সত্য কাহিনী অবলম্বনে একটি সম্পূর্ণ গল্প । পড়ে হয়তো আপনাদের বিবেক এ নাড়া দিতে পারে…… গল্পটা একটু বড় এড়িয়ে যাবেন না …..
ফেসবুক থেকে লগ আউট করার সময় হতাথ মিশু নামের একটি মেয়ের আইডি দেখতে পায় শুভ্র। মিচুয়াল ফ্রেন্ড অনেক ।শুভ্র এত মিচুয়াল ফ্রেন্ড দেখে মিশুকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাথাল।এমনিতে শুভ্র খুব খুব দ্রুত মিলতে পারে। ফেসবুক আ আইডি খোলার পর থেকে অনেক অচেনা মানুষকে আপন করে নিয়েছে।বাড়িয়েছে বন্ধত্বের হাত । অনেক মেয়ের সাথেই তার খোলামেলা বন্ধুত্ব । ভার্চুয়াল জগতের এসব বন্ধুত্ব শুভ্র খুব উপভোগ ও করে। এদের মধ্যে দু একজন তার সত্যিকার ভাল বন্ধু হিসেবেও জীবনে আবির্ভূত হয়।
দুই –তিন দিন পর মিশু শুভ্রর রিকুয়েস্ট গ্রহন করে । এরপর স্বভাবতই শুভ্র মিশু কে চ্যাট মেসেজ দেয়।মিশুও প্রতিত্তর দেয়। শুরুটা এইভাবে । এইভাবে প্রতিনিয়তই চলতে থাকে শুভ্র আর মিশুর চ্যাটইন ।মিশুর আগ্রহ দেখে শুভ্র মিশুকে তার ভাল বন্ধু বানাতে উৎসাহ প্রকাশ করে । এরপর দিন যায় ,সপ্তাহ যায় শুধুই ফেসবুক চ্যাটইন ,দুজনের মধ্যে একটা ভাল বন্ধুত্ব গড়ে উথে।পারিবারিক,বাক্তিগত অনেক কথাই তারা শেয়ার করে। তবে এর মাঝে সাহস করে মিশুর কাছে মোবাইল নাম্বার চায়।মিশু কোন রকম তাল-বাহানা ছাড়াই নাম্বার দিয়ে দেয়।এর পর মোবাইলেও তাদের চ্যাটইন,টকইন হত।মিশু রাত জেগে পড়াশুনা করত আর সেই সাথে ফেসবুক আথবা মোবাইলে শুভ্রর সাথে চ্যাটইন করত ।শুভ্রর তেমন রাত জাগার অভ্যাস ছিল না, তাই মাঝে মাঝে সে ঘুমিয়ে পরতো। আর তখুনি মিশু মোবাইলে কল দিয়ে শুভ্রকে উঠিয়ে চ্যাটইন করতে বলত।খুব সহজ আর সাবলীল ভাবে দুজনের মাঝে বন্ধুত্ব হয়,জানতে জানতে এক সময় শুভ্র জানতে পারে মিশুর পরিবার অনেক উচ্চ শিক্ষিত হলেও তাদের পরিবারে শান্তি ছিল না।তার এক মাত্র বড় ভাইয়ের বউ মানে ভাবি সব সময় ঝামেলা বাধিয়ে রাখতো। মিশুকে অকারণেই বকাঝকা করতো।একারণে মিশুর মন বেশিরভাগ সময়ই খারাপ থাকতো,আর তখন শুভ্র তার মন ভালো করার আপ্রান চেষ্টা করতো এবং করত ও ।
মিশু ঢাকা সিটি কলেজ এ বিজ্ঞান বিভাগে পরতো তখন ,ywca স্কুল থেকে ২০১০ সালে এস এস সি পাশ করে।শুভ্রর সাথে আগে থেকে রাইফেলস পাবলিক , ywca ,ঢাকা সিটি কলেজ,হলি ক্রস ,এসব প্রতিষ্ঠানের মেয়েদের সাথে জানা শোনা ছিল ।শুভ্র তাই সবাইকে মিশুর সাথে বন্ধুত্বের কথা জানাতে চাইলো । কিন্তু মিশু জানাতে বারন করলো ।কারণতা অবশ্য বলল না । শুভ্র মোটামুটি ধনী পরিবারের ছেলে ।এটা মিশু জানতে পেরে তাকে পচাতে শুরু করলো । শুভ্র অবশ্য এতে কিছু মনে করল না।মিশু মেয়ে বলে যখন তখন বাসা থেকে বের হতে পারত না, তাই অনেক সময় শুভ্র মিশুর মোবাইলে রিচার্জ করে দিতো। প্রথম কয়েকবার মিশু রিচার্জ ব্যাক করতো ,পরে আর কখনই তেমন করতো না। শুভ্রর এটা নিয়ে তেমন কোন মাথা ব্যাথা ছিল না,বন্ধু ই তো !!
মিশুর সমবয়সী তার এক খালাতো বোন ছিল ,নাম অসিন ।অসিন জানত শুভ্র আর মিশুর বন্ধুত্বের কথা।অসিনও ঢাকা সিটি কলেজ এ বিজ্ঞান বিভাগে পড়তো। অসিন অবশ্য অনেক আগে থেকেই শুভ্রর ফ্রেন্ড লিস্টে ছিল ,আর অসিনের যত বান্ধুবী ছিল সবাই ই ছিল বলতে গেলে। অসিনের সাথে মাঝে মাঝে শুভ্রর মিশু কে নিয়ে কথা হত ।মিশুর ফেসবুক ব্যবহার বা ছেলে বন্ধুর কথা বাসয় জানত না ।এরপর মিশু শুভ্রর সাথে দেখা করার জন্য বলতে লাগলো ।ফেসবুকে দুজনের কারোই কোন ছবি ছিল না তখন । তবে শুভ্র দেখা করতে চাইত না,দেখতে মোটা মুটি ছিল বলে। পহেলা এপ্রিল বা এপ্রিল ফুল দে তে মিশু তার আরেক কাজিন সানজিদার(ধানমণ্ডি গার্ল স্কুলে ১০ শ্রেণীতে পরত)সাথে মোবাইলে কথা বলে দেয় । আর এ দিনেই মিশু শুভ্রকে প্রপোজ করে । আই লাভ ইউ বলে। শুভ্র তো ‘থ’ মেরে যায়। মিশুকে ও শুধু ভাল বন্ধু হিসেবেই দেখতো ও । আর দু জনে দেখাও হইনি তখন । মিশু বলে শুভ্র তাকে লাভ না করলে সে ইন্সুলিন নিবে । তবে শুভ্র বলে আমাকে এপ্রিল ফুল বানাতে চাচ্ছিস (ততদিনে তারা একে অপরকে তুই করে বলতে শুরু করেছে)মিশু তখন জোরাজুরি করে । আর শুভ্র তখন রেগে যায়। বন্ধুত্ব ভাংতে চায় ।পরে তাড়াতাড়ি মিশু বলে যে সে ফান করেছিল । তখন শুভ্র বলে যদি সে প্রপোস গ্রহন করতো তখন কি হত ? মিশু বলে রিলেশন হত । শুভ্র রিলেশন করতে চায় না,সবার সাথে বন্ধুত্বটাই সে উপভোগ করে আবার সমবয়সী কারও সাথেও তো রিলেশন করবে না বলেই তার পণ । আভাবেই চলতে লাগলো আর মিশুর চাপাচাপি বাড়তে লাগলো । সে শুধু দেখা করতে চাইছে । শেষমেষ শুভ্র দেখা করার জন্য রাজি হল ।এপ্রিল ফুল এর ৮/৯ দিন পর ।তখন শুভ্র ইস্টার্ন মল্লিকার পাশে মমিন স্যার এর বাসার সামনের গলিতে নির্ধারিত সময়ে দাড়িয়ে চিল,আর মিশু তার মায়ের সাথে স্যার এর বাসা থেকে আসলো । মিশুর সাথে মোবাইল ছিল না তখন কিন্তু সে তার মায়ের মোবাইল দিয়ে ম্যাসেজিং করতে ছিলো । দুজনের চোখাচোখি হলেও কোন কথা হয়নি । শুভ্র তার বাসায় ফিরে আসে।