সৌভাগ্যবানদের কথা

সৌভাগ্যবানদের কথা

আজ থেকে অনেক অনেক আগে। তাবলীগের প্রথম জমানা। এক জামাত চট্টগ্রামের এক এলাকায় কাজ করছে। তারা এক মসজিদে ঢুকল। খবর পেয়ে এলাকাবাসী এই নবীর দুশমনদের(!) শায়েস্তা করার জন্য এল।

যে যা হাতের কাছে পেয়েছে, তাই সাথে নিয়ে এসেছে। নবীর দুশমনদের(!) কিছুতেই মসজিদে থাকতে দেয়া যাবে না। এরা তো মসজিদই নাপাক করে ফেলবে। কঠিন গনপিঠুনি চলল।
তাদের বেডিংপত্র মসজিদের বাইরে ছুড়ে মারল।

বুড়ো বুড়ো মানুষগুলোকে রক্তাক্ত অবস্থায় মসজিদ থেকে তাড়িয়ে দিল। তখন রাতের বেলা। কোথায় যাবে তারা? কোন মতে এক ঝোপঝাড়ে এসে বিছানা ফেলল। কিছুক্ষণের মধ্যে সবাই ঘুমিয়ে পড়ল।
শেষ রাতে একজন একজন করে সবাই জেগে উঠেছে।
প্রত্যকের চেহারায় কেমন যেন এক ধরনের তৃপ্তি। একজন বলল, আমি আল্লাহর রাসুলকে স্বপ্নে দেখেছি। শুনে প্রত্যেকেই বলল, আমিও দেখেছি।

প্রত্যেক সাথী রাসুলকে স্বপ্নে দেখল, রক্তাক্ত অবস্থায় আল্লাহর রাসুল তায়েফ থেকে ফিরছেন।
গা দিয়ে রক্ত ঝরছে। আল্লাহ তায়ালা এই সাথীদেরকে রাসুলকে ঐ অবস্থায় স্বপ্নে দেখিয়ে সান্ত্বনা দিলেন, দেখ, তোমাদের রাসুলকেও দাওয়াত দিতে গিয়ে রক্তাক্ত হতে হয়েছে। তোমরা তো তার সেই সুন্নতকেই জিন্দা করলে।

আমার বড় ঈর্ষা হয়, ঐ সমস্ত ভাইদের উপর, যাদের ইসলামের জন্য কিছু কোরবানী করা নসীব হয়েছে। সত্যিই তারা সৌভাগ্যবান। আসলেই তাবলীগের প্রথম যামানা ছিল ডান্ডা খাওয়ার যামানা।
এখন তো ভাই আন্ডা খাওয়ার যামানা চলছে।

সাহাবাগন রক্ত দিয়েছেন দ্বীনের জন্য, দ্বীনের জন্য রক্তই দেয়া উচিত।
না পারলে অন্ততঃ কিছু ঘাম হলেও দিই।
ইনশা আল্লাহ বৃথা যাবে না।

গল্পের বিষয়:
ইসলামিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত