বিখ্যাত ন্যায়পরায়ন বাদশা নওশেরাওয়া একবার জংগলে হরিণ শিকারে গিয়েছিলেন। হরিণ শিকার করে তার মাংস দিয়ে কাবাব তৈরী করতে হুকুম দিলেন। ঘটনাক্রমে তাদের সঙ্গে লবণ ছিল না। লবণ আনার জন্য এক ভৃত্যকে গ্রামে পাঠানো হলো। বাদশাহ বলে দিলেন: খবরদার লবণ যেন দাম দিয়ে কিনে আনা হয়।
আমার খাতিরে কেউ যদি খুশি হয়ে দেয়, তবুও বিনা মূল্যে আনবে না। এমনিতে আনলে একটা কুপ্রথা চালু হয়ে যাবে।
সঙ্গীরা বললেন: সামান্য একটু লবণ আনবেন তাতে কি এমন মারাত্নক ক্ষতি হবে?
বাদশাহ বললেন: অন্যায়ের ভিত্তি প্রথমত খুব ক্ষুদ্রই থাকে। পরে যে আসে সে একটু বাড়ায়, এমনি করে গোটা দুনিয়া অন্যায়ে ছেয়ে যায়।
“রাজা যদি খায় প্রজার গাছের
একটি মাত্র কুল,
ভৃত্যেরা তার ফেলিবে উপড়ি
সেই বৃক্ষের মূল।
বাদশা অর্ধেক ডিমও যদি কারো
অন্যায় ভাবে লয়।
হাজার মুরগি লুট করে নিতে
সেনারা পাবে না ভয়।”
শিক্ষা: রাজা বাদশাহ বা শাসকেরা সাধারণ বৈধ কাজ করলে প্রজা সাধারণ তা ফরযের মত করার জন্য উৎসাহবোধ করে। শাসক এক হাত বাড়লে প্রজারা দশ হাত বাড়তে সাহস পায়। সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কোন ছোট গুনাহ করলে সাধারণ লোকেরা তা দ্বিগুন উৎসাহের সাথে করতে থাকে।
তাই রাজা বাদশা বা শাসকদের এমন কোন অপরাধ করা উচিত নয়; যা সাধারন মানুষকে পাপের দিকে ধাবিত করে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়াত দিন।