর হয়ে গেছে বুজতেই পারলাম না।
—রাইসার মামি বল্ল চলেন আপা যেটা দেখার জন্য আসছিলাম তাতো দেখা হয়েই গেছে ,তারা চলে গেল।
—তখনো আমার ঠোঁট থেকে হালকা হালকা রক্ত বের হচ্ছে রাইসা বল্ল আগে নিচে চলো ঠোঁটে মলম লাগাবা
তার পর কথা। তখনো আমার হাতে বিকেলে কিনে আনা গোলাপটা রাইসা হাতের দিকে তাকিয়ে বল্ল গোলাপটা কি দিবা নাকি অন্য কাউকে আবার এই গোলাপ দিয়ে প্রোপজ করবা আমি রাইসার দিকে গোলাপ টা বারিয়ে দিয়ে বল্লাম পাগল তুমি এক প্রোপজে আমার ঠোঁটে ফেটেছে আরো করবো প্রোপজ
এই জীবন থাকতে।
—রাইসা বল্ল এখন তো শুধু ঠোঁট তখন ফাটাবো তোমার মাথা।
—আমাকে ভালই যখন বাসলে তাহলে আরো আগে কেন বল্লেনা।
—আমি বল্লাম কিছু কথা এমন থাকে যা হুট করেই বলতে নেই আর ভালবাসার কথাতো কখনোই না । এমন ও হতে পারতো আমার মনের সবটা জুড়ে তুমি কিন্তু তোমার মনের কোথায় নেই আমি।
—রাইসা বল্ল তবুও ভালবাসার কথা যতটা সম্ভব তারা তারি বলতে হয় নাহলে পরে কিছু হারানোর বেদনা নিয়ে সারাটা জীবন থাকতে হয়।
—আমি বল্লাম কেন তুমি বুজি কাউকে হারিয়েছো।
রাইসা বল্ল আমি কেন হারাবো আর এর আগে আমি কি কার সাথে প্রেম করেছি নাকি তোমাকেই শুরু আমি আর তোমাতেই শেষ হবে আমার ভালবাসা ।
—আমি বল্লাম তুমি এত্তটা রোমান্টিক আগে জানা ছিলোনা।
—রাইসা বল্ল এখনতো তো জানলা আর চলতো ঠোঁটে মলম টা লাগিয়ে দেই না হলে তো বলবা এই তোমার ভালবাসা ঠোঁট ফাটিয়ে দিয়েছো কিন্তু একটু ভালবাসা দেওনি। আমি বল্লাম এই ছিল তোমার মনের মধ্যে ঠোঁটের ভালবাসা বুজি মলম হয় ।
—রাইসা বল্ল আমি কখন বল্লাম যে ঠোঁটের ভালবাসা মলম ।
—আমি বল্লাম তাহলে শুধু মমমলম এর কথা কেন বলছো তোমার ওই গোলাপী ঠোঁট এর কার্যকারীতা কি মলমের চাইতে কম।
—রাইসা বল্ল না কম কেন হবে।
—আমি বল্লাম তাহলে তোমার ওই গোলাপী ঠোঁট এর মলম লাগিয়ে দিলেই তো পার।
—রাইসা বল্ল কখনো দেখছো বা শুনেছো মলম রুগীর কাছে যায় রুগীর নিজে থেকেই আসতে হয়।
—আমি আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে রাইসার গোলাপী ঠোঁট এর সাথে আমার ফেটে যাওয়া ঠোঁট মিশিয়ে একা কার করে দিলাম।
—রাইসা আমাকে ছাড়িয়ে নিয়ে বল্ল চলো নিচে যাই।
নিচে যেতেই দেখি সবাই আমাদের নিয়ে আলচনা করছে।
—নানা ভাই বল্ল এক কাজ কর দুই মামু ভাগিনার বিয়েটা এক দিনেই দিয়ে দাও । —রাইসার নানা বল্ল হয় ভাই কথা খানা একে বারে খারাপ বলেন নি।
“-কিছু ভালবাসার পূর্ণতা মনেহয় এ ভাবেই আসে-,,