বয়স উনত্রিশ বছর পাঁচ মাস।ছেলেটি আজ বিয়ে করেছে।
বিয়ের প্রথম রাত,ঘড়ির কাটায় রাত এখন দুটো বেজে দশ মিনিট।
ছেলেটি আজ যাকে বধূ করে ঘরে এনেছে সে কী
একসময় অন্যের প্রেমিকা ছিলনা???
পরিসংখ্যান হয়ত আমাদের তাই বলে,হ্যাঁ ছিল।
দুজন মুখোমুখী,নববধূ লাজে মাথা নামিয়ে রেখেছে।
নববধূকে সামনে পেয়েও ছেলেটির চেহেরায় আজ
বিষন্নতার চাপ।”কল্পনায় সে তার একুশ বছর বয়সের স্মৃতিতে
ফিরে যায়।সমবয়সী কোন একজনের সাথে প্রেমে ব্যার্থ
হয়েছে সে।প্রেমিকার দেওয়া সবুজ-সতেজ লাল গোলাপটি
সে অতিযত্নে রেখেছিল,শুকনো মড়মড়ে হয়ে সেই
গোলাপটি এখনো পড়ে আছে তার ড্রয়ারে।তার ভালোবাসার
মানুষটির বিয়ে হয়ে গেছে অনেক আগেই।অন্যের বাসরে
ফুল সজ্জিত এক নতুন বিছানা খামছে ধরেছিল তার প্রেমিকা।নিজের
প্রেমিকাকে অন্যের বাসরে কল্পনা করতেই বুকের ভিতর এক
অজানা ব্যাথা অনুভব করে ছেলেটি।”এসব ভাবতে ভাবতেই
ছেলেটির চোখ বেয়ে দুফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ে।
ততক্ষণে লজ্জায় নমিত মাথাটা উপড়ের দিকে উঠায় নববধূ।এই
রাতে স্বামীর মন খারাপ দেখে আরো সামনে এগিয়ে বসে
বধূ,হাতে হাত রাখে,চাঁদের বুড়ীর গল্প শুনানোর চেষ্টা করে
স্বামীকে……..
কিন্তু স্বামীর সেদিকে মন নেই।গল্প তার কাছে ভালো লাগে
না,সে নিজ চোখে চরম বাস্তবতা দেখেছে।কিশোর বয়সে
আরেক ডিগ্রীধারীর কাছে সে তার প্রেমিকাকে হারিয়েছে।
নিজে প্রতিষ্ঠীত হওয়ার যুদ্ধে লড়তে লড়তে সে আজ
ভীষণ ক্লান্ত।
তাইতো শেষমেশ ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে তারাবিহীন আকাশপানে
চেয়ে থেকে কয়েকটা ধুম্রশলাকা জ্বালিয়ে স্বামী বাকী
রাতটুকু পার করে দেই।
আর নববধূ??হয়ত ব্যালকনির দরজার পিছনে দাঁড়িয়ে থেকে
অঝরে চোখের জ্বল ঝরায়।
|
নোটঃ-আজকের দিনে যেসব ছেলেদের বয়স ২১বছর
৮মাস,সেসব প্রত্যেক ছেলের বয়স একদিন ২৯বছর ৫মাস
হবে।
গল্পের বিষয়:
অনুপ্রেরণা