হেদায়েতের আলো

হেদায়েতের আলো

শাহিদুলদের আড্ডার আসর শুরু হলো মাত্র। কিন্তু শাহিদুল এখনো অনুপস্থিত। শাহিদুলের বন্ধুরা বসে তাদের প্রতিদিনের জুয়ার আসরে মেতে উঠেছে আর বলাবলি করছে শাহিদুল এখনো আসছে না কেন! গ্রামে শাহিদুল ও তার বন্ধুরা একেক জন একেকটা নিকৃষ্ট নাম। পুরো এলাকায় একের পর এক অঘটন করে বেড়ায় তারা। ওরা পুরো আটা থেকে নয় জনের একটা দল। আর এই দলের প্রধান হলো শাহিদুল। তাদের প্রতিদিনের একটা রুটিন হলো আম গাছের নিচে বসে জুয়া ও আড্ডার আসর বসানো। শাহদিুল মাস্টার্স পাশ করা একজন ছেলে কিন্তু কোনো কাজ করে না। তার বাবা তাকে অনেকবার অনেক কাজের কখা বলেছিল কিন্তু সে ওসব ভালো লাগে না বলে এড়িয়ে যেত। শাহিদুলের বাবা তাকে অনেকবার বলেছে একটু সুশৃঙ্খলভাবে থাকতে। আর তাতে শাহিদুল তার বাবা মাকে গ্রামের বাইরে অন্য জায়গায় পাঠিয়ে দেয়। শাহিদুলের ছোট বোন আছে সে ঢাকার একটি কলেজে পড়ছে। শাহিদুলের বোন যথেষ্ট সভ্য। সে তার ভাইকে অনেকবার বলেছে ভাইয়া আব্বুর কথা একটু শুননা! কিছুতেই কিছু হয় না। শাহিদুল কারো কথাই কানে নেয় না। যকই হোক এখন গল্পে ফিরি। সবাই শাহিদুলের অপেক্ষা করছে আর কিছুক্ষণ পর শহিদুল এসে হাজির হয়। আর হৈ হুল্লোড় আরো বেড়ে যায়। সবাই বসে আসর মাতাচ্ছে এমন সময় শাহিদুলের গ্রামের মসজিদের হুজুর ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন আর তাদের দেখলেন। শাহিদুলকে উদ্দেশ্য করে বললেন শাহিদুল! তোমার বাবা প্রায় ছোট থেকে এই গ্রামেই বড় হয়েছেন। তিনি ছোট থেকেই ছিলেন অত্যন্ত নম্র ভদ্র আর প্রতিদিন মসজিদে ৫ বার তার সাক্ষাত পাওয়া যেত। আর তুমি তার ছেলে হয়ে তার ধারেকাছের ও একজন হতে পারলে না। শাহিদুল বলল তো কি হয়েছে আমু কি করবো? হুজুর বললেন এসব অকর্ম ছেড়ে একটু ভালো কাজ করো। শাহিদুল বলল, হুজুর এই বয়সে লাইপটা উপভোগ করব না তো কখন করবো! বুড়ো হয়ে গেলে তখন কিছু করার থাকবে না। শাহিদুলের বন্ধু রাজিব বলে উঠলো আমরা কি করবো সেটা আপনি না ভাবলেও হবে। হুজুর বললেন ঠিক আছে যা করছো এখন বুঝতে পারছ না পরে ঠিকই আফসোস করবে। এই বলে হুজুর চলে গেলেন। ওরা সেদিকে কান না দিয়ে নিজেদের কাজ করতে লাগল।শাহিদুল আড্ডার আসর থেকে একটু সরে গিয়ে বলল, হাতে টাকা পয়সা কিছু নেই কিছু টাকার দরকার। রাজিব বললো তোর বাবা টাকা দেয় নাই? টাকাতো এইমাসে দুবার নিলাম সব শেষ। কি করা যায়? এমন সময় কবির চাচা মনের আনন্দে গান গেয়ে পুকুর থেকে হাত মুখ ধুয়ে তার পুটলি টা নিয়ে তার বাড়ির দিকে ফিরে গেলেন। কবির চাচা গরিব মানুষ। বাজারে শাক সবজি বিক্রি করে তার দিন চলে। আর এদিকে নিষ্ঠুর হৃদয়ের মানুষ শাহিদুল পরিকল্পনা করল তাকেই লুট করার। শাহিদুলের বন্ধুরা বলল বাহ তোর বুদ্ধি তো বেশ। এসব কথা বলে তারা সেদিনের মতো বিদায় নিল। পরের দিন সন্ধ্যা ৭ টা থেকে শাহিদুলরা ঘন বাগানটার পাশে লুকিয়ে থাকলো। একটু পরে কবির চাচা ওই পথ দিয়ে যেতেই ৩ জন অন্ধকারে জোর জবরদস্তি করে কবির চাচার কাপড়ের পুটলিটা কেড়ে নিল। আর কবির চাচা আটকাতেই তাকে মেরে অজ্ঞান করে দিল। আর দ্রুত পালিয়ে গেল। এদিকে কবির চাচা জ্ঞান ফিরল সকালে, বাসায় গিয়েই কান্নাকাটি করতে লাগলেন। শাহিদুল ও তার বন্ধুরা অট্টহাসিতে মাতল সন্ধ্যাবেলা। শাহিদুল বলল অনেক দিন পর জব্বর একটা কাজ করা গেল। হাসি ঠাট্টা করে অনেক রাত করে সবাই বাড়ি ফিরল তারা।

