:-মামা এই লাল শাড়িটার দাম কত?(আমি)
:-৭০০টাকা। (দোকানদার)
:-আরেকটু কম রাখা যায়না?
:-না মামা এর থেকে কম রাখা যাবেনা।
:-আচ্ছা প্যাকেট করে দেন।
শাড়ি কেনা শেষ হলে দোকান থেকে বেড়িয়ে আসলাম।এখন উদ্দশ্য বাসায় ফেরা।আজ ২মাস পর চাকরীর বেতন পেয়েছি।সাথে প্রমোশন লেটার। এখনো অবনীকে খবরটা দিইনি। সারপ্রাইজ দিবো ভেবে।অবনী আমার বউ।মেয়েটা আমাকে বড্ড বেশি ভালোবাসে। আমার জন্য নিজের বড়লোক বাবাকে ছেড়ে চিরদিনের জন্য চলে এসেছে।এই ২টা মাস মেয়েটা খুব কষ্টে থেকেছে।ঠিকমত খেতেও পারেনি তবুও আমার হাত ধরে রেখেছে শক্ত করে।আজ শাড়িটা পেলে খুব খুশি হবে ও।এরপর একটা রিক্সা নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।
দরজায় শব্দ করতেই অবনী দরজা খুলে দিলো।ভেতরে ঢুকে অবনীকে জরিয়ে ধরে বললাম
:-আজ তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে।(আমি)
:-হুসাইন আমি আর তোমার সাথে থাকতে চাইনা।(অবনী)
আমি অবনীর কথা শুনে এক দৃষ্টিতে ওর দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলাম।আসলে বোঝার চেষ্টা করছি অবনী আমার সাথে ফান করছে নাকি সত্যি বলছে।ওর মুখ দেখে যা বুঝলাম ও সিরিয়াস মুডে আছে।
:-হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত?(আমি)
:-আমি আর এই অভাবের মধ্যে থাকতে পারবোনা।
:-আমি কী তোমাকে খুব অভাবের মধ্যে রেখেছি?
:-রাখনিতো কী করেছো?আমাকে কী খাওয়াচ্ছো এগুলো?আলু ভর্তা,ছোট মাছ,আলু ভাজি।সপ্তাহে একদিন মাংশ আনবে সেই সামর্থও নেই তোমার।এই ২মাসে একটা পোশাক দিয়েছো আমায়?দাওনি।অথচ আমি বাসায় থাকতে প্রতিদিন শপিং এ যেতাম।
:-এগুলো বলে কী বুঝাতে চাচ্ছো?
:-কী বুঝাতে চাচ্ছি ভালোই বুঝতে পারছো।
:-তুমি যেদিন আমার কাছে চলে এসেছিলে সেদিন এসব ভাব উচিত ছিলো তোমার।
:-বুঝিনি বলেইতো আজ আমার এই অবস্থা।আমি বাবাকে ফোন করে বলেছি আমি বাসায় ফিরে যাবো।
:-এই তোমার ভালোবাসা?
:-আমি তোমার সাথে তর্ক করতে চাইনা।আমি চলে যাচ্ছি।তোমার লেভেলের কাউকে খুজে নিও।
:-প্লিজ অবনী এমন করোনা।আমি খুব ভালোবাসি তোমায়।
:-শুধু ভালোবাসাতে পেট চলেনা।
:-এটাই তোমার শেষ সিদ্ধান্ত?
:-হ্যাঁ।
:-ওকে যাও।আমি তোমাকে আটকাবোনা।
–
জোর করে কাউকে ধরে রাখা যায়না সেটা বোঝার মত বয়স আমার হয়েছে।
আগে থেকেই মনে হয় অবনী সবকিছু গুছিয়ে রেখেছিলো। অবনী ব্যাগ হাতে বেড়িয়ে গেলো।আমি বিছানায় বসে পড়লাম।চোখ দিয়ে নিজের অজান্তেই পানি ঝরছে।ইচ্ছা করলে জোর করে এটা ওটা বলে অবনীকে আটকে রাখতে পারতাম কিন্তু আমি তা করিনি।কারণ জোর করে আর যাইহোক ভালোবাসা সম্ভব না।অবনীকে সারপ্রাইজ দিতে চেয়ে আমিই সারপ্রাইজ পেয়ে গেলাম।অবনী নিজেই আমার জীবনে এসেছিলো আর নিজেই চল গেলো, মাঝখানে আমাকে দিয়ে গেলো কিছু স্মৃতি আর কষ্ট।
বছর চারেক আগের কথা।আমি তখন অনার্স ২য় বর্ষের ছাএ।কলেজের মাঠের এককোণায় বসে বই পড়ছিলাম তখন পিছন থেকে কারো ডাক কানে ভেসে এলো।প্রথমবার পাওা দিলাম না,কারণ এই কলেজে আমাকে ডাকার মত কেউ নেই।দ্বিতীয়বার আবার ডাকলো এবার পিছন ফিরে তাকালাম।আমার থেকে ৪থেকে ৫ হাত দুরুত্বে একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে।আমি ওঠে দাঁড়ালাম।
:-সেকেন্ড ইয়ারের ক্লাসরুম কোনটা বলতে পারেন? (মেয়েটি)
:-২২৪ নম্বর রুম।(আমি)
:-আমার সাথে একটু চলুন না প্লিজ।
মেয়েটার দিকে আরেকবার চোখ বুলিয়ে নিলাম।দেখেতো মনে হচ্ছে ভদ্র ঘরের সন্তান।
:-কলেজে কী আজই প্রথম?
:-জ্বি।
:-সেকেন্ড ইয়ারের ক্লাসরুম কী করবেন?
:-আসলে আমি অন্য আরেকটা কলেজ থেকে এখানে বদলি হয়ে এসেছি তাই কিছু চিনিনা।
:-কোন ডিপার্টমেন্ট?
:-বাংলা
আমি বই গুছিয়ে মেয়েটার উদ্দেশ্য বললাম
:-আমার সাথে আসুন।
মেয়েটা মাথা নাড়িয়ে আমাকে অনুসরণ করলো।
আমি মেয়েটাকে ক্লাসরুম দেখিয়ে চলে আসলাম।আসার সময় মেয়েটা ছোট্র করে একটা ধন্যবাদ দিলো।হয়তো এটা আমার প্রাপ্য ছিলো।আমি আর মেয়েটার দিকে তাকায়নি,আমার ক্লাসরুমে চলে আসলাম।এখনো অবশ্য ক্লাস শুরু হতে ১০ মিনিটের মত বাকি আছে।এরপর আর মেয়েটার সাথে দেখা হয়নি।দেখা অবশ্য না হবার কারণ আছে।আজ ৪দিন পর আবার কলেজে যাচ্ছি।আমার কেনো যেনো কলেজে যেতে ভালো লাগেনা।আমার বিরক্ত লাগার তালিকায় কলেজে যাওয়া একটি।সকালে তিনটা টিউশনি করার পর কলেজে যাওয়ার শক্তি থাকেনা তবুও যেতে হয় মাঝে মাঝে।
:-এইযে দাঁড়ান।
পিছন থেকে কারো ডাক শুনে দাঁড়িয়ে গেলাম।কণ্ঠটা চেনা চেনা লাগছে।আমি পিছন ফিরে তাকানোর আগেই মানুষটি আমার সামনে এসে দাঁড়ালো।এতো সেদিনের সেই মেয়েটি।
:-আপনি কোথায় ছিলেন এই ৪দিন?কলেজে আসেন নি কেনো?(মেয়েটি)
:-আপনি কী করে বুঝলেন আমি ৪দিন কলেজে আসেনি?(আমি)
:-সেদিন আপনার সাথে পরিচিত হতে পারিনি।তাই পরিচিত হওয়ার জন খুজেছিলাম।
:-অপরিচিত আছেন এটাই ভালো।পরিচিত না হওয়াটা সবথেকে ভালো।
:-আপনি এমন কেনো বলুনতো?একটা সুন্দরী মেয়ে নিজে এসে আপনার সাথে পরিচিত হতে চাইছে আর আপনি তাকে ইগনোর করছেন।এটা মোটেও ঠিক না।
আমি মেয়েটার কথার উওর না দিয়ে সামনে দিকে হাঁটতে শুরু করলাম।আমি কারো উপর মায়া বাড়াতে চাইনা।মায়া জিনিসটা বড্ডা খারাপ।
:-এইযে মি. এত ভাবে কিসের আপনার?
পিছন থেকে মেয়েটি বললো।আমি শুনেও না শুনার ভান করে চলে আসলাম।ক্লাসে এসে শুনি আজ ক্লাস হবেনা।এক প্রকার বিরক্ত নিয়ে ক্লাসরুম থেকে বের হয়ে আসলাম।কলেজ লাইফে আমার কোনো ফ্রেন্ড নেই।আমার সবসময় একা থাকতেই ভালো লাগে।সবাই যখন ফ্রেন্ডদের সাথে বসে আড্ডা দেয় আমি তখন বইয়ের মাঝে মুখ গুজে রাখি।বই হলো আমার একমাএ সঙ্গী।একএকজন মানুষের চাওয়া পাওয়া একএকরকম।অনেকে আড্ডাবাজি ভালো লাগে অনেকের লাগেনাা।
প্রায় প্রতিদিন অবনী আমার সাথে কথা বলতে আসতো।কখনো আমি বলতাম কখনো বলতাম না।তবে একটা জিনিস দেখে খুব অবাক হতাম মেয়েটার বিরক্ত লাগেনা।আমি ওকে এত ইগনোর করার পরেও আমার সাথে কথা বলতে আসতো।একসময় এই একটু একটু কথা বলার থেকেই ভালোবাসার সূএপাত।অবনী আমার খুব বেশি কেয়ার করতো।মাঝে মাঝে আমি বলতাম
:-আচ্ছা অবনী আমি যদি মরে যায় তখন তুমি কী করবে?
অবনী তখন খুব রেগে যেতো।এই কথা বলাতে একদিন আমার সাথে কথা বলাও বন্ধ করে দিয়েছিলো।এক এক করে ৪ টি বছর কিভাবে কেটে যায় বুঝতেই পারিনি।
এরপর একদিন হঠাৎ করেই অবনীর বিয়ে ঠিক হয়ে যায়।অবনী আমাদের সম্পর্কের কথা ওর বাবাকে বলেছিলো কিন্তু মেনে নেয়নি। অবশ্য মেনে না নেওয়ারই কথা,কোনো বাবা মাই চাইবেনা তার মেয়েকে একটা এতিম ছেলের হাতে তুলে দিতে।হ্যাঁ আমি এতিম।জানিনা কে আমার বাবা মা।ছোটবেলা থেকে একটা এতিম খানায় বড় হয়েছি।অবনী জানতো আমার ব্যাপারে সবকিছু তারপরেও শুধু আমাকেই ভালোবাসতো।
খুব ভালোবাসতো বলেই বিয়ের আগেরদিন রাতে আমার কাছে চলে আসে।আমি ফিরিয়ে দিইনি অবনীকে।কারণ অবনীকে ফিরিয়ে দিলে ওকে সারাজীবনের জন্য হারাতাম।আমি হারাতে চাইনি ওকে।
একটা কাজি অফিস থেকে আমাদের বিয়ে হয়।ছোট একটা জবেরও ব্যবস্থা হয়েছিলো।অবনীকে দামি দামি পোশাক,দামি খাবি দিতে পারিনি আমি।আমি বুঝতাম অবনীর আমার সাথে থাকতে কষ্ট হয় কিন্তু মেয়েটি মুখ ফুটে কিছু বলেনি।সব মানুষ খুব বেশিদিন অভাবের সংসারে থাকতে পারেনা।অবনীর বেলায়ও তাই হয়েছে।ও পারেনি অভাবের সাথে মানিয়ে চলতে।তাইতো আজ আমাকে একা করে দিয়ে চলে গেলো।অবনীকে আটকানোর যোগ্যতা আমার নেই।আমি বামুন আর অবনী চাঁদ।বামুন হয়ে চাঁদ ধরতে যাওয়া সবথেকে বড় বোকামি।
