কেয়ারলেস ছেলের ভালবাসা

কেয়ারলেস ছেলের ভালবাসা

ছেলেটার ফোনটা বাজছে কিন্তু সে ঘুমে ব্যাস্ত।আরো কয়েকবার ফোন বাজার পর ছেলেটা ফোন ধরলো
:-হ্যালো কোথায় তুমি?(মেয়েটি)
:-এইতো রাস্তায়।(ছেলেটি)
:-তুমি এখনো ঘুমাচ্ছো তাইনা।
:-আরেনা রাস্তায় অনেক জ্যাম তাই আসতে দেরী হচ্ছে।তুমি ফোনটা রাখো আমি ৫ মিনিটের মধ্যে আসছি।
ছেলেটা ফোন রেখে বিছানা ছেড়ে তাঁড়াতাঁড়ি রেডি হয়ে নেয়।বেড়িয়ে পড়ে পার্কের উদ্দেশ্য।ও আপনাদেরতো পরিচয়ই দেওয়া হয়নি।ছেলেটার নাম সিয়াম।আর মেয়েটার নাম সাদিয়া।আজ তাঁদের দুজনের দেখা করার কথা ১০ টায় কিন্তু এখন বাজে সারে ১০টা।সিয়ামের পার্কে পৌঁছাতে পৌঁছাতে ১১ টা বেজে গেলো।পার্কে গিয়ে দেখলো সাদিয়া বসে আছে।তাঁকে দেখে মনে হচ্ছে খুব রেগে আছে।ভয়ে ভয়ে সাদিয়ার পাশে গিয়ে বসলো সিয়াম।বসার সাথে সাথে সাদিয়া চিৎকার করে বললো এই তোর আসার সময় হলো।তুই এখান থেকে ওঠ।সিয়াম ভয়ে ভয়ে ওঠে দাঁড়িয়ে বললো
:-সরি(সিয়াম)
:-সরি বললেই সব শেষ হয়ে গেলো।এই ২ বছরে কতবার এই সরিটা বলেছিস মনে আছে।তুই কোনদিন ঠিক হবিনা।তুই থাক এখানে।আর কোনদিন আমাকে ফোন দিবিনা।আমার সাথে আর কোনদিন যোগাযোগ করবিনা।
কথাগুলো বলে বসা থেকে ওঠে দাঁড়ালো সাদিয়া তাঁরপর হনহন করে চলে গেলো।সিয়াম সাদিয়ার চলে যাওয়া দেখছে।তাঁর কিছু করার নেই।এখন যদি সাদিয়াকে সে আটকাতে যায় তাহলে আরো বেশি রেগে যাবে। তাঁদের এরকম ঝগড়া প্রায়ই লেগে থাকে আবার একটু পরেই সবঠিক হয়ে যায়।দুজন দুজনাকে ছাড়া কখনোই থাকতে পারেনা। সিয়ামও বাড়ির দিকে রওনা দিলো।পার্কের বাইরে এসে একটা রিক্সা নিলো সিয়াম।রিক্সায় বসে বসে পুরনো দিনের কথাগুলো ভাবছে।সিয়ামের সাথে সাদিয়ার প্রথম দেখা হয় একটা কফি হাইজে।সেদিন সিয়াম এবং তাঁর বন্ধুরা মিলে কফি খাওয়ার জন্য সেই কফি হাইজে গিয়েছিলো।ঠিক তেমনি সাদিয়া এবং তাঁর বান্ধবীরা সেই কফি হাইজে গিয়েছিলো।সিয়াম আর বন্ধুরা বসে আড্ডা দিচ্ছিলো এমন সময় সিয়াম সামনের টেবিলে বসা মেয়েগুলোকে দেখে।তাঁদের মধ্যে একটা মেয়েকে দেখে সিয়ামের অনেক ভালো লেগে যায়।সিয়াম মেয়েটির দিকে একদৃষ্টিতে তাঁকিয়ে থাকে।সিয়ামকে এভাবে তাঁকিয়ে থাকতে দেখে সিয়ামের বন্ধুরা জিঙ্গেস করে ওদিকে এভাবে কী দেখিস।সিয়াম ওর বন্ধুদের সব খুলে বলে।সিয়ামের বন্ধুরা বলে সমস্যা নেই মেয়েটার ব্যাপারে সব খোজখবর নেওয়া যাবে। সেদিন রাতে সিয়ামের এক ফ্রেন্ড মেয়েটির ব্যাপারে সবকিছু জানায় সিয়ামকে।মেয়েটি তাঁদের কলেজের পাশের গার্লস কলেজে পড়ে।নাম সাদিয়া।আরো অনেককিছু জেনে নেয় মেয়েটির ব্যাপারে।এরপর শুরু হয় সাদিয়ার পিছু নেওয়া।সিয়াম প্রতিদিন সাদিয়ার পিছু নিতো।এটা সিয়ামদের এলাকা তাই এখানে সে কাউকে ভয় পায়না ।৩ দিনের দিন সিয়াস সাদিয়াকে ডাক দেয়।সাদিয়ার কাছে তাঁর ফোন নম্বর চাই কিন্তু সাদিয়া ফোন নম্বর দেয়না।আর সিয়ামকে বলে দেয় তাঁর পিছু ঘুরে লাভ নেই সে কোনদিন এসবে জরাবে না।কিন্তু সিয়াম সেটা শুনেনা।প্রতিদিন সাদিয়ার পিছু নেয় সে।এভাবে কেটে যায় একটি মাস।৩২ তম দিনে সিয়াস সাদিয়ার জন্য রাস্তায় অপেক্ষা করছে এমন সময় চারদিক ঘিরে আঁকাশে প্রচন্ড ঘেম জমে।দেখতে দেখতে প্রচন্ড বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়।সিয়াম একটা দোকানে দাঁড়িয়ে সাদিয়ার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।বৃষ্টি কমলে সাদিয়া বের হয়।সাদিয়া আর তাঁর এক বান্ধবি ছাতা নিয়ে বের হয়।রাস্তা দিয়ে সাদিয়া আর তাঁর বান্ধবি ছাতা নিয়ে হাঁটতে থাকে।সিয়ামের কাছে কোন ছাতা ছিলনা তাই সে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে সাদিয়ার পিছু নেয়।সাদিয়া আড় চোখে পিছন ফিরে সিয়ামকে দেখে।এতদিনে সেও তাঁর মনের মধ্যে সিয়ানকে জায়গা দিয়ে ফেলেছে।কিছুদুর যাওয়ার পর সিয়াম সাদিয়াকে ডাক দেয়।সাদিয়ার হাতে একটা কাগজ দিয়ে সেখান থেকে দ্রুত চলে যায়।বৃষ্টিতে ভেজার কারণে কাগজটাও ভিজে গেছে।সাদিয়া কাগজটা অনেক কষ্টে খোলে। খুলে দেখতে পায় তাতে একটা ফোন নম্বর।সাদিয়া মনে মনে হাঁসে।সেদিন রাতে সিয়াম সাদিয়ার ফোনের অপেক্ষায় থাকে।অনেকরাত হয়ে যায় কিন্তু সাদিয়া ফোন করেনা।সিয়াম ভেবে নেয় হয়তো সাদিয়া ফোন নম্বরটা ফেলে দিয়েছে।সিয়াম ভাবে আর অপেক্ষা করে লাভ নেই এখন ঘুমিয়ে পড়ি।সে ঘুমানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সময় একটা আননোন নম্বর থেকে ফোন আসে।সিয়াম ফোনটা রিচিভ করে।
:-হ্যালো কে বলছেন(সিয়াম)
:-কোন আওয়াজ নেই
:-কীহলো কথা বলছেন না কেনো?
:-তবুও ওপাশ থেকে কোন আওয়াজ এলোনা।
:-কিছু না বললে ফোনটা রেখে দেন।
এবার ওপাশ থেকে ছোট্র করে আওয়াজ আসে
:-আমি সাদিয়া।
সিয়াম সাদিয়ার কন্ঠ শুনে কী বলবে বুঝতে পারেনা।কিছুক্ষণ দুজনেই চুপ করে থাকে।সিয়ামই প্রথম নিরবতা ভেঙ্গে বলে
:-আমিতো ভেবেছিলাম আপনি ফোন নম্বরটা ফেলে দিয়েছেন(সিয়াম)
:-এমন মনে হলো কেনো আপনার(সাদিয়া)
:-জানিনা।
:-ও
এভাবেই তাঁদের কথা বলা শুরু।সেদিন রাতে তাঁরা প্রায় ১ ঘন্টার মত কথা বলে।তারপর থেকে প্রতিদিন তাঁদের ফোনালাপ চলতে থাকে।কিছুদিন পর সিয়াম সাদিয়াকে প্রপোজ করে।সাদিয়াও রাজি হয়ে যায়।এরপর ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ঘুরতে যাওয়া।ফুসকা খাওয়া রাত জেগে ফোনে কথা বলা।রাগ অভিমান এসবের মধ্যে দিয়ে তাঁদের ভালবাসার এগুলো দিন কীভাবে কেঁটে গেলো সেটা তাঁরা বুঝতেই পারেনি।
:-মামা চলে এসেছি।
রিক্সা ওয়ালার কথায় বাস্তবে ফেরে সিয়াম।রিক্সা ভাড়া দিয়ে বাড়ির মধ্যে চলে যায় সে।সেদিন সারাদিন কেউ কাউকে ফোন দেয়না।রাতে সিয়াম সাদিয়াকে ফোন দেয়।সাদিয়া ফোনটা ধরেই ঝাঁঝালো কন্ঠে বলে
:-আপনি ফোন দিয়েছেন কেনো?আপনাকে না বলেছি আমাকে আর কোনদিন ফোন দিবেন না তারপরেও কেনো ফোন দিলেন(সাদিয়া)
:-তুমি এখনো রেগে আছো আমার উপর তাইনা।সরি আর কখনো এমন হবেনা।এইযে কান ধরছি।(সিয়াম)
:-এই কথাটা বারবার বলতে তোমার লজ্জা করেনা।
আপনি থেকে যেহেতু তুমিতে চলে এসেছে সেহেতু মনে হয় রাগটা কমেছে কথাটা মনে মনে বললো সিয়াম।
:-আজকের আঁকাশে কত সুন্দর চাঁদ ওঠেছে দেখেছো?(সিয়াম?)
:-না দেখিনি আর দেখার ইচ্ছাও নাই।আমার ঘুম ধরেছে ফোনটা রাখো(সাদিয়া)
:-প্লিজ দেখোনা।
:-আচ্ছা দেখছি।
সাদিয়া আর রাগ করে থাকতে পারেনা।পিছানা থেকে ওঠে জানালা খুলে আকাশের চাঁদ দেখে।সিয়াম ওপাশ থেকে বলে
:-আমি যদি এখন তোমার বাসার সামনে আসি তাহলে আমার সাথে বসে চাঁদ দেখতে পারবে?
:-কেনো পারবোনা অব্যশই পারবো।তবে আসার আগে তোমার নিজের একটা ছবি তুলে রেখো কারণ বাবার যে রাগ ধরা খেলে তোমার কী অবস্থা করবে সেটা তুমি জানোনা।তখন নিজের চেহারা নিজেই চিনতে পারবেনা।
:-থাক যাবোনা তাহলে
সাদিয়া সিয়ামের কথা শুনে মনে মনে হাঁসতে থাকে।ছেলেটা সবকিছুতেই এত ভয় পায় কেনো? এসব ভাবে আর মনে মনে হাঁসে। সাদিয়া আবার বলে
:-আজকের পেপারটা দেখেছো?
:-না দেখিনি
:-তাহলে এখনি দেখো।
:- এখননা পরে দেখবো।
:-না এখনি দেখো।
:-পেপারটা কোথায় আছে আমি জানিনা।
:-কোথায় আছে মানে কী।এখনি পেপারটা দেখো।
:-দেখছি।
সিয়াম পেপারটা খুজে এনে বলে
:-বলো পেপারে কী দেখবো।
:-শেষের পাতাটা দেখো।
সিয়াম শেষের পাতা দেখে বলে
:-এখানেতো অনেক কিছু লেখা।কোনটা দেখবো।
:-ওখানে একটা নেকলেস দেওয়া আছে ওটা অনেক সুন্দর তাইনা।
:-এইটা দেখানোর জন্য এত কষ্ট করে আমাকে পেপারটা দেখালা।
:-এই নেকলেসটা অনেক বেশিই সুন্দর।টাকা থাকলে কিনে ফেলতাম।
:-বাদ দাও এসব।চোখটা বন্ধ করোনা।
:-চোখ বন্ধ করে কী করবো।বললাম না যে আমার ঘুম পাচ্ছে।চোখ বন্ধ করলে একদম ঘুমিয়ে যাবো।
:-প্লিজ বন্ধ করোনা।
:-আচ্ছা করলাম
:-কিছু দেখতে পাও
:-কিছুতো দেখিনা।শুধু অন্ধকার।
:-একটু ভালো করে দেখতো।আমি শুনেছি চোখ বন্ধ করে অনুভব করলে নাকি নিজের প্রিয় মানুষটাকে দেখা যায়।
:-হ্যাঁ এজনকে দেখতে পাচ্ছি।
:-কে সে।নিশ্চয় আমি।
:-আরেনা।জিসান ভাইকে দেখতে পাচ্ছি।
:-জিসান কে।
:-আমার ফুফাতো ভাই।উনি অনেক হ্যান্ডসাম।আর এত পরিমানে ফর্সা।উনাকে দেখলে আমি শুধু প্রেমে পড়তেই থাকি পড়তেই থাকি।
:-এই আমার মাথা ব্যাথা করছে ফোনটা রাখছি।
:-এই শুনো শুনো।
সিয়াম আর কিছু না বলে ফোনটা রেখে দেয়।তাঁর অনেক রাগ হচ্ছে।অপরদিকে সাদিয়া সিয়ামের কান্ড দেখে হাঁসছে।ছেলেটা এতটা বোকা।
—-
পরেরদিন।
সকাল আটটা।সাদিয়া অনেকক্ষণ ধরে সিয়ামকে ফোন দিচ্ছে কিন্তু সিয়াম ধরছেনা।অবশেষে রাগ করে ফোন দেওয়া বন্ধ করে দিলো।সিয়াম সকাল বেলা ঘুম থেকে ওঠেই দোকানে গিয়েছে।দোকান থেকে ফ্রেশওয়াস কিনে বাসায় আসলো।বাসায় এসে ফোন হাতে নিয়ে দেখলো সাদিয়া অনেকবার ফেন দিয়েছিলো।সে ফোন ব্যাক করলো।রিং হওয়ার সাথে সাথে ফোনটা রিচিভ হলো।
:-কই ছিলে তুমি(সাদিয়া)
:-একটু দোকানে গিয়েছিলাম।
:-ও।
:-আজ দেখা করবে?
