-ভুলে গেছিস?
-মনে রাখার কথা ছিলো?
-তাইতো আমি স্বার্থপর ছিলাম ।
-আমিও ছিলাম ।
-তুই কিভাবে ছিলি?
-তোর সাথে বন্ধুত্ব করে!
-হঠাৎ এত বড় কথা বলে দিলি!
-বাধ্য করেছে বলতে,কারন তোর সমস্যা আমাকে
জানাতে দ্বিধাবোধ করেছিস!
-তবুও তো ।
-সে তোর অবহেলা আমাকে একাকিত্ব করে দিয়েছে ।
-সত্যি ।
-না মিথ্যে!
-রাগ করিস কেনো?
-এতো বছর পর কথা হচ্ছে …….. (কথাটা শেষ করার আগেই)
-নাদিয়া কেমন আছেরে।
-কোন নাদিয়া।
-যাকে ভালোবাসতি ।
-সে তো বেশ আছে।
(একটু অবাক হয়ে নাইম আবারো জিজ্ঞাসা করে )
-সত্যি
-যেখানে তোর আমার দূরত্বের কারন নাদিয়া ছিলো
সেখানে কিভাবে বল তাকে জীবনে রাখি।
-দুইবছরের সম্পর্ক ভেঙ্গে দিয়েছিলি।
-হ্যা!
-তুই না খুব ভালবাসতি তাকে?
-তোর থেকে বেশি বাসতাম না,কারন তুই আমার আপন ভাই শুধু তফাৎ টা হচ্ছে দুইজন দুই মায়ের পেটের।
কথাটা শুনে নাইম কেদেঁ দেয় ।
নাইম জানতো প্রান্ত তার জন্য জীবন দিতেও রাজি ছিলো তবুও প্রান্তকে না জানিয়ে বাহিরে চলে যায় তারপর আর খবর নেয় নি,
প্রতিটা দিন ক্লাসটা নিজেদের রুমের মত কোলাহল বানিয়ে রাখতো দুজন..
কিন্তু যেদিন দুজনের একজন না আসতো সেদিন স্যার এমনিতেই বলে দিতো কেউ একজন আসে নাই।
দুজন দুজনের কলিজা ছিলো কিন্তু হঠাৎ ভার্সীটিতে ভর্তি হয় নাদিয়া।
যার প্রেমে দুজনই হাবুডাবু খেলেও প্রান্ত আগে নাইমকে বলে দেয় নাদিয়াকে সে ভালোবাসে।
কিন্তু নাইম হেসে বলে
-সমস্যা নেই হয়ে যাবে!(নাইম)
-তুই যেখানে আছিস সেখানে ভয় নেই।
-আচ্ছা।
-কিরে কি হলো।
-নারে কিছু না বাসায় যেতে হবে!
প্রান্ত বুঝেছিলো কিছু সমস্যা তবে বুঝেনি, আস্তে আস্তে নাইম প্রান্তকে অবহেলা করতে থাকে,
আর প্রান্ত ও নাদিয়ার সাথে রিলেশনে জড়িয়ে নাইমের কাছ থেকে দূরে আসতে থাকে।
হঠাৎ নাইম বাহিরে চলে আসে প্রান্তকে না
জানিয়ে,কারন না জানা ছিলো , প্রান্ত চেষ্টা করেছিল কথা বলার কিন্তু সে পারে নি।
কিসের রাগ প্রান্তের উপর সে বুঝতে পারেনি তবুও জানার চেষ্টা তাকে সক্ষম করেছিলো।
সবকিছুর কারন নাদিয়া ছিলো আর তাই নাইম না বলে চলে গিয়েছিলো।
তারপর থেকেই নাদিয়াকে বুঝাতে বুঝাতে প্রান্ত নিজের ভালবাসা ত্যাগ করেছিলো নাইমের জন্য।
কারন নাদিয়ার থেকে নাইম খুব গুরুত্বপূর্ন ছিলো।
কারন দুজনের দুজন কলিজা ছিলো তার মধ্যে তৃতীয় কেউ এসে তাদের আলাদা করেছিলো..,
তবে সে বুঝে উঠার আগেই দুজন দুদিক চলে গিয়েছিলো তবে আবার অনেকদিন পর তাদের কথা।
মনে হচ্ছে যেনো কোটি বছর হয়না কথা।
দুজন দুজনের দিক তাকিয়ে কান্নার শুরু করে দেয়।
এ যেনো ঘরের মানুষকে আবার ঘরে পাওয়া।
–
বন্ধু রিলেশনের চেয়ে উত্তম, প্রতিটা ধাপে তারাই হাসাতে আসবে ,
কিন্তু রিলেশন প্রতিটার ধাপে কষ্টের এক একটা কারন হয়ে সবার মাঝে আসবে।
তাই ভালবাসার জন্য বন্ধুত্ব নয় বরং বন্ধুত্বের জন্য ন্যাকামি মূলক ভালবাসা ত্যাগ করুন।