ক্লাসে বসে আছে নিরু আর মাহির
নিরুর কাছে গিয়ে,
মাহির : হাই আমি মাহির
নিরু : কোনো কথা নাই
মাহির : কি ব্যাপার মন খারাপ নাকি :
নিরু : কোনো কথা নাই,
মাহির : কিছু তো বলো?
এবার নিরু চিৎকার করে বললো, প্লিজ যাও তো, তোমার সাথে কোনো কথা বলার ইচ্ছে আমার নেই,
সবাই তাকিয়ে আছে মাহিরের দিকে,
মনটা খারাপ করে মাথা নিচু করে চলে আসলো মাহির,
বন্ধুদের সাথে বাজি ধরেছিলো মাহির প্রেম করবে নিরুর সাথে,
বাজিটা এখন রাগে পরিনত হয়ে গেল একটা অপমানে,
.
পরেরদিন আবার ও মেয়েটির সাথে কথা বলতে গেলো মাহির , নিজের টার্গেট টা কে যেমন করে হোক হাসিল করতে হবে তাকে, কিন্তু একটা জিনিস বুজতে পারলো মাহির যে নিরুর কোনো না কোনো প্রবলেম নিশ্চয় হয়েছে। যা জন্য নিরু সব সময় চুপচাপ বসে থাকে। কারো সাথে কথা বলে না।
নিরুর মুখ দিয়ে তার মনের কথা বের করা সম্ভব না তাই মাহির নিরুন ক্লোজ ফেন্ড জেইনের সাথে কথা বললো,
ফেন্ডের কাছ থেকে জানতে পারলো, নিরুর নাকি কিছুদিন আগে ব্রেক আপ হয়েছে, তাই এখন ও এমন করে, সারাদিন মন খারাপ করে থাকে।
মাহির রাগের স্বরে,
মাহির : কলেজ আসে ক্যান বাসায় থাকলে কি হয়।
জেইন : বাসায় থাকলে ওর বাবা রাগারাগি করে ।
আমি : হুম বুজতে পারছি। ওকে বাই
জেইন – বাই
.
বিষয়টা যতোটা সহজ মনে করছিলো ততটায় কঠিন হয়ে গেল মাহিরের জন্য । তবে উদ্দেশ্য হাসিল করতে হলে মেয়েটার মনে জায়গা করে নিতে হবে খুব গভীর ভাবে।
কেমনে কি করবে বুজে উঠে পারছে না মাহির, অনেক কষ্টে একটা বুদ্ধি বের করলো,
যদি কাজে দেয় তো উদ্দেশ্য টা হয়তো সফল হতেও পারে
.
জেইনের কাছ থেকে নিরুর নাম্বার টা নিলো মাহির, নাম্বার নিয়ে সেদিন রাতে ফোন দিলো নিরুকে,
মাহির : হ্যালো
নিরু : কাকে চাই
>> যার সিম তাকে
>> সিমটা আমার, এবার বলুন কি চাই
>> তেমন কিছু না,,, বাই বলার জন্য ফোন দিয়েছিলাম
>> নিরু অন্য কোনো কথা বলার আগেই ফোনটা কেটে গেলো
ফোন রেখে চিন্তা করছে নিরু, কি আজব ছেলে রে বাবা, সবাই ফোন দেয় কথা বলার জন্য আর এই ছেলে ফোন দিয়েছে বাই বলার জন্য, সামান্য হাসি ফুটে উঠলো নিরুর ঠোটে , কিন্তু সন্দেহ হচ্ছে তার, হয়তো চেনা কেউ হবে, তা না হলে এভাবে কেউ বাই বলতো না।
কিছুক্ষন আগে আসা নাম্বারে ফোন দিলো নিরু, কিন্তু রিং হলেও ফোন ধরলো না কেউ। ফোন টা রেখে দিলো নিরু।
পরের দিন ক্লাসে চুপচাপ বসে আসে মাহির হটাৎ নিরু এসে বসলো তার সামনে
>> কিছু বলবে
>> হুম
>> বলো, শুনি
>> আসলে ঔই দিনের জন্য সরি
মাহিরের মনে হচ্ছে সেদিন নিরু যেভাবে তাকে অপমান করছে আজ সেটা ফিরিয়ে দেবে, কিন্তু না নিজেকে কন্টোল করে বললো
>> সমস্যা নাই আর আমি মাইন্ড করি নি
>> ধন্যবাদ, আমরা তো ফেন্ড হতেই পারি তাইনা
>> অবশ্যয়।
বন্ধুত্ত পর্ব শেষে মাহির চিন্তা করছে, এক দিক দিয়েই ভালোই হচ্ছে। নিরুকে এবার দোটানায় ফেলানো যাবে। যেটা হবে আমার অপমানের বদলা।
রাতে মাহির নিরুকে একটা মিসকল দিলো।
নিরু নাম্বার টা দেখেই বুঝতে পারলো ছেলেটা আবার ফোন দিছে শয়তানির জন্য, মাহিরকে কথা শোনানোর জন্য ফোন দিলো নিরু কিন্তু মাহির ফোন অফ করে রেখেছে।
ঘন্টা খানেক পর ফোন আসলো নিরুর ফোনে, এবার নিরু ফোন ধরলো না, সেও মজা নিবে। তিনবার ফোন দিলো মাহির কিন্তু নিরুর কোনো সারা না পেয়ে ফোনটা রেখে দিলো সে। মাহির ও আর ফোন দিলো না।
নিরু সময় টা মনে রাখলো ছেলেটা প্রতিদিন একই সময় ফোন দেয়।
পরের দিন ক্লাসে বসে আছে নিরু আর মাহির। প্রথম বেলের ক্লাস টা হবে না, সার আসে নি।
মাহির তাকালো নিরুর দিকে, নিরুর মনটা মনে হচ্ছে খারাপ। বেন্ঝে থেকে উঠে গিয়ে নিরুর পাশে মাহির।
– মন খারাপ কেনো
– না তেমন কিছু না
– তুমি আমায় বিশ্বাস করতে পারো
– বিশ্বাস অবিশ্বাসের কিছু না
– তো ভরসা করতে পারো
– একটা ছেলে আমায় ব্ল্যাকমেইল করছে
– কেনো
– ওর কাছে নাকি আমার কিছু নেগেটিভ ফটো আছে, আমি জানি এটা মিথ্যা তবুও বিশ্বাস হচ্ছে না, প্রযুক্তির যুগ কত কিছুই তো সম্ভব।
– তুমি যদি চাও আমি ওই ছেলেটাকে খুজে বের করতে পারি
– তুমি পারবে কি সত্যিই।
– হুম পারবো
– অন্য কাউকে বলো না প্লিজ
– ওকে
মাহির নিরুর থেকে নাম্বার টা নিলো, মাহিরের একটা ফেন্ড কাজ করতো কাস্টমার কেয়ারে, তার কাছ থেকে খোজ খবর নিয়ে জানতে পারলো সিমটা রেজিস্টেশন করা হয়েছে আনিসুর রহমানের নামে। মাহির তার ফেন্ডের কাছ থেকে আনিসুরের ঠিকানা নিয়ে তার বাসায় গেলো, বাসায় খোজ নিয়ে জানতে পারলো বাসায় মাত্র তিন জন লোক থাকে। আনিসুর রহমান, তার ছেলে, এবং তার স্ত্রী। মাহিরের বুজতে বাকি রইলো না কাজ টা কে করেছে। ছেলেটার একটা পিক জোগাড় করলো মাহির।
পিক টা নিয়ে গিয়ে নিরু কে দিলো
– আমার মনে হয় এই ছেলেটাই এই কাজ করেছে
নিরু সামান্য চমকালো
– এই ছেলে, এতো রাহাত
– তুমি কি ওকে চেনো
– হুম আমার এক্স বয়ফেন্ড
– তাহলে ওই করেছে
নিরু এবার চুপ হয়ে গেলো, যাকে সে ভালো বাসতো সে কিনা তার সাথে এমন একটা বিহেব করলো, নিরু সামান্য শকড খেলো
পরের দিন সকালে নিরু মাহির কে ফোন দিয়ে আসতে বললো
