গল্পটা কোন একজনের জিবনের। এই গল্পে ছেলেটির জায়গায় কল্পিত চরিত্র আমি
গল্পে আসা যাক যখন আমি ক্লাস নাইনে কমার্স নিয়ে ভর্তি হলাম তখন একটা এলাকায় স্যারের কাছে পড়তে যেতাম গনিত। তো আমি তখন ভালোবাসা টা কি ঠিক বুঝতাম না আমার এক ক্লাস নিচে একটা মেয়ে পড়তো নাম টা ছিলো লাবনি। লাবনি তার ফুফুর বাসায় থাকতো পড়াশোনার জন্য কারন ওর বাবার বাসায় ঝামেলা তাই। ওর বাবার বাসা কুষ্টিয়া। আমি ওকে প্রথম দেখি প্রাইভেটে এ সেদিন আমি ঘুমের ঘরে সময় ভুল করে এক ঘন্টা আগে চলে গেছি দেখা হয় অচেনা মেয়ে লাবনির সাথে থ্রী পিচ পড়া লম্বা চুল একটু খাটো ফর্সা মুখটা কেমন যেন গুলুগুলু। ওর সব থেকে যেইটা ভালো লাগত সেটা হলো ওর হাত লাবনির হাতে অনেক লোম এবং হাতাটা গুছিয়ে রাখত কুনই পর্যন্ত আমি যত দেখতাম তত মুগ্ধ হতাম । এভাবে চলতো আমি ওর দিকে তাকিয়ে থাকতাম ও আমার দিকে তাকাত চোখে চোখ পড়লেই সরিয়ে নিতাম আমার লাবনির সাথে প্রতিদিন দেখা ও কথা হত আমি ওর বাড়ির সামনে দিয়ে বিকালে যেতাম দুই দিন দেখা হয়েছিল।
একদিন প্রাইভেট পড়ার সময় বলছি
আমি,,,লাবনি টুল টা দাও তো
লাবনি,,,,টুল দিলো বাট একটু জোরে
আমি আমার এক বন্ধু কে এই কথা বললাম ও আবার স্যার এক বলে দিছে যে লাবনি আমার সাথে টুল নিয়ে এরকম করছে
তখন আমি খুব ভালো ছেলে দুষ্টুমি করি না চুপচাপ থাকি স্যাররা আমাকে খুব ভালোবাসতো তাই স্যার লাবনি ডেকে খুব অপমান করে
পরদিন লাবনি আমাকে ডাকে
লাবনি,,,,,রুপম ভাইয়া
আমি,,,হুম লাবনি বলো
লাবনি,,,আমি নাকি তোমাকে রং ভাবে টুল দিছি(প্রায় কেদে ফেলছে)
আমি,,,কই না তো(তখনো মায়া কি জিনিস বুঝতাম না তাই ওর কন্না দেখে কোন অনুভুতি হয় নি)
লাবনি,,,তাহলে স্যার কে তুমি বলেছো কেন
আমি,,,না তো আমি বলি নি তো
লাবনি,,,এই কন্নার ভাব থামিয়ে ওহ তাহলে আমি যাই ভাইয়া,,,সরি
আমি,,,সরি বললে যে ওকে বলতে হয় সেটাই শিখি নি
তাই লাবনি চলে গেল
আমি যেখানে প্রাইভেট পড়তাম ওখানে আমার এক ভাবি ছিলো
ভাবি,,,,রুপম
আমি,,,,কি হয়ছে ভাবি
ভাবি,,,,কি রে তোর আর লাবনির মাঝে কিছু আছে নাকি
আমি,,,,না তো
ভাবি,,,তোর দিকে চেয়ে থাকে তুই ও থাকিস (আমি এই সব ইঙ্গিত তখন বুঝতাম না)
আমি,,,তাই কি হয়ছে
ভাবি,,,,হাসলো আমি কিছুই বুঝলাম না। আমি আমার বন্ধুর সাথে প্রতিদিন যেতাম ওদের এলাকায় কারন ওর পাশের বাসাই আমার বন্ধুর প্রেমিকার বাসা,,,আর লাবনির ফুফুর বাসাও স্যার বাসা থেকে বেশি দুরে ছিলো না
তারপর আমি এসএসি পাশ করি এবং বিদায়ের দিন দেখি লাবনির মুখ ফেকাসে মনে হয় কেদেছে।
লাবনি,,,,ভাইয়া তোমার সাথে আর দেখা হবে না(করুন কন্ঠ কিন্তু তখন আমি বুঝি নি এইসব)
আমি,,,জানি না
সেই যে আসলাম আর দেখা হয় নি লাবনির সাথে
প্রায় তিন মাস পর অচেনা নাম্বার থেকে ফোন
আমি,,,হ্যালো(অচেনা নাম্বার সালাম দিব তাও বুঝি না)
ফল্গুনি,,,,রুপম ভাইয়া
আমি,,,হ্যা
ফাল্গুনি,,,,আমি ফাল্গুনি
আমি,,, কোন ফাল্গুনি
ফাল্গুনি,,,,ওই যে প্রাইভেট পড়তে
আমি,,,,কেন ফোন দিছো
ফাল্গনি,,,,লাবনি আপনার সাথে কথা বলবে
আমি,,,খুশিই হলাম কিন্তু কেন জানি না বললামা ওর কাছে দেও
লাবনি,,,,কেমন আছো ভাইয়া
আমি,,,,ভালো(লাবনি কেমন আছে সেইটা জিঙ্গাস করার বুদ্ধি আমার হয় নি)
লাবনি,,,খাইছো, কি করো, কোথায় ভর্তি হয়ছো এসব প্রশ্ন করলো আমি খালি উত্তর দিলাম
আমি,,,,কেন ফোন দিছো তুমি
লাবনি,,,,একটু কি যেন ভাবলো তারপর বললো তোমার নজরুল গাইড টা আমাকে দিবে
আমি,,,,হ্যা আমি কালকে তোমাকে দিয়ে আসবো
লাবনি,,,,ওকে আকিছু বলবে ভাইয়া
আমি,,,না কি বলবো
লাবনি,,,,,আচ্ছা(হতাশ হলো মনে হয়
তারপর পরের দিন গেলাম বই দিতে বই এ লাবনির নাম লেখা ছিলো খুজে দেখলাম তিন জায়গায় সব কেটে দিলাম তারপর লাবনি কে বই দিয়ে আসলাম ও বার বার পিছন ফির তাকাচ্ছিলো কিন্তু কেন সেইটা আমার বুঝার ক্ষমতার বাইরে ছিলো
তারপর আর দুই বছর দেখা হয় নি একদিন আমি প্রাইভেট পড়ে আসছিলাম ভুমি মন্ত্রির বাড়ির সামনে দেখা
লাবনি,,,,এই রুপম ভাইয়া না
আমি,,, তুমি লাবনি (আমি ওর কন্ঠ শুনে চিনে গেছি কারন ও বোড়কা পড়ে মুখ ঢাকা ছিলো আমি জানি এতো সুইট ভাবে লাবনি ছাড়া কেউ ভাইয়া ডাকতো না)
তারপর আরও দশ মিনিট আমরা কথা বললাম কিন্তু আমি আবুল ছিলাম ওর মোবাইল নাম্বার টা নিয়েছিলাম না সেই যে শেষ দেখা আর দেখা হয় নি ওর মনে হয় বিয়ে হয়ে গেছে কিন্তু ও এসএসসি পর ওর বাবার বাসায় যেতে চেয়েছিল কিন্তু ফোনে সেদিন আমাকে বলেছিল যাবে না এখানেই থাকবে। কিন্তু আমি বুঝি নি ওর অনুভুতি গুলো আজ বুঝি “”””লাবনি মনে হয় আমাকে ভালোবাসতো”
গল্পের বিষয়:
ভালবাসা