বিছানা ছেড়ে ওঠে বসলাম।শুনেছি সিগারেটের ধোঁয়া নাকি কষ্টটা কিছুটা হলেও ভুলিয়ে রাখে। যায় সিগারেট নিয়ে আসি।বাসা থেকে বের হয়ে এলাম।আমরা যেই বাসাতে ভাড়া থাকি সেকান থেকে দোকান একটু দুরে।হাঁটতে হাঁটতে দোকানে এলাম।২ প্যাকেট সিগারেট নিলাম।বাইরে খাওয়া যাবেনা তাই আবার বাসার উদ্দেশ্য রওনা হলাম।
বাসার দরজার সামনে এসে অবাক হলাম খুব।দরজা খোলা কেনো?আমার যতদুর মনে পড়ে আমি বের হবার সময় দরজায় তালা লাগিয়ে গিয়েছিলাম।যদি আমি তালা লাগিয়েই থাকি তাহলে খুললো কে?তবে কী অবনী খুলেছে?না অবনী কোথা থেকে আসবে ওতো ওর বাবার বাসায় চলে গিয়েছে।তাহলে হয়তো আমিই বের হবার সময় তালা দেয়নি।আমাদের বাসা বলতে ছোট্র একটা রুম আর ডায়নিং।দুজন মানুষের এতে ভালোভাবেই থাকা হয়ে যায়।আমি অবশ্য ২টা রুম নিতে চেয়েছিলাম কিন্তু অবনী বলেছিলো ২টা রুম লাগবেনা।একটাতেই হবে।
রুমের ভেতরে যখন ঢুকলাম তখন আরো বেশি অবাক হলাম।অবনী রুমে বসে আছে।ওতো চলে গিয়েছিলো তাহলে আবার ফিরে আসলো কেনো?
:-ট্রেন স্টেশনে গিয়ে মনে পড়লো আমি টাকা নিতে ভুলে গেছি।টাকা ছাড়াতো যাওয়া সম্ভব না তাই ফিরে এসেছি।আপনার কাছে যদি টাকা থাকে তাহলে কিছু টাকা দিন আমি বাসায় গিয়ে বিকাশে দিয়ে দিবো।(অবনী)
অল্প কিছুক্ষণের ব্যবধানে আপনি হয়ে গেলাম।মানুষ খুবই অদ্ভুদ।যেই মানুষটাকে সবথেকে বেশি আপন ভাবতাম সেই আমাকে পর করে দিলো।বুক ফেটে কান্না আসছে।না অবনীর সামনে কান্না করা যাবেনা।নিজেকে কন্টোল করলাম।পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করে অবনীর দিকে এগিয়ে দিয়ে বললাম
:-আপনার যত লাগে নিয়ে যান।
অবনী আমার হাত থেকে মানিব্যাগ নিয়ে তার মধ্যে থেকে ১০০ টাকার ৩টা নোট বের করে নিলো।এরপর মানিব্যাগ আমার হাতে দিয়ে আবার চলে গেলো।এবার আর নিজেকে কন্টোল করতে পারলাম।বিছায় শুয়ে বালিশে মুখ গুজে কান্না করলাম কিছুক্ষণ।রুমে আবার কারো পায়ের আওয়াজ পেলাম।বালিশ থেকে মুখ ওঠিয়ে তাকালাম।দেখি অবনী দাঁড়িয়ে আছে।আমি চোখের পানি মুছে নিলাম।এরপর বিছানা থেকে ওঠে বললাম
:-কিছু বলবেন?(আমি)
:-নিশ্চুপ।
:-কিছু বলার থাকলে বলতে পারেন।এখানে দেরী করলে ট্রেন মিস করবেন।
অবনী কিছু না বলে দৌঁড়ে এসে আমাকে জরিয়ে ধরলো।হয়তো আমার সাথে আর কখনো দেখা হবেনা তাই শেষ বারের মত জরিয়ে ধরেছে।
:-আপনার ট্রেনের সময় হয়ে গেছে।(আমি)
অবনী আমাকে ছেড়ে দিয়ে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে রইলো।অবনীর চোখে পানি টলটল করছে।
অবনী হঠাৎ করে আমার গলা চেপে ধরলো।অনেকটা শক্ত করেই ধরলো।আমার নিঃশাস নিতে কষ্টা হচ্ছিলো খুব।অবনী নিজেই আবার গলা ছেড়ে দিলো
:-কী ভেবেছো নিজেকে হু?এত সহজে তোমাকে ছেড়ে দিবো?তোমাকে যদি ছেড়ে যেতে হয় তবে তোমাকে মেরে ফেলবো আগে তারপর যাবো।(অবনী)
:-আপনি করে বললেই ভালো হবে।(আমি)
:-থাপ্পর চিনো?আরেকটা উল্টা পাল্টা কথা বললে খবর আছে তোমার।তুমি কেমন মানুষ হ্যাঁ?আমি তোমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছি আর তুমি একবারো তাকে আটকানোর চেষ্টা করলেনা।এই ভালোবাসো আমাকে?
:-আমি আপনাকে ভালোবাসিনা।আগে কখনো বাসিওনি।
:-ওই মেরে ফেলবো তোমাকে।আজ কত তারিখ মনে আছে তোমার?
:-হ্যাঁ আছে।
:-ঘোড়ার ডিম আছে।মনে থাকলে আমাকে অনন্ত একটা উইশ তো করতে।
ও শিট।আজকে এপ্রিল ১৭ তারিখ।এই জন্য এতকিছু।আজকের দিনে আমার আর অবনীর প্রথম দেখা হয়েছিলো আমার মনেই ছিলোনা।আমিও কম চাপাবাজ না।
:-আমার ঠিকই মনে আছে।মনে আছে বলেই শাড়ি নিয়ে এসেছি তোমার জন্য।
:-ঘোড়ার ডিম আনছো।তুমি আজ বেতন পেয়েছো সাথে প্রমোশন তাই এনেছো।
:-তুমি জানলে কিভাবে?
:-গাধা প্রমোশন লেটার বিছানার উপর রেখেছিলে।
:-আচ্ছা একটা জিনিস আমি বুঝতে পারছিনা।তেমার কাছে টাকা নেই তাহলে তুমি স্টেশনে গেলে কিভাবে?
:-হি হি হি হি।
:-ওই হাসছো কেনো হু?
:-আমিতো ছাঁদে বসে ছিলাম।
:-কী?
:-যা বলছি তাই।আমি তোমাকে ছেড়ে যাবো এটা ভাবলে কিভাবে তুমি হু?
:-জানো আমি কতটা কষ্ট পেয়েছি?
:-কষ্ট দেওয়ার জন্যই করেছি।যাতে অনন্ত স্পেশাল দিনগুলো ভুলে না যাও।
আমি আর কিছু না বলে অবনীকে কাছে টেনে নিলাম।
:-এতক্ষণ যা কষ্ট দিয়েছো সব এখন উশুল করে নিবো।(আমি)
:-ওই একদম দুষ্টুমি করবেনা বলে দিলাম।(অবনী)
আমি কোনকিছু বললাম না।অবনীর খুব কাছে চলে এলাম।অবনী চোখ বন্ধ করে ফেললো।অবনীর উপেক্ষা করার শক্তি নেই আমাকে।অবশ্য নিজের স্বামীর আদর কোনো বউই উপেক্ষা করতে পারেনা।নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে হচ্ছে অবনীকে পেয়ে। চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছে সব বামুন চাঁদে হাত দিয়ে ভুল করেনা।
………………………………………………………… সমাপ্ত ……………………………………………………