পড়ন্ত বিকালে জয় তার কলেজর পাশ দিয়ে যাওয়া রাস্তার সাইটে বসে সূর্য ডুবা দেখছে আর গিটারে সুর তুলছে।হাতে যখন কোন কাজ থাকেনা তখন প্রায়ই জয় এই জায়গাই বসে থাকে। কারণ এই সাইটে বেশি জানবহন চলাচল করে না। এই জাইগার একটা বিশেশত আছে যেটা হচ্ছে এখান কার সেই পুরনো বট গাছ।যেখানে বসে থেকে সূর্যা আস্ত দেখতে জয় এর খুবই ভালো লাগে। তাই জয় আজও এখানে বসে সেই একই কাজ করছে,আর তার কল্পনার সঙ্গীত জগত থেকে শুনা গান এর সুর গীটারে ফুটিয়ে তোলে।
এই মুহূর্তে জয় এর ফুটিয়ে তুলা গান
“” রাজকুমারী দুই একটা কথা বলি””
কিন্তুু সেটা আর হয়ে ওঠলো নাহ্। কারণ মেয়ালি কন্ঠে কাশির খুক খুক শব্দ।জয়ের মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো।কারণ এই সময় জয়কে কেউ বিরক্ত করলে জয় এর মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।কিন্তু খারাপ লাগা বেশিক্ষণ কাজ করলো নাহ্। জয় যখন ভ্রু কুঁচকে তাকালো
মেয়ে : “আসসালামুয়ালাইকুম”
জয় তো রিতি মোত আবাক। কারন দুইটি।যথা:১ঃ তার সালাম দেওয়া
২ঃ মেয়েটির রুপ ছিলো অসাধারন।যা তার রাগ নিমিশের মধ্যে হারিয়ে যেতে সাহায্য করলো,এবং ময়েটির ডাকে তার ধ্যান ভাঙলো।
মেয়ে : এই যে “আসসালামুয়ালাইকুম”
জয় : ”অলাইকুমআসসালাম” আপনি?
মেয়ে: আমি জ্যোতি।আমার ছোট ভাই কে নিয়ে এই সাইটে হাঁটতে আসি।প্রায়ই আপনাকে দেখি।ভালোই বাজান আপনি।আমার গিটারের টোন খুবই ভালো লাগে।তাই মনে হলো আপনার সাথে পরিচিত হই।
জয়: আমি “আল আমিন জয় হসেন””
মেয়ে: আমি কি আপনাকে বিরক্ত করলাম? আপনার মুখ দেখে মনে হচ্ছে আপনি বিরক্ত।
জয়: No it’s ok.
মেয়ে: আমি কি আপনার বন্ধু হতে পারি? যদি আপনার কোন আপওি না থাকে।
জয়ের তেমন খুব একটা বন্ধু নাই তাই সে হ্যাঁ করে দিলো।আবার দেখতেও ভদ্র ঘরের মেয়ে মনে হচ্ছে।তাই বন্ধুত্ব করে নিলো।
জয়: ওকে আপনি বন্ধু হতে পারেন।
জ্যোতি :থ্যাংস বলে একটা হাসি দিয়ে চলে গেলো।
জয় : মনে মনে ভাবলো মেয়েটা হাসলে কি সুন্দর তার গালে টোল পরে।জ্যোতির কন্ঠে রাহার ধ্যান ভাঙলো।
জ্যোতি : সন্ধা হয় আসছে । আজ আসি আবার দেখা হবে।টাটা……
জ্যোতি চলে যাচ্ছে আর জয় ভাবছে কে এই সুন্দরি মেয়ে?কথা নেই বাএা নেই বন্ধু হয়ে চলে গেল। আর আমিও বোকার মতো হ্যাঁ বলে দিলাম।এসব ভাবতে ভাবতে জয় ওঠে পরলো কারণ আজ আর তার আর সুর তোলা হবে না।
এভাবে প্রথম পরিচয় হয় জ্যোতি আর জয়ের মাঝে।আর প্রথম দেখাতেই একটু জ্যোতির ওপর দুরবল হয়ে পরে জয়।মেয়েটির চনচলতা,হাসি ও কথাবাএা সবকিছু জয়কে মুগ্ধ করে।আগে জয় মাঝে মধ্যে এই জায়গাই আসতো আর এখন প্রায়ই আসে।
আস্তে আস্তে ওরা খুব ভালো বন্ধু হয়ে যাই।
জ্যোতির গীটারের টোন খুব পছন্দ।একবার গিটার ছাড়া জয় পূর্বের জায়গায় গিয়ে ছিল তা দেখে জ্যোতি সেকি রাগ…..
জ্যোতি :আজ গিটার আনো নি কেন?
জয়: আসলে ক্লাস থেকে সোজা এখানে চলে এসেছি,তাই আানার সময় পাইনি।
জ্যোতি : কোন কথা শুনবো না। যাও এখনি যাও গিয়ে নিয়ে আস।
জয়: মাএই তো আসলাম এখনি যেতে হবে?
জ্যোতি: হ্যাঁ এখনি,এটা তোমার শাস্তি।তুমি জানো না তোমার গিটারের টোন না শুনলে আমার ভালো লাগেনা।
বলেই জ্যোতি ওন্য দিকে তাকালো।জয় বুঝলো জ্যোতি সাঙ্ঘাতিক পরিমানে ক্ষেপে আছে।
জয়: জ্যোতি এই জ্যোতি সরি বললাম তো এই কান ধরছি আর ভুল হবে না।
জ্যোতি : সত্যি তো।
জয়: হ্যাঁ সত্যি।এমন ভুল আর কখনো করবো না।
জ্যোতি : ঠিক আছে। এবারের মতো মাফ করে দিলাম।
এভাবে তাদের বন্ধুত্ব এগিয়ে যায়,ভালোলাগা থেকে কখন যে মনের মিল হয়ে গেল তা জয় নিজেই জানে না।জয় অনেক চেষ্টা করে জ্যোতি কে বুঝানোর তার মনের কথা। এমন কি বাসা থেকে I love you বলার প্রাকটিস করে আসে কিন্তু আর বলা হয়ে ওঠে না।হঠাৎ তার মনে আসলো ২৩ এ এপ্রিল জ্যোতির জন্মদিন। সেইদিন তাকে সে তার মনের মনের কথা বলবে। সে জ্যোতির জন্য বার্থডে গিফ্ট নিয়ে অনুষ্ঠানে যায়।নীল শাড়ি পরে মুখে মিষ্টি হাসি নিয়ে জ্যোতি বসে আছে তার বন্ধুদের সাথে।
জ্যোতিঃ এতো লেট কেন?
জয়:আসলে রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিলো।বাই দ্যা ওয়ে হ্যাপি বার্থডে।
বলেই জ্যোতির দিকে গিফট এগিয়ে দিলো জয়।তোমার তো লিখার অনেক সক তোমার মনের কথাগুলো না হয় এখানেই সাজিয়ে রাখবে।
জ্যোতিঃ আজকে আমার বার্থডে তাই তোমাকে ছাড় দিলাম।
জয়: জ্যোতি একটা কথা বলবো?
জ্যোতিঃ হুম বল।
জয়: আসলে……
এই জ্যোতি এদিকে আই কেক কাটবি না।জ্যোতি চলে গেল। এভাবে শত চেষ্টার পরও জয় জ্যোতি কে কিছুই বলতে পারে না। আবার জয় ভয় ও পাই যদি তাদের বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে যায় এই ভয়ে।জয় যে জ্যোতিকে হারাতে চাই না। বার্থডে পটিতে সবাই জয়কে একটা গান গাইতে বলে,সেখানে জয় ও রাজি হয়ে যাই।।
কিন্তু গান গাইবার আগে বলে আজকের এই গানটি তার প্রিয় মানুষের জন্য।
{একটাই তুমি} এই গানটি গাই।তার গলাই এই গানটি শুনে সবাই তার প্রশংসা করে।আর এদিকে জ্যোতি মিট মিট করে হাসতে থাকে।
তার পরেরদিন রাতে জ্যোতি তার সমস্ত কথা জয়ের গিফট করা ডাইরিটাই লিখে।যেখানে ইস্থান পায় শুধু মাএ জয়ের কথা।জয়ের প্রতি ভালো লাগার কথা ইত্যাদি।যেখানে সে লিখে রাখে জয়ের কাছ থেকে প্রপজ পাওয়ার আসা।
আবশেষে একদিন ঐএকই জাইগায় জয় জ্যোতির জন্য অপেক্ষা করছে, কিন্তুু জ্যোতির আসতে একটু দেরি হয়।
জয়:আজ এতদেরি করলা যে?
জ্যোতিঃ আসলে কোচিং ছিল তাই একটু দেরিহয়ে গেল।
জয়: সেটা আগে বললেই পারতে।
জ্যোতিঃ সরি আর ভূল হবে না।
জয়: ওকে। তুমার জন্য নতুন একটা সুর তুলেছি ।
জ্যোতিঃ আজ শুনতে পারবো না। এমনিতেই আনেক লেট হয়ে গেছে,পরে বাসায় আম্মু টেনশন করবে।
জয়: চলে যাবা। আর একটু থাক।
জ্যোতি : নাহ্ যেতে হবে।তাছারা প্রবলেম হবে।টাটা…
বলেই জ্যোতি ঝটপট চলে যাই।এদিকে শেষ বিকালের সূর্যটাও ডুবে গেছে।তাই জয় যখন ওঠতে যাবে তখন দেখলো মাটিতে তার দেওয়া ডাইরি পরে আছে।জয় ডাইরিটা তুলে নিয়ে বাসার দিকে হাটা দিল।
রাতে জয় ডাইরিটা নিয়ে পরতে থাকলো এবং জ্যোতির মনোভাব এবং জ্যোতি কি চায় সেটাই সে জানতে পারলো।
পরের দিন জয়ের কাছে জ্যোতি ফোন করে তারা তারি দেখা করতে বললো।তাদের নির্দিষ্ট স্থানে।
সেখানে গিয়ে জয় দেখলো জ্যোতি খুব টেনশনে আছ।জয়কে দেখার সাথে সাথে জ্যোতি বলে ওঠলো জয় তুমার দেওয়া ডাইরি আমি হারিয়ে ফেলেছি।
জয়: সমস্যা নেই আমি আবার কিনে দিবো।
জ্যোতি : না আমার ওই ডাইরিই লাগবে।এই কথা বলের সময় জ্যোতি দেখলো জয় মিটমিটিয়ে হাঁসছে।
যা দেখে সে ক্ষেপে গিয়ে যাওয়ার জন্য পা বারালো তখন জয় বলে ওঠলো এই নাও তোমার ডাইরি।
জ্যোতিঃ তুমি কি এটা পড়ছো?
জয়: সন্ধেয় করার কোন আবকাস আছে। তার সাথে জয় বলে ওঠলো জ্যোতি I love you.wil you marry me.
জ্যোতি : কোনো সন্দেহ আছে এর ওপর।