চায়ের দোকানে বসে আছি হাতে এক কাপ চা নিয়ে।। এমন সময় অনুভব করলাম চোখ দিয়ে যেন পানি পরছে।।হ্যা
এটা অশ্রু।।।ওকে খুব মনে পরতেছে।।। … {{{আমি সাঈদ।।আমার পরিবারে আমার বাবা,মা,আর আমার ছোট এক
বোন আছে।।মা গৃহিনী,,, বাবা সরকারি চাকরি করতেন কিন্তু এখন অবসর আর বাবার অবসরের যে টাকা পায় তা
দিয়েই সংসার চলে।।আর আমার বোন এবার দশম শ্রেণিতে পড়ে।।।। আর আমিও পড়ালেখা করি সাথে একটা
টিউশনি ।।।।}}} যার কথা একটু আগে বলেছিলাম সে হলো নাহিদা।।।যাকে আমি ভালোবাসি বললে ভুল হবে কারন
সে তো আমার ভালোবাসার অনুভূতি।।।আর যে আজ আমার থেকে চিরতরে দূর হয়ে যাবে।।কিন্তু মন থেকে নয়।।
হ্যা আজ ওর বিয়ে।। .. .. ৪ বছর আগের কথা… কলেজ এ ডুকার পর যখন সিড়ি দিয়ে উঠছিলাম তখন কার সাথে
যেনো খুব জুড়ে একটা ধাক্কা খেলাম যার ফলে আমার হাত থেকে থেকে সব বই খাতা পড়ে গেলো আর মেয়েটার
হাত থেকেও কিছু জিনিস পড়ে গেলো।।। ধাক্কা খাওয়ার পর সে আমাকে খুব জুড়ে ধমক দিলো আর কয়েকটা কড়া
কথা বলল।।।আর আমি কিছু বলিনি তার কারণ হলো আমি খুব শান্ত সভাবের লোক।।বেশি কথা বলা পছন্দ করি
না।।।।।।। তারপর মেয়েটা চলে গেলো আর আমি আমার বইগুলো তুলে ক্লাসে চলে গেলাম।।।। পরেরদিন…
কলেজে ডোকার পর যখন ক্লাসের দিকে আসতে যাচ্ছিলাম তখন দেখি হঠাৎ গতকালের মেয়েটা আমার সামনে
এসে…
মেয়ে :সরি!!
আমি:জ্বি,,,কেনো।।
মেয়ে:গতকালের এমন ব্যবহারের জন্য।।আসলে দুষটা আমারই ছিল।।আমিই অন্যমনষ্ক হয়ে আসছিলাম।।। আর মাথাও খুব খারাপ ছিল একটি করনে।।
আমি:নো প্রবলেম।।
মেয়ে:ধন্যবাদ।।আপনার নামটা জানতে পারি??
আমি:আমি সাঈদ।
মেয়ে :আমার নাম নাহিদা আক্তার।।আর আমি অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ পড়ি।।আর আপনি??
আমি: সেইম।।। (আমাদের ডিপার্টমেন্ট আলাদা)
মেয়ে:তাহলে ঠিক আছে।।এখন ক্লাসে যাই।।পরে কথা হবে।।
আমি: হুম,,বাই।। তারপর কলেজ শেষ করে আমি বাসায় যাচ্ছি হেটে হেটে।।হঠাৎ পিছন থেকে যেনো কার ডাক শুনতে পেলাম।। দেখি নাহিদা আসতেছে।।
নাহিদা:হাই।।
আমি:হাই,,কেমন।আছেন??
নাহিদা:ভালো,,আপনি?
আমি:হুম ভালো।।।
নাহিদা:এদিকে কোথায় যাচ্ছেন??
আমি:আমি বাসায় যাচ্ছি,,,ঔই সামনের স্ট্যান্ড থেকে গাড়িতে উঠি।।আর আপনি।।
নাহিদা:হ্যা আমি ঔ স্ট্যান্ড থেকে গাড়িতে উঠি।।কিন্তু ডান দিক দিয়ে যাই।।আর আপনি??
আমি:আমি সোজা যাই।।। আচ্ছা তাহলে চলোন যাওয়া যাক।। এভাবে তার সাথে প্রায় আমার কথা হতো এবং
কলেজ থেকে ফেরার পথে আমরা একসাথে স্ট্যান্ড পর্যন্ত আসতাম গল্প করে করে।।।। এবং আমাদের একে
অপরের সাথে ফোনেও কথা হতো।।। আমাদের খুব ভালো বন্ধুত্ব ছিলো কিন্তু মেয়েটা একেক সময় এমন সব কান্ড
করত মনে হতো আমি ওর বন্ধু নয় অর বিএফ(এভাবে প্রায় এক বছরের উপর সময় কেটে গেলো) আর যত দিন
যাচ্ছিল ততো আমাদের সম্পর্ক গভীর হচ্ছিল।।।আমরা একে অপরকে তুই করেই বলতাম।। একে অপরের সাথে
সব কিছু শেয়ার করতাম।। (আর তার পরিবারটা ছিলো তার বাবা মা আর তার এক বড় ভাই কে নিয়ে) সে প্রায়ই বলত
তার বাবার কথা।।যে তার বাবা তাকে সব থেকে বেশি ভালোবাসেন।। তার মা যখনই তাকে বকা দিতেন তখন তার
বাবা সব কিছু সামলে নিতেন।।।। .. ..আভাবেই আমাদের দিন চলছিল।।। একসাথে ঘুরতে যাওয়া।।।আড্ডা দেওয়া।।
.. একদিন ওকে এক ছেলে সবার সামনে প্রপোজ করলো।।কিন্তু নাহিদা ঔই ছেলে কে না বলে দিল।।এবং ছেলেটি
নাহিদার হাত ধরে ফেলল।।এমনিতেই ও একটু রাগী ছিল।আর হাত ধরার করনে তাকে খুব জুড়ে একটি থাপ্পর মারল
এবং সেদিন বাসায় চলে গেলো।। তখনো আমি কলেজে আসি নি।। পরে যখন আমি কলেজে আসলাম এসে ওকে না
পেয়ে ফোন দিলাম কিন্তু ফোন বন্ধ পেলাম।। অবশেষে আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে সব কথা জানতে পারলাম।।।
কিন্তু তার ফোন বন্ধ পাওয়ায় কিছুটা চিন্তিত হলাম।।আর সেদিনের জন্য বাসায় চলে আসলাম।। হঠাৎ নাহিদা
আমায় ফোন দিয়ে বলল…
নাহিদা:আমার সাথে দেখা করতে পারবি??
আমি:কেনো রে??
নাহিদা::দরকার আছে।।
আমি:কাল তো শুক্রবার।।আর পরশুদিনতো এমনিতেই কলেজ আসলে দেখা হবে।।
নাহিদা:না।।আজ দেখা করতে হবে।।বল আসবি কি না??
আমি: ঠিক আছে,,, বল কখন আর কোথায় আসতে হবে??
নাহিদা:বিকাল ৫ টার সময় ওমুক পার্কে চলে আসিস।।
আমি::ওকে বাই।।
নাহিদা::বাই।।(বলেই ফোনটা কেটে ফেলল) আমি একটু চিন্তায় পড়ে গেলাম।।যে এমন কি জরুরি কথা যার জন্য
এরকম দেখা করার জন্য বলল।।। তারপর আমি খেয়ে একটি ঘুম দিলাম এবং চারটার সময় উঠে রেডি হলাম
যাওয়ার জন্য।।এখান থেকে পার্কে যেতে প্রায় ৩০ মিনিট সময় লাগে।।তারপর রেডি হয়ে বের হতে হতে কিছু সময়
চলে গেলো এবং সেখানে আমি ২০ মিনিট আগে পৌছলাম।।।।।। গিয়েতো অবাক নাহিদা আমার আগেই সেখানে
এসে বসে রইছে।।এরকমতো আগে আসার কথা না আর একটি নীল রঙের শাড়ি পরে এসেছে।।ওকে খুবই মায়াবি
লাগছিল,চোখের মধ্যে কাজল যা আমাকে তার চোখের দিকে তাকাতে বাধ্য করছিল।।
আমি:কিরে কেমন আছিস,,আর এত।তাড়াতাড়ি আসলি কি করে??
নাহিদা:ভালো,এমনিতেই ভালো লাগছিল না তাই কিছু তাড়াতাড়ি চলে আসলাম।।
আমি:আচ্ছা বল।।কি এতো জরুরি কথা তোর??
নাহিদা:আগে বস।।
আমি:হুম।। কিছুক্ষন নরবতা……… হঠাৎ…
নাহিদা:আমায় ভালোবাসবি??(খুব সহজেই যেনো বলে দিল)
আমি:কি বলছিস এসব।।তোর মাতা ঠিক আছেতো।।
নাহিদা:হ্যা ঠিক আছে।।।
আমি:দ্যাখ নাহিদা আমরা খুব ভালো বন্ধু,,আর তুই এসব কি বলছিস??
নাহিদা:আচ্ছা তুই কি একটুও বুঝিস না।।।তোকে আমি কতটুকু ভালোবাসি।। যদি তোকে ভালো নাই বাসতাম
তাহলে এতদিনে একটি প্রপোজ হলেও এক্সেপ্ট করতাম।।তোর সাথে কেনো সবসময় কথা বলতে চাই।।একটুও কি
বুঝিস না।।
আমি: ….. {আমার ভিতরেও ওর জন্য অনুভূতি কাজ করে।।কিন্তু এটাতো।প্রকাশ করা যাবে না।।কারন আমার
স্ট্যাটাস আর ওর স্ট্যাটাস এর কোনো মিল নেই।। এখনও আমি পড়ালেখা করি আর আমার পরিবারটাও কোনোমতে
চলে}
আমি:সরি নাহিদা।।এটা সম্ভব না।।
নাহিদা:ও কিছু বলছে না।।কিন্তু বুঝাই যাচ্ছে যে ও কাঁদতেছে।।ওর চোখ দিয়ে শুধু পানি।পরতেছে।।। আমার খুব কষ্ট
হচ্ছে এটা দেখে।। আর আমার চোখের পানি লোকানোর স্বার্থে আমি ওকে বললাম..
আমি:অনেক দেড়ি হয়ে যাচ্ছেরে এখন তোর বাসায় যাওয়া উচিত।।আর আমার কিছু কাজ আছে আমার তাড়াতাড়ি যেতে হবে।।
নাহিদা::”নিরব”
আমি:আমি যাই রে,,,বাই।। নাহিদা কিছুই বলছেনা।। একি আমার চোখ দিয়ে পানি পরতেছে কেনো।।না আমায়
কাঁদলে হবে না।।।ও যাই বলুক আমি যে অর যোগ্য নই।।। ।। একটু দূরে গিয়ে দাঁড়িয়ে দেখলাম যে তার বেগ হাতে
নিতেছে আর চোখের পানি মুছতেছে।। ( হয়তো বাসায় গিয়ে একটু কাঁদবে।। থাক কাঁদলে মনটা হালকা হবে আর
কয়েকদিন পর এমনিতেই সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।।।।। না..আমার ধারনা একদম ভুল ছিল।।ও দুই দিন ধরে
কলেজে।আসছে না।।।।আমার ও কিছু ভালোলাগতেছে না।।।তাই ক্লাস একটা করে বাসায় চলে আসলাম।।। এই দুই
দিনের মধ্যে নাহিদার সাথে আমার কোনো যোগাযোগ হয়নি।।। তাকে ছাড়া যেনো আমার নিজেকে কেমন অসম্পূর্ণ
মনে হচ্ছে।। তাই একটা কল দিলাম কিন্তু রিসিব হলো না।।আবার দিলাম এবার রিসিব করলো..
আমি:হ্যালো,, কিরে কেমন আছিস(খুব নরমালি বললাম)
নাহিদা:আছি।।। আমি :কলেজে আসিস না কেনো।।
নাহিদা:এমনিতেই।।যার জন্য আসা হতো তাকে দেখা হবে না বলে।।
আমি:কি হয়েছে বল তো।।(কিন্তু আমি তো কারনটা জানি)
নাহিদা:যে জেনেও অজানা হয়ে থাকে তাকে আবার কি বলব।।।
আমি:আচ্ছা কাল থেকে কলেজ আসিস।।
নাহিদা:হুম।। আমি:তাহলে রাখি।।
নাহিদা:হুম(টুট টুট টুট) লাইন কেটে দিল।।।। … আমার খুব খারাপ লাগছে।।এক তো ওর এমন অবস্থা আর ওকে
ছাড়া আমারও তো একা একা লাগে।।।।তবে কি আমিও ওকে…♥♥♥ না।।।।আমার এমন হলে হবে না।।।আমাকে যে
শক্ত হয়ে থাকতেই হবে।।।। ….. পরেরদিন কলেজে গেলাম,,,,গিয়ে আমার অবাক হওয়ার পালা।।। .. … কারন
আজও নাহিদা আসে নি।।।। আভাবে প্রায় আরও এক সপ্তাহ চলে গেলো।। পরেরদিন সে কলেজ আসল…. আমি
ওকে দেখে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম..
আমি:কেমন আছিস রে।।
নাহিদা::কেউ একজন যেমনটি রেখেছে।। উত্তরটা বুঝে উঠার আগেই সে বলে উঠল ক্লাসের লেইট হয়ে যাচ্ছে রে
আমি চলি।।। বলে চলে গেলো।।।। .. তারপর আমি আমার ক্লাসগুলো শেষ করে এসে ওকে অনেক খুজলাম কিন্তু না
পেয়ে ওর এক বান্ধবিকে জিজ্ঞেস করলাম যে নাহিদা কোথায়?? সে বলল নাহিদা তো এক ক্লাস করেই চলে গেছে!!!
আমি:অহহ।।ওকে,,,, ……………….. এরকম চলে গেলো আরো কয়েকটা দিন।।।। আমি আর নিজেকে সামলে
রাখতে পারলাম না এবং তাকে ফোন করে দেখা করতে বললাম।।।। ।।।।।। পার্কে বসে আছি।।।ঔই তো নাহিদা
আসতেছে।।।চেহারাটা কিরকম হয়ে গেছে।।। আসার সাথে সাথেই ওকে আমি বলে ফেললাম যে….
আমি:নাহিদা তোমাকে এত দিন যা কষ্ট দিয়েছি এর শাস্তি স্বরুপ তোমাকে কি ভালোবাসার অধিকার দিবে???(ওকে তুমি করে বললাম)
নাহিদা:কোনো কথা না বলেই আমাকে জড়িয়ে ধরল,,,,, আমিও তাকে খুব ভালোবেসে ফেলেছি আর আমার ভিতর
শুধু একটি ভয় কাজ করছে,যে আমি কি তাকে পাব??? আমাদের দিন গুলো খুব সুন্দর ভাবে চলতে লাগল যদিও
আমি তাকে নিয়ে বেশি ঘুরতাম না আর যাই ঘুরতাম এর সব টাকা প্রায় নাহিদা দিত।।কারন ও আমাদের অবস্থা
সম্পর্কে অবগত ছিল।।। … হঠাৎ,,, খুব সকাল নাহিদার ফোন আসল এবং খুব কান্না করতে লাগল।।। বলল যে তার
বাবার হার্ট এ্যটাক হয়েছে এবং তিনি আর দুনিয়াতে নেই।।বলে খুব জুড়ে জুড়ে কান্না করতে লাগল।। আমারও চোখ
দিয়ে পানি পড়তে শুরু করল মেয়েটার কান্না দেখে।।। কিন্তু ওকে কি বলে যে শান্তনা দিব আমার জানা ছিল না।
আমি শুধু বললাম….
আমি:দ্যাখো নাহিদা হায়াত-মউত সব কিছু আল্লাহর হাতে।।।।তিনি যা চান তাই হবে আর যেটা
হবে সেটা অবশ্যই আমাদের ভালোর জন্যই হবে।।।।। সে শুধু কান্না করেই চলছে।। তারপর আমি বললাম তুমি
কেদনা প্লিজ আমি আসতেছি বলে ফোন রেখে দিলাম আর আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে ওর বাসায় গেলাম।।।।
তারপর আমরা জানাজা পড়ে তার সাথে কথা বলে চলে আসলাম কিন্তু আমার মন মানছিল না যে তাকে এই অবস্থায়
ছেড়ে আসতে।।।।। সেদিন তার সাথে আর তেমন কথা হয় নি।। পরেরদিন ঘুম থেকে উটে সকালে কল দিলাম…
আমি:কি করছ??
নাহিদা:কিছু না।।তুমি??
