হযরত ইউসুফ (আঃ) এর জীবনী সপ্তম পর্ব

হযরত ইউসুফ (আঃ) এর জীবনী সপ্তম পর্ব

হযরত ইউসুফ (আঃ) এর জীবনী সপ্তম পর্ব

আযীযে মিসরের স্ত্রীর ব্যাপারে নারীদের কুৎসা রচনা

অতঃপর এক কান দুকান করে ব্যাপারটি লোক সমাজে জানা জানি হয়ে গেল। তখন নগরের কতিপয় মহিলা বলাবলি করতে লাগল যে, আযীযে মিসর-এর স্ত্রী স্বীয় গোলামকে অবৈধ বাসনা চরিতার্থ করার জন্য ফুঁসলায়! ছিঃ কেমন রুচি! কত নিচু তার মন যে, চাকরের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে! কুরআন পাকের নিম্নোল্লিখিত আয়াতে তাদের এ কুৎসা রচনা বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে,

وَقَالَ نِسْوَۃٌ فِی الْمَدِیْنَۃِ امْرَاَتُ الْعَزِیْزِ تُرَاوِدُ فَتٰىهَا عَنْ نَّفْسِهٖ ۚ قَدْ شَغَفَهَا حُبًّا ؕ اِنَّا لَنَرٰىهَا فِیْ ضَلٰلٍ مُّبِیْنٍ○

অর্থঃ নগরের মহিলারা বলাবলি করতে লাগল যে, আযীযের স্ত্রী স্বীয় গোলামকে কামনা চরিতার্থ করার জন্য ফুঁসলায়। সে তার প্রেমে উন্মত্ত হয়ে গেছে। আমরা তাকে প্রকাশ্য ভ্রান্তিতে দেখতে পাচ্ছি। (সূরা ইউসুফ, আয়াত: ৩০)

যুলাইখা যখন সেসব মহিলাদের কানাঘুষার কথা জানতে পারলো, তখন তাদেরকে একটি ভোজসভায় ডেকে পাঠালো এবং ইউসুফ আ. এর ব্যাপারে তার উদ্দেশ্যের যৌক্তিকতা প্রকাশ করতে চাইলো। নিম্নের আয়াতে এ প্রসঙ্গে বর্ণনা করা হয়েছে,

فَلَمَّا سَمِعَتْ بِمَكْرِهِنَّ اَرْسَلَتْ اِلَیْهِنَّ وَ اَعْتَدَتْ لَهُنَّ مُتَّکَاً وَّ اٰتَتْ كُلَّ وَاحِدَۃٍ مِّنْهُنَّ سِکِّیْنًا وَّ قَالَتِ اخْرُجْ عَلَیْهِنَّ ۚ

অর্থঃ যখন সে (যুলাইখা) তাদের চক্রান্ত সম্পর্কে শুনতে পেল, তখন তাদেরকে ডেকে পাঠালো এবং তাদের জন্য একটি ভোজসভার আয়োজন করলো। সে তাদের হেলান দেওয়ার জন্য উন্নত বিছানার ব্যবস্থা করলো এবং তাদের প্রত্যেককে একটি করে ছুরি দিল। আর ইউসুফ আ. কে বললো, এদের সামনে একটু বের হও। (সূরা ইউসুফ, আয়াত: ৩১)

উল্লিখিত আয়াতে মহিলাদের কানাঘুষাকে যুলাইখা “চক্রান্ত” আখ্যা দিয়েছে বলে বলা হয়েছে। অথচ বাহ্যত তারা কোনো চক্রান্ত করেনি। কিন্তু যেহেতু তারা গোপনে গোপনে কুৎসা রটনা করছিল, তাই যুলাইখা একে চক্রান্ত বলে অভিহিত করেছে। কেননা, তাদের কোনো আপত্তি থাকলে সামনে বলা উচিত ছিল। কিন্তু তারা তা না করে অগোচরে সমালোচনা করে বেড়াচ্ছে।

অতঃপর মহিলারা যখন ভোজসভায় উপস্থিত হলো, তখন তাদের সামনে বিভিন্ন প্রকার খাদ্য ও ফল-ফলাদি উপস্থিত করা হলো। তন্মধ্যে কিছু খাদ্য চাকু দিয়ে কেটে খাওয়ার মতো ছিল। তাই প্রত্যেককে এক একটি করে চাকু দেওয়া হলো। তারা সেই ফল হাতে নিয়ে চাকু দিয়ে কেটে কেটে খেতে লাগলো।

ইতোমধ্যে অন্য কক্ষে অবস্থানরত ইউসুফ আ. কে কোনো কাজের বাহানায় বললো, এই মহিলাদের এখানে একটু আসো।

ইউসুফ আ. তার কু-উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতেন না। আগেই যে যুলাইখার আমন্ত্রিত মহিলারা পাশের কামরায় সমবেত, ইউসুফ আ. তা জানতেন না। তাই মনিবের নির্দেশে স্বীয় কামরা থেকে বের হয়ে এসে ভোজসভায় উপস্থিত হয়ে কিংকর্তব্যবিমূড় হয়ে গেলেন।

অপরদিকে হযরত ইউসুফ আ. কে দেখামাত্র উপস্থিত মহিলাদের মাঝে যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছিল, পবিত্র কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াতে তা ব্যক্ত করা হয়েছে,

فَلَمَّا رَاَیْنَهٗۤ اَكْبَرْنَهٗ وَقَطَّعْنَ اَیْدِیَهُنَّ وَقُلْنَ حَاشَ لِلّٰهِ مَا هٰذَا بَشَرًا ؕ اِنْ هٰذَاۤ اِلَّا مَلَكٌ کَرِیْمٌ○

অর্থঃ যখন আমন্ত্রিত মহিলারা ইউসুফ আ. কে এক নজর দেখলো, তখন তারা হতভম্ব হয়ে গেল এবং নিজেদের হাত কেটে ফেললো। আর তারা বললো, সুবহানাল্লাহ! এ তো মানব নয়, এ তো কোনো সম্মানিত ফেরেশতা! (সূরা ইউসুফ, আয়াত: ৩১)

বলাবাহুল্য, উপস্থিত মহিলারা ইউসুফ আ. কে দেখে তঁর রূপ-সৌন্দর্য অবলোকন করে হতভম্ব হয়ে গেল এবং তখন যে চাকু দিয়ে ফল কেটে খাচ্ছিল, তাতে ফলের পরিবর্তে হাত কেটে ফেললো। আর তারা ইউসুফ আ. কে ফেরেশতা বলে আখ্যায়িত করলো। কেননা, তারা এরূপ অনন্য রূপ-সৌন্দর্যের অপরূপ নূরানী চেহারার মানুষ কখনও দেখেনি।

অতঃপর যুলাইখা উপস্থিত মহিলাদেরকে লক্ষ্য করে বললো,

قَالَتْ فَذٰلِكُنَّ الَّذِیْ لُمْتُنَّنِیْ فِیْهِ ؕ وَ لَقَدْ رَاوَدْتُّهٗ عَنْ نَّفْسِهٖ فَاسْتَعْصَمَ ؕ وَلَئِنْ لَّمْ یَفْعَلْ مَاۤ اٰمُرُهٗ لَیُسْجَنَنَّ وَ لَیَكُوْنًا مِّنَ الصّٰغِرِیْنَ○

অর্থঃ এই সেই ব্যক্তি যার ব্যাপারে তোমরা আমাকে ভর্ৎসনা করেছিলে। আর হ্যাঁ, আমি বাস্তবিকই তাকে ফুঁসলিয়ে ছিলাম। কিন্তু সে নিজেকে পবিত্র রেখেছে। তবে ভবিষ্যতে আমি তাকে যে আদেশ দিই, সে যদি তা পালন না করে, তবে অবশ্যই সে কারাগারে যাবে ও লাঞ্ছিত হবে। (সূরা ইউসুফ, আয়াত: ৩২)

যুলাইখা যখন দেখলো যে, সমাগত মহিলারা তার ব্যাপারটির তাৎপর্য বুঝতে পেরেছে, এমনকি তাঁকে দেখে নিজেরাও অপ্রকৃতস্থ হয়ে গিয়েছে, তখন সে তাদের সামনেই ইউসুফ আ. কে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে লাগলো যে, ভবিষ্যতে তুমি যদি আমার আদেশ অমান্য করো, তবে অবশ্যই তোমাকে জেলখানায় নিক্ষেপ করা হবে এবং অপদস্থ করা হবে। কোনো কোনো তাফসীরবিদ বর্ণনা করেছেন যে, তখন আমন্ত্রিত মহিলারাও ইউসুফ আ. কে যুলাইখার প্রতি ফুঁসলাতে লাগল যে, তুমি যুলাইখার কাছে অনেক ঋণী। কাজেই তোমার জন্য তার ইচ্ছার অবমাননা করা উচিত নয়।

ইউসুফ আ. দেখলেন যে, সমবেত মহিলারাও যুলাইখার সুরে সুর মিলিয়েছে এবং তাকে সমর্থন করছে এবং এ মুহূর্তে তাদের চক্রান্তের জাল ছিন্ন করার ব্যাহ্যিক কোনো উপায় নেই। তখন উক্ত কঠিন মুহূর্তে তিনি আল্লাহ তা‘আলার দিকে প্রত্যাবর্তন করলেন এবং তাঁর দরবারে দু‘আ করে আরজ করলেন,

قَالَ رَبِّ السِّجْنُ اَحَبُّ اِلَیَّ مِمَّا یَدْعُوْنَنِیْۤ اِلَیْهِ ۚ وَ اِلَّا تَصْرِفْ عَنِّیْ کَیْدَهُنَّ اَصْبُ اِلَیْهِنَّ وَ اَكُنْ مِّنَ الْجٰهِلِیْنَ○

অর্থঃ হে আমার পালনকর্তা! এই মহিলারা আমাকে যে কাজের দিকে আহ্বান করছে, তার চেয়ে কারাগারই আমার কাছে অধিক পছন্দনীয়। যদি আপনি তাদের চক্রান্তকে আমার উপর থেকে প্রতিহত না করেন, তাহলে আমি তাদের ফাঁদে আটকে যাবো এবং জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়বো। (সূরা ইউসুফ, আয়াত: ৩৩)

“জেলখানা আমার নিকট অধিক পছন্দনীয়” এ কথা বলা ইউসুফ আ. এর বন্দীজীবন প্রার্থনা বা কামনা করা নয়; বরং পাপ কাজের বিপরীত এই পার্থিব বিপদকে সহজ মনে করারই বহিঃপ্রকাশ।
কোনো কোনো রিওয়ায়েতে বলা হয়েছে, যখন হযরত ইউসুফ আ. জেলে প্রেরিত হলেন, তখন আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে ওহী এলো “আপনি নিজেকে নিজে জেলে নিক্ষেপ করেছেন। কারণ, আপনি বলেছিলেন, জেলখানা আমার নিকট অধিক পছন্দনীয়। এটা না করে আপনি নিরাপত্তা চাইলে, আপনাকে পুরাপুরি নিরাপত্তা দান করা হত।

নারীদের চক্রান্তজাল থেকে ইউসুফ আ. এর পরিত্রাণ

আল্লাহ তা‘আলা হযরত ইউসুফ আ. এর দু‘আ কবুল করলেন এবং মহিলাদের চক্রান্তকে তাঁর কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখলেন। নিম্নলিখিত আয়াতে সে কথা ব্যক্ত করা হয়েছে,

فَاسْتَجَابَ لَهٗ رَبُّهٗ فَصَرَفَ عَنْهُ کَیْدَهُنَّ ؕ اِنَّهٗ هُوَ السَّمِیْعُ الْعَلِیْمُ○

অর্থঃ অবশেষে তার পালনকর্তা তার দু‘আ কবুল করলেন এবং তার থেকে তাদের চক্রান্ত প্রতিহত করলেন। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (সূরা ইউসুফ, আয়াত: ৩৪)

আল্লাহ তা‘আলা সেই মহিলাদের চক্রান্তজাল থেকে ইউসুফ আ. কে বাঁচানোর জন্য একটি ব্যবস্থা করলেন এই যে, ইউসুফ আ. এর দু‘আ অনুযায়ী তাঁকে জেলে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করলেন। তা এভাবে যে, ইউসুফ আ. এর সৎচরিত্রতা, তাক্বওয়া ও পবিত্রতার সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী দেখে আযীযে মিসর ও তার পরিষদবর্গের মনে নিশ্চিত বিশ্বাস জন্মেছিল যে, ইউসুফ আ. সৎ ও পবিত্র। কিন্তু শহরময় এ বিষয়ে ব্যাপক কানাঘুষা হতে থাকে। পরিশেষে এ কানাঘুষার অবসান ঘটানোর জন্য এটাই উত্তম পথ বিবেচিত হয় যে, ইউসুফ আ. কে কিছুদিনের জন্য জেলে আবদ্ধ রাখাই সমীচীন হবে। এর দ্বারা নিজের ঘরও রক্ষা পাবে এবং জনগণের মধ্যেও এ বিষয়ের আলোচনা স্তিমিত হয়ে যাবে। নিম্নেবর্ণিত আয়াতে এদিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে ,

ثُمَّ بَدَا لَهُمْ مِّنْۢ بَعْدِ مَا رَاَوُا الْاٰیٰتِ لَیَسْجُنُنَّهٗ حَتّٰی حِیْنٍ○

অর্থঃ অতঃপর এসব নিদর্শন দেখার পর তারা তাঁকে কিছু দিনের জন্য কারারুদ্ধ করে রাখা সমীচীন মনে করলো। (সূরা ইউসুফ, আয়াত: ৩৫)

পরিশেষে আযীযে মিসর ও তার পরিষদবর্গ কিছুদিনের জন্য ইউসুফ আ. কে জেলে আবদ্ধ করলো। সেখানে ইউসুফ আ. জেলের বন্দীখানায় কালাতিপাত করতে লাগলেন।

হযরত ইউসুফ আ. কারাগারে পৌঁছলে সাথে আরো দুজন অভিযুক্ত কয়েদীও প্রবেশ করলো। তাদের একজন বাদশাহকে শরাব পান করাতো এবং অপরজন বাদশাহর বাবুর্চি ছিল। আল্লামা ইবনে কাসীর রহ. তাফসীরবিদগণের বরাত দিয়ে লিখেছেন যে, তারা উভয়ে বাদশাহর খাদ্যে বিষ মিশ্রিত করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল। মুকাদ্দমার তদন্ত চলছিল বলে তাদেরকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছিল।

হযরত ইউসুফ আ. কারাগারে প্রবেশ করে পয়গাম্বরসূলভ চরিত্র-দয়া ও অনুকম্পার দ্বারা সকলের মন জয় করেন। তিনি সকল কয়েদীর প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করতেন এবং যথাসাধ্য তাদের দেখাশোনা করতেন। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তার সেবাযত্ন করতেন। কাউকে চিন্তিত ও পেরেশানীযুক্ত দেখলে তাকে সান্ত্বনা দিতেন, ধৈর্য শিক্ষা এবং মুক্তির আশা দিয়ে তার হিম্মত বাড়াতেন। এভাবে নিজে কষ্ট করে অপরের সুখ-শান্তি নিশ্চিত করতেন এবং সারারাত আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকতেন।

তাঁর এ অবস্থা দেখে কারাগারের সকল কয়েদী তাকে অত্যন্ত ভক্তি-শ্রদ্ধা করতে লাগলো। কারাধ্যক্ষ তাঁর চরিত্র মাধুর্যে মুগ্ধ হয়ে বললো, আমার ক্ষমতা থাকলে আপনাকে ছেড়ে দিতাম। এখানে যাতে আপনার কোনোরূপ কষ্ট না হয়, এখন শুধু সেদিকেই লক্ষ্য রাখতে পারি। এতটুকু আমার ইখতিয়ারে আছে।

ইউসুফ আ. এর সাথে যে দুজন কয়েদী কারাগারে প্রবেশ করেছিল, তারা একদিন বললো, আমাদের দৃষ্টিতে আপনি একজন সৎ ও মহানুভব ব্যক্তি। তাই আপনার কাছে আমরা স্বপ্নের ব্যাখ্যা জিজ্ঞেস করতে চাই। এ কথা বলে তারা তাঁর নিকট স্বপ্নের কথা প্রকাশ করে তা‘বীর জানতে চাইল।

তাদের মধ্যে যে বাদশাহ শরাব পান করাতো সে বললো, আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, আঙ্গুর থেকে শরাব বের করছি। দ্বিতীয়জন অর্থাৎ বাবুর্চি বললো, আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, আমার মাথা রুটিভর্তি একটি ঝুঁড়ি রয়েছে আর তা থেকে পাখিরা ঠোকরিয়ে ঠোকরিয়ে আহার করছে। অতঃপর তারা উভয়ে ইউসুফ আ. কে তাদের স্বপ্নের ব্যাখ্যা বলে দিতে অনুরোধ জানালো। কুরআনে কারীমের নিম্নোক্ত আয়াতে বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে,

وَ دَخَلَ مَعَهُ السِّجْنَ فَتَیٰنِ ؕ قَالَ اَحَدُهُمَاۤ اِنِّیْۤ اَرٰىنِیْۤ اَعْصِرُ خَمْرًا ۚ وَقَالَ الْاٰخَرُ اِنِّیْۤ اَرٰىنِیْۤ اَحْمِلُ فَوْقَ رَاْسِیْ خُبْزًا تَاْكُلُ الطَّیْرُ مِنْهُ ؕ نَبِّئْنَا بِتَاْوِیْلِهٖ ۚ اِنَّا نَرٰىکَ مِنَ الْمُحْسِنِیْنَ○

অর্থঃ তাঁর সাথে দুজন যুবক কারাগারে প্রবেশ করলো। তাদের একজন বললো, আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, আমি শরাব নিংড়াচ্ছি। আর অপরজন বললো, আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, নিজ মাথায় রুটি বহন করছি। তা থেকে পাখি ঠোকরিয়ে খাচ্ছে। আপনি আমাদেরকে এর ব্যাখ্যা বলে দিন। আমরা আপনাকে নেককার বলেই জানি। (সূরা ইউসুফ, আয়াত: ৩৬)

ইউসুফ আ. এর কাছে তারা স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছে। কিন্তু তিনি পয়গাম্বরসূলভ ভঙ্গিতে এ প্রশ্নের উত্তরদানের আগে তাদেরকে ঈমানের দাওয়াত দিলেন এবং তাদের নিকট দীন প্রচারের কাজ আরম্ভ করে দিলেন।

গল্পের বিষয়:
ইসলামিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত