কলেজ ক্যাম্পাসে অাড্ডা চলছে।যথারীতি অাড্ডার প্রাণকেন্দ্র বিজয়ের গান অার গিটারের সুর।ছেলেটা সত্যি অসাধারণ গান গায় অার গিটার বাজায়। বন্ধুমহলের সবাই ওর গানের খুব ভক্ত।সবাই ওকে গায়ক হওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়।কিন্তু ওর সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।শুধুমাত্র বন্ধুদের সামনে গান গাওয়ার মাঝেই ও সীমাবদ্ধ।
–কিরে বিজয় গান শুরু কর।(ফাহিম)
–কি গান গাইব রে??(বিজয়)
–দুঃখের গান গা।(ফাহিম)
–কেনো??(বিজয়)
–দেখিস না অামাদের অভ্রের মনে দুঃখের কোনো শেষ নেই।(রবিন)
–হুম কয়েকদিন ধরেই দেখছি অভ্রের মনটা খুব খারাপ দেখাচ্ছে।(জবা)
অাড্ডা শেষে সবাই যে যার মতো চলে যাচ্ছে।শুধু অভ্র চুপচাপ বসে অাছে।অভ্র বিজয়ের বেস্ট ফ্রেন্ড।বেশ কয়েক বছর ধরেই একসাথে অাছে ওরা।ছেলেটা সত্যি একটু চাপা স্বভাবের।নিজের দুঃখ কস্টের কথা কারো সাথে শেয়ার করতে চায় না।এমনকি বন্ধুবান্ধবদের সাথেও না।মাঝে মাঝে বিজয়ের খুব রাগ হয় অভ্রের কথা ভেবে।বন্ধুর সাথে যদি সব কথা শেয়ারই না করে তাহলে কীসের বন্ধু ও
–কিরে অভ্র,কি হয়েছে তোর?(বিজয়)
— কিছু হয় নি রে।(অভ্র)
— দেখ তোকে অামি ভালো করেই চিনি।কী হয়েছে সব খুলে বল অামাকে।(বিজয়)
–অামার মনে হয় অার পরীক্ষা দেওয়া হবে না রে।(অভ্র)
–মানে কী???
–বাবার চাকরি চলে গেছে ২ মাস ধরে।অার সংসারের খরচ চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।তাছাড়া অনেক ধার-দেনা করা হয়ে গেছে।অামার কাছে অল্প কিছু টাকা অাছে।অার ফরম পূরণের শেষ তারিখ পরশুদিন।কেউ টাকা ধারও অার দিতে চাইছে না রে
–এসব কথা অামাকে অাগে বলিস নি কেনো??অার পরীক্ষা দিতে পারবি না একথা অার মুখেও অানবি না। তুই নিশ্চিন্তে থাক।টাকার ব্যবস্হা অামি করবো।
–দেখ বিজয় শুধু শুধু কস্ট করতে যাস না।
–একদম চুপ থাক।অার দূর হ অামার সামনে থেকে!অামি বেঁচে থাকতে তুই পরীক্ষা দিতে পারবি না এটা কখনো হবে না।
বিজয় বসে বসে অভ্রের কথা ভাবছে।যে করেই হোক টাকাটা জোগাড় করতেই হবে।বিজয়ের পরিবার অতটাও স্বচ্ছল না যে দুইজনের ফরম পূরণের টাকা দেওয়া সম্ভব হবে।কিন্তু বসে থাকলে হবে না।অভ্রের বাবার যখন চাকরি ছিলো তখন অভ্রের পরিবার বেশ স্বচ্ছল ছিলো।এমনকি বিজয়কে টাকা-পয়সার ব্যাপারে অনেক সাহায্য করেছে অভ্র।অার অভ্রের এই দুঃসময়ে বিজয় কিছু করতে পারবে না তা তো হতে পারে না।
অবশেষে বিজয় একটা সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললো।সে তার প্রিয় গিটারটা বিক্রি করে দিবে।গিটারটা তার কাছে কতটা প্রিয় এটা কারোই অজানা নয়।অার গিটারটা কেনার জন্য তাকে যে কস্ট করতে হয়েছে সে ইতিহাস গোপন থাকাই ভালো।কিন্তু গিটারটা প্রিয় হলেও এটা তার বন্ধুর চেয়ে বেশি প্রিয় নয়।বন্ধুর জন্য এটুকু সে করতেই পারে।
গিটার বিক্রি করার জন্য লোকও পেয়ে গেলো বিজয়।
–জানিস এবার একটা গিটার কিনেই ফেলবো।(রাফি)
–সত্যি বলছিস ভাইয়া??(নিঝুম)
–হ্যাঁ।একজন তার একটা পুরাতন গিটার বিক্রি করে দিচ্ছে।পুরাতন হলেও গিটারটা খুব ভালো অার সুন্দর।অার ব্যবহার্য জিনিস হওয়ায় বাজারের চেয়ে কম মুল্যেই কিনতে পারবো।(রাফি)
–কিন্তু গিটার কিনলে তো একটা সমস্যা অাছে।(নিঝুম)
–কী??
–প্রতিদিন তোর বেসুরে গলায় গান শুনতে হবে।হি হি হি
— অামার গলা বেসুরে না??দাঁড়া তোকে দেখাচ্ছি মজা!
— না ভাইয়া সত্যি বলছি তুই গিটারটা কিনলে অামি প্রতিদিন গান শুনতে পারবো।
এতক্ষণ কথা হচ্ছিল রাফি অার নিঝুমের মধ্যে।পিঠাপিঠি ভাই-বোন ওরা।রাফি নিঝুমের থেকে এক বছরের বড়।রাফির অনেকদিনের শখ একটা গিটার কিনবে।অার এজন্যে নিঝুমও তাকে অনুপ্রেরণা দেয়।বলতে গেলে নিঝুমই রাফির একমাত্র সংগীত শ্রোতা।
গিটারটা বিক্রি করা হয়ে গেছে।টাকাগুলো নিয়ে অভ্রের কাছে যাচ্ছে বিজয়।তবে অভ্রকে কোনমতেই জানতে দেওয়া যাবে না যে সে গিটার বিক্রি করে টাকা এনেছে।অার পরীক্ষার অাগ পর্যন্ত সে কোনভাবে বন্ধুবান্ধবদের থেকে এড়িয়ে চলবে।তাহলেই কেউ জানতে পারবে না।
–এই নে তোর ফরম পূরণের টাকা।(বিজয়)
–কিন্তু তুই এত তাড়াতাড়ি টাকা জোগাড় করলি কোথা থেকে??(অভ্র)
–সেটা তোর না জানলেও চলবে।অামার ফরম পূরণ করা শেষ।এবার তুই তাড়াতাড়ি তোরটা পূরণ কর যা
–কিন্তু??
–কোনো কিন্তু নয়।যেতে বলেছি যা।
–অাচ্ছা যাচ্ছি।
এইচএসসি পরীক্ষা শেষ।সবার পরীক্ষা মোটামুটি ভালোই হয়েছে।এবার বিজয়ের কাছ থেকে গান শোনার পালা।পরীক্ষার ব্যস্ততায় অনেকদিন বিজয়ের গান শোনা হয় নি।
–কিরে বিজয় অাজকে তোকে গান শোনাতে হবে কিন্তু(ফাহিম)
–হ্যাঁ।কিন্তু কি গান শোনা যায় বল তো??(রবিন)
–তাড়াতাড়ি তোর গিটারটা নিয়ে অায় যা।অামরা অপেক্ষা করছি।(অভ্র)
–গিটারটা ভেঙে গেছে রে।অনেকদিন অাগেই কিন্তু অামি তোদেরকে বলি নি।(বিজয়)
–মানে কি??তাহলে কি তোর গান শুনবো না??(জবা)
–হয়ত শুনবি না হয় শুনবি না।(বিজয়)
কথাটা বলতে বলতে চলে গেলো বিজয়।অভ্রের কাছে ব্যাপারটা অদ্ভূত লাগছে।বিজয়ের গিটার ভেঙে গেছে অথচ এতদিন বললো না।অার বিজয় নিজের থেকে বেশি যত্ন নেয় গিটারটার। তাই গিটার অবহেলার কারণে বা বেখেয়াল হওয়ার কারণে ভেঙে গেছে এটা অভ্রের বিশ্বাস হলো না।
অবশেষে অভ্র অাজ সত্যিটা বের করেছে।তার গর্ব হচ্ছে বিজয়ের জন্য। অনেক সৌভাগ্যবান না হলে এমন বন্ধু পাওয়া যায় না।অভ্র সিদ্ধান্ত নিলো এবার বিজয়কে একটা সারপ্রাইজ দিবে। এদিকে অভ্রর বাবা চাকরিও ফিরে পেয়েছে।তাদের অাবার সুদিন ফিরতে শুরু করেছে।ধার-দেনা প্রায় পরিশোধ করা শেষ। অভ্র যে সত্যিটা জানতে পেরেছে এটা বিজয়কে বুঝতে দিলো না।সে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারলো গিটারটা কোথায় এবং কার কাছে অাছে।দরকার হলে সে দ্বিগুণ দাম দিয়েই এটা অাবার কিনে অানবে।বিজয় যদি এই গিটারটা ফিরে পায় তবে যে খুব খুশি হবে ছেলেটা। অভ্র সব কথা খুলে বললো রাফিকে।রাফিও বুঝতে পারলো বিষয়টা।কিন্তু রাফি গিটারটা এখনই দিতে রাজি হলো না।
–প্লিজ গিটারটা দাও ভাই।অামি দরকার হলে দ্বিগুণ দাম দিবো।(অভ্র)
–অামি গিটারটা দিয়ে দিবো তবে কিছুদিন পরে।অার এজন্যে অামাকে কোনো টাকা দিতে হবে না।(রাফি)
অভ্রর কাছে বিষয়টা বোধগম্য হলো না।তবুও সে অপেক্ষা করতে থাকলো। এইদিকে অাসল ঘটনাটা হলো রাফির ক্যান্সার হয়েছে। সে পৃথিবীতে খুব বেশিদিন বাঁচবে না।রাফির পরিবারের সবাই জানে যে রাফি বেশিদিন বাঁচবে না। রাফি এখনই গিটারটা দিতে চায় নি কারণ নিঝুম তার গিটার বাজানো খুব পছন্দ করে।সে চায় যতদিন বাঁচবে ততদিন অন্তত নিঝুমকে গিটার বাজিয়ে শোনাবে প্রতিদিন।অার তার মৃত্যু হলে বিজয়ের কাছে গিটারটা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্হা করে দিয়ে যাবে। এখনও প্রতিদিন নিঝুমকে গিটার বাজিয়ে শোনায় রাফি।নিঝুম চুপ করে গিটারের সুর শোনে অার চোখের পানি ফেলে।কারণ সে জানে তার ভাইটা অার বেশিদিন পৃথিবীতে বাঁচবে না।সম্ভব হলে সে নিজের জানটা দিয়ে হলেও ভাইকে বাঁচাত।কিন্তু অাফসোস সৃষ্টিকর্তা এমন কোনো ব্যবস্হা রাখে নি।
একদিন গিটার বাজাতে বাজাতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলো রাফি।নিঝুমের পৃথিবী যেনো থমকে গেলো।সারা জীবন ভাইয়ের সাথে করা দুষ্টুমি,খুনসুঁটি খুব মনে পড়ছে।অার কানে বাজছে গিটারের সেই সুর।
গিটারটা রাফির অাম্মু রেখে দিয়েছে।নিঝুম গিটারটা ধরে না এমনকি অন্য কাউকে ধরতেও দেয় না।একদিন রাফির অাম্মু গিটারটার ভেতরেই ছোট্ট একটা চিরকুট পেলো।তাতে একটা ফোন নাম্বার লেখা অার লেখা “নিঝুম অামি মারা যাবার পর গিটারটা ফিরিয়ে দিস”
ঐদিকে অভ্র অপেক্ষাতেই থাকে।রাফি যে তাকে বলেছিলো গিটারটা ফিরিয়ে দিবে।হঠাৎ অভ্রের নাম্বারে একটা ফোন অাসে।ফোনটা করেছে রাফির অাম্মু।নিজের ছেলের শেষ ইচ্ছাটা পূরণ করতে চান উনি।
অভ্র গিটারটা অানতে যায় রাফির বাসায়।তখন সব ঘটনা শুনে নিজজের চোখের পানি অার ধরে রাখতে পারে না।কিন্তু এসবের কিছুই নিঝুম জানতো না।গিটারটা অভ্রের হাতে দেখে সে পাগলের মতো শুরু করে।কিছুতেই গিটারটা নিতে দেবে না ও।কারণ এটাই যে তার ভাইয়ের শেষ স্মৃতি।নিঝুমের অাম্মু সব খুলে বলে কিন্তু নিঝুম কিছুতেই মানতে চায় না।সে গিটারটাতে কাউকে হাতই লাগাতে দেয় না।
অভ্র পড়ে যায় উভয় সংকটে।সে বুঝতে পারে না কি করবে।গিটারটা বন্ধুর কাছে ফিরিয়ে দিবে নাকি মেয়েটাকে কস্ট দিবে। ভাবতে ভাবতে হঠাৎ করে গিটারটা বাজাতে শুরু করলো অভ্র।নিঝুম কাঁদতে কাঁদতে শান্ত হয়ে গেলো।
সবশেষে নিঝুম রাজি হলো গিটারটা অভ্রকে দিতে। কিন্তু শর্ত দিয়ে দিলো নিঝুমকে প্রতিদিন গিটার বাজিয়ে শোনাতে হবে।কারণ নিঝুম জানত না যে অভ্র গিটারটা তার বন্ধুকে ফেরত দেওয়ার জন্য নিচ্ছে।সে মনে করেছিলো গিটারটা অভ্রর।অভ্রও কিছু না বলেই রাজি হয়ে গেলো।
এখন প্রতিদিনই নিঝুমকে গিটার বাজিয়ে শোনাতে হয় অভ্রর।কয়েকদিন চলার পর নিঝুম গিটারের সাথে গিটারওয়ালারও প্রেমে পড়ে যায়।অভ্রও ব্যাপারটা বুঝতে পারে।ধীরে ধীরে নিঝুম স্বাভাবিক হয়।এখন ভাইয়ার কথা খুব বেশি মনে পড়ে না।
অভ্র ভাবছে এইবার হয়ত তার সারপ্রাইজ দেওয়ার সময়টা এসে গেছে।এতদিন নিঝুমের দিকে তাকিয়ে গিটারটা নিজের কাছেই রেখে দিয়েছে।এবার বিজয়কে গিটারটা ফিরিয়ে দিতে হবে।অভ্রর বিশ্বাস নিঝুম এতে কিছু বলবে না।কারণ নিঝুম এখন পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে গেছে।অার দরকার হলে তারা দুজনে গিয়ে মাঝেমাঝে বিজয়ের কাছ থেকে গিটার বাজানো শুনে অাসবে।অার বিজয় তো অভ্রের চেয়েও অনেক ভালো গিটার বাজায়।তবে এই ব্যাপারে নিঝুমকে এখনো কিছু জানায় নি অভ্র।কারণ যদি নিঝুম না করে।ফেরত দেওয়ার পর জানালে হয়ত নিঝুম না করবে না। অভ্র গিটারটা একটা রঙিন প্যাকেটে মুড়িয়ে ফেলে।সাথে ছোট্ট একটা চিঠি লিখে রওনা দেয় বিজয়ের বাড়ির উদ্দেশ্যে।অাজকেই সারপ্রাইজটা দিবে বিজয়কে।খুব খুশি হবে বিজয়।
বিজয়ের কাছে এইমাত্র খবর এলো অভ্রকে নাকি রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রাক চাপা দিয়েছে।বিজয় ছুটে যায় সেখানে।এখনও অভ্রের শরীরে প্রাণ অাছে।অভ্র বিজয়কে এই বাক্সটা খুলে দেখতে বলে।বিজয়ের এতকিছু দেখার সময় নেই।সে দ্রুত অভ্রকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।কিন্তু অনেক দেরী হয়ে গেছে।অভ্রর জীবন প্রদীপটাও নিভে গেছে।বিজয়ের পৃথিবীটা ঘুরতে থাকে।খুব বড় কিছু হারিয়ে ফেলেছে সে কয়েকদিন পর অভ্রর সেই বাক্সটা খুললো বিজয়। একি!!এটা তো তার গিটারটা।চিঠিটাতে মোটামুটি সব ঘটনার বর্ণনা দিয়ে রেখেছে অভ্র।অার শেষে লেখা “তোর মতো বন্ধু পাওয়া সত্যি অনেক ভাগ্যের ব্যাপার রে,এই নে তোর গিটার,অামরা অাবার তোর গান শুনতে চাই,কিরে তুই খুশি হস নি??”
এইদিকে নিঝুম অাবার পাগলের মতো হয়ে উঠেছে।অভ্রের অনেকদিন হয় কোনো খোঁজ নেই।নিঝুম তার অাম্মুর কাছ থেকে জানতে পারে বিজয়ের কথা অার বিজয়ের বাড়ির ঠিকানা।কারণ অভ্রের বাড়িতে তালা ঝুলানো।বিজয়ের কাছে গেলে হয়তবা অভ্রের খোঁজ পাওয়া যাবে।
গিটারের সুর বাজছে।একি!! এটাত অভ্রের গিটার।গিটারটা অভ্রই বাজাচ্ছে তাহলে।পেছন থেকে অভ্র বলে ডাক দিলো নিঝুম।কিন্তু এটাত অভ্র না।তবে কি এটাই বিজয়??কিন্তু এই গিটার বিজয়ের কাছে অাসলো কিভাবে??অার অভ্রই বা কোথায়??
এবার বিজয় বলা শুরু করলো সব।প্রতিটা কথা নিঝুমের কানে বিঁধছে।নিঝুম কাঁদছে না।কিন্তু বিজয় বাচ্চাদের মতো কেঁদে যাচ্ছে।সে গিটারটা ভেঙে ফেলতে চাইছে।তার কাছে এই গিটারটা একটা অভিশাপ।কত জনের জীবন নিলো এই গিটারটা।নিঝুম বাঁধা দিববে নাকি বুঝতে পারছে না। এদিকে বাইরে খুব বৃষ্টি শুরু হয়েছে।কি জানি অাকাশটাও হয়ত তাদের দুঃখে কাঁদতে শুরু করে দিয়েছে
সমাপ্ত