নবজাগরণ প্রাইমারী স্কুলের ডান পাশের মোড়ে হাশেম আলীর চায়ের দোকান। দোকানের সামনে একটা বাঁশের বেঞ্চ। বেঞ্চে বসে আছে রুবেল। সে হাশেম আলীর চা বানানো দেখছে, চোখ কুচকে। মুখে বিরক্তির ছাপ। অবশেষে মুখ খুললো সে,
-কি মিয়া, ভাইয়ের চা বানাইতে এতো দেরী লাগে? দেহো না, ভাই বইয়া রইছে?
-বইয়া রইলে আমি কি করমু? মাত্র বাড়ি থে দুপুরের খাওন শ্যাষ করে আইলাম। পানি গরম হইতে টাইম লাগবো নাকি?
-হইছে, বক বক না কইরা চা বানাও। ভালো কইরা বানাও।
-এই নাও তোমার চা। আর বিলটা দিয়া যাইয়ো।
-বিল খাতায় লিখে রাখো। ভাই প্রত্যেকদিন বিল দেয় না। যেদিন দিবো, সব পাইবা। বুঝছো,,,,,?
ঘুরে দাঁড়িয়ে চা নিয়ে রাস্তার পাশে মোটরসাইকেলের দিকে আগায়। মোটর সাইলে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে রানা ভাই, ওরফে রানা মাস্তান। চোখে তার সানগ্লাস, গায়ে ফুল হাতা শার্ট। তবে শার্টের হাতা গুটানো, বুকের বোতাম খুলা। পরনে ফেড জিন্স প্যান্ট আর তার সাথে দামি কেডস। এলাকার লোকজনের কাছে সে একটা ত্রাস,,,,,!!!!
-বস, এই যে আপনের চা।
রানা চা হাতে নিয়ে একটা চুমুক মারে। চোখ না তুলেই রুবেলকে বলে,
-কয়টা বাজে দেখ তো?
-বস, চারটা পাঁচ বাজে।
-আর কয় মিনিট দাঁড়াই থাকুম? মালডা আসছে না কেন?
– সামনে তাকাই দেখেন, বস। আইতাছে,,,,,।
রানা চোখ তুলতেই দেখে সামনে দিয়ে এগিয়ে আসছে চাঁদনী। নবজাগরণ প্রাইমারী স্কুলের তরুণী শিক্ষিকা চাঁদনী।
রানা’র সামনে আসতেই শিস ধ্বনি দেয়। একবার, দুইবার,,,,,।
কিন্তু মেয়েটা থামছে না। চোখ মুখ শক্ত করে হেটেই যাচ্ছে সে। পেছনে বেকুবের মতো তাকিয়ে আছে রানা।
-বস, আপনার মাল ত দেহি চইলা যায়।
-হোন্ডা স্টার দে। কুইক,,,,,,,
রুবেল হোন্ডা স্টার্ট দেয়। পিছন সিটে লাফিয়ে উঠে বসে রানা।
ধাওয়া করে চাঁদনীর সামনে এসে ব্রেক কষে। থেমে দাঁড়ায় চাঁদনী। অসহ্য রাগে লাল হয়ে আছে সে।
-কি সমস্যা আপনার? আমার পথ আটকালেন কেন?
-আমার সিগনাল শুইনেও দাঁড়াও না কেন তুমি?
হোন্ডা থেকে নামতে নামতে বলে রানা।
– একটা মেয়েকে একা পেয়ে শিস দেন। আপনার ঘরে কি মা বোন কিছু নাই?
– মা বোন আছে। কিন্তু তোমার মতো বউ নাই। হবে নাকি আমার বউ???
-জেগে জেগে দিবা স্বপ্ন দেখতে থাকেন। কিন্তু মনে রাইখেন, আপনার এই স্বপ্ন কোন দিন পূরণ হবে না, বুড়ো ভাম,,,,!!!
-তাইলে কার স্বপ্ন পূরণ হবে? ওই বেকার ছাওয়াল শরিফের স্বপ্ন? শোন, আমি ছাড়া তোমারে আর কেউ বিয়া করবার পারবো না।
-আপনার মতো পাতি মাস্তানকে আমি পাত্তা দেই না, হুম,,,,,। আর শোনেন, আমার মোবাইলে আজে বাজে মেসেজ দিবেন না।
-আমি দিলেই দোষ! আর ওই যে শরিফ ছাওয়াল- ও দিলে হয় অমৃত না? আবার শুনতেছি, আজকাল ফেসবুকে ভাব ভালোবাসা চলছে তোমাদের? হুম?
– যাই চলুক। আপনার কি তাতে? পথ ছাড়ুন আমার।
বলেই হন হন করে হাটা দিল চাঁদনী।
সানগ্লাসটা খুলে তাতে নিজের চেহারা দেখতে লাগলো রানা।
– ওই, আমার চেহারা কি খুব খারাপ?
-না, বস। আপনার চেহারা এক্কেরে নায়কের লাগান।
-চামচামি কম কর। ফেসবুকে একাউন্ট খুল। রানা মাস্তান আজ থেকে ফেসবুকে,,,,,।
এক মনে রাস্তা ধরে হেটে চলছে শরিফ। বা পাশ থেকে হঠাৎ সামনে এসে হাজির জামান।
-আরে শরিফ যে, কই যাচ্ছো বন্ধু?
-যামু আর কই! হাশেম আলীর দোকানে গিয়া একটু চা খেয়ে আসি।
– আরে আমিও ত ঐ দিকেই যাচ্ছিলাম। ভালোই হলো তোমারে পেয়ে। চলো যাই,
-চল,,,,,,,।
দোকানের বেঞ্চে বসে আছে নাহিদ। পেছন থেকে নাহিদের পিঠ চাপড়ে দেয় শরিফ,
-আরে নাহিদ, কি অবস্থা তোমার?
-শরিফ ভাই যে, আরে জামান ভাই, কেমন আছেন?
-আমরা আছি ভালোই। কি অবস্থা তোমার?
-চলছে ভাই ভালোই।
-হাশেম ভাই, চা দেও আমাদের। একটায় চিনি কম,,,,,
– আচ্ছা বন্ধু, তোমার চাকরির কি খবর কও ত দেহি?
পাশ থেকে বলে জামান।
-দেশে এখন আর চাকরি নাই বন্ধু। তবে ঢাকা শহরে আমার এক মামা আছে। হে বলছে সিভি পাঠাইতে, চাকরি একটা আছে। দেখি কি হয়,,,,,,।
হাশেম আলী চা বানাতে বানাতে বলে,
– কিয়ের সিবি টিবির কথা কও? অসুখ হইলে ডাক্তার যে চুইষা চুইষা খাইতে দেয়, ঐগুলা নি?
-আরে ভাই, এইডা তোমার ঐ সিভিট না। এইডা হইলো সিভি। বাংলায় বলে জীবন বৃত্তান্ত। চাকরিতে দিতে হয়।
নাহিদ সব বুঝিয়ে বলে।
-কি শরিফ ভাই, ঠিক বলছি না?
-হুম ঠিকই বলছো। নাও চা নাও,,,,,,
তিন জনে এক সাথে চায়ে চুমুক দেয়। জামান আবার বলে,
-দোস্ত, চাকরিটা হলে বিয়েটাও সেরে ফেলো। একটা বিয়ে খাই। কতোদিন হয় বিয়ে টিয়ে খাই না!!!
-তুমি ত আছো বিয়ে নিয়া। আর আমি আছি টেনশনে?
-কিসের টেনশন, বন্ধু?
– চাঁদনীর বাপে বলছে ওরে নাকি সামনের মাসেই বিয়ে দিবে। এদিকে চাকরিটাও হচ্ছে না, কি যে করি,,,,,???
-টেনশন করো না। তুমার চাকরি এবার হবেই বলে দিলাম।
হঠাৎ মনে পড়ছে এমন ভাবে হাশেম আলী চোখ তুলে তাকালো।
-শরিফ ভাই, কথা আছে একখান।
-কি কথা?
– কাছে আহো, গোপন কথা।
অতঃপর, কানে কানে হাশেম আলী গোপন কথা বললো। শুনে চুপ মেরে গেলো শরিফ।
-কি হলো বন্ধু?
– কিছু না, তোরা বাড়ি যা। আমি আসতেছি।
বলেই উঠে হাটা ধরলো সে।
জামানও উঠে দাঁড়ালো,
-নাহিদ, চল আমরাও যাই।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। চারদিকে ঝিঁ ঝিঁ পোকা ডাকছে। চাঁদনীদের বাড়ির পেছন দিকে এগিয়ে চলছে শরিফ। একটু পর চাঁদনীর জানালায় টোকা পড়লো। ভিতর থেকে চাঁদনীর গলা,
– কে,,,,,,???
-আমি শরীফ, জানালা খুলো।
খুট করে জানালাটা খুলে গেলো। অবাক হয়ে মুখ ছাপিয়ে ধরলো চাঁদনী।
-এই সন্ধ্যা রাতে তুমি?
-কেমন আছো, চাঁদনী?
-আমি ভালো আছি। কিন্তু কি হয়েছে বলো ত?
-কি আর হবে, শুনলামঐ রানা মাস্তান নাকি তুমার পিছু নিয়েছিলো?
-অহ, ওর কথা আর বলো না। বুড়া ভাম আমারে জ্বালিয়ে মারছে।
-ওরে আমি পাইয়া লই। মাস্তানি ছুটাইয়ে দিমু।
– না, তুমি কিছু করতে যেও না। ও খুব খারাপ। তোমার ক্ষতি করে বসবে।
-ভয় পেও না। কৌশলে ওরে শিক্ষা দিতে হবে।
-যাই করো, সাবধানে করো। আর শুনো, বাবা সামনের মাসেই আমার বিয়ে দিতে চাচ্ছে। পাত্রও দেখছে। তুমি একটা কিছু করো।
-টেনশন করো না। এবার চাকরিটা আমার হবেই। আর চাকরিটা পেয়ে গেলেই আমাদের বিয়ে কেউ আটকাতে পারবে না।
ভিতর থেকে চাঁদনীর ডাক পড়লো,
-চাঁদনী মা, এদিকে আসো ত।
-এই আব্বা ডাকছে। এখন যাও। রাতে ফেসবুকে কথা হবে।
-আচ্ছা, যাচ্ছি।
শরীফের যাওয়ার আগেই দড়াম করে জানালা মেরে দিলো চাঁদনী।
পরদিন সকাল বেলা সবজি ক্ষেত দেখতে বেরিয়েছে শরীফ। তিন রাস্তার মাথায় রানা মাস্তানের সাথে দেখা হয়ে গেল ওর।
-আরে শরীফ না? কই যাও?
-কই যাই, তা দিয়া আপনার কি দরকার?
-দরকার ত আছেই। রাজনীতি করি, কার কি সমস্যা- এসব নিয়া ভাবতে হয়। কতো ছেলে পুলেরে চাকরি দিলাম, আর তুমি বেকার বসে আছো। এইডা কোন কথা হইলো?
-আমারে নিয়া আপনার ভাবতে হবে না। আর শোনেন, আপনি চাঁদনীর পিছনে লাগছেন ক্যান?
-ওরে আমি বিয়া করমু, বউ বানামু তাই।
-বয়সকালে বিয়া করলে এহন মেয়ে বিয়া দিতে পারতেন। বুঝছেন?
-ওই মিয়া, হুশ কইরা কথা বলবা। নইলে খবর আছে।
– কি করবেন আপনি?
-তোমারে আমি দেইখা দিমু। বলে দিলাম।
ওই ব্যাটা হোন্ডা স্টার দে,,,,,
রাগে গজ গজ করতে করতে কেটে পড়লো রানা মাস্তান।
দুপুরের পর কেবল খাওয়া দাওয়া করে শুয়েছে শরীফ। হঠাৎ জামানের ফোন কল।
-বন্ধু তুমি কোথায়? (জামান)
– আমি ত বাড়িতে। কি হয়েছে, বন্ধু?
– খুব বাজে একটা ঘটনা ঘটছে। ফোনে সব বলা যাবে না। এক কাজ করো, তুমি এখনই হাশেম আলীর চায়ের দোকানে আসো। আমরাও আইতাছি।
-আচ্ছা, আমি আসতেছি।
তড়িঘড়ি করে বেরিয়ে পড়লো শরীফ। রাস্তায় এখানে সেখানে এলাকার পোলাপাইন মোবাইলে কি যেন দেখছে আর হাসছে। কেউ কেউ শরীফের দিকে তাকাচ্ছে আর হাসছে।
টেনশন কাজ করছে শরীফের মনে। হচ্ছেটা কি,,,,,???।
হাশেম আলীর দোকানে জামান, নাহিদ সহ আরও দু’তিন জন বসে আছে। শরীফ কে দেখে ওরা সরে বসলো।
-কি হয়েছে, বন্ধু? কও দেখি এবার,,, (শরীফ)
-কি আর কমু, বন্ধু! বজ্জাত রানা মাস্তান ত কেলেঙ্কারি করে ফেলছে।
-কি করছে? খোলাসা করে কও দেখি!
– চাঁদনীরে নিয়া ফেসবুকে বাজে কথা লিখছে। চাঁদনীর ফেসবুক ওয়ালে খারাপ খারাপ ছবি ছড়িয়া দিছে।
– কি কচ্ছো এসব?
-তাইলে কি আর কইতাম? এলাকার বেবাক পুলাপাইনে দেখতেছে আর হাসাহাসি করতেছে। ফেসবুকে ছড়াছড়ি হয়ে গেছে।
পাশ থেকে নাহিদ বলে উঠলো।
-কি বলছো তোমরা এসব? দাঁড়াও আমি চাঁদনীকে ফোন দিতেছি(শরীফ)
কিন্তু একি! চাঁদনীর ফোন ত বন্ধ!!!!
– রানা মাস্তান,,,!!! আমি ওরে খুন করে ফেলবো। (শরীফ)
-না বন্ধু, না। মাথা গরম করা চলবে না। ওরে উচিত শিক্ষা দিতে হবে।(জামান)
-কিন্তু কিভাবে? তাড়াতাড়ি বলো। আমার কিন্তু মাথায় রক্ত উঠে গেছে।
– শোন, নবগ্রাম মডেল থানায় আমার একজন দূরসম্পর্কের মামা আছে। রাসেল মামা, ডিবি পুলিশ। তার সাথে কথা বলে নিই। সে একটা কিছু করতে পারবে।
-বন্ধু, এখনই ফোন লাগাও তারে।
পকেট থেকে ফোন বের করে নাম্বার খুজতেছে জামান। আর সবাই ঝুকে আছে জামানের ফোনের উপর।
অবশেষে পাওয়া গেলো রাসেল মামার নাম্বার। কল হচ্ছে, আর সবাই অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছে। উত্তেজনায় ফুটছে শরীফ।
-হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম মামা।(জামান)
-আমি জামান বলছি। কেমন আছেন মামা?
-আমাদের গ্রামে এক নক্ক্যারজনক ঘটনা ঘটছে। মামা আপনাকে যে একটু হেল্প করতে হবে???
-ওকে আমরা তাহলে আসছি।
বলেই ফোন রাখলো জামান।
-কি বললো?(সবাই এক সাথে বলে উঠলো)
– বলেছে, ভিকটিমকে সাথে নিয়ে থানায় যেতে। বাকিটা উনি দেখবেন।
তাহলে আমরা থানায়ই যাবো। তার আগে চাঁদনী আপার বাসায় চলেন সবাই(নাহিদ)
-আচ্ছা, চলো(শরীফ)।
এলাকার সকল যুবক ছেলেপুলে মিছিল করে চাঁদনীদের বাড়িতে যাচ্ছে,
-চাঁদনী আফা ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই।
রানা মাস্তান যেখানে, প্রতিরোধ সেখানে,,,,,,।।
মিছিল শুনে চাঁদনীর বাবা ঘর থেকে বের হয়ে আসলেন।
-কি শুরু করছো তোমরা? আমার মেয়ের গায়ে কলঙ্ক মেখে আবার মিছিল শুরু করছো?
– না চাচা, আমরা চাঁদনীর অপমানের প্রতিশোধ নিবো(শরীফ)
-হ্যাঁ, আমরা চাঁদনীকে নিয়ে নবগ্রাম থানায় যাবো। এ অন্যায়ের নালিশ জানাবো।(জামান)
ততক্ষণে চাঁদনীও বের হয়ে এসেছে। বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছে।
-চাঁদনী, চলো আমাদের সাথে।(শরীফ)
জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে চাঁদনী তখন ওর বাবার দিকে তাকিয়ে আছে।
-যা মা, যা। তোকে এ কলঙ্ক যে মুছতেই হবে।
অবশেষে সকলে মিলে থানায় চললো। মিছিল চলছে,
-চলো চলো, থানায় চলো,,,,,।
পরদিন সকালে হাশেম আলীর চায়ের দোকানে চা খাচ্ছে রানা মাস্তান। এমন সময় ডিবি পুলিশের দুই সদস্য এসে ঘিরে ধরলো রানা মাস্তানকে।
-ইউ আর আন্ডার এরেস্ট।
ওর মাথায় বন্ধুকের নল ঠেকিয়ে বললো রাসেল।
-আমার অপরাধ? কোন আইনে আমাকে এরেস্ট করছেন?
-আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় আপনার নামে মামলা করা হয়েছে। উঠেন, থানায় যেতে হবে আপনাকে।
এদিকে অবস্থা বেগতিক দেখে আগেই পালিয়েছে রুবেল চ্যালাটা।
পুলিশের খবর শুনে গ্রামের সবাই ছুটে এসেছে। ওদের মাঝে শরীফ, জামান আর নাহিদ- ওরাও আছে।
পুলিশ এসে রানা মাস্তানকে নিয়ে থামলো জনতার মাঝে। ডিবি পুলিশের কর্মকর্তা রাসেল সাহেব বললেন,
-শোনেন সকল গ্রামবাসী, পুলিশ জনগণের বন্ধু। আপনাদের সকল বিপদ আপদে পুলিশ পাশে আছে। আর এদেশের সরকার তথ্যপ্রযুক্তি আইন করেছে। কেউ ফেসবুক, ইন্টারনেটে কারো মান হানি করলে আইন তার বিচার করবে। রানা মাস্তানেরও বিচার হবে।
অফিসার, “নিয়ে চলো একে।”
পেছনে সবাই মিছিল করছে, বিচার চাই বিচার চাই। রানা মাস্তানের বিচার চাই।
সকলে যে যার মতো বাড়ি ফিরতে লাগলো। দূর থেকে এক ছেলে ছুটে আসছে,
-শরীফ ভাই, আপনার চিঠি।
-কিসের চিঠি, দেখি!
জামান আর নাহিদ উৎসুক হয়ে তাকিয়ে আছে।
-বন্ধু চাকরি হয়ে গেছে আমার। আগামী ০১ তারিখে জয়েন করতে বলেছে।
-হুড়ড়ে,,,,,,!!!! বন্ধু এবার তাহলে বিয়াখানা করে ফেলো। একটা বিয়া খাই।
আনন্দে বলো উঠলে জামান।
আর শরীফের চোখে তখন ভেসে উঠলো চাঁদনীর মুখখানা। লাল শাড়িতে বউ সেজেছে ওর জন্য,,,,,,,।
…………………………………(সমাপ্ত)…………………………………