খোদা ছাড়া মানবজাতির গতি হবে কি?চোখের জলে মহামারীর মুক্তি চেয়েছি।পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নবী ঐশী চিন্তার অ’ধিকারী ছিলেন আখেরি পয়গম্বর হজরত মুহাম্মদ (সা.)। তিনি বড়দের কথা যেমন ভাবতেন, তেমনি ভাবতেন শিশুদের নিয়েও।মেশকাত শরিফের হাদিসে এসেছে, গ্রাম থেকে এক সাহাবি এসেছেন রাসূল (সা.)-এর স’ঙ্গে দেখা করতে। এসে দেখেন রাসূল (সা.) একটি শিশুকে এমনভাবে আদর করছেন যেন আশ্চর্য হয়ে দেখার মতো ঘটনা।সা’হাবি অ’বাক হয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, আ’পনি শিশুদের এত মায়া করেন! আমার তো চারটি সন্তান আছে, আমি ওদের কোনোদিন চু’মুও খা’ইনি।কথাটি রাসূল (সা.)-এর পছন্দ হল না। রাসূল (সা.) বললেন, দয়াময় আল্লাহ যদি তোমার হৃ’দয় থেকে ভালোবাসা কেড়ে নেন, তা’হলে আমার কী করার আছে।
শি’শুমানসে ধর্ম-কোরআন ঢুকিয়ে দিতে পারলে ওই শিশু বড় হয়ে কখনও বিপথে চলে যাবে না। এ জন্য রাসূল (সা.) বাবা-মাকে আদেশ করেছেন, সাত বছর থেকে শিশুকে ধা’র্মিকতার ছাঁচে গড়ে তোলার চেষ্টা কর। নামাজের আ’দেশ দাও। বারো বছর থেকে কঠোরতা দেখাও।
বি’ভিন্ন হা’দিসে দেখা যায়, মসজিদে নববীতে জামাত হচ্ছে, পেছন থেকে শি’শুরা এসে হ’ট্ট’গো’ল করছে। নবীজি (সা.) ই’মামতি করছেন, ছো’ট্টহাসান-হোসাইন ন’বীজির কাঁ’ধে উঠে বসে আছে। এ দৃ’শ্যগুলো এটাই প্রমাণ করে-ন’ববী যুগের শিশুদের সম্পর্ক ছিল মসজিদের স’ঙ্গে। বাবা-মায়েরা আগ্রহের সঙ্গে শিশুদের মসজিদে নিয়ে আ’সতেন।বাং’লাদেশের মতো একটি ধ’র্মপ্রধান দেশের বাবা-মায়েরা শিশুদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য রোজার অভ্যাস করাতে চান না। পরীক্ষা এলে রোজা রাখতে দেন না। ঘুমের অ’সুবিধা হবে, প্রাইভেট পড়া নষ্ট হবে-এ জন্য নামাজ পড়তে দেন না।
ক্লা’সের বাইরের কোনো পড়া যেমন কোরআন শরিফ, ইসলামী সাহিত্য পড়তে দেন না। ফলে ছোটবেলা থেকেই শিশুমনে গেঁথে যায়, ধর্ম একটি ঐ’চ্ছিক ব্যা’পার।বু’ড়োদের ব্যা’পার। ফলে ত’রুণ বয়সেও ধর্মে-কর্মে তাদের চ’রম অ’বহেলা দেখা যায়। রোজার সময় বিশ্ববিদ্যালয় এ’লাকায়গিয়ে দাঁ’ড়ালেই এ কথার সত্যতা মেলে। দিনে-দুপুরে খাচ্ছেন পান করছেন ত’রুণরা-এ দৃশ্য একটি মুসলিম দেশে বড় বেদনা জোগায়।সন্তানের বিপথে চলার জন্য বাবা-মা সবচেয়ে বেশি দায়ী। আপনার সন্তানকে যদি বিপথে দেখতে না চান, তাহলে এখন থেকেই ছোট্ট সোনামণিকে রো;জায় উৎসাহিত করুন।
তাকে বোঝান রোজা মানে শুধু না-খেয়ে থাকা নয়, রোজা হল সব ধরনের অন্যায় থেকে, ফাঁ’কিবা’জি করা থেকে বি’রত থাকার সাধনা। সন্তানকে ছোটবেলা থেকেই নামাজের ও শি’ষ্টাচারের শিক্ষা দিন। না’মাজি সন্তান বড় হয়ে ভালো মানুষ হবে।ক’খনও সে মি’থ্যা বলবে না, ধোঁ’কাবাজি করবে না মানুষের সঙ্গে। তাই ছোট থেকেই শিশুর মনে গেঁথে দিন ধ’র্মের মালা। ধা’র্মিক শিশুরা আল্লাহর কাছে মোনাজাত করলে হয়তো আল্লাহ এ বিশ্ব’কে মহামারীমুক্ত করবেন।স্মা’র্টফোন আসক্ত এ প্রজন্মের শিশুদের ধ’র্মানুরাগী হওয়া সুন্দর পৃথিবী গড়ার জন্য খুবই জরুরি।