:-না করবোনা।কারণ তুমি শুধু দেরী করে আসো।
:-আজ তাঁড়াতাঁড়ি আসবো।
:-সত্যিতো
:-হ্যা সত্যি।
:-তাহলে আমি রেডি হয়ে বেরোচ্ছি।তুমিও রেডি হয়ে পার্কে চলে আসো।
:-ওকে।
সিয়াম রেডি হয়ে পার্কের উদ্দেশ্য রওনা দিলো।১৫ মিনিটের মধ্যেই সে পার্কে পৌঁছে গেলো।গিয়ে দেখে সাদিয়া বসে আছে।সাদিয়া লাল একটা জামা পড়ে এসেছে।মুখে হালকা মেকাপ করেছে।সাদিয়াকে সিয়ামের কাছে পরীর মত লাগছে।সিয়াম সাদিয়ার পাশে গিয়ে বসলো।সাদিয়া সিয়ামের দিকে তাঁকাতেই ভুত দেখার মত চমকে ওঠলো
:-তোমার কী হয়েছে?মুখে এগুলো কী দিয়েছো?(সাদিয়া)
:-কিছুনা কিছুনা(সিয়াম)
:-কিছুনা মানে?মুখে এরকম মেকাপ দিয়েছো কেনো?পুরো ভাল্লুকের মত লাগছে।চুলগুলো এমন খাঁড়া খাঁড়া কেনো?
সাদিয়া তাঁর ব্যাগ থেকে পানির বোতল বের করে দিয়ে বললো
:-তাঁড়াতাঁড়ি মুখ ধুরে ফেলো
সিয়াম সাদিয়ার কথা মত মুখ ধুয়ে ফেললো
:-আবার মুখে লিপিষ্টিক দিয়েছো কেনো?আর পায়ে এটা কী পড়েছো?ছেঁড়া জুতা কেনো?(সাদিয়া)
:-না মানে।না মানে টিসু দাও(সিয়াম)
সাদিয়া ব্যাগ থেকে টিসু বের করে দিলো।সিয়াম টিসু নিয়ে তাঁর ঠোঁট থেকে লিপিষ্টিক মুছে ফেললো।সাদিয়া সিয়ামের এমন কান্ড দেখে হেঁসে কুটিকুটি হয়ে যাচ্ছে।
:-তুমি কোনদিনও ঠিক হলেনা।তোমাকে এরকম কে সাঁজতে বলেছে?(সাদিয়া)
:-তুমিইতো বললে তোমার ফুফাতো ভাই অনেক সুন্দর তাইতো আমি মেকাপ দিয়ে সুন্দর হলাম।তুমি দেখোনা ছবিতে নায়করা মেকাপ করে কত সুন্দর হয়।(সিয়াম)
:-তোমাকে পিটানি দেওয়ার দরকার।আমিতো রাতে ওই কথাগুলো ইয়ারর্কী করে বলেছিলাম।তুমি আসলেই একটা কেয়ারলেস।চলো আজ সারাদিন আমরা ঘুরবো।
:-সত্যি
:-হ্যাঁ।চুলগুলো ঠিক করো।
:-তুমি ঠিক করে দাও।
সাদিয়া সিয়ামের চুল ঠিক করে দিচ্ছে আর সিয়াম সাদিয়াকে দেখছে।
:-ওভাবে কী দেখো(সাদিয়া)
:-তোমাকে(সিয়াম)
:-আমার লজ্জা করেনা বুঝি।
বলেই সিয়ামের বুকে মাথা লুকালো আর সিয়ামও সাদিয়াকে তাঁর ভালবাসায় জরিয়ে নিলো।এভাবেই চলতে থাকে কেয়াললেস ছেলের ভালবাসা

**************************সমাপ্ত***************************

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত