গল্পের শুরুটা একটু ভিন্ন।পরন্তু বিকেলের সূর্যটার দিকে তাকিয়ে থাকা কোন বালকের থেকে কিংবা
সদ্য বৃষ্টিভেজা ঘাসের উপর দিয়ে চলা বালিকার পথ চলার থেকে…
.
আজ একটু বিকেল…একটু মেঘ একটু সাদা আকাশ আর এক চিলতে সোনালি মেঘের সাথে মিশে থাকা আলো।খালিদ আজ ক্লান্ত ।অনেক ক্লান্ত ।আজ তার অফিসে অনেক ধকল গেছে।পুরো নাম খালিদ আব্দুল্লাহ।একটা মিটিং ছিল তার।মিটিং টা শেষ হতে হতে সন্ধ্যা হয়ে গেছে….বাড়ি ফিরতে সে ব্যাস্ত।তাই বাড়ি ফিরতে তার আজ রাত হয়ে গেছে।নাহ এখনো সে পৌছেনি ।সে অফিস থেকে বেরিয়ে পরল।রাস্তাটা একটু শিক্ত।একটু আগেই গুরি গুরি বৃষ্টি হয়েছে।রাস্তাটা ফাকা।খালিদ হাটছে।একটু ঠান্ডা বাতাশ।জনবহুল কর্মব্যস্তত যান্ত্রিক শহরটাকে এখন একটা ঘুমন্ত শিশুর মতন মনে হচ্ছে ।কি যেন নেই তার মধ্যে ।হয়ত সেই ব্যাস্ততা
..না হয় একটু সজিবতা।খালিদ হাটছে।হাঁটতে সে ভীষন ভালবাসে।একটু নিরব ঠান্ডা বাতাশ বয়ে যাচ্ছে ।হয়ত বাতাশটা বলে দিচ্ছে একটা আগাম কিছু বিরহ বার্তা।কিংবা বয়ে আনছে এক পশলা বৃষ্টি যা ব্যাক্ত করে এক মুগ্ধ চিঠি।আর ঐ বৃষ্টিতে হয়ত রাস্তার পাশে অবহেলায় জন্ম নেওয়া কিছু দূর্বাঘাষ পাবে একটু সজিবতা…
.
খালিদ এখন তার বাসার সামনে।দারিয়ে একটু করে তাকাল দরজাটার দিকে ।মুখে একটু মুচকি হাসি।হুট করেই ঝুপ করে বৃষ্টি তাকে ভিজিয়ে দিল।দৌড়ে সে বাসার সামনে দরজায় দাড়াল।নক করল খালিদ।কিন্তু ভেতর থেকে কোন সাড়া পাওয়া গেলনা ।আবার ডাকল সে।
-রিয়া দরজা খোল.
-আজকে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকো।
-কি বল আমি ভিজে গেছি প্লিজ ডুকতে দাও।
-হবেনাহ
রিয়া খালিদের স্ত্রী ।তিন বছরের বিবাহিত জীবন তাদের।খুবই মিষ্টি স্বভাবের মেয়ে রিয়া।রিয়াকে রাগতে খুব কমই দেখেছে খালিদ। খুব সহজে সে রাগেনা।তাইতো ভালবাসে খালিদ কিন্তু এখন খালিদ ভেবে পাচ্ছেনা হঠাৎ কি এমন হল যে সে এত রেগে আছে…খালিদ ভেবে পায়না।পাগলি একটা…
.
ভেতর থেকে দরজাটা খুলে গেল।রিয়া দাঁড়িয়ে তবে তার চোখে রয়েছে ভিষন রাগ।
-ভিতরে আস. (রিয়া)
খালিদ ভেতরে ডুকল…সে বুঝতে পারছেনা কি করবে..ভিতরে এসে রিয়া তাঁকে একটা টাউয়েল ধরিয়ে দিল কিন্তু তার চোখে ছিল একটা বিষ্ময়।একটা অজানা কৌতুহল যেটা ভীষন রাগের মধ্যেও ধরা দিচ্ছিল।খালিদ একটু করে রিয়ার দিকে তাকাল।বাহিরে বৃষ্টি টা যেন বেড়েছে।রিয়া ভিতরে চলে যায় ।বাহিরে ঘুটঘুটে অন্ধকারের ভেতর যেন হুট করেই এক আলো।রিয়া ভাবছে গাধাটা কি ভুলে গেছে?খালিদ ভাবছে কি এমন জিনিষ যা ভুলে গেলাম।দুজনের ভাবনা আঙ্গিকাটা কেন্দ্রবিন্দু এক তবে যেন দিকটা মিলিত হবার চেষ্টা।খালিদ ফ্রেশ হয়ে এসে ডাইনিং এ বসল ।সে জানে শত দুরত্ব কষ্ট অভীমান থাকলেত রিয়া তাঁকে ছাড়া কোনদিন খায়নি।এখনো রিয়াকে আবিষ্কার করল হে ডাইনিং টেবিলে।বসে আছে খালিদের জন্য ।তবে আজকের রিয়া একটু আলাদা।সে ভাবছে কিছু ভুলে যায়নিতো ?অন্যদিকে রিয়া খাবারগুলু বারছে আর ভাবছে একবারো কি ওর মনে নেই ?খাবার সময় রিয়া বারবার তাকাচ্ছিল খালিদের দিকে হয়ত কিছু বলবে ?কিন্তু নাহ সে বলেনি।খালিদ চুপচাপ খেল তারপর হাতমুখ ধুয়ে রুমে চলে গেল।রিয়া সব আশা শেষ করে ভাবছে থাকনা মনে নেই তো কি হয়েছে যদিও আজকের দিনটার কথা ওর মনে রাখা উচিত ছিল কিন্তু প্রতিবার মনে রাখে সে।তাহলেকি রিয়ার প্রতি খালিদের ভালবাসা কমে যাচ্ছে? একটা অনাকাঙিক্ষত ভয় যেন হুট করেই তার মনে চেপে বসে।নাহ এটা হতে পারেনা।কিছুতেইনা।কি ভাবছে রিয়া এগুলু।ছিহ।এসব ভাবতে পারেনা সে।হয়ত আজ বেশি পরিশ্রম এর কারনে ভুলে গেছে…থাকনা একদিন ভুলেছে তো কি হয়েছে রিয়ার জন্য খালিদের ভালবাসাটাতো আছে।বেঁচে থাকলে আর ভালবাসা থাকলে এরকম হাজারটা দিন তার জন্য আসবে।আসবে নাহ নিয়ে আসবে তার সেই ভালবাসার মানুষটি।রিয়া সবকিছু গুছিয়ে তার রুমে গেল ।তারপর একটা ডাইরি আর একটা কলম নিয়ে তার পরার রুমে চলে গেল।কিন্তু তখন সে খালিদকে দেখতে পায়নি রুমে।কিজানি কোথায় গেল।সে পরার এসে ডাইরিটা টেবিলে রাখল …তারপর তার সামনে রাখা ক্যালেন্ডারে লাল রঙ করে লাভ চিন্হ দেওয়া সেই বিশেষ দিনটার দিকে চোখ গেল।কতনা আশা ছিল সেই দিনটার জন্য ।একটু মুখে হাসি ফুটে তার তবে কিন্তু যেন তা হুট করেই মলীন হয়ে গেল।রিয়া ডাইরিটা লেখা শুরু করল…হঠাৎ রিয়ার মনে পরল কিছু বিশেষ মুহুর্তে কথা। লিখতে লিখতে তার চোখগুলি যেন একটু ঝাপসা হয়ে এল…….
.