রাতে মিশু শুভ্রকে পিচ্ছি বলে টিটকারি মারতে থাকে,শুভ্র এটা বেশ উপভোগ করতে থাকে । কিন্তু এর পরই মিশুর ভীমরতি উথে,সে শুভ্র কে আবার প্রপোস করে বসে /আবার আর ফান নইয়,সত্যি সত্যি সে শুভ্রকে প্রস্তাব দেয় । শুভ্র হতবাক হয়ে না বলে দেয় । শুধু ভাল বন্ধু হয়ে থাকার অনুরোধ জানায় । কিন্তু বাড়াবাড়ি রকমের করতে থাকে । ঘুমের ঔষধ ,ইন্সুলিন ইত্যাদি খাবে বলে হুমকি দেয় । শুভ্র মিশুকে অনেক বকাঝকা করে। বন্ধুত্বই ছেরে দেয় শুভ্র । এর দুই দিন পর শুভ তার মায়ের সাথে তার নানা বাড়ি যাবার সময় মিশু কল দেয় । শুভ্র রিসিভ করে না । শেষে বিরক্ত হয়ে কল রিসিভ করে । মিশু কান্না কাটি করতে থাকে ফোনে । বার বার সরি বলে মাফ চায় । আর কখনও এমন পাগলামি করবে না বলে ওয়াদা করে । মিশুর কান্না কাটি শুনে শুভ্র তাকে মাফ করে দেয় । কিন্তু মায়ের সামনে কিছুই বলতে পারে না ,তাই বলে “করে দিলাম” । পরে কথা হবে । এই বলে কেটে দেয় শুভ্র ।
আবার বন্ধুত্ব হয় । তাদের দেখাও হয় বেশ কয়েকবার এর পরে। মিশুর সাথে একই এলাকার আরেকটা মেয়ে (ঘনিষ্ঠ বান্ধুবি তারা ) মুনিরার সাথে মিশু কলেজ এ আসতো । যেদিন শুভ্রর সাথে দেখা করতো ঐদিন তাকে মিথ্যা বলে আগে পাঠিয়ে দিতো । এক সময় তারা ও সব জেনে যায় । এর মধ্যে মিশু প্রায়ই শুভ্রর কাছ থেকে মোবাইল রিচার্জ নিতো ,কিন্তু ব্যাক করতো না । মিশু এর কিছু দিন পরপরই শুভ্রকে প্রপোস করতে ত্থাকে । শুভ্রকে ছাড়া বাচবে না এসব কথা বলে ।শুভ্র বারবারই তাকে ফিরিয়ে দেয় । অনেকবার বকাঝকা করে । কথা বলা বন্ধ করে দেয় । পরে মিশুর বাহানা আর কান্না কাটি শুনে শুভ্র আবার মিশুকে ক্ষমা করে দেয় । এভাবেই চলতে লাগলো । শুভ্র ভাল একটা বন্ধু হারানোর ভয়ে বার বার মিশুকে ক্ষমা করে দেয় ।
কিন্তু বাস্তব সত্যটা একটু অন্যরকমই ছিল । শুভ্র তখন টা জানত না । জানলে হয়তো অনেক আগেই ফ্রেন্ডশিপ ব্রেক করতো । যাই হোক সেসব কথায় পরে আসা যাবে !!বন্ধুতবতা অন্যরকম হয়ে গিয়েছিলো ।কিছুদিন খুব ভালো তো কিছুদিন খুব খারাপ । মিশুর পাগলামিতে এমন হয় আর তখনই মিশু তার বান্ধুবী শুভ্রের ফ্রেন্ডলিস্ট থাকা বন্ধুদের বলে বেড়াতে লাগলো শুভ্র তার বয় ফ্রেন্ড ।সবাই শুভ্রকে জিজ্ঞেস করতে লাগলো । এমনিতে মিশু বেশ সুন্দরী ই ছিল তবে একটু মোটা । শুভ্র খেপে যায় । মিশুকে আবার বকা ঝকা করলে লাগে । মিশু বাহানা দিতে থাকে ।শুভ্র এসবে কান না দিয়ে কথা বলা বন্ধ করে দেয় । এর পর আবার মিশু শুভ্রকে নানাভাবে বুঝতে থাকে , তার ছোটখাটো সমস্যা গুলো অনেক বড় করে দেখাতে লাগলো । বলল বাসায় ভাবি তাকে ঝালিয়ে মারছে ,সুইসাইড করতে ইচ্ছে করছে ।কান্না কাটি শুনে শুভ্র আবারও তাকে ক্ষমা করে ,এর মাঝে মিশুর জন্মদিনে শুভ্র মিশুকে একটা চমৎকার ব্রেসলেট উপহার দেয় । এতো শুন্দর ব্রেসলেট পেয়ে মিশুতো ভারী খুশি। পরে তারা ছায়ানীরে খায়
মিশুরা চার বান্ধুবী ।মুনিরা ,মনি,মুন্নি ও মিশু ।মুনিরা এবং মিশু বেশির ভাগ সময় এক সাথে থাকতো । মনি ও মুন্নি ও তাদের ভাল ফ্রেন্ড ছিল ।তবে মুন্নির কাছে ওরা অনেক কিছু লুকাত । শুভ্রর বেপারটা ও তারা মুন্নি কে জানাতে চাই নি । এর মাঝে ভ্যালেন্টাইন ডে তে শুভ্র গাড়ি নিয়ে মিশুর সাথে দেখা করতে চায় । ঐদিন মুন্নি ও ছিল তাদের সাথে । তাই মুন্নি সব জেনে গেল । রেস্তুদেন্ট থেকে রবিন্দ্র সরোবরে গিয়ে বসল ।মনি ও মুনিরা কি জানি কিনতে যাবে বলে তাদের অখানে থাকতে বলল ।শুভ্র মিশুর জন্য সাদা গোলাপ আর একটা গিফট এনেছিল । কিন্তু সবার সামনে দিতে লজ্জা করছিল তাই ওদের বলল গাড়িতে আস্তে ।কিন্তু ওরা আসলো না । তাই শুভ্র রাগ করে ফুল এবং গিফট মাটিতে ফেলে চলে যায়। মিশু অনেকবার কল দেয় ওকে ফেরানর জন্য কিন্তু লাইন কেটে দেয় ।পরে রাতে মিশু সব দোষ মুন্নির উপর চাপিয়ে দেয় এর পর তাদের শেষ কথা হয় এস এইচ সি কামিস্ত্রি ২য় পত্র পরিক্ষার আগের দিন শুভ্র প্রতিটা পরিক্ষার ৮০% কমন একদম শর্ট সাজেশন মিশুকে দেয় । ম্যাথ সাজেশন ছিল না বলে আর কথা হই নি ।
এবার আসা যাক বাস্তব সম্মত কথায় , , শুভ্র পরে যা নিশ্চিত ভাবে জানতে পারে ।মিশু এক প্রকার লোভী, সার্থপর আর সর্বশেষে চরিত্রহীনা ছিল । শুভ্রর সাথে কথা বলার সময় সে অন্য ছেলেদের সাথে rltn রেখেছে ।পরে মিশু টা স্বীকার করেছে ।এমন কি বয়সে ছোট ছেলের সাথে ও সে rltn করেছে ।তাদের কাছ থেকে ও মিশু টাকা দার নিতো কিন্তু ফেরত দিতো না ।তবে সে সব চেয়ে বেশি ব্যবহার শুভ্রকেই করেছে ।শুভ্র কে বিয়ে করতে চাইত সে। ভাবত শুভ্রর বউ হলে রাজরানী হয়ে থাকতে পারবে ।এমনকি সে তার মেয়ে বন্ধুদের পদে পদে ব্যবহার করেছে ।মুনিরার ভাই ডাক্তার বলে সে প্রায় চাইত মুনিরার ভাই এর সাথে আলাপ চারিতা করতে ।তবে মুলত মিশুর বাবা চাইত মুনিরার ভাই এর সাথে মিশুর বিয়ে দিতে । মিশু আর মুনিরা এক সাথে কলেজে যেত বলে তাদের ভাল জানা শুনা ছিল ।
শুভ্র যখন মিশুকে না করে দিল ,তখন নানা অজুহাতে আরও চরম মিথ্যা কথা বলে মাফ চাইত ।কিন্তু তার উদ্দেশ্য ছিল একটাই । শুভ্র কে নিজের করে রাখা ,সাথে অন্য ছেলে দের সাতঝে টাইম পাস ,শুভ্র কে তার বয় ফ্রেন্ড বানিয়ে সবার কাছে বলতে লাগল। শুভ্র যখন তার সাথে কথা বলা বন্ধ করল মিশু তখন তার বন্ধুদের মিথ্যা বলে শুভ্রর বিরুদ্দে লাগিয়ে দিল ।শুভ্রর তথা কথিত বন্ধুরা শুভ্র কে কিছু না জিজ্ঞেস করেই তাকে ফেসবুকে রিপোর্ট আর ব্লক করতে লাগল ,শুভ্র অনেক আগেই মিশু কে ব্লক করেছিল ।,সবার রেপরত পেয়ে শুভ্র ফেসবুক থেকে ওয়ার্নিং পায় ,বাস্তবতার ধাক্কায় শুভ্র হতবাক হয়ে যায় । বন্ধুত্বেকে বাজে ভাবে ব্যবহার করা একজনের সাথে তার বন্ধুত্ব ছিল এটা ভাবতেই টা গা সিউরে উঠে ।
হতাথ মিশুর ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়, মিশু সরাসরি শুভ্রর উপর দোষ চাপায় । কিন্তু শুভ্র এসবের কিছুই জানত না ।তারা ছার বান্ধুবির পাসওয়ার্ড তাদের প্রত্যেকেই জানতো । মিশুর মিথে কথায় সবাই শুভ্র কে খারাপ ভাবতে শুরু করল । শুভ্র হারাতে লাগল তার আত্নসম্মান।একটা চরিত্রহীনার মিথ্যে কথায় ।
মিশু শুভ্র সাথে কথা বলার পর মফিজ নামের একটি ছেলের সাথে rltn করে । এখন ও চলছে ।ছেলেটি ঢাকা সিটি কলেজ এর বিজ্ঞান বিভাগ এর ছাত্র ।
সব সাবজেক্ট সাজেশন পাবার পর যখন দেখল তার গোল্ডেন এ + নিচ্ছিত তখন শুভ্র কে useless মনে হল । শুভ্র কে আর ব্যবহার করা যাবে না এটা একটা বড় কারন ।হায়রে মেয়ে । আর তোর বন্ধুত্ব !!
মেয়েদের ভুবন ভুলানো কথা আর হাসিতে কতো ছেলে তাকে অন্ধের মত বিশ্বাস করে তার ইয়াত্তা নেই । মিশু মফিজ এর সাথে বেশ খুলাখুলি রিলেশন এ গিয়েছে বলে শুভ্র শুনেছে । তারা ঘুরতে যায় এটা শুভ্রর বন্ধুরা দেখেছে । হয়তো কিছু দিন পর মফিজকেও ব্যবহার করা শেষ হয়ে যাবে মিশুর ।তাদের কথা আর না ই বা বললাম ।হায়রে মানুষ !!!
মানুষ নিজের স্বার্থের জন্য কত কি করতে পারে । নিজের চরিত্র বিসর্জন ও ?? অবশ্য এই সব মেয়েদের মধ্যে চরিত্র বলতে কিছু ছিল বলে মনে হয় না ।তারা জন্মায় ই নিজেদের পিচাশ বা চরিত্রহীনা হিসেবে পরিচিতি পাবার জন্য । আর বন্ধুত্বের মত পবিত্র সম্পর্ককে কালিমা লেপনের জন্য ।যখন বন্ধুকে (!) ব্যবহার শেষ হয় তখন তাকে সবার কাছে খারাপ বানিয়ে নাচতে নাচতে নতুন ব্যবহারযোগ্য বন্ধু বানায় ।
ভাবতে পারেন এমন বন্ধুত্বের কথা ??