মাহির নিরুর সাথে গিয়ে একটা খোলা জায়গায় গিয়ে দাড়ালো
কিছুক্ষন পর সুন্দর করে স্মার্ট ছেলে আসলো, মাহির বুজতে পারলো ছেলে টা নিরুর এক্স বয়ফেন্ড
– তুমি যে এতটা ছোট লোক নির্লজ্জ তা জানতাম না।
– সরি নিরু সরি সরি
– প্লিজ রাহাত ঢং করা বাদ দাও
– এই নাও তোমার টাকা
– প্লিজ নিরু আমার ভুল হয়ে গেছে তুমি প্লিজ আমায় মাফ করে দাও
– রাহাত আমি তোমায় অনেক ভালবাসতাম, বিশ্বাস করতাম, কিন্তু তুমি যে তার এমন মর্যাদা করবে তা জানতাম
কথা টা বলেই আমার হাত ধরে হ্যাসকা টান দিলো নিরু, আমি নিরুর সাথে হাটা দিলাম।
– বুজতে পারছি নতুন কেউ লাইফে এসেছে তো এখন তো আর আমার কথা মনে থাকবে না
নিরু স্থির হয়ে কথাটা শুনলো, তারপর মাহিরের হাতটা ছেড়ে দিয়ে রাহাতের সামনে গিয়ে দাড়ালো,
রাহাত কিছু বুঝে উঠার আগেই ঠাস করে একটা থাপ্পর মারলো নিরু
– আর কোনো দিন আমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবে না আর হুম ও আমার বয়ফেন্ড
মাহির কথাটা শুনে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো
কথা শেষে নিরু আবার আমার হাত ধরে হাটা শুরু করলো
নির্দিষ্ট দুরুত্ব পার হয়ে, মাহিরের হাত টা ছেড়ে দিলো নিরু,
– সরি
– কেনো
– আসলে তোমার কথাটা ওর সামনে বলার জন্য
– সমস্যা নাই
রাতে নিরুকে ফোন দিলো মাহির তবে রাফসান হিসেবে
– কি চাই প্রতিদিন ফোন দেন কেনো
– একটা কথা বলার জন্য
– কি
– আচ্ছা মেয়েদের কখন সব থেকে বেশি সুন্দর লাগে
– আমি কি জানি
কথাটা শেষ হওয়ার আগেই ফোনটা কেটে গেলো
নিরু এবার ফোন দিলো কিন্তু কেউ ফোনটা ধরলো না।
নিরুর মনে মনে বললো, কি ছেলে রে বাবা প্রতিদিন কি সব আজগুবি কথা বলে, তবে এমন একটা জিনিস তো সে কখনো ভেবে দেখে নি,
একটা মেয়েকে কখন সব থেকে বেশি সুন্দর লাগতে পারে, জানে না সে
আবার ফোন দিলো, ফোনটা রিসিভ হলো
– উত্তর খুজে পেয়েছেন
– না কি হবে
– একটা মেয়ে যখন মন খুলে হাসে
– এটা কোনো উত্তর হলো
– হুমম এটাই উত্তর
– আচ্ছা আপনি হুট করে ফোন কেন কেটে দেন
– মোবাইলে টাকা থাকে না তো
– আমি ফোন দিলে কথা বলেন না কেন
– আপনিই তো বলেছেন অপরিচিত কারোর সাথে কথা না বলতে
– ঠিক আছে পরিচয় দিন আপনার
– আমার নাম রাফসান আপনার
– আমার নাম নিরু, কি করেন
– পড়াশোনা আপনি
– সেইম
তারপর টুকি টাকি কিছু কথা হলো সেটা যাস্ট পরিচয় পর্ব তে সিমাবদ্ধ।
মাহির ফোনটা কেটে দিলো।
পরের দিন কলেজে বসে আছে ক্লাসে, নিরু আর মাহির
– চলো মাহির আজ তোমাকে ট্রিট দিব
– কেন
– না আসলে তুমি আমার এতো উপকার করলে তার জন্যই
– ওকে
ক্লাস শেষে দুজন রওয়ানা দিলো রেস্টুরেন্টের পথে,
– কি খাবে বলো
– তুমি যা খাওযাবে
– আমি কি জানি তুমি কি খাও কি খাও না
– সমস্যা নেই তুমি ওর্ডার দাও
খাওয়া দাওয়া শেষে বাসায় চলে আসলো মাহির আর নিরু,
রাতে মাহির ফোন দিলো নিরুকে,
– হাই
– হ্যালো
– কি করো
– তোমার ফোনের অপেক্ষায় ছিলাম
– কেন এমন টা কেন
– আমি জানতাম কিছুক্ষনের মধ্যে তুমি ফোন করবে
– বাহ ভালো তো
– হুমম,,,তা আজ কোনো আজ গুবি প্রশ্ন করবে না
– হুমম
– কি
– বলো
– লম্বা চুল ওয়ালা মেয়ে গুলা অহংকারি কেন হয়
– কেন যে জানি না তো, তুমি জানো
– না, জানা নেই
– এমন প্রশ্ন কেন করো যার উত্তর জানা নেই
– আমি তো উত্তর জানার জন্যই তোমার কাছে প্রশ্ন করলাম
– আচ্ছা বাদ দাও, কি করো
– কিছু না,,, খাওয়া দাওয়া হয়েছে
– হুম…তোমার
– হুমম….
এভাবেই চলছিল মাহির আর নিরুর কথা বর্তা। প্রায় মাস খানেক পর
নিরু এখন প্রায় দোটানায়, কারন এই এক মাসে সে বুঝতে পেরেছে মাহির তাকে ভালবাসে আর সে ভালবাসে রাফসান কে। এক দিকে মাহির, অন্য দিকে রাফসান। নিরু চিন্তা করে কুল পায় না সে কাকে বেশি গুরুত্ব দিবে। দুটানা বাদ দিয়ে বড় একটা সিদ্দান্ত নিলো নিরু, গুরুত্ব দিবে সে নিজের ভালবাসা কে। প্রপোজ করবে রাফসান কে।
অন্য দিকে মাহির ও সিন্ধান্ত নিলো এবার সে প্রতিশোধ নিবে নিরুর কাছ থেকে।
রাতে
– হাই
– কি করো মাহির
– এই তো তোমার সাথেই কথা বলি,,তুমি
– সেইম
– তোমাকে একটা কথা বলতে চাই
– কি বলো
– কিভাবে যে বলবো বুঝতে পারছি না
– কি এমন কথা যে তুমি বলতে সংকোচ করছো
– আসলে মাহির আমি তোমাকে পছন্দ করি
– শুধু পছন্দ করো নাকি অন্য কিছু
– হুমম,,,আমি তোমাকে ভালবাসি
– তুমি তো আমাকে দেখও নি জানোও না আমাকে তো আমাকে কি করে পছন্দ করলে
– তোমার মুখের কথা তেই তোমাকে চেনা জানা দুটোই হয়েছে,
– যদি আমি প্রতিবন্ধি হয়
– হলে হবে সমস্যা নেই কোনো
– আমি ইমপ্রেস্ড
– এখন বলো তুমি আমাকে ভালবাসবে কিনা
– ভেবে দেখতে হবে
– ওও
– আমি তোমাকে কথা টা কাল বলি
– ওকে
– বাই
বলেই কেটে দিলো মাহির
নিরু বাই বলার সময় সুযোগ কোনো টাই পেলো না। সামান্য মন খারাপ হলো নিরুর। তবুও চিন্তা বাদ দিয়ে ঘুমিয়ে।
অন্য দিকে মাহিরের মনের মধ্যে যেনো আনন্দ যেনো ধরছে না। অবশেষে সে সফল।
পরের দিন,
কলেজে মাহির আর নিরু,
নিরুকে সামান্য চিন্তিত দেখে মাহির নিরুর কাছে গেলো,
– কিরে কি হয়েছে তোর
– কিছু না
– সত্যিই
– হুমম
– এই নে
– কি
– চিরকুট
– কিসের
– এটা পরলেই বুঝতে পারবি
– ওকে পরছি
– এখন না প্লিজ বাসায় গিয়ে পরিস
– ওকে
নিরুর বুঝতে বাকি হয়লো না এটা কিসের জন্য মাহির ওকে দিয়েছে, পারলে এখন ই বিষয় টা বুঝিয়ে বলতে পারতো কিন্তু এখন ক্লাসে না বলে পরে বুঝিয়ে বলাটাই বেটার হবে।
বাসায় গিয়ে চিঠি টা পড়লো নিরু,
সামান্য অবাক হলো নিরু চিঠি টা পরে, চিঠির লেখাটা বেটার ছিলো।
রাতে নিরু রাফসান কে ফোন দিলো কিন্তু সুইস অফ রাফসানের তথা মাহিরের ফোন,
অস্থির হয়ে গেলো নিরু, সারা রাত মিলে একশো বার ফোন দিলো সে রাফসান কে কিন্তু সুইস অফ।
পাগল প্রায় নিরু আর কলেজে গেলো না পরের দিন। ফোন দিলো সারা দিন কিন্তু কাজ হলো না, রাতে মোবাইল পাশে নিয়ে শুয়ে আছে নিরু,
হঠাৎ ফোনের শব্দে ফোনে ফোন টা হাতে নিলো নিরু,
– কি সমস্যা কি তোমার ফোন অফ করে রাখছো কেন
– আসলে ফোনে সমস্যা ছিলো
– ফোন সারতে এত সময় লাগে নাকি, তুমি জানো আমি কতো টেনশন এ ছিলাম। আচ্ছা বাদ দাও এখন বলো তুমি রাজি কিনা,
– আমি রাজি তবে একটা শর্তে
– কি
– আমাকে সবার সামনে প্রপোজ করতে হবে
– কিন্তু তোমায় পাবো কই
– তোমার কলেজে
– আমার কলেজে, কিন্তু কি করে
– একটা সকড দেই তোমায়
– কি
– আসলে আমি মাহির
– তুমি মাহির কিন্তু কেমনে সম্ভব
– সবই সম্ভব
– বিশ্বাস হচ্ছে না
– ওকে ওয়েট
মাহির এবার নিজের নাম্বার থেকে ফোন দিলো নিরুর ফোনে
নিরুর আর বুঝতে বাকি রইলো না মাহিরই রাফসান রাফসানই মাহির।
– এখন বলো কাল সবার সামনে প্রপোজ করবে তো
– ওকে
পরের দিন মাহির তার সকল বন্ধুদের এক করলো বিষয় টা নিজের চোখের দেখার জন্য,
কলেজে ঢুকে নিরু ফুল হাতে প্রপোজ করলো মাহির কে
– সরি নিরু
– মানে
– মানে তেমন কিছু না, তোমার সাথে প্রেম করা টা একটা বাজি
– মাহির প্লিজ জোকস মেরো না
– সত্যি জোকস না
মাহিরের পাশে থাকা বন্ধুরা এবার মাহিরের পাশে এসে দাড়ালো
– বা দোস্ত তুই একটা জিনিস ই
– স্বিকার করলি তাহলে
এটা কি হলো মাহির, কাজ টা ঠিক করলে না মাহির, তুমি আমার লাইফ নিয়ে এভাবে খেললে, একদিন তোমার সাথে এমন কিছু হবে তখন বুঝবে কেমন লাগে।
কথা গুলো বলে কান্না করতে করতে চলে গেলো নিরু। মাহির তার ফেন্ডদের সাথে কথা বলতে বলতে ক্লাশে চলে গেলো।
কিছুদিন পর মাহির বুঝতে পারলো, ইচ্ছাই না হলেও অনিচ্ছায় নিরু তার জিবনে অনেক টা অংশ জুড়ে মিশে গেছে। যার অনুভব তাকে কষ্ট দেয়।
কিন্তু ততক্ষনে অনেক দেরি হয়ে গেছে মাহিরের। নিরু কে অনেক খুজেও আর খোজ পায়নি নিরুর। আজও মাহির আপসোস করে কেন সে সামান্য বাজির জন্য কষ্ট দিলো নিরুকে।