সন্ধ্যাতারা

সন্ধ্যাতারা

পরন্ত বিকেলে চুপচাপ আনমনা হয়ে অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছি ছাদে।

পশ্চিমাকাশে লাল হয়ে সূর্যটা হেলে পড়েছে। একটু পরই দিন পুড়িয়ে সন্ধ্যার আগমন ঘটবে।

সূর্যের আলোর হারিয়ে চন্দ্র আসবে আলো নিয়ে।
চাঁদের আলো এখনো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু সন্ধ্যাতারাটা বেশ স্পষ্ট জ্বল জ্বল করে জ্বলছে।

যার কোনো আলো পৃথিবীকে আলোকিত করতে পারছে না।
বিন্দুর মতো অল্প একটু আলো নিয়ে ঝুলে আছে দূরের আকাশটায়।

সূর্যের আলো বিলীন হয়ে যাচ্ছে চাঁদটাও তার আলো ছড়ানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। হেলে পড়া সূর্যের আলোতে আকাশটা এখন রক্তবর্ণ ধারণ করেছে।
মাঝে মাঝে মৃদু বাতাসের শনশন শব্দ কানে ভেসে আসে।
ব্যস্ত শহরের মানুষগুলোর মাঝে কেউ কেউ নিজগৃহে প্রবেশ ঢুকে পড়েছে। সবকিছুর ভীড়ে আমি একা ছাদের এককোণে দাঁড়িয়ে।

ফেলে আসা দিনগুলোর কিছু কথা, কিছু স্মৃতি অমলিন হয়ে ভেসে আসছে ভাবনার মাঝে।
মনে পড়তে থাকে হারিয়ে ফেলা কিছু মুহূর্তের কথা।
.
“হুম, জানো এটাকে কি তারা বলে?”
“জানি তো, সন্ধ্যাতারা। দেখো পুরো আকাশে কোনো তারা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। শুধু ঐ তারাটাই কি সুন্দর স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।”
“হুম, সবগুলো তারার মাঝে এই তারাটাই চাঁদের খুব কাছাকাছি থাকে। দেখো চাঁদের এতো কাছে আর কোনো তারা নেই।

ঐ তারা আর চাঁদের মাঝে যে জায়গাটুকু ফাঁকা ঐটাই তাদের মাঝে দূরত্ব।

চাঁদটা মাঝেমাঝে হারিয়ে গেলেও তারাটা কিন্তু ঠিকই তার স্থানে থেকে যায়।”
“এখানে হারিয়ে যাওয়ার কথা বলছো কেন তুমি?”
“এক সময় আমিও আকাশের তারা হয়ে যাবো তো তাই।”
“চুপ বাজে কথা কম বলো। তুমি আকাশের তারা হতে যাবে কেন?”
“আচ্ছা সত্যি যদি আমি কখনো আকাশের তারায় হারিয়ে যাই। তুমি কি চিনবে কোন তারাটা আমি?”
“কিসব বলছো তুমি আবোলতাবোল? ধ্যাত…”
“মজা করেছি সরি, আর বলবো না।”
“তোমার আমাকে কষ্ট দিতে ভালো লাগে তাই না। শুধু শুধু কষ্ট দাও আমায়।”
“সরি, এই দেখো কানে ধরলাম। আর বলবো না।”
.
আমার বাম হাত জড়িয়ে ধরে কাধে মাথা রেখে অরিন বললো, “সব সময় তুমি আমার কাছে থাকবে।

ঠিক এমন করে” তারপর আমি অরিনকে বললাম।
.
“আচ্ছা আমাদের বিয়ে হয়েছে কবে?”
“এই তো এখন ছয় মাস চলে, কেন?”
“দেখো বিয়ের আগে আমরা কেউ কাউকে চিনতাম না।
কখনো দেখিও নাই অথচ মাত্র ছয়মাসের মধ্যে দু’জন দু’জনকে কতো ভালোবাসি তাই না।”
“হুম, কাউকে ভালোবাসতে ছয় মাস লাগে না। অনুভুতি সত্য হলে দশমিনিটও ভালোবাসা যায়। শুধু মনের মিল থাকলে হয়।”
“হুম,”
.
অরিনের সাথে আমার বিয়ে হয়েছে মাত্র ছয় মাস আর এর মধ্যেই অরিন আমাকে অনেক ভালোবাসে।

অরিন ঠিক বলেছে অনুভুতি সত্যি হলে কাউকে ভালোবাসতে দশ মিনিটের বেশি সময় লাগে না।

অনুভুতি ভুল হলে ভালোবাসার গভীরতাটা কেউ বুঝতে পারে না। আমরা দু’জন দু’জনকে খুব ভালোবাসি।

আমাদের মাঝে ভালোবাসার কোনো কমতি নেই।

সকালে ঘুম থেকে উঠা থেকে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত সর্বোক্ষণ আমার টেককেয়ার না করলে ওর ভালো দিনটা নাকি ভালো যায় না।