শাহিদুলও বাড়ি ফিরলো। শাহিদুল হঠাৎ দেখে সে দাঁড়িয়ে আছে তাদের বাড়ির পাশের গাছ বাগানের ভেতরে। আকাশে সূর্য নেই। কেমন একটা অন্ধকার অন্ধকার ভাব। শাহিদুল ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে বিকাল ৪ টা বাজে। এসময় এখনে কিছু মানুষ থাকে আজ সম্পূর্ন নির্জন। কেউ কোথাও নেই, দূর দূরান্তে কাউকে দেখতে পাচ্ছে না। আচমকা দেখে অন্ধকার হচ্ছে ধীরে ধীরে। আর তার চারপাশে অদ্ভুত কিছু দেখতে পাচ্ছে। কালো অবয়ব মতো কিছু কিন্তু স্পষ্ট কিছুই বোঝা যাচ্ছে না।

অবয়বগুলো তার দিকে আস্তে আস্তে এগোচ্ছে। শাহিদুল তা দেখে প্রচন্ড পরিমাণে ভয় পেয়ে দৌড়াতে শুরু করলো। কিন্তু অবয়ব গুলো তার পিছু ছাড়ছে না। শাহিদুল দৌড়াতে থাকল, দৌড়াতে দৌড়াতে গ্রামের মসজিদের দিকে চলে গেল। পুরো রাস্তা জনমানবহীন কোথাও কেউ নেই। শাহিদুলের যাওয়ার আর কোনো পথ নেই। তার সামনে পেছনে সব জায়গায় ওই অবয়ব গুলো ঘিরে রেখেছে। শাহিদুল দেখলো তার যাওয়ার সব রাস্তা বন্ধ। শুধু মসজিদের রাস্তাটা খোলা আছে। শাহিদুল দ্রুত দৌড়ে ওখানে ঢুকতে চাইলো কিন্তু অজানা কোনো কারনে সেখানে ঢুকতে পারছে না। কোনো অদৃশ্য শক্তি তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে। আর এদিকে অবয়ব গুলো ধীরে ধীরে তার কাছে আসতে লাগল। শাহিদুল ভয়ে নিচে বসে পড়ল, সে আবারো মসজিদে ঢুকতে চাইল কিন্তু কোনো ভাবেই ঢুকতে পারছে না।
প্রতিবারই কেউ যেন তাকে ধরে ফেলছে। অবয়ব গুলো তার কাছে আসতে আসতে একদম কাছে চলে এল। শাহিদুল আর থাকতে না পেরে জোরে চিৎকার দিয়ে ওঠে। দেখে তার চারদিকে অন্ধকার। কোথায় আছে সে? তার বুকটা ধুকপুক করছে। অবয়ব গুলো তাকে কোথায় নিয়ে এল? নিচে হাত দিয়ে দেখে সে তার বিছানাতেই আছে। তাড়াতাড়ি উঠে লাইট জ্বালালো। পুরো শরীরে ঘাম ঝড়ছে তার। এতক্ষণ ধরে সে স্বপ্ন দেখছিল, এত ভয়ংকর স্বপ্ন কখনো দেখেনি সে। বাকি রাতটুকু না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয় শাহিদুল। সকালে ঘুম থেকে উঠেই তার মনে পড়লো স্বপ্নের কথা। শাহিদুল ভাবে একটা স্বপ্নই তো ছিল এটা! এত ঘাবড়ানোর কিছু নেই। তারপরো তার মনে একটা অজানা ভয় কাজ করতে লাগলো।

বিকালে শাহিদুল রাস্তায় বের হলে হাটতে হাটতে মসজিদের দিকে গেল। তখনি মনে পড়ে রাতে স্বপ্নের কথা, সে ভাবে স্বপ্নে সব রাস্তা বন্ধ ছিল কিন্তু মসজিদের রাস্তা খোলা থাকা স্বত্বেও সে ঢুকতে পারেনি। কৌতূহল বশত শাহিদুল মসজিদে ঢুকতে চায় যে সে ঢুকতে পারে কিনা। দেখে কোনো সমস্যা নেই সে ঠিকমতোই ঢুকতে পারছে। একটু সাহস পেল সে। সন্ধ্যায় শাহিদুল বাসায় বসে ছিলো। এদিকে তার বন্ধুরা তাকে ফোন করতে লাগলো আসতে বলল যেখানে তারা প্রতিরাতে আড্ডা দেয়। শাহিদুল সাত পাঁচ না ভেবে সেখানে গেল। সবাই বসে বসে যেন কিছুর অপেক্ষা করতে লাগলো। কিছুক্ষণ পর কেউ একজন বোতলে করে কিছু নিয়ে এলো। শাহিদুলের বুঝতে বাকি থাকলো না সেগুলো কি। এসব দেখে আজকে তার কেমন জানি করছে। অথচ অন্য দিন সেই এসবের আয়োজক ছিল। আজকে সে এককোণে চুপচাপ বসে রইল। রাজিব থাকে বলল কিরে ওখানে বসে আছিস কেন? এত চুপচাপ কেন রে তুই? কি হয়েছে? শাহিদুল বলল না তেমন কিছু না।
–তো এখানে আয় আমরা তোকে ছাড়া কিছু করতে পারি?
— আজকে আমার ভালো লাগছে না। আমি চলে যাই। তোরা থাক।
— তোর কি হলো হঠাৎ করে? একম তো আগে কখনো হয়নি।
— আসলে শরীর টা একটু খারাপ। তাই আরকি!
— ও তাহলে তুই বিশ্রাম নে!

শাহিদুল বাড়ির দিকে যেতে লাগল। তার শুধু মনে পড়ছে গত রাতের স্বপ্নের কথা। এমন সময় দেখে কবির চাচা যাচ্ছে তার সামনে দিয়ে। তখনি ধক করে ওঠে শাহিদুলের বুক। সে একটু ভয় পায়। তাড়াতাড়ি হেটে বাড়িতে চলে যায় সে। সব ভাবনা বাদ দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে শাহিদুল একটু ভয় নিয়ে ঘুমায়।

শাহিদুল আবার দেখে সেই অবয়ব গুলো তাকে ধাওয়া করছে। সে আবারো মসজিদের দিকে যাচ্ছে। দেখে মসজিদের দিকটা ছাড়া বাকি সব জায়গায় দাড়িয়ে আছে সেই অবয়ব গুলো। শাহিদুল প্রাণপন চেষ্টা করে মসজিদে ঢোকার জন্য কিন্তু কোনোমতেই সে মসজিদে ঢুকতে পারছে না। কেউ তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিচ্ছে। আর আবারো সেই অবয়ব গুলো তার কাছে এসে পড়ে। আজ তাকে অবয়ব গুলো ধরে নিয়ে যায়। শাহিদুল চিৎকার দিতে চাইছে কিন্তু মুখ দিয়ে কোনো শব্দ বের হচ্ছে না। তাকে কনো একটা গভীর খাদের কিনারে এনে দাড় করায় তারা। শাহিদুল বেশ ভয় পেয়ে যায়। তখনি তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় তারা। সে নিচে পড়তে থাকে আর দেখে চারদিকে অন্ধকার। নিচে পড়তেই থাকে কোনো তল খুজে পায় না। শাহিদুল ভয়ে কান্না করতে থাকে। শাহিদুল দেখে নিচে কোনো ভয়ংকর কিছু একটা দাঁড়িয়ে আছে তাকে গ্রাস করার অপেক্ষায়। তার খুব কাছে যেতেই ঘুম ভেঙে যায় শাহিদুলের। বিদ্যুৎ গতিতে উঠে পড়ে সে। ভয়ে তার মাথা কাজ করছে না। কি হচ্ছে এসব? প্রতিদিন এত ভয়ানক স্বপ্ন দেখছে কেন? তাও একই রকম। তার মাথা ভয়ের চোটে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। সে যেন তার ঘরের মধ্যেই অবয়ব গুলোকে দেখতে পাচ্ছে। আর কিছু না ভেবে সে দৌড়ে মসজিদের ইমাম সাহেবের বাড়ি চলে যায়। রাত প্রায় আড়াইটা বাজে। ইমাম সাহেবের বাড়ি গিয়ে দরজা ধাক্কায় আর ডাকতে থাকে। ইমাম সাহেব বুঝতে পারে কে এসেছে তখনি দরজা খুলে দিলেন। শাহিদুল হুড়মুড়িয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে।

