গল্পটা আমার জিবনেরর পুরো অংশ আমি বাবা মায়ে ছোট ছেলে, আমার বড় একটা বোন আছে,আমার বাবা একজন পুলিশ ছিলেন সবাই বলে সব পুলিশ ঘুস খায়, এটা সুনলে হাসি আসে,, থাক আসল কথায় আসি, আমি যখন S.S.C পরিক্ষা দিবো তার ৭-৮ মাস আগে বাবা অবসরে আসে, সংসার এর কথা ভেবে চাকরি খুজতে শুরু করলাম পেয়ে গেলাম, ভালো চলছিল,,কলেজে ভর্তি হলাম চাকরি ছেরে দিলাম, engineer হবো মায়ের আসা, ভালোই কাটছিল, ২য় বর্ষ তে বাবা stock করলো, আবার চাকরি জিবন শুরু, অনেক কস্ট হতে তার পরেও কাউকে বলিনি,যদি মা শুনতে পারে অনেক কস্ট পাবে তাই,
কত আর কস্ট করতে পারি, আমিও তো রক্ত মাংসে গরা মানুষ,, মাঝে মাঝে ই অসুস্থ হয়ে পরতে থাকি, তারপর ও কাজ করে চলছি… ২০১৭ কুরবানির ঈদ এর আগে একে বারে অসুস্থ হয়ে পরি, কিছু খেতে পারছি না,, তারপর ও এই ১০ দিন চাকরিটা করতে হবে,তাহলে বেশ কিছু টাকা পাবো, না খেয়ে চাকরিটা করি,, চাদ রাতে বেতন নিয়ে এসে, সুয়ে পরি। সকাল হল আজ ঈদ কিছুই খেতে পারছি না।
আমার খুব খেতে ইচ্ছা করছে, পারছি না, মা আমার খুব খুব খেতে ইচ্ছা করছে, এই কথাটা ও মাকে বলতে পারছি না। ভাতে খেতে দিলে ১ বার ২ বার এর বেশি দিতে পারিনা মূখে, জন্ডিসটা অনেক বেশি বেড়ে গেছে,, খাবার দেখে কন্না আসতে, মায়ে উপরে রাগে দেখি গোসলে চলে গলাম,,কন্না ধরে রাখতে পারছি না, তাই,, মা এর সামনে কান্না করা জাবেনা,, বাসায় মা আর আমি। বাবা আর আপু ঢাকা, আপুর পরিক্ষা তাই, আমি ও বলিনি আসতে, ভালো রেজাল্ট করুক তাই।
আজ ১২/১৫ দিন হয়ে গেছে আমার জন্ডিস ভালো হবার কোন লখন নেই,আমি নিজেও বুঝতে পেরে গেছু আমি আর বাচবো না,, মা তোমাকে অনেক বলতে চেয়েছি আমি আর বাচবো না, ও মা তোমাকে কেন বলিনি যানো মা,, আমি জানি আমি যদি বলি আমি বাজবোনা তাহলে তুমিও মোরে যাবে তাই সেদিন এর মত রাতে ঘুমিয়ে গেলাম। রাতে সপ্নে দেখি আমার দাদি আমাকে দেখতে আসছে, খুব ভালোবাসতো আমায়, দাদির পিছনে দোড় দেই, দাদি কোথাই যানি হারিয়ে গেলো ঘুম থেকে উটলাম। তার পরের দিন রাতে আবার দাদি আসলো অনেক কথা হল,তার সাথে ঘুরলাম হঠাৎ ঘুম ভেজ্ঞে গেলো। আরো খারাপ অবস্থা হয়েই চলছে। এর ২ য় দিন রাতে দেখলাম আমি মারা গেছি,,আমার লাশ মাটিতে রাখা হল,ঠিক যেখানে দাদির লাশ রাখা হয়ে ছিলো।
আমার মা আমাকে জরিয়ে কাদছে, ওমা কেদো না তোমার কান্না দেখলে আমি যে মরেও শান্তি পাবনা,,, সারা বাড়ি ভরা মানুষ,, আমি সপ্নে দেখেছি আমার রুহু সাবাইকে দেখছে,, মনে মনে বলছে আমাকে এতো মানুষ ভালোবসে, আমাকে গোসল করাতে নেয়া হল, গোসল করাছে,,, কিছু লোক গেলো আমার কবর খনন করতে। আমার আত্তাটা ও তাদের পিছনে গেলো, কবর খনন শেষ,নিজেই বলছি আমার কবর এত সুন্দর হইছে আগে কখন ও দেখিনি।
আবার আমি ফিরে আসলাম মায়ের কাছে মা তুই এখন ও কাদিস, কাদিস না মা,, ও মা। আমাকে নিয়ে যাচ্ছে মাটি দিতে,,এক এক করে বাশ দিলো মাটি দিলো সব দেখলাম ঘুম ভেজ্ঞে গেলো। মাকে বল্লাম মা আমার আপুকে ভালো যাগায় বিয়ে দিও, আমি যদি দেখি আপু সুখে আছে আমিও সুখে থাকবো। মাকে আরো বলতে চাইছিলা যে মা আমি মরে যাবার পরে আল্লাহ কাছে সুপারিস করে, আমার আপুর কোল যুরে তার ছেলা হয়ে আসবো পারলাম না বালতে মা তোমাকে। ঢাকা ফোন দিলাম আপু কেমন আছিস
আমি ভালো আছি আগের থেকে ভালো,এইটুকু বলে আর বলতে পারছিনা, কারন আমি ভালো নেইরে আপু, কিছু সময় চুপ করে থেকে বল্লাম,, তুই একটু আয় তোকে দেখতে ইচ্ছা করতে। বলতে চেয়েছি আমি আর হয়ত বাচবো না শেষ দেখাটা দেখে যা।আপু আমি তোকে অনেক ভালোবাসি মায়ে সমান তুই, তোকে বলতে পারি না,অনেক ভালোবাসি,, নানি আমাকে দেখতে আসছে, মা রান্না ঘরে যাওর পর নানুর হার ধরে বলি নানু, আমি আর বাচবো না, আমি মার যাওয়া পর মা,বাবাকে বোলো তারা যেনো আমাকে গোসল করায়, তাহলে আমি শন্তি পাবো।
সেদিন বিকাল বেলে মা এর দিকে তাকিয়ে দেখি, মাএর এমন অবস্থা একটু দমকা বাতাস লাগলে মা পরে যাবে। নিজে শক্ত হলাম আমাকে ভালো হতে হবে,, আপুকে ফোন করে বল্লাম আসতে হবে না। অনেক কস্ট করেছি,, আল্লাহর কাছে প্রাণ ভিক্ষা চেয়েছি,, আমার মা এর জন্য,, আজ আমি সুস্থ তার পরেও আগের মত কস্ট করতে পারি না,, একটুতে অসুস্থ হয়ে পরি।