হযরত মওলান ইসমাঈল শহীদ (রঃ) একবার লক্ষ্ণৌ গমন করলেন। সেখানে অবস্থানের সময় একদিন তিনি একটি খরগোশ শিকার করে এনে জবাই করে এক পাশে রাখলেন। এক শিয়া মুজতাহেদ হযরত মাওলানার সাথে দেখা করতে আসলেন। এমন সময় হঠাৎ একটি কুকুর এসে জবাই করে রাখা খরগোশটিকে শুঁকতে লাগল। কতক্ষণ শুঁকার পর কুকুরটি চলে গেল। মুজতাহেদ সাহেব মাওলানা সাহেবকে বললেন, “দেখুন মাওলানা সাহেব কুকুরেও খরগোশ খায় না” (এই কথা বলার কারণ হল শিয়া মজহাবে খরগোশ খাওয়া হারাম)
মাওলানা সাহেব তৎক্ষণাৎ জওয়াব দিলেন, “এই খরগোশ কুকুরের খাওয়া জিনিষ নয়, এটা মানুষের খাদ্য।”
তিনি এত সুক্ষ্ণ এবং ভদ্রভাবে শিয়াকে কুকুর এবং সুন্নীকে মানুষ বললেন যে, শিয়া মুজতাহেদ সাহেব হতবাক হয়ে পড়লেন। তার জওয়াব দেয়ার আর কিছুই থাকল না। হযরত মাওলানা ছিলেন স্বয়ং এক খোলা তরবারি। মুহূর্তেই বাতিলকে নিশ্চিহৃ করে দিতেন। হাজার হাজার মাইল দূর পর্যন্ত তার কাছে স্বার্থপরতা খুঁজে পাওয়া যেতো না।
আল এফাযাতুল ইয়াউমিয়্যাহ্; খন্ড ৮, পৃষ্ঠা ১৪৫।