— কি হয়েছে শাহিদুল? এত ভয় পেয়ে আছ কেন?
–হুজুর আমি সব কালকে সকালে বলবো। আজ রাতটা এখানে থাকতে দেন দয়া করে!
— ঠিক আছে। কালকে সব খুলে বলিও।
শাহিদুল ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে ইমাম সাহেব নামাজ পড়িয়ে এসে শাহিদুলকে ডাকেন।
— কি হয়েছে এবার সব খুলে বল।
— হুজুর প্রতি রাতে কেউ আমাকে স্বপ্নে এসে তাড়া করে। আর আমি মসজিদে ঢুকতে পারি না কেউ আমাার আটকে রাখে। খুব ভয়ংকর কিছু দেখি। একই স্বপ্ন দেখি প্রতিদিন।
— এসব তোমার অপকর্মেরই ফল। তোমার কি মনে আছে তুমি শেষ কবে মসজিদে এসেছ? তুমি নামাজ না পড়ার কারণে মসজিদে ঢুকতে পার না। স্বপ্নের মাধ্যমে আল্লাহ তোমাকে সতর্ক করতে চাইছেন। তুমি ভালো পথে না এলে তোমার জন্য অনেক খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে।
— হুজুর আমি এখন কি করবো?
— তুমি তোমার খারাপ বন্ধুদের সাথে মেশা বন্ধ করে দাও। নামাজ পড় প্রতিনিয়ত।
— হুজুর আজকে থেকে ইনশাআল্লাহ নামাজ পড়া শুরু করবো। ওই ধরণের স্বপ্ন আর দেখবো না তো?
— না তুমি নামাজ পড়া শুরু করো দেখিে আর কিছুই হচ্ছে না।
— ধন্যবাদ হুজুর। আর আমাকে আমার আচরনের জন্য মাফ করে দিবেন প্লিজ।

শাহিদুল আজকে থেকেই নামাজ পড়া শুরু করলো। এদিকে সন্ধ্যার দিকে শাহিদুলের বন্ধুরা তাকে ফোন দিতে লাগলো কিন্তু শাহিদুল তার ফোন বন্ধ করে রেখছে।শাহিদুলকে ফোনে না পেয়ে কারা শাহিদুলের বাড়ি এসে পড়ে আর দেখে শাহিদুুল কোরআন তেলওয়াত করছে। এটা দেখে সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল। শাহিদুলের বন্ধুরা কিছু না বলে তাকে না ডেকে বাইরে চলে এল। একে অপরের দিকে তাকাতে থাকলো। তারা বললো এটা কোন শাহিদুল? আজকে তারা আর সেই আমগাছের নিচে গেল না। সবাই যার যার বাড়িতে চলে গেল।

শাহিদুল এশার নামাজ পড়ে এসে বুকে ভয় নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। আজ শাহিদুল দেখে কালো সে অবয়বের বদলে দাড়িয়ে আছে উজ্জ্বল মুখমন্ডল ওয়ালা কিছু লোক তারা তাকে ইশারায় মসজিদের দিকে ডাকলো আর সম্মানজনক ভাবে তাকে মসজিদের ঢোকার জন্য ইশারা করলো। শাহিদুল খুব খুশি হলো। শাহিদুলের ঘুম ভাঙলো ফজরের নামাজের সময় আর নে দ্রুত উঠে মসজিদের দিকে রওনা দিল। মসজিদে গিয়ে শাহিদুলের পুরো চমকে যাওয়ার অবস্থা। সে দেখে তার সব বন্ধু পাঞ্জাবি পড়ে মসজিদে দাড়িয়ে আছে। যেন তাকেই স্বাগত জানানোর জন্য অপেক্ষা করছিল তারা।

শাহিদুলের বন্ধুরা সবাই সমস্বরে বলে উঠলো ধন্যবাদ ভাই আমাদের। হেদায়েতের দিকে ডাকার জন্য আল্লাহকে চেনানোর জন্য, অন্ধকার থেকে আলোর দিকে আনার জন্য। এমন সময় তাদের মসজিদের মিনার থেকে ধ্বনি আসলো “আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার”
নামাজ শেষ করে তারা সেই জায়গায় গেল যেখানে তারা রাতের বেলায় যেত।আজকেও তারা গেল তবে তাদের নিয়ত সম্পুর্ন ভিন্ন।

ইয়া আল্লাহ তুমি আমাদের সকল মুসলিম জাতিকে করোনা ভাইরাস থেকে হেফাজত করো। হে আল্লাহ তুমি মৃত্যু দিলে নিষ্পাপ অবস্থায় মৃত্যু দান করো।
আমিন। আল্লাহুম্মা আমিন।

গল্পের বিষয়:
ইসলামিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত