বৃষ্টিতে কাকভেজা হয়ে ক্লান্ত বিধ্বস্ত অবস্থায় অফিস থেকে ফিরে দেখি টেবিলের উপর একটা নীল খাম। চিঠি, তাও আবার আমার জন্য ! এযুগে কে চিঠি পাঠায়। প্রাপকের জায়গায় সুন্দর করে গুটিগুটি অক্ষরে আমার নাম লেখা, তানভীর রানা। প্রেরকের কোন নাম ঠিকানা লেখা নেই। প্রেমপত্র নাকি? নিজমনেই হেসে নিলাম খানিককাল । আগে ফ্রেশ হয়ে নিই তারপর দেখা যাবে কি পত্র আর কেই বা পাঠিয়েছে।
ফ্রেশ হয়ে এসে চিঠি খুলে অবাক হতে হল আমাকে। সারা চিঠিতে মাত্র একলাইন লেখা,
“আগামী ২০ তারিখ শুক্রবার সার্কিট হাউজের সামনে থাকবেন, বিকাল ৫ টা।
– পদ্ম বালিকা”
পদ্ম বালিকা মানে ইরা ! সারপ্রাইজ হজম করতে কিছুটা সময় লাগল, অনুভব করছি অন্যরকম এক ভালো লাগার আবেশ ঘিরে ধরছে আমায় । এতদিন ধরে যাকে মনেমনে খুজছি সে আজ হঠাৎ কোথা থেকে উদয় হল? নাকি কেউ মজা করছে আমার সাথে? সেটাও বা কিভাবে সম্ভব, পদ্ম বালিকা নামটার পিছনের কাহিনী গুটিকয়েক জন মানুষ ছাড়া কেউ জানে না।
ইরা- ইরা- ইরা মনের ভেতর যেন হাজারটা বাদ্যযন্ত্র ঝংকার তুলেছে। মন আদ্র হয়ে আসছে,বুকের কোথার যেন একটু চিনচিনে ব্যথা । পুরানো ডায়েরি খুলে ইরার পাসপোর্ট সাইজের ছবিটা বের করলাম। স্কুল ড্রেস পড়া, চুল লম্বা দুইটা বেণী করে সামনে ঝুলানো, ঠোটের কোণে মৃদু হাসি সেই হাসি চোখ ছুঁয়েছে, উজ্জ্বল চোখে চেয়ে আছে ক্যামেরার দিকে। কে বলবে এই মেয়ে এত বেশি অভিমানী!
কত বছর আগের কথা, হবে ছয় বা সাত বছর আট বছর হওয়াও বিচিত্র নয়, বাবার চাকরীর সুবাদে আমরা মুন্সীগঞ্জ থাকতাম। ইরার বাবা একটা এনজিওতে চাকরী করতেন।আমরা ছিলাম প্রতিবেশী । ছোট বোন সুমা আর ইরা একই ক্লাশে পড়ায় দুই ফ্যামিলির মধ্যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠে। আমি তখন কলেজে আর ওরা ক্লাশ এইট। ইরা প্রায়শই আমাদের বাসায় আসত,সুমার সাথে বসে পড়ত আমার কাছে। পড়ত বলা চলে না, বেশিরভাগ সময়ই ড্যাবড্যাব করে চেয়ে থাকত আমার দিকে। ধমকে উঠতাম, “এমন পেত্নীর মত দেখিস কি? পড়।” কিন্তু আমার চিল্লানো কোন কাজেই লাগতো না, নিজের কাজ ও নিষ্ঠার সাথে চালিয়ে যেত।
নাইনে উঠার পরে ইরা আমাকে ভাইয়া ডাকা বন্ধ করল। একদিন বসে চা খাচ্ছিলাম ইরা এসে জিজ্ঞাস করল,
‘ তানভীর চায়ের সাথে তোমার আর কিছু লাগবে? আন্টি লুচি বানাচ্ছে এনে দিব? ‘
ওর কথা শুনে বিষম খেয়ে খকখক করে কাশি শুরু হল। কাশির দমকে চায়ের কাপ থেকে চা ছলকে পড়ল আমার কোলে। ছ্যাকা থেকে বাঁচতে লাফিয়ে উঠতে যেয়ে কিসের সাথে পা লেগে পড়ে যাচ্ছি অমনি ছুটে এসে আমার ধরল ইরা। সামলে দাঁড়িয়ে ধাতস্থ হয়ে দিলাম একটা ধমক,
‘এসব কি হ্যা ? ’
‘তুমি পড়ে যাচ্ছিলে আর আমি তোমাকে ধরেছি।’
‘মারব এক থাপ্পড়, তুমি তুমি করে বলছিস কেন? আর নাম ধরে ডাকলি এটা কি ধরনের বেয়াদবি?’
‘এখন থেকে তোমাকে তুমি করেই বলব, নাম ধরেই ডাকব,তানভীর। ‘
ওর নির্বিকার সুরের কথা শুনে ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলাম, কি বলে এই পুচকি!
তার বেশ কিছুদিন পর থেকে বালিশের নিচে, টেবিলের উপর,ব্যাগে,বইয়ে-খাতায় নীলখামে চিঠি পাওয়া শুরু হল। ইনিয়েবিনিয়ে ভালবাসার কথা লেখা, প্রেরক পদ্ম বালিকা। আমার বুঝতে বাকি নেই এসব কার কান্ড। প্রতিটা চিঠিতে ১০টা করে বানান ভুল। ভুল থাকবে না তো কি পড়াশুনায় মন থাকলে তো। ফল স্বরুপ ডাব্বা মারল পরীক্ষায়। ওর মা এসে আমাকে খুব করে ধরলেন যেন আমি ওকে আলাদা করে একটু পড়া দেখিয়ে দেই। সোজা না করে দিলাম, এই গেছো মেয়েকে আমি পড়াতে পারব না। কিন্তু যখন বাবা ডেকে বললেন এখন আর কিছুই করার রইল না আমার। পড়াতে শুরু করলাম।
পড়ার চেয়ে ওর আগ্রহ বেশি আমার চুলের জেলের প্রতি,পারফিউমের প্রতি, সিগারেট খাই কিনা সে বিষয়ে। কলেজের কাহিনী শুনার বায়না করে কান ঝালাপালা করে দিত। ধমকে কাজ হয় না বিধায় বেতের ব্যবহার শুরু করলাম, কত্ত মার যে মেরেছি তার ইয়ত্তা নেই। তবুও পড়ায় মন দেখে হুমকি দিলাম, আর পড়াব না। কাজ হল তাতে ধীরেধীরে পড়ায় মন দিল ইরা। কিন্তু বাঁদরামো কমেনি,চিঠিও আসছে সমান তালে। ড্রয়ার ভরে গেল চিঠিতে। ও ভাবত আমি কিচ্ছু বুঝিনি বুঝি।
.
.
ওদের তখন বার্ষিক পরীক্ষা এসে গেছে,একদিন পড়াচ্ছি হঠাৎ ইরা বলল,
‘দেখতো তানভীর অংক হল কিনা।’ বলে খাতা এগিয়ে দিল। আমার এমনিতেই মেজাজ আগে থেকেই খারাপ ছিল তখন আরো খিঁচে গেল, ধাম করে সর্বশক্তিতে একটা বারি বসিয়ে দিলাম বাম হাতের উপর।
‘আর একদিন যদি নাম ধরে ডাকিস এমন মার মারব নিজের নাম ভুলে যাবি। বেয়াদব একটা। ভাইয়া বলে ডাকবি।’
ইরা ডান হাতে চেপে রেখেছে আঘাতের জায়গা। এরমধ্যেই ফুলে উঠে লাল লাল ফুটির মত হয়ে গেছে, যেন বিন্দু বিন্দু রক্ত চুইয়ে আসছে। ও প্রাণপণ চেষ্টা করছে না কাঁদতে,দুচোখ ভর্তি পানি।
‘কি হল মনে থাকবে? ‘
ইরা এবার কেঁদে উঠল, ‘তোমাকে আমি কখনো ভাইয়া বলব না, কখনো না।’ দৌড়ে চলে গেল ও নিজের রুমে।
এরপর ও গো ধরল আমার কাছে পড়বে না। এদিকে আমিও খুশি, সবাইকে বললাম আমারো সমস্যা হচ্ছে সামনে এইচ এস সি তাই কেউ আর জোরাজুরি করল না। অনেকদিন পর খেয়াল হল ইরাকে আর দেখছি না। সুমাকে জিজ্ঞাস করলাম বলল ও নাকি পড়া নিয়ে ব্যস্ত। সুমার মাথা গাট্টা মেরে দিলাম,
‘ও সারাদিন পড়ে তুই কি করিস? যা জলদি বই নিয়ে বস। ‘
সুমা ঠোট উল্টালো, ‘কি পড়ে তা তোমার ড্রয়ার দেখলেই বুঝা যায়। হিহিহি।’
এই রে, সর্বনাশ করছে! ‘যা ভাগ’ বলেই চলে এলাম। ড্রয়ার খুলে সব চিঠি বের করে পুড়িয়ে দিলাম। একটু আফসোস হল বটে,প্রথম প্রথম পাওয়া লাভ লেটার তো।
.
.
.
এইচ এস সি পরীক্ষা ঘাড়ের উপর নিশ্বাস ফেলছে, দম ফেলবারও ফুসরত নেই। ড্রইং রুমে সোফায় শুয়ে শুয়ে পড়ছিলাম। কাপড়ের খসখসে শব্দে চেয়ে দেখি ইরা দাঁড়িয়ে আছে অদূরে, হাতে অনেকগুলো কদমফুল। এগিয়ে এসে আমার দিকে বাড়িয়ে দিল। কদমফুল আমার খুব একটা পছন্দ না, তবুও নিলাম। কাছ থেকে ইরাকে দেখে অবাক হয়ে গেলাম একদম। এই কয়েক মাসে মেয়েটা অনেকটা বড় হয়ে গেছে, চঞ্চলতা কমেছে, চেহারায় শান্তভাব। আগে চোখে পড়েনি কেন?
‘অসময়ে কদম! কই পেলি? ’
‘একটা পিচ্চির কাছ থেকে রেখেছি, আমার প্রিয় ফুল তো তাই। ‘
‘তবে আমাকে কেন দিলি?’
প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে একটা নীলখাম বাড়িয়ে ধরল মাথানিচু করে। অবাক হয়ে নিলাম, ও কখনওই আমাকে সরাসরি চিঠি দেওয়ার সাহস করেনি, এই প্রথম। খাম খুলে চিঠি হাতে নিলাম।
“কবে থেকে জানিনা, হয়ত হঠাৎ করেই ভালবাসি, খুব বেশি। কিশোরী মেয়ের ক্ষণিকের মোহ ভেবে ফিরিয়ে দিও না। তুমি আমার চিরদিনের বন্ধন। তোমার জীবনে আমি শুধুমাত্র এককালের পরিচিতা হয়ে থাকতে চাই না। চাই না তোমার হাজারটা স্মৃতির অতলে হারিয়ে যেতে। চাই ক্লান্ত দুপুরে তোমার ঠোটের কোণে মুচকি হাসির কারন হতে। চাই তোমার স্বপ্নিল চোখের স্বপ্ন হতে। সারাজীবন তোমার ছায়া থাকুক আমার উপর ভালবাসা হয়ে। ভালবাসি।
–পদ্ম বালিকা ইরা। ”
পড়ে কিছুক্ষণ থম মেরে বসে থেকে হো হো হেসে উঠলাম ভীষণ জোরে। হাসি থামাতে পারছি না কিছুতেই,এই পুচকি আমাকে প্রপোজ করছে নাকি!!! হাসির শব্দে মা, সুমা ছুটে এল ।
‘কিরে এমন পাগলের মত হাসছিস কেন? ‘
‘হোহোহো! মা হাহাহা! মা দেখো কি রোমান্টিক লাভ লেটার,ইরা দিয়েছে আমাকে। হাহাহা। ‘ হাসির দমকে টলতে টলতে মার হাতে চিঠিটা গুঁজে দিলাম। ফিরে দেখি ইরা চোখ অবাক দৃষ্টিতে বড়বড় করে চেয়ে আছে।যেন হুট করেই, ওর চোখের ভাষা বুঝতে পারছি আমি,
তোমাকে ভালবেসে কি খুব বড় অপরাধ করে ফেলেছি? এত আঘাত আর অপমান কেন করছ? চাও না আমায়? তবে তাই হোক,আমার ছায়া আর কোনদিনও পড়বে না তোমার জীবনে।
অশ্রু এসে চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে গেল ওর। আর কিছুই পেলাম না ওখানে। মনের ভুল?
ছুটে বেরিয়ে গেল ইরা,পিছনে সুমা। মা মিটিমিটি হাসছিলেন এতক্ষণ।
‘আহা মেয়েটাকে তো কাঁদিয়ে দিলি। ‘
আমি উত্তর না দিয়ে বই নিয়ে সুড়সুড় করে রুমে ঢুকে পড়লাম।
এরপরে আমি ইরাকে আর দেখিনি এতবছরে, একপলকের জন্যও না। সযত্নে নিজেকে আড়াল করে রাখত আমার থেকে । পরীক্ষার পর ঢাকা চলে যাই এডমিশন কোচিং এর জন্য। অদ্ভুত ভাবে ঠিক সেই সময় থেকেই আমি ইরাকে মিস করতে থাকি প্রচন্ড ভাবে। সেই অভিমানী দৃষ্টি আমাকে শান্তি দেয় না, সবসময় জ্বলজ্বল করে চেয়ে থাকে মনের আকাশে। ছুটি পেয়ে বাসায় গেলাম, কিন্তু ওকে দেখতে পেলাম না। বাধ্য হয়ে ওদের বাসায় গেলাম কিন্তু ইরা সামনে এল না। কি কঠিন অভিমান ওর! ব্যর্থ মনোরথে ফিরে গেলাম ঢাকা। আগের স্মৃতি মনে পড়ে আর পস্তাই।
একদিন মা ফোনে জানালেন অফিসে ঝামেলা হয়ে ইরার বাবার চাকরী চলে গেছে। আর ওরাও বাসা ছেড়ে চলে গেছে কাউকে কিছু না জানিয়ে, কোন ঠিকানাও রেখে যায়নি। আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল বুক জুড়ে হাহাকার, ইরাকে আমি হারিয়ে ফেলেছি। সেই থেকে ওকে খুজছি। সুমাকে প্রায়ই জিজ্ঞাস করি ইরার কথা, ও মাথা নাড়ে নাহ! আর কোনদিন যোগাযোগ করেনি ইরা।
আজ এভাবে ওর চিঠি পাব কল্পনাও করিনি। এবার আর তাকে হারাতে দিচ্ছি না। চিরকালের বন্ধনে বেধে রাখব।
.
.
২০ তারিখ, শুক্রবার…
থাকতে না পেরে ৫ টার আগেই হাজির হয়েছি সার্কিট হাউজের সামনে। হাতে একগুচ্ছ কদমফুল,ইরার প্রিয়ফুল। এই বর্ষায় ওর জন্য এর চেয়ে ভাল কোন উপহার হতে পারে না। অবশেষে ও এল চারপাশ আলো করে। হা করে চেয়ে আছি, এ কোন ইরা! এত মায়াবী! এত স্নিগ্ধ লাগছে নীল-সাদা শাড়িতে! যেন এক টুকরো শরতের আকাশ।
ফুলগুলো দিলাম, ও হাতে নিয়ে একটু হাসল। এত ভাল লাগল দেখতে!
‘অবাক হয়েছেন তো কিভাবে এতদিন পর আপনাকে খুঁজে পেলাম? উত্তর এখুনি দিচ্ছি, আপনার জন্য সেটা খুব সারপ্রাইজিং হবে। ‘
ও কাকে ডাকল, চেয়ে দেখি সিয়াম। আমার অফিসের কলিগ, জুনিয়র পদে যদিও। সিয়াম হাসতে হাসতে এসে দাঁড়াল, ‘ অফিস পার্টির পিক দেখেই ইরা আপনাকে চিনতে পারে। তারপরেই এই সারপ্রাইজের আয়োজন। ‘
কিছুই বুঝতে পারছি না আমি,ওদের সম্পর্ক কি। ইরা একটা কার্ড বাড়িয়ে দিল, ‘ আগামী মাসে আমাদের বিয়ে। প্রথম কার্ড আপনাকে দিলাম তানভীর ভাইয়া। অবশ্যই আসবেন। কেমন সারপ্রাইজ দিলাম বলুন?’
তাকালাম ওর মুখে,সেখানে বিচিত্র হাসি। আবার পড়তে পারছি যেন ওর চোখের ভাষা ,
কি বলতে এসেছিলে তা আমি জানি। বড্ড দেরি হয়ে গেছে।
চোখ ফিরিয়ে নিলাম। কাজের অজুহাত দেখিয়ে একরকম প্রায় দৌড়ে পালিয়ে এলাম ওদের চোখের আড়ালে।হাতের বিয়ের কার্ডটার ওজন যেন হাজার কোটি মণ, যা ধরে রাখার সাধ্য নেই আমার। বৃষ্টি এসেছে জোরে, ভালই হয়েছে কেউ আর দেখতে পাবে না বেয়াড়া চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ছিল কিছু অবাধ্য নোনাজল।
.
.
.
.
‘এমন ছিঁচকাঁদুনী ছেলেকে আমি কখনোই ভালবাসবো না।’
চমকে পিছনে তাকালাম। ইরা দাঁড়িয়ে আছে। আশ্চর্য এত বৃষ্টিতেও ওর চোখের অশ্রু আলাদা করে দেখতে পাচ্ছি। ফোঁপাতে ফোঁপাতে বলল, ‘এত বোকা মানুষ হয়? কণের নাম না দেখেই কেন পালিয়ে এলে? ‘
বিয়ের কার্ড হন্তদন্ত হয়ে খুলতে গেলাম, ভিজে একাবারে নেতিয়ে গেছে। ইরা এসে হাত থেকে নিয়ে কার্ডটা ছুড়ে ফেলে দিল। অবাক সুরে বললাম,’বাপরে তোমার হাতে কি শক্তি! বেচারা কার্ডকে এত জোরে ছুড়ে দিলে! ‘
কান্নার মধ্যেই ইরা হেসে ফেলল। গোটা দুয়েক কিল বসিয়ে দিল কাধের উপর। পরক্ষণেই আবার কাঁদতে শুরু করল। ভারী মুশকিল তো ! এই মেয়ে ক্ষণেই হাসে, ক্ষণেই কাঁদে।
‘কি হল? ‘
‘তোমাকে আমি আর কখনো ভাইয়া ডাকব না, কখনো না। ‘
উদভ্রান্তের মত হাসতে শুরু করলাম আমি। রাস্তার পাশের ছুটে চলা রিক্সা,গাড়ি থেকে অনেকেই গলা বের করে তাকিয়ে দেখছে এদিকে। বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে একটা মেয়ে কেঁদে সারা হচ্ছে আর পাশের ছেলে পাগলের মত হাসছে। আজব দৃশ্যই বটে।