নিকৃষ্ট মেয়ের নির্মম খেলা

নিকৃষ্ট মেয়ের নির্মম খেলা

নিকৃষ্ট তুমি প্রকাশ করেছো। আমিও প্রমাণ পেয়েছি তোমার নিষিদ্ধ যৌন ছবি দেখে। আমিও পেয়েছি প্রমাণ তোমার ফোন ট্রাক করে স্পাই লাগিয়ে। আমিও প্রমাণ পেয়েছি তোমার ৩ টা আইডি হ্যাক করে।

শুনেছি তোর আগের তিনজন বয়ফ্রেন্ডের কান্নার ধ্বনি যারা প্রতারিত হয়েছে তোর কাছে। যারা আমার মতো জানতো না তুই বিবাহিতা; যাদের তুই আমার মতো মাথায় হাত দিয়ে বলেছিস, তুই কুমারী। অথচ তোর স্বামীসহ প্রত্যেকের সাথে তোর যৌন সম্পর্ক ছিলো। ছি! মেয়ে হয়ে তোর ঘৃণাবোধ নেই অথচ আমার লিখতেই লজ্জাবোধ হচ্ছে।

তুই আমাকে ফোন করে বলতি, আমি তোমার হয়ে থাকবো তার নয়। তাদের ফোন করে বলতি তাদের হয়ে থাকবি আমার নয়। বড় নিকৃষ্ট তুই।

একটু মনষ্যুবোধ নেই তোর। তার জন্য কাঁদতি তার সামনে, আমার জন্য কাঁদতি আমার সামনে। একটু কখনো ভেবেছিলি এর শাস্তি তুই কখনো ভোগ করবিনা?

ছি! তোর একটু লজ্জাবোধ ছিলো না। বাবা মার কাছে তোর নিজের সম্মানবোধ হারালি। তোদের জন্যই কতো ব্রিলিয়ান্ট ছেলেরা নিত্য করছে কতো অপরাধ। কষ্টের টাকা তোর পায়ের নিচে বিলিয়ে দিয়ে ডেটে যাওয়া, সে তো তোর জন্য পরম আনন্দ লাভ। নিজের দেহ ক্ষুধা মিটিয়ে নিচ্ছিস।
দেহ ক্ষুধা মিটানোর ইচ্ছা থাকলে দেহ ব্যবসায় নেমে যেতি। কেনো বেছে তরুণ নওজোয়ান জুনিয়র ভদ্র বোকা ছেলেটাকে এবং ছেলেটার ক্যারিয়ার নষ্ট করছিস। তোর মতো পতিতার হয়তো ক্যারিয়ার নেই। কিন্তু তাদের দুর্বল মনেও একটা ক্যারিয়ার তৈরির স্বপ্ন আছে।

ছেলেটা সব জানতে পারার পর তাকেও ফেলে দিচ্ছিস। পারবি কি দশজনার অভিশাপ থেকে বাঁচতে? পারবি সৃষ্টিকর্তার নিয়তিকে অস্বীকার করতে? পারবি না।
গতকাল কয়েকজনার সাথে করছিস, তারা তোর ছিলো মতো। আজ আমার সাথে করছিস আমি বেঁচে গেলাম। কাল আরেকজনার সাথে করবি সেও হয়তো নিজেকে সামলে নেয়ার চেষ্টা করবে। তবে পরশু, যার সাথে করবি সেও নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেও বাঁচতে পারবেনা। পারবি কি মৃত্যুর দ্বায় বহন করতে?

পৃথিবীর সব অপরাধের শাস্তি আছে। তবে মনস্তাত্ত্বিক কোন অপরাধের শাস্তি নেই। থাকলে এর সর্বচ্চো শাস্তি তুই পেতি।
কাউকে পাগল বানাবি; কাউকে লাশ, কাউকে আবার বানাবি অমানুষ। একদিন তোর কি হবে, পাপ মোচন কিভাবে করবি? দশটা ছেলের বিছানায় গেছিস। তোকেও তো একদিন প্রাণহীন নোংরা দেহ নিয়ে মাটির বিছানায় যেতে হবে। এটা মাথায় রাখিস।

নিজের দেহ ক্ষুধা মিটানোর জন্য বাংলাদেশে অনেক যৌনপল্লী আছে। সেখানে যা, কোন পবিত্র মানুষের মনে গিয়ে তারপর তার তাকে বিছানায় যাওয়ার জন্য সায় দিস না। আর হ্যা, বাবার ভদ্র ছেলেটাকে তোর মতো নামহীন পতিতার জীবণের উচ্ছিষ্ট বানাস না।

ডাইরি বন্ধ করে চোখের পানি মুছে গেলাম রোমানের কাছে। প্রতিরাত সে আমায় শান্তনা দেয় আর বলে, আমি আমার সেই মামুদকে দেখতে চাই যে মানুষের মুখে হাসি ফোটাতো। আর আজ কয় মাস তার মুখ শুকনো থাকে। তারপর আমায় একটা সিগারেট খাইয়ে গল্প শেষ করে মিথ্যে শান্তনা দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেয়। বাসায় এসে ঘুমের ২ টা ঔষধ খেয়ে ঘুমিয়ে যাই। কারণ আমি এটাও পারছিনা নিকৃষ্ট এক আড়ালে পতিতাবৃত্তিতে জরিয়ে থাকা “তুমি” এর জন্য জীবনের বিরাম বসাতে। হয়তো আমি তার উচ্ছিষ্ট, তাই আজ আমার নিজের প্রতি নিজের ঘৃণা হচ্ছে।

একটা সম্পর্কে বিশ্বাসের সাথে কিছুটা সন্দেহ না রাখলে হয়তো এই গল্পের ছেলেটির মতো অবস্থা হতে পারে। একজনকে সম্পর্ণ না জেনে কখনোই সম্পর্কে জরানো উচিৎ নয়। মূল কথা, বিয়ের আগে কারো সাথেই সম্পর্কে জরাতে নেই। নয়তো সে সম্পর্কে নোংরামী চলে আসতে পারে।

গল্পের বিষয়:
ভালবাসা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত