স্বামীকে সম্মান করুন ও ভালোবাসতে শিখুন,তবেই সংসার হয়ে উঠবে সুখের

স্বামীকে সম্মান করুন ও ভালোবাসতে শিখুন,তবেই সংসার হয়ে উঠবে সুখের

স্বামীকে ভালোবাসুন
কারন, যদি আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে সিজদা করার হুকুম থাকতো সে হতো আপনার স্বামী।

★স্বামীকে ভালোবাসুন
যখন সে ঘরে ফিরে আসে, এক টুকরো মিষ্টি হাসির মাধ্যমে। কারন সে আপনার হালাল রিজিকের চেষ্টায় সারাদিন খাটনি করে ক্লান্ত দেহে বাড়ী ফিরেছে।

★স্বামীকে ভালোবাসুন
যখন সে আপনাকে বলে, বৌ! তুমি আমা*র মা- বাবা পরিবার পরিজনের খেদমত করো। কারন এই মা-বাপ ছাড়া আপনি আপনার স্বামীটিকেই পেতেন না, আর আপনার স্বামীর জান্নাত, আয় উন্নতি তার মা-বাবার দোয়া, সন্তুষ্টির মাধ্যম যা আপনার সাথে জড়িত।

★স্বামীকে ভালোবাসুন
যখন সে বলে, বৌ! সংসারের কাজের পাশাপাশি ওয়াক্ত মতো নামাজটাও পড়ে নিও। কারন সে জান্নাতেও আপনার সাথেই থাকতে চায়।

★স্বামীকে ভালোবাসুন
যখন সে আপনাকে পরিপূর্ণ পর্দার সাথে চলতে বলে, কারন সে চায়না তার সুন্দরী বৌটিকে অন্য কোন পরপুরুষ দেখে ফেলুক এবং তার বৌ গুনাহগার হোক।

★স্বামীকে ভালোবাসুন
যখন সে আপনাকে একাকী বাহিরে বের হতে নিষেধ করে, কারন সে জানে মাহরাম পুরুষ ছাড়া অযথা মেয়েদের জন্য বাইরে বের হওয়া হারাম।

★স্বামীকে ভালোবাসুন
যখন সে আপনার জন্য কোন গিফট নিয়ে আসে, যদিও তা কম দামী হয়, বা আপনার পছন্দ না হয়। কারন সে ভালোবাসে বলেই আপনাকে সারপ্রাইজ দিয়েছে।

★স্বামীকে ভালোবাসুন
যখন সে আপনাকে সবসময় পরিপাটি হয়ে থাকতে বলে, কারন সে অন্য সকল নারীর থেকে দৃষ্টি হেফাজত করতে চায়।

★স্বামীকে ভালোবাসুন
যখন সে আপনার কাছে একটু সোহাগ কামনা করে, কারন সে অন্য নারীতে আসক্ত নয়।

★স্বামীকে ভালোবাসুন
যখন সে আপনার কাছে নিজেকে জাহির করতে চায়, কারন সব হাজবেন্ড-ই চায় তার স্ত্রীর কাছে সে হিরো হয়ে থাকুক।

★স্বামীকে ভালোবাসুন
যখন সে অসময়ে আপনার হাতের বিশেষ কোন আইটেমের খাবার খেতে চায়, কারন সে ভালবাসার মানুষটির সেই রান্নাটাকে এখন মিস করছে।

★স্বামীকে ভালোবাসুন
যখন সে কোন কারনে আপনার সাথে অভিমান করে, কারন অতিমাত্রায় ভালোবাসা থেকেই কিন্তু অভিমান সৃষ্টি হয়।

★স্বামীকে ভালোবাসুন
যখন সে আপনার লাইফ পার্টনার, যার সাথে জীবনটা পার করবেন বলে মা- বাবার ঘর ছেড়েছেন তাকে যদি ভালো না বাসেন তবে জীবনটা পার করবেন কি করে ?

♥পরিশেষে একটি বিশেষ সতর্কবাণীঃ-
স্বামী যখন কোন কারনে রেগে যায় তখন ভুল করেও আপনি তর্ক করতে যাবেন না। একেবারে চুপ করে থাকবেন। যদিও আপনি নির্দোষ ছিলেন। আর দোষ থাকলে তো কথাই নাই। এক্কেবারে চুপ। রাগ থেমে গেলে বিষয়টি বুঝিয়ে বলবেন, তখন সে নিশ্চয়ই লজ্জিত হবে এবং পরবর্তীতে এমনটি হবে না।

আর স্বামীর কাছে কোনকিছুর আবদার করার হলে অবশ্যই তার মন- ম*র্জি সাম*র্থ্যানুযায়ী বুঝে আবদার করবেন। প্রয়োজনে একটু পটিয়েও নিতে পারেন। দেখবেন আকাশের চাঁদও হাতে তুলে দিতে প্রস্তুত সে।

আল্লাহ আমাদের সাংসারিক জীবনকে জান্নাতি জী*বনের মতো করে দিন, আমিন~~

গল্পের বিষয়:
ইসলামিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত