মাদ্রাসা নিয়ে কিছু কথা বাংলাদেশের মাদ্রাসা নিয়ে অনেক কাহিনী শোনা যায় । অনেক উল্টাপাল্টা ঘটনা ঘটে মাদ্রাসা গুলোতে । যারা মাদ্রাসা লাইনে
পড়ালেখা করে , তারা অনেকেই ফেস করে অনেক ঘটনার সাথে। মাদ্রাসার কিছু ঘটনা আজ শেয়ার করা হলো । এই ঘটনাটি হয়তো বেশীর ভাগ মানুষই
জানে । একবার এক মাদ্রাসার ছাত্র বাইরে থেকে ক্লান্ত হয়ে এসে তার রুমে ঢুকলো । তার সাথের রুমমেট তখন বিছানাতে শুয়ে ছিলো । ক্লান্ত ছাত্র টা তার
রুমমেট কে বললো , ‘ ফ্যান টা ছেড়ে দাও তো ।’ রুমমেট বিছানা থেকে শুয়েই হাত বাড়িয়ে দিলো দূরের সুইচবোর্ডের দিকে । হাত লম্বা হতে হতে বোর্ডের
কাছে পৌছে গেলো এবং ফ্যান অন করে দিলো । ক্লান্ত ছাত্র এই ব্যাপার দেখেই বেঁহুশ !! এক মাদ্রাসাতে গভীর রাতে মাদ্রাসার বারান্দায় কোরআন শরীফ
তেলাওয়াতের আওয়াজ পাওয়া যেতো । মাদ্রাসার সবাই এই ব্যাপার জানতো বিধায় রাতে ঐ সময় কেউ বারান্দায় ধারে কাছেও ঘেঁষতো না । এক নতুন ছাত্র
এই ব্যাপারে আগ্রহ দেখালো । তাকে সাবধান করে দেয়ার পরও সে চুপিচুপি এক রাতে ঐ সময়ে বারান্দায় গেলো কে কোরআন শরীফ পড়ে তা দেখার জন্য
। সে হয়তো কিছু একটা দেখেছিলো । কিন্তু কি দেখেছিলো তা কেউ জানে না কারণ ঐ ছাত্র কে পরদিন থেকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি । এখনকার ঘটনা
গুলো একটি বিখ্যাত মাদ্রাসার । যার থেকে ঘটনা গুলো সংগ্রহ করা হয়েছে তিনি দীর্ঘদিন ঐ মাদ্রাসায় পড়ালেখা করেছিলেন । ঐ মাদ্রাসায় অনেক আগে
থেকেই উল্টাপাল্টা ঘটনা ঘটতো । কিন্তু এর ফলে কারো কোন ক্ষতি হয়নি । মাদ্রাসার টয়লেট গুলো সব এক সারিতে ছাত্রদের রুম থেকে কিছুটা দূরে
বানানো হয় । এক রাতে এক ছাত্রের টয়লেটে যাওয়ার দরকার পড়লো । একা যাওয়ার সাহস হলোনা বলে সে তার রুমমেটকেও সাথে করে নিয়ে গেল ।
রুমমেট কে বাইরে দাড়া করিয়ে ছাত্র টা টয়লেটে ঢুকলো । ৩০ মিনিট গেল , ১ ঘন্টা পার হলো , ছাত্র আর বের হয়না । রুমমেট দরজা ধাক্কাতে লাগলো ।
ভেতর থেকে সাড়া নেই । রুমমেট মাদ্রাসার হুজুর সহ সবাই কে ডেকে আনলো । টয়লেটের দরজা ভেঙে ফেলা হলো । ভেতরের দৃশ্য দেখে সবাই আঁতকে
উঠলো । কি ছিলো ভিতরে ? তেমন কিছুনা , ঐ ছাত্র টার লাশ ছিলো ভিতরে । সে কিভাবে মারা গেলো ? তার শরীর টাকে কিছু একটা যেন প্রচন্ড শক্তিতে
কমোডের ভিতরে গেঁথে রেখেছে ! দাড়া করিয়ে ! মাথা কমোডের ভিতর ! আর পা দুইটা উপরের দিকে ! এর কিছুদিন পরের ঘটনা । ঐ মাদ্রাসায় বিশাল বড়
আর গভীর একটা পুকুর ছিলো । ছাত্রদের কে নিষেধ করা হয়েছিলো যেন কেউ পুকুরের মাঝে সাঁতার না কাটে । এক দুপুরে পুকুরে গোসলের সময় এক
ছাত্র নিখোঁজ হয় । পুকুরের আশেপাশে তাকে প্রচুর খোঁজা হয় । পাওয়া যায়নি । পরে ডুবুরী নামানো হয় । ডুবুরী ঐ ছাত্রের লাশ পুকুরের একেবারে মাঝখান
থেকে উদ্ধার করে । ছাত্রটা পুকুরের মাঝখানে গেলো কি করে ? এটা কেউ জানে না । কিন্তু সবাই জানে তাকে কিভাবে মারা হয়েছিলো । আগের ঘটনাটার
মতো করে । ছাত্রের মাথা পুকুরের মাটিতে গেঁথে রাখা হয়েছিলো , আর পা দুইটা উপরে ! বলা হয় , ঐ মাদ্রাসার উপর খুব খারাপ কিছু একটার বদনজর
ছিলো এবং সেইই এই ঘটনাগুলো ঘটাতো । ছাত্ররা প্রায়ই দেখতো যে , মাগরিবের আজানের সময় কাছের একটা সুপারী গাছ থেকে বিশাল লম্বা দুইটা পা
ঝুলে আছে । শুধু দুইটা পা । আর কিছুই না ! মাদ্রাসার হুজুররা অনেক কিছুই নাকি করেছিলেন ঐ বদ জিনিস টাকে তাড়ানোর জন্য । কিন্তু কোন লাভ
হয়নি । পরে ঐ মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়া হয় । আপনার পরিচিত কেউ হয়তো মাদ্রাসাতে পড়ে । তার সাথেও এমন কিছু ঘটছে না তো ?? খোঁজ নিয়ে দেখতে
পারেন । আরো ভয়ানক কিছুও ঘটতে পারে !!