রুহি= কি রে, জীবন!! কেমন আছিস?
জীবন= ভালো রে। তুই কেমন আছিস?
রুহি= ভালো আর থাকলাম কই, তুই কি আমাকে ভালো থাকতে দিলি নাকি!!
জীবন= কেনো, আমি আবার কি করলাম।তুই তো আমাকে ভালো থাকতে দিলি
না,একটা বারও আমার খোজ নিস না।তুই কি জানিস না তোকে ছাড়া আমি ভালো থাকি না,তুই কি জানিস না তোকে আমি কতটা ভালবাসি?
.
[জীবনআর রুহির রিলেশনটা মাত্র কয়েকমাসের । ওরা দুজন দুজনকে খুব ভালবাসে।কিন্তু ওদের এই ভালবাসার পেছনে কিছু শত্রু আছে যা ওদের ফেমিলিদেরকে লেলিয়ে দেয় রিলেশন ভাঙার জন্য।এভাবেই চলতে থাকে ওদের মিষ্টিমধুর সম্পর্কটা।]
.
[পাঁচ বছর পর]
.
রুহি= এই যে মিষ্টার!
ঘুম থেকে উঠবানা। সকাল 9:45 বাজে তো, 10 টাতে না তোমার অফিস?
আর তোমার কি মনে আছে আজকে আমাদের…?
জীবন= রোসো!! রোসো!! জানি সেটা, আমাদের প্রথম ম্যারেজ ডে।
আজকে কি কি করা যায় বলতো,কোথাও কি ঘুরতে যাবা?
রুহি= হুমম!! গুড আইডিয়া, চলো আমরা আজ কক্সবাজার যায়। সেই কবে গেছি। চলনা প্লিজ!!
জীবন= আচ্ছা ঠিক আছে, দেখি বস এর কাছ থেকে ছুটি পাই কিনা ।
[তারপর ৭দিনের ছুটি নিয়ে রুহি আর জীবন চলে যায় কক্সবাজারে। সেখানে খুব আনন্দ করে তারা, তাদের দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসা আরও গভীর হতে থাকে । বাসায় ফেরার আগের দিন বিকেলে তারা দুজনে হাতে হাত রেখে বীচে হাটছিলো, মৃদু বাতাসে রুহির চুল উড়ছিলো। জীবন এক নজরে তাকিয়ে আছে রুহির দিকে, আজ যেন রুহিকে প্রথম দেখছে ।]
রুহি= কি হলো?
আজ আমাকে এভাবে দেখছো যে!
জীবন= আজ আমার সোনাকে পৃথিবীর সবথেকে বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে।
সত্যিকার অর্থেই বলছি জানু।
এই শোনো “I Love u ”
রুহি= Love u 2 .জান, চলনা স্পীডবোড দিয়ে তুমি আর আমি একটু সাগরের বুকে ঘুরে আসি?
জীবন= আচ্ছা তুমি এখানে দাড়াও আমি ব্যবস্থা করতেছি।
জীবন রুহিকে অনেক ভালোবাসে, তাই তার সব ইচ্ছা পূরন করতে চায়, জীবনের মনে হলো তারা দুজন ঘুরলে ভালো লাগবে, স্পীডবোড ভাড়া দেয়া লোকেদের কিছুটা বুজিয়ে জীবন নিজেই চালাতে চায়। তারা জীবনের কথাতে সম্মতি না জানালেও পরে কিছুটা চালানো শিখিয়ে দেয় জীবন কে। তারপর জীবন নিজেই চালিয়ে রুহিকে নিয়ে ঘুরতে যায় সাগরের বুকে। যেতে যেতে যখন বীচ দেখা যাচ্ছিলো না তখন বীচে ফিরে যেতে চায় রুহি।তৎক্ষণাৎ জীবন স্পীডবোড ঘুরানোর সময় হঠাত স্টার্ট বন্ধ হয়ে
যায়।অনেক চেষ্ঠা করে কিন্তু স্টার্ট হয় না।তীরে বার্তা পাঠানোর মত কোন ব্যবস্থা ছিলো না। অনেক্ষণ চেষ্ঠা করার পরেও যখন স্টার্ট হয় না তখন আচমকা একটা ঢেউ এসে ফেলে দেয় জীবন কে, রুহি হাত বারিয়ে জীবনকে স্পীডবোডে তুলাতে চায়, তখনি আরো একটা ঢেও এসে জীবনকে দূরে নিয়ে যায়,রুহি বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকে, কিন্তু সেখানে তাদের বাঁচানোর মত কোন মানুষ ছিলো না, ছোটবেলায় জীবন সাঁতার পারত, কিন্তু দুর্ঘটনায় হাত ভাজ্ঞার পর সাঁতার পারে না। রুহিও সাঁতার জানে না।
কিন্তু তার ভালোবাসার মানুষকে ঢুবতে দেখে সেও সাগরে ঝাপ দেয়, প্রায় ২ঘন্টা তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যায় না, ২ঘন্টা পর তীরে ভেসে আসে জীবনের লাশ, তারপর আরেকটা ঢেউ এসে অদ্ভুত ভাবে রুহির লাশ ভেসে এসে জীবনের বুকে থেমে যায়।
বীচের কেও বিশ্বাস করতে পারতেছিলো না, এটা কি করে সম্ভব, হয়ত সাগর তাদের গভীর ভালোবাসা বুজতে পারছে।
.
জীবন আর রুহি এর সাগরের মত বিশাল ভালোবাসা এই বিশাল সাগর কেড়ে নেয়। ভালবাসার জন্য তারা নিজের সামান্যতম প্রাণটি দিতেও দ্বিধাবোধ করেনি।এটাই হয়তো গভীর ভালবাসার বাস্তব প্রমাণ।