অন্যদিকে খালিদ বাড়ান্দায় দাঁড়িয়ে আছে ।একটা হিমশীতল আবহাওয়া আর একপশলা দমকা বৃষ্টি ।ভিজিয়ে দিচ্ছে ।বৃষ্টির ফোঁটাগুলি গ্রিলে ধাক্কা খেয়ে ভিতরে আসছে ।প্রকৃতি যখন তার আপন মনে খেলতে ব্যাস্ত তখন খালিদের চোখে এক বিশাল রাজ্যের চিন্তা ।চোখগুলি তার সামনে থাকা গাছটার দিকে আটকে আছে ।ভাবছে রিয়া আজকে এমন করছে কেন ?কিছু কি ভুলে গেছে ?নাহ ওরকম কিছু সে ভুলেনি।তাও কেন?হঠাৎ তার মনে হল তাঁদের কলেজ জীবনের কথা …হ্যাঁ কলেজ থেকেই তাঁদের পরিচয় ..বন্ধুত্ব কাছে আসা ধীরে ধীরে প্রেম আর তারপর ভার্সিটি শেষে বিয়ে অতপর তিনটা এনিভার্সারি শেষে আজকের দিন।… চোখটা তার ঝাপসা.
.
.
-কোথায় ছিলে এতক্ষণ? কতক্ষন ধরে দাঁড়িয়ে আছি(খালিদ)
-সরিরে একটু লেট হয়ে গেছে।(রিয়া)
-বিকেল শেষ ।এখন সন্ধ্যা প্রায় ।এখন বের হলে লোকে কি বলবে ?সেটা তোর খেয়াল আছে ?
-লোকে দেখলে কি হবে ?
-কি হবে মানে ?বলবে আমরা রাত দুপুরে প্রেম করছি পরে তোর আব্বু আম্মুর কাছে লাগাবে আমারো।
-আহা এত ভয় পাচ্ছিস কেন বলত।বললে বলুক ।ভালই হবে অন্তত একটা রোমান্টিক জামাই পাব যে এখনের মত করে যে আমার হাত ধরে বৃষ্টি তে ঘুরবে।
-কিহ তখন তো আমাদের আব্বু আম্মু মিলে আমাদের বিয়ে করাই ।আর তুই আমাকে বিয়ে করতে যাবি কেন ?
-তোকে বিয়ে করবে কে বলছে ?বলছি তোর মত এই রোমান্টিক স্বভাবের একটা জামাই পেলেই হবে ।ঐযে বললাম তুই যেমন আমাকে এই বৃষ্টিতে হাঁটতে বের হয়েছিস আমার সাথে ..তাই বললাম ।অবশ্য তুই হলেও চলবে।
-হাহা।কচু ।চুপচাপ হাট।
-হুহু আচ্ছা।
খালিদ আর রিয়া চুপচাপ হাঁটছে পাশাপাশি। তাঁদের মধ্যে কোন কথা নেই ।দুজনেই বৃষ্টিতে ভিজছে।আর একটূ একটু করে তাঁদের হাত একটু করে স্পর্শ করছে ।দুজনেই অনুভব করছে কিন্তু তা যেন মনের মধ্যেই।খালিদ আর রিআর এই অনুভুতিটা একেবারেই নতুন।অনেক কাছাকাছি থাকলেও তাঁদের কোনদিন এভাবে এই অনুভুতিটা হয়নি ।হুট করেই খালিদ রিয়ার হাতটি ধরে ফেলল।রিয়ার মনে একটি ঠান্ডা বাতাশ বয়ে গেল।রিয়া আর খালিদ দুজনেই সামনের দিকে হাঁটছে তবে তারা যেন দুহাতে জরানো ।হঠাৎ করেই রিয়া পরে যেতে লাগলে খালিদ তাঁকে জরিয়ে ধরে।কিছুক্ষণের জন্য চোখে চোখ।জানিনা তখন খালিদের মাথায় কি ছিল তবে বলা যায় মানুষ এই সময়ে তার সামনে থাকা মনের মানুষটাকে খুব মনের ভেতরে থাকা মনের কথাটা বলে দেয়।
-রিয়া জানিনা তুই আমাকে কি ভাবিস তবে আমি সত্যি তোর প্রেমে পরে গেছি।হ্যাঁ আমি তোকে ভালবাসি রিয়া।
রিয়া চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে কিছু বলছেনা।কিন্তু তার ভনের ভেতর চলছে ঝড় ।হ্যা রিয়াও খালিদকে মনে মনে চায় কিন্তু কখনো বলা হয়ে উঠেনি।
-আমিও
কথাটা বলল রিয়া সে মাথা নিচু করে।একরাশ লজ্জা নিয়ে।
তারপর খালিদ রিয়াকে জরিয়ে ধরল।ঐদিকে বৃষ্টি টা চুপ করে আছে।সেও একটা নতুন প্রেমের শুরুটা দেখতে পেয়ে হয়ত নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছে।খালিদ রিয়ার বাম হাতটা ধরল।বলল
-আজকের দিনটা মনে রাখ ।প্রতিবার স্পেশাল কিছু হবে এই দিন।
.
রিয়া চোখটা মুছল।ডাইরির উপর কয়েক ফোটার কান্নার জল তার পরে গেল।হ্যাঁ আজকেই সেই দিন যেদিন তাঁদের প্রেমের শুরু।আজকেই সেই দিন যাকে বলে তাঁদের এনিভার্সারি ।
.
হঠাৎ মনে হল অনেক দেরি হয়ে গেছে।বেডরুমে গিয়ে দেখল খালিদ নেই ।কিন্তু একটা চিঠি রাখা।সে চিঠিটা খুলল।তাতে লেখা চিলেকোঠার ঘরটায় একবার আসবে কি ??রিয়া কিছুক্ষণ চেয়ে ছিল ঐ চিঠিটার দিকে।তারপর গুটি গুটি পায়ে গেল সে চিলেকোঠার ঘরে…রুমটা দরজাটা সে আলতো করে খুলল…একটু অন্ধকার ।সে জানে কোথায় কি আছে এই রুমটায় তবুও যেন এক অজানা আখাঙ্কা তার চেনা পরিচিত রুমটাকেই অজানা করে তুলছে।রুমে ডুকে সে সামনে এগিয়ে গেল।জানালাটা খুলে দিল।পিছন ফিরতেই সে দেখল রুমের চারপাশে অনেক বেলুন আর মোমবাতি।কিন্তু ওগোলা জ্বলছেনা ।মাঝখানে একটা টেবিল তার ঠিক দুপাশে দুটু চেয়ার।টেবিলের মাঝখানে একটি গিফ্টের বাক্স আর তার নিচে আলতো করে চাপা একটি চিঠি।রিয়া বাক্সটি খুলল দেখল একটি রিং।খুব সুন্দর আংটিটি।কিন্তু এটাকে এখানে কে রাখল ?সে বুজতে পারছেনা।পাশে পরে থাকা চিঠাটা তুলে নিল।লেখা…
“আংটিটার কথা মনে আছে ?আমাদের বিয়ের ।একবার আংটিটা পরে আমাদের বেডরুমে আসবে কি ??
.
রিয়া যানে এই চিঠিটা কে লিখেছে।বেডরুমে ?সে দৌড়ে বেডরুমে গেল।লাইট অফ সব।লাইট দিয়ে দেখল বিছানাটা খুব সুন্দর করে গোলাপের পাপরি দিয়ে সাজানো।পুরু বেডে ছিল শুধু গোলাপের পাপরি।রিয়ার মাথায় কিছুই ডুকছেনা।বেডের ঠিক মাঝখানে একটা
গিফ্টবক্স রাখা।তার পাশে একটি চিঠি।গিফ্ট বক্সটি রিয়া তুলে নিল।দেখল একটা সোনার দুল।ভারী সুন্দর ।চিঠিটা খুলে দেখল সেখানে লেখা..
“মনে আছে কিছুদিন আগে এই দুলটা পছন্দ করেছিলে ?কিন্তু কিনে দিতে পারিনি।একটু পরবেকি ?কোনার রুমে এস….”
.
রিয়া দুলটা পরল তারপর ছুটতে থাকল কোনার রুমটার দিকে অনেক অজানা রহস্য উদ্ঘাটন করতে।কোনার রুমটায় পোছাতেই দেখল দরজায় একটি চিঠি রাখা…
.
“সিসস…একদম আওয়াজ করবেনা ।ভিতরে একজন আছে।তুমি বলেছিলেনা বাসর রাতে তোমার একজন বিএফ ছিল ?….তার জন্য অনেক কেদেছিলে ..সেই বিএফকেই আমি নিয়ে এসেছি”
এবার রিয়ার চোখ ভরে আসল।ভাবতে পারছেনা কে সেই বিএফ যাকে সে ভালবাসত ?বাসররাতে বলেছিল…এমনতো কেও থাকার কথা নয়।তবুও সে রুমে ডুকল।অন্ধকার করা।লাইট টা জালিয়ে দিল সে।দেখল খাটে বিশাল একটি টেডিবিয়ার রাখা।হ্যা এই টেডিবিয়ার টাই ছিল রিয়ার বিএফ।যাকে জরিয়ে ধরে রিয়া ঘুমুতো।সে দৌড়ে গিয়ে ওটাকে জরিয়ে ধরল।কাঁদছে ..হ্যাঁ রিয়া এতবছর পর এটাকে আবার দেখতে পেয়ে কাদছে।টেডিবিয়ার এর পাশে একটা চিঠি রাখা।সে খুলল
.
“ডানদিকে তাকিয়ে দেখ আমার ফোনটা আছে।ওঠার ডাটা অন কর….
রিয়া তাই করল।হঠাৎ একটি ভিডিউ কল।সে ধরল হ্যাঁ রিয়া একটু অবাক।কারন ফোনের অপর পাশে বসে আছে তার পুরু পরিবার।সবাই বাবা মা ভাই বোন শিশুর শাশুড়ি….সবাই একসাথে বলে উঠল
“হ্যাপি এনিভার্সারি রিয়া”
রিয়া নিস্তব্ধ ।ভাষা নেই তার মুখে।সবাই হাসছে কিন্তু সে অঝোর ধারায় কাদছে।সুখের কান্না।কিছুক্ষন কথা বলার পর মেসেজে দেখল একটি মেসেজ….
“জান তোমার আর আমার লাগানো গোলাপ গাছটায় একটা গোলাপ ফুটেছে…”
রিয়া জানে এই মেসেজের মানে।সে জানে তাঁকে এখন কোথায় জেতে হবে ছাদে।কারন সেই গাছটা ছাদেই আছে।সে হাতে রিঙটা পরে দৌড়ে ছাদে গেল।বৃষ্টি টা কম কিন্তু আকাশের আলোগুলু বেশি।ছাদের দরজাটা খুলেই দেখল খালিদ হাটু গেরে বসে বৃষ্টিতে ভিজে বসে আছে।রিয়া দৌড়ে খালিদের কাছে গেল।খালিদ কে জরিয়ে ধরল সে।কাদছে সে অঝোর ধারায়…দীর্ঘ অপেক্ষার পর ভালবাসার পাওয়ার কান্না।খালিদ তাঁকে একটু ছাড়িয়ে নিল
-বালিকা তুমি কি আমার ছোট্ট তন্নির মা হবে ?
-যদি তার বাবা তন্নির মাকে আদর করি তখন… (কেদে কেদে)
খালিদ রিয়াকে কোলে তুলে নিল।রিয়া লজ্জায় লাল হয়ে গেল।খালিদ রিয়াকে বেডরুমে নিয়ে আসল তারপর বেডে শুইয়ে দিয়ে কপালে আলতো করে একটা চুমু খেল…..
.
বাইরের বৃষ্টিটা আবার বেরেছে।সেই দুর্বাঘাসগুলো যেন পেয়েছে একটু নতুন জীবন।
গল্পের বিষয়:
ভালবাসা