আমি:ভালো।।নাস্তা করেছো।।(হয়তো রাতেও খায় নি)
নাহিদা:না।
আমি:তাহলে এখন গিয়ে তাড়াতাড়ি নাস্তা কর।আমি পরে কল দিচ্ছি।।। প্রায় এক ঘন্টা পর আবার কল দিলাম।।।
আমি:নাস্তা শেষ??
নাহিদা:না।।এখন খাব।আমি:যাও তাড়াতাড়ি নাস্তা কর বলছি,,এর পর আমাকে কল দিবে(একটু
ধমকের সুরে বললাম)
নাহিদা:হুম।। এরকম আমাদের দিন কাঠতে লাগলো।।মেয়েটা অনেক ভেজ্ঞে পড়েছিল।।। প্রায় কয়েকমাস চলে
গেলো এবং সেও কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলো।।।। {কলেজ কয়েকদিনের বন্ধ চলতেছে কিন্তু আমাদের
ফোনে যোগাযোগ হতো} একদিন দুপুরের খাবার খেয়ে শেষ এমন সময় নাহিদার ফোন…
নাহিদা:হ্যালো।।
আমি:হ্যা বলো।।কি করতেছো??
নাহিদা:কিছু না।।।।তুমি বিকালে একটু আমার সাথে দেখা করতে পারবে।।
আমি:হ্যা, কিন্তু হঠাৎ কি হলো,,আর তোমাকে এমন চিন্তিত মনে হচ্ছে কেনো??
নাহিদা:তুমি আগে আসো তারপর বলছি।। (বিকালে নাহিদার সাথে দেখা করতে গেলাম…গিয়ে দেখি সে আগে চলে
এসেছে)
আমি:কি হয়েছো তোমার??
নাহিদা:ভাইয়া নাকি আমার জন্য বিয়ের সমন্ধ দেখেছেন এবং তারা নাকি আমাকে কাল দেখতে আসবে।।
আমি:কি বলছ এসব।।তুমি তোমার ভাইয়া কে কিছু বলো নি??
নাহিদা:আমি বলেছি যে আমি এখব বিয়ে করব।না।।।কিন্তু উনিতো তা বুঝতে নারাজ।।
আমি:তুমি উনাকে আমাদের ব্যাপারে বলে দেখো প্লিজ।।আমি তোমায় ছেড়ে থাকতে পারবো না নাহিদা।।
নাহিদা:তাহলে কি আমি পারব।।তুমি কিছু একটা কর।।
আমি:ঠিক আছে।।।কিন্তু তুমি উনার সাথে কথা বলে দেখো।।
নাহিদা:অকে।। (যাওয়ার সময় নাহিদা আমার হাত ধরে বলল খুব বেশি ভালোবাসি তোমাকে)।। (আমি কি বলে আমি
তাকে শান্তনা দেব কিছুই বুঝতে পারতেছি না।)।।।এরপরও বললাম…
আমি:তুমি চিন্তা করো না সব ঠিক হয়ে যাবে।। নাহিদা চলে গেলো।।।। ।।। আর আমি এখানে বসে চিন্তাকরতেছি যে
কি করব।।আমি যদি তাকে এখন বিয়ে করি তাহলে কি খাওয়াবো আর কোথায় রাখবো।।। কিছুই বুঝে উঠাতে
পারতেছি না।।।। ,,,,,,,রাত খাওয়ার জন্য নাহিদা কে তার মা ডাকতেছেন….. নাহিদা এসে দেখে তার ভাইও আছে
খাওয়ার টেবিলে… নাহিদা ভাবতেছে বলবে কি বলবে না।।। হঠাৎ,,তার ভাইয়া বলল..
ভাইয়া:নাহিদা, কাল তোকে ছেলেপক্ষ দেখতে আসবে।।
নাহিদা:ভাইয়া আমি কাউকে ভালোবাসি।।
ভাইয়া:কি বলছিস এসব।। নাহিদার
মা:কি আবুল তাবুল বলছিস নাহিদা।।
নাহিদা:হ্যা আমি সত্যি বলছি ভাইয়া।।
ভাইয়া:ছেলেটা কি করে আর তার পরিবার??
নাহিদা:আমরা একসাথে পড়ালেখা করি।(আর আমাদের পরিবার সমন্ধে সব কিছু বলল)
ভাইয়া:দেখ নাহিদা।।এটা সম্ভব না…
নাহিদা:ভাইয়া আমি ওকে ভালোবাসি।।প্লিজ।।।
ভাইয়া:তুই বুঝছিস না কেনো সব কিছু আবেগ আর ভালোবাসা দিয়ে হয় না।।সে তোকে বিয়ে করে এখন রাখবে
কোথায় আর খাওয়াবে কি???
নাহিদা:আমি পারবো ভাইয়া…
ভাইয়া:তুই পারলেও আমরা পারব না।।।আর আমি কোনো কথা শুনতে চাই না।খেয়ে গিয়ে শুয়ে পড়।। (নাহিদা না
খেয়েই তার রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে ফেলল।।(পিছন দিয়ে তার মা ডাকলেন কিন্তু শুনলো না)) ।।। তারপর সাঈদ
কে ফোন করে কাল সকালে দেখা করার কথা বলল।। পরেরদিন…
আমি:কি হয়েছে নাহিদা??
নাহিদা:সাঈদ আমি
তোমাকে ছাড়া থাকতে পারব না।।প্লিজ।।
আমি:কি হয়েছে সেটাতো বলবে।। নাহিদা:ভাইয়া আমাদের সম্পর্ক
মানবেন না।। আমি: …………
নাহিদা:চলো সাঈদ আমরা পালিয়ে যাই।।তারপর কয়েকদিন পরে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।।
আমি:না।।এটা মোটেও ঠিক হবে না।তুমি যে বললে কয়েকদিন পরে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।।কয়েকদিন পরে কি
আমাদের কারনে পরিবারের হারানো সম্মান ফিরে আসবে।আমাদের দেওয়া কষ্ট মিটে যাবে।।
নাহিদা:কি বলছ এসব।।পরিবার মানবে না বলে কি আমরা আমাদের ভালোবাসা এখানেই শেষ করে দেব।।
আমি:কে বলল শেষ করে দেব।।সত্যিকারের ভালোবাসা শেষ হয়না। আমরা নাহয় আমাদের স্মৃতি নিয়েই বেঁচে
থাকবো।।
নাহিদা:না সাঈদ আমি পারব না।।
আমি: নাহিদা আমাদের যে পারতেই হবে।।কারন এই পরিবারে কারনেই আজ আমরা এই স্থানে এসেছি।।আর আজ
নিজের স্বার্থের করনে এর মান-সম্মান নিয়ে খেলার আমাদের কোনো অধিকার নেই।। {নাহিদা কিছু বলছে না শুধু
কাঁদতেছে}
আমি:আমাকে ভুলে যাও নাহিদা কিন্তু আমাদের স্মৃতি গুলো মুছে দিও না।(কথাটা খুব কষ্টে বললাম) আর তুমি এখন
বাসায় চলে যাও।।
নাহিদা:কেঁদে কেঁদে বলছে,,সাঈদ তোমাকে কি একটা হাগ করতে পারি প্লিজ,,,, ,,,,,আমি আর কিছু না বলে ওকে
জড়িয়ে ধরলাম।।আর আজ এই প্রথম তার সামনে আমি কাঁদতেছি।।আর ও তো কেঁদে চোখ লাল করে দিয়েছে।।
কিন্তু আমাদের যে কিছুই করার নেই।।(সেদিন ও চলে যাওয়ার পর অনেক সময় এখানে বসেছিলাম,,মনে হচ্ছিল
আমার অনুভূতিই আমার মধ্যে নেই))) ।। ।। (তিন দিনের মধ্যেই তার বিয়ে সম্পন্ন হলো,,ছেলে আমেরিকায় থাকে
তাই তাড়াতাড়ি বিয়েটা সম্পন্ন করতে চায় নাকি।।) এই কয়দিনে নাহিদা আমাকে অনেকবার কল করেছে,,কিন্তু
রিসিব করিনি শুধু একবার ধরে কথা বলেছিলাম।। বিয়ের দিন একবার ওদের বাড়িতে তাকে দেখার জন্য
গিয়েছিলাম।।মেয়াটার চোখ ফুলে আছে কিন্তু মুখের মধ্যে শুকনো হাসি রয়েছে,,তারপর আমার দেখা না দিয়েই চলে
আসলাম।।।।।।???? ????????????
{কিছু ভালোবাসা এমনই হয় যেটা পূর্ণতা পায় না কিন্তু মনের মধ্যে অপূর্ণ থাকে না))।।