একদিন এক সম্ভান্ত বণিক ও তার এক চাকর একটা বনের ভিতরের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। কিছুক্ষন হাঁটার পর তারা একটা খোলা মাঠ ও মাঠের ওপাশে একটা কুঁড়ে ঘর দেখতে পেলেন। তারা যখন ঘরের কাছে আসলেন তখন দেখলেন একটা রুগ্ন গাভী ঘরের একপাশে বাঁধা। রীতিমত তারা ঘরে কাছে গেলেন এবং কেউ বাড়িতে আছে কিনা জিজ্ঞাসা করলে। তাদের কথা শুনে একজন লোক বাইরে বেরিয়ে এলেন এবং তিনি বণিকের কথা শুনে তাদেরকে তার বাড়ি রাত থাকতে অনুমতি দিল।। রাতের খাবার পর বণিক মালিক কে বললেন আপনার বাড়ির পাশের খালি জমি তিনি কিছু চাষ কেন করেন না।তখন বাড়িওলা বললেন আমার একটা গাভী আসে তা থেকে আমি যে দুধ পাই তাতে আমার সংসার কোনোমতে চলে যায়। এই বলে মালিক চলে গেলেন।। মাঝরাতে বণিক ঘুম থেকে উঠি সেই চাকরকে নিয়ে চলে গেলেন এবং যাওয়ার সময় গাভীকে নিয়ে বনে ছেড়ে দিলে।। বণিকের চাকর মনে মনে ভাবলো বাড়ি ওলা আমাদের এত যত্ন করলো আর বণিক তার এই প্রতিদান দিল৷ কিন্তু সে বণিকে কিছু বললো নাহ।।তারপর সকালে যখন বাড়ির মালিক ঘুম থেকে উঠলো দেখলে তার গাভীটি কোথায় ও নে।। বনের হিংস বাঘ মেরে ফেলেছে এই ভেবে সে মন খারাপ করলো।। কিছুদিন পর বণিকের চাকরটি ধনী হয়ে গেল এবং মনে মনে ভাবলো সেই বাড়িওলাকে গিয়ে সব বললবে এবং কিছু ক্ষতি পূরণ দিবে। কিন্তু আশ্চার্যের বিষয় সে যখন সেখানে গেলো দেখলো সেখানে কোন ফাঁকা জমি নেই বরং সেকানে বিশাল ফলের বাগান এবং পাশেই একটা বিশাল বড় বাড়ি। তখন সে সেই বাড়ির ভিতর গেল এবং গিয়ে দেখতে পেল সেই দরিদ্র কৃষক এখন বড়লোক হয়েছে। সে কৃষক বললো এগুলো কি করে হলো। কৃষক বললো তোমরা চলে যাওয়ার পর দেখলাম আমার গাভীটি নাই। আমি খুব খোঁজার পর না পেয়ে খুব হত্যাশ হয়ে পড়েছিলাম। তারপর আমি আমার জীবন বাঁচানোর জন্য জমি চাষ করতে শুরু করলাম এবং আস্তে আস্তে আমি ধনী হতে শুরু করলাম।
এটা থেকে বোঝা যায় যতখন পর্যন্ত আমরা আমাদের.comfort zone এ থাকবো ততখন আমাদের কোন উন্নতি হবে না। comfort zone এর বাইরে বেরিয়ে এসে আমাদের চেষ্টা করতে হবে তবেই আমাদের উন্নতি হবে।