ঘটনাটি আমার নানুর কাছে শুনা-
💀আমি তখন ৭ম শ্রেনীতে পড়ি,ছোট বেলায় নানুদের বাড়ীতেই বেশি থাকতাম আর নানুর কাছে অনেক ভৌতিক কাহিনী শুনতাম।আমার নানুর সাথে জ্বীন আছে
খারাপ নয় ভালই বটে।
চলে যাওয়া যাক ঘটনাতে-নানু একদিন তাদের বাপের বাড়ীর পাশের গ্রামের একটি লাশের কথা বললেন,লোকটি মারা যায় হসপিটালে,
লাশ বাড়ীতে আনার পর তার সজনদের মাঝে কান্নার হাহাকার বয়ে যাচ্ছে,মৃত লোকটির ৩ছেলে ও ১মেয়ে।মেয়েকে ঢাকায় বিয়ে দেওয়া আসতে কিছু ঘন্টা সময় লেগে
গেলো আর বড় ছেলে ডুবাই থাকে এবং ছোট ছেলে সবে মাত্র ক্লাস ৯।
বড় ছেলে তার বাবার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে সে ঐ সময়ে ডুবাই থেকে বাড়ী আসবে বলে জানায়,সে তার বাবাকে না দেখা পর্যন্ত মাটি দিতে নিষেদ করেছেন।
তার জন্মদাতা পিতা-যার শুক্রকিট দ্বারা দুনিয়া দেখতে পেলো,,,তাই বাবাকে শেষ বারের মত দেখবেই,,,,,কারন আরতো কোনদিন দেখতে পাবেনা,,,,ডুবাই গিয়েছে মাত্র
২বছর।
যাই হোক ঘটনা কিন্তু এটা নয়,,,ছেলের অপেক্ষায় লাশকে পুরোদিন ও এক রাত ঘরের ভিতরে রাখায় যে কাহিনী ঘটলো।
সবাই কান্না কাটিতে শোকাহত আর এই দিকে লাশকে রেখেছে তার শোয়ার রুমে।
রাত প্রায় ২টার মত,হঠাৎ লাশ যে রুমে রাখা হয়েছে সে রুম থেকে কেমন যানি বির বির টাইপের আওয়াজ আসছে,,কান্নাকাটির ব্যাস্থতায় কেউ হয়তো ভাল করে
খেয়াল করেনি,,কিন্তু লাশের রুম থেকে যখন হঠাৎ করে ভিতর থেকে দরজা নক করার আওয়াজ আসলো তখন কিছু মানুষ খুব ভয় পেয়ে যায়,,একটা কথা বলতে ভুলে
গিয়েছি মৃত ব্যাক্তির বাড়ীটি ছিল একা বাড়ী,আশে পাশে দুই একটা ঘর আছে তবে একদম কাছে নয়-আবার দূরেও নয়,তাই মানুষের সংখ্যা প্রথমে কম হওয়ায় আসতে
আসতে ক্রমানয়ে স্বজনরা বাড়তে থাকে,,,যেহেতু হঠাৎ একটা স্ট্রোকে তার প্রান কেড়ে নেয়,,যাই হোক বলতেছিলাম লাশের রুমে লোকজন ছিলো প্রায় ১২-১টা বা তার
কম বেশি সময় এর পর সবাই ড্রইং রুমে জোড়ো হয়ে কেউ কাঁদছে আবার কেউবা কাউকে শান্তনা দিচ্ছে,,,,,রাত ২টা বেজে যখন লাশের রুমের ভিতর থেকে দরজা
নক করার আওয়াজ এলো তখন আমার নানুর জেটি দরজা খুললো,খুলে দেখে সব ঠিক ঠাক আছে আছে,,,,কিন্তু আবার যখন দরজা বন্ধ করতে যাবে ঠিক সেই সময় যা
দেখা গেলো সেটা হচ্ছে
আমার নানুর জেটি স্ব-চোখে দেখতে পেলো লাশটা একটু নড়া চড়া করতে,,,তিনি এই দৃষ্য দেখে তেমন একটা ভয় না পেয়ে তিনি ভেবেছেন হয়তো লাশটি এখনো
জীবিত,,,এরপর তিনি চিৎ কার করে শুধু একটা ডাকই দিলেন এখনো বেঁচে আছে এখনো বেঁচে আছে।
সবাই উনার চিৎকারে দৌড়ে এসে লাশটার সামনে দাঁড়ায় এবং লাশটার মুখ থেকে যখনি কাপড় সরালো-
কাপড়টি সরিয়ে তারা যা দেখলো হয়তো সাধারন মানুষের ব্যাপারে বেঁচে থাকাটা অসম্ভব ছিলো,তারা সবাই দেখলো লাশটি চোখ দুটো বড় বড় করে তাদের দিকে
তাকিয়ে আছে আর হাসছে,,,,,তারা সবাই এই দৃষ্য দেখে কেউ চিৎকার করে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় আবার কেউবা অজ্ঞান হয়,,,,লাশের বাড়ীর এই ভয়ঙ্কর উচ্চ
আওয়াজে অন্নান্য গ্রামের মানুষ ছুটে আসে এবং তারা এসে তারাও যা দেখতে পায় সেটা হলো তারা দেখেছে লাশটি ঐ ডাওনি সহ গুজো হয়ে বসে আছে,,,,,এই দৃষ্য
দেখে এক ভদ্র লোক সাহস করে সামনে যায় তিনি মনে করেছেন লাশটি জীবিত-তিনি এই ভেবে সামনে এগোলেন,,,লাশটির কাছে গিয়ে বসা মাত্রই লাশটি তাকে
ক্লিয়ার ভাষায় বলতেছে আমি মৃত।
আর লোকটি ভাবলো আমিতো মনে মনে ধারনা করলাম সে হয়তো জীবিত কিন্তু সে এটা জানলো কি ভাবে,,,,,ভদ্র লোকটি এই ভেবে তারপরও সামনে গিয়ে বসে সাহস
করে,,লোকটি বসা মাত্রই লাশের দুই হাত বাহির করে লোকটির গলা ছেপে ধরে,,,,এবং সে চিৎকার করে কোনমতো হাত ছিনিয়ে নেয় লাশটির কাছ থেকে।
এর পর মানুষ এই দৃশ্য দেখে একজন ঈমাম নিয়ে আসেন সবার মতামতে,,,,কিন্তু ঈমাম সাহেবকে এই লাশের কোন কিছুই বলেনি অন্য কিছু বলে নিয়ে আসে,,,যাই
হোক ঈমাম সাহেব যখন ঘরে প্রবেশ করলো তখন পুরো ঘরটা যেন জাকি মেরে উঠে,,,ঈমাম সাহেব বললো কি ব্যাপার কেন আমাকে এত রাত আনা হয়েছে?
তখন একজন লোক সব খুলে বলেন এবং ঈমাম সাহেব লাশের রুমের দিকে তাকালেন,,,
ঈমাম সাহেব সবার কথা শুনে সেই রুমের দিকে অগ্রসর হন এবং লাশটির কাছে যান,,,কিন্তু লাশটি চোখ বাহির করে শুড়ে আছে কোন আওয়াজ করেনি লাশটি তখন।
ঈমাম সাহেব লাশটির চোখে হাত দিয়ে চোখটি মুচে দেন এবং কিছু দোয়া পড়ে তার শরীরে ফু দেন,,,এর পর লাশটি সাভাবিক।
ঈমাম সাহেব রুম থেকে বের হয়ে শুধু একটা কথাই বললেন তার দাপনের ব্যাবস্থা অতি তাড়াতারি করতে,,এবং তিনি বলেন লাশের পাশে হয়তো দীর্ঘক্ষন কেউ ছিল না
তাই লাশটার উপর শয়তান আক্রমন করে।