বেশ ভালোই চলছে আমাদের দাম্পত্য জীবনের দিনগুলো। একদিন সকালে,
.
“দেখো তো আমার শার্টটা কোথায়? খুঁজে পাচ্ছি না।”
“পাবে কিভাবে? রাখো একখানে খুঁজবে আরেক খানে।”
“তুমি এসে একটু খুঁজে দাও না। অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে।”
“আসতেছি দাঁড়াও,”
“তাড়াতাড়ি আসো।”
.
আমি জানি আমি শার্টটা কোথায় রেখেছি। আমার শার্ট তো সব সময় আলমারিতেই থাকে।

আসলে অরিন শার্ট পড়িয়ে না দিলে সেদিন আর শার্ট পড়ে মজা লাগে না।

একটু পর অরিন এসে আলমারি থেকে শার্ট বের করে দিয়ে বলে…
.
“এই নাও, আমি ছাড়া কোনো কিছুই ঠিক মতো পারে না।”
“পড়িয়ে দাও।”
“তুমিও না বাচ্চাদের মতো প্রতিদিন আমাকে শার্ট পড়িয়ে দিতে হয়।”
“ওকে, পড়িয়ে দিতে হবে না। আজকে ছুটি।”
“চুপ, আজকে ছুটি! একদিকে আসো। হাত দাও, উফ্ আমি
তো চুলায় দুধ বসিয়ে এসেছি।”
“আরে কোথায় যাও বোতাম লাগিয়ে দাও।”
.
বোতাম না লাগিয়ে দিয়ে চলে গেল রান্না ঘরে। আমিও চুপচাপ ঘাটের উপর বসে আছি।

আমি জানি অরিন এসেই বোতাম লাগিয়ে দিয়ে যাবে। একটুপর অরিন এসে বলে,
.
“তুমি এখনো বসে আছো, বোতামটাও বুঝি লাগাতে পারো না।”
“পারি না তো। তাড়াতাড়িও লাগিয়ে দাও।”
“পারি না তো… আমি যখন ছিলাম না তখন কে লাগিয়ে দিতো শুনি।”
“ঐ যে, আমার আগের বউটায়।”
“কয়টা বিয়ে করেছো তুমি?”
“হবে অনেকগুলো।”
“কয়টা?”
– হুম, ধরো পাঁচটা তুমি সহ ছয়টা।
“এক ডজন পুরা করে নিও।”
“ওকে, তুমি যখন বলেছো পুরা করবো।”
“হয়েছে,”
“ওকে,”
“এই দাড়াও, চুলও তো আছড়াতে পারো না সুন্দর করে। পাগলে মতো এলোমেলো চুল নিয়ে অফিস যাবে।”
“দুপুরে সময় মতো খেয়ে নিবে। টেবিলে দুপুরের খাবার রেখে দিয়েছি যাওয়ার সময় নিয়ে যেও। আর হ্যা সাবধানে যাবে।”
“ঠিক আছে, দরজাটা লাগিয়ে দিও।”
…………..
আজকে আমাদের প্রথম বিবাহবার্ষিকী।

আমি চেয়েছিলাম বন্ধুদের সাথে আত্মীয়স্বজন সবাই মিলে প্রথম বিবাহবার্ষিকীটা পালন করবো..,

কিন্তু সেদিন অরিন বললো, “আমাদের প্রথম বিবাহবার্ষিকী শুধু তুমি আর আমি পালন করবো। পরের বার থেকে সবার সাথে একসাথে করবো।

” খুব মায়া ভরা কষ্টে আর সুন্দর অভিনয় করে বলছিলো যার কারণে না’ শব্দটা আমার মুখে আসলো না।

উত্তর দিয়ে দিলাম, “ওকে, আমাদের প্রথম বিবাহবার্ষিকী শুধু তুমি আর আমি মিলে পালন করবো।”
কথাটা শুনে অরিন খুশিতে আমার গাল টেনে বলে, “তুমি কত্ত ভালো।”

আমি অবাক হয়ে ওর কান্ড কারখানা দেখা আর মুচকি হাসা ছাড়া কিছুই করার ছিলো না।
.
বিকালের দিকে একটা ভালো রেস্টুরেন্টে আসলাম কেক কিনতে। আরও অল্পস্বল্প জিনিস কিনেছি।

বাসায় যেতে যেতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে। যাওয়ার সময় ফুলও কিনতে হবে।
সবার শেষে ফুলের দোকান থেকে একদম তাজা লাল টুকটুকে অনেকগুলো গোলাপফুল কিনে নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
.
অনেকক্ষণ হয়ে গেল অরিন কোনো কল দিচ্ছে না।

আমি নিজেই কল করি কথা ভেবে মোবাইলটা হাতে নিতেই দেখি ৩২টা কল সবগুলো অরিন করেছে।

কখন যে মোবাইলটা সাইলেন্ট হয়েছে বলতে পারবো না। আমি জানি ও এখন খুব রাগ করেছে। সে সাথে অনেক টেনশনও করছে।

টেনশন করারই কথা কারণ এতো কল দিলো কিন্তু আমি রিসিভ করিনি।

ভাবলাম কল দিবো কিন্তু বাসার কাছাকাছি তো চলে আসছি কল না দিলেও হবে সরাসরি গিয়ে ভাঙ্গাবো।

সিন এন জি থেকে নামলাম। তারপর সিন এন জির চালককে জিজ্ঞেস করলাম…
“কত হয়েছে ভাই?”
“আশি টাকা”
“আশি টাকা! এই নিন”
.
কলিং বেলে চাপ দিলাম। অরিন দরজা খুলে দিলো।
আমার দিকে ফিরেও তাকাচ্ছে না। দরজা খুলে সোজা রুমে চলে গেল। মুখের ভঙ্গিমা দেখে বুঝা যাচ্ছে ম্যাডামের রাগ এখন চরম পর্যায়ে।

রাগ ভাঙ্গাতে কষ্ট হবে। জিনিসগুলো জায়গা মতো রেখে সোজা রুমে চলে গেলাম।

আর অরিনকে জিজ্ঞেস করলাম, “এতবার কল দিলে কেন?” কোনো জবাব নেই।

আবারও বললাম, “কি হয়েছে?” কাধে হাত দিতেই হাত সরিয়ে দিয়ে বললো…
.
“কিছু হয়নি।”
“কোনো কথা বলছো না যে? চুপচাপ বসে আছো।”
“এমনিতে,”
“ও বুঝতে পেরেছি। কল দিয়েছো রিসিভ করিনি তাই রাগ
করে আছো? আমি বলতে পারবো না কখন সাইলেন্ট হয়ে গেছে। সরি…”
“একবারও মোবাইলটা পকেট থেকে বের করার প্রয়োজনবোধ মনে করোনি।”
“কি করবো বলো। জিনিসগুলো কিনার সময়…”
“হয়েছে, যাও ফ্রেশ হয়ে নাও।”
“তুমি রাগ করে নেই তো?”
“রাগ করবো কেন? তোমার সমস্যা হয়েছে তাই রিসিভ করতে পারোনি।”
“আমি ইচ্ছে করে সাইলেন্ট করিনি। কিভাবে হয়ে গেছে বলতেও পারবো না।”
“বুঝলাম তো এখন যাও ফ্রেশ হয়ে নাও। আমি কোনো রাগ- টাগ কর নেই।”
“ঠিক আছে।”
.
অরিন রাগ করে না থাকলেও এখনো হালকা অভিমান করে আছে। তাই কথা কম বলতেছে।

আমি ফ্রেশ হয়ে এসে রেডি হয়ে অরিনকে বললাম, “তুমি নিচের কাজগুলো করবো আমি কিছুক্ষণ পর ছাদ থেকে আসছি”,

আমার কথা শুনে অরিন বললো, “রাতের বেলায় ছাদে কেন যাচ্ছো?”
অরিনকে এখন বলা যাবে না আমি ছাদে কেন যাচ্ছি।
তাই বললাম, “সামান্য কাজ আছে সেটা করেই আসতেছি।” অরিন বললো, “ঠিক আছে, তাড়াতাড়ি এসো।”
.
আমি আমার প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো নিয়ে ছাদে চলে আসলাম। ঘন্টাখানেকের মধ্যে আমি আমার কাজটা সম্পূর্ণ করে ফেললাম।

নিচে এসে দেখি অরিনও নিজের কাজগুলো করে ফেলেছে মোটামুটি আমিও হালকা সহযোগিতা করে রাত নয়টার মধ্যেই শেষ করে ফেলি।
কিছুক্ষণ পরই আমরা দু’জন মিলে সেলিব্রেশন করবো।
অরিন অনেক কাজ করেছে সারাদিন তাই ওকে বললাম….,
“ সারাদিন অনেক কাজ করেছো যাও এখন ফ্রেশ হয়ে নাও, আর হ্যা একটু সাজগোজ কইরো।”
“কেন আমি কি এমনিতে সুন্দর না? সাজগোজ করতে হবে।”
“সুন্দর তো, সাজগোজ করলে আরও অনেক সুন্দর লাগবে।”
“শখ কত?”
“একটাই তো বউ আমার শখ তো একটু হতেই পারে।”
“ঢংয়ের কথা।”
“আচ্ছা এখন যাও তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নাও।”
“যাচ্ছি তো।”
…………..
অরিন খুব সুন্দর করে সাজগোজ করলো। এমনিতে ও অনেক সুন্দর আর শাড়িতে ওকে আরও অনেক বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে।

আমি অপলক দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম। আসলে ওকে যত দেখছি ততই আমার ভালো লাগছিলো।

আমার এমন ফেলফেল করে তাকিয়ে থাকতে দেখে অরিন বললো,
.
“এভাবে তাকিয়ে আছো কেন? নজর লাগবে তো!”
“লাগুক, তাতে কি?”
“যেভাবে তাকিয়ে আছো, যেন তুমি আর কখনো আমাকে দেখোনি।”
“দেখেছি, কিন্তু আমার সুন্দরী বউটা যে একটু বেশি সুন্দর, একটু বেশিই কিউট তাই যত দেখি তত ভালো লাগে।”
“হয়েছে চলো কেক কাটি”
“একমিনিট আমি ছাদ থেকে আনতেছি”
“এখন আবার ছাদে কেন যাচ্ছো?”
.
আমি দৌড়ে গিয়ে ছাদে গেলাম, একটুপর আবার ফিরে এলাম। “ওকে, আসো কেক কাটি।”

তারপর আমি আর অরিন মিলে কেক কাটলাম। দু’জন দু’জনকে খাইয়ে দিলাম। তারপর আমি অরিনকে বললাম,
.
“তোমার তোমার জন্য একটি সারপ্রাইজ আছে।”
“কি সারপ্রাইজ?”
“ওকে চলো,”
“কি হলো চোখ ধরলে কেন? কোথায় নিয়ে যাচ্ছো?”
“গেলেই দেখতে পাবে, হুম… এবার চোখ খুলো।”
.
অরিন চোখ খুলতেই চোখের সামনে দেখতে ফেলো।
মোমবাতি দিয়ে বড় করে “I Love (লাভ চিহ্ন) You.” লেখা আর লাভের ভেতরে রঙিন জরি দিয়ে ছোট করে “Happy Anniversary.” লেখা।

মোমবাতির আলোয় পুরো ছাদ আলোকিত। চাঁদের হালকা আলোয় আর মোমবাতির আলোয় অরিনকে আরও বেশি সুন্দর করে তুলেছে।

অরিন এটা দেখে চোখ বড় করে একটি মুচকি হাসি দিলো।

আমি পকেট থেকে একটি আংটি বের করে, হাঁটু গেড়ে বসে অরিন হাতে আংটিটা পড়িয়ে দিলাম।
.
“কোথায় তুই বাবা?”
“এই তো ছাদে?”
“এতো রাতে ছাদে কি করছিস?”
“কই রাত মাত্র তো সন্ধ্যা হলো।”
“এখন রাত ১১টা বাজে, তাড়াতাড়ি নিচে আয়।”
.
বাবার কলে ভাবনা থেকে ফিরে এলাম। মোবাইলের সময়ের দিকে তাকিয়ে দেখি ১১:০৮ বাজে।

কখন যে, এতো সময় চলে গেছে বুঝতেই পারিনি। গালের মধ্যে ভিজে ভাব অনুভব করতে লাগলাম।

ভাবনার মাঝে কখন যে চোখ তার অশ্রুঝরালো বুঝতেই পারিনি। আজকে
আমার আর অরিনের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী। কিন্তু আজকে অরিন আর আমার পাশে নেই। আজকে কোনো কিছুর আয়োজনও করা হয়নি।

আমাকে একা রেখেই ও আজকে একা সন্ধ্যাতারা হয়ে গেছে।
.
সেদিন আমি বলেছিলাম আমি যদি কখনো এমন আকাশের তারা হয়ে যাই।

তুমি কি চিনবে আমায়? অরিন আমাকে রাগ দেখিয়ে কথাটা থামিয়ে দিয়েছিলো। কিন্তু আমি পারিনি ওর চলে যাওয়াকে থামিয়ে দিতে।

পারিনি ওকে আটকে রাখতে। অভিমানী, বড্ড অভিমানী মেয়েটা আমাকে রেখে নিজে একা চলে গেল।
.
লিউকেমিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে চিরদিনের মতো
আমাকে বিদায় দিয়ে হারিয়ে গেল। অনেক চেষ্টা করেও পারিনি আমি ওকে আমার কাছে রাখতে।

যাওয়ার সময় একটা বলেছিলো, “আমার থেকে সুন্দর দেখে একটা মেয়েকে বিয়ে করে নিও,

দেখো সে ভালোবাসা দিয়ে আমাকে তোর স্মৃতি থেকে মুছে দিবে।”
আমি চাইনি তোমায় ভুলতে তাই হৃদয়ে তোমার স্থানে আর কাউকে বসতে দেইনি, কখনো দিবোও না।

তুমি প্রতিদিন সন্ধ্যাতারা হয়ে আমাকে দেখো তাহলেই হবে।

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত