গল্পটা আমার দাদুর

গল্পটা আমার দাদুর

অনেক আগে দাদুর কাছে শোনছিলাম…আমার দাদু একজন শক্ত সামর্থ্য মানুষ..এখন বয়স ৭০ এর উপর.. ঘটনাটা আমার দাদুর যুবক বয়সের.. অনেক

আগের…গল্পটা আপনাকে বলি..

এই গল্পটা দিয়েই শুরু করি….এই পেইজের সাথে পথ চলা….আচ্ছা এখন শুরু করি… দাদু যেভাবে বলছিল সেভাবেই তুলে ধরি..!!!!………আপনারা পরে

এটাকে সাজিয়ে পেইজে পোষ্ট করতে পারেন.. আমার লেখায় অনেক ভুল ত্রুটি থাকবে..

তো বলি…

একদিন দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর… শোয়ে রইছি.. আরাম করতে ছিলাম.. তো কিছুক্ষন পর আম্মা আসল.. আইসা বলতেছে.. ছোবান যাত বাজারে যা..

বাজার করে নিয়ে আয়.. আমি বললাম..

আমি কেন.. রফিক কে পাঠাও.. ও কি করতেছে…আম্মা কইল..

ও যাইবে তুইও যা.. বাড়িতে মেহমান আসবে তুই নিজে গিয়ে দেখেশুনে বাজার করে নিয়ে আয়… আমাদের বাড়ি থেকে হাটের দূরত্ব ছিল ৪ কিলোমিটার…

তো আর কথা না বাড়িয়ে বাজারে চললাম… সন্ধ্যার আগে আগেই বাড়িতে আসতে হবে… কারণ আমি বাহিরে দেরি করি না.. তো বাজারে গিয়ে বাজার করে

বাড়িতে আসতে আসতে সেই সন্ধ্যাই হয়ে গেল.. সময় হাতে নিয়েই রওনা দিয়েছিলাম তার পরও সন্ধ্যা হয়ে গেল..কারণ তখনত আর যাতায়াতের এত

সুযোগ ছিল না.. এত এত গাড়িও ছিল না.. তাই এই ৪ কিলোমিটার হাটতে হত.. তো আসতে আসতে সন্ধ্যা… আর তখন কারেন্টও ছিল না সন্ধ্যাকেই মনে হত

মাঝরাত… তো আমি আর রফিক কথা বলতে বলতে আসতেছি… আর কয়েকটা বাড়ির পরেই আমাদের বাড়ি.. তো আমাদের দুজনকেই অবাক হয়ে যেতে

হল.. বাড়ির কাছাকাছি এসে.. কারণ একটা বাড়িতে অনেক মহিলার আনাগোনা আর বাড়ির ভিতরে কান্নাকাটির আওয়াজ শোনা যাইতেছে…আমাদের

বাড়িতে যেতে হলে যে বাড়িটা পার হয়ে যেতে হয়.. সেই বাড়িতেই এসব হচ্ছে.. তোমার ছামাদ দাদুর বাড়ি ঐটা.. তো আমি আর রফিক দুজনেই অবাক হয়ে

দেখতেছি আর ভাবতেছি যে কেউ মারা গেল কিনা..?? কিন্তু ভেতরেও যেতে পারতেছি না.. কারণ কোন পুরুষ মানুষ নেই.. সব মহিলা.. তাই ভেতরে

যাইতেছি না আবার চলেও যাইতেছিনা..

কারণ কি হল সেটা জানতে হবে..? কোন বিপদ হল কিনা..?? আমরা রাস্তার পাশে দাড়ায়া আছি.. আর ভাবতেছি যদি কোন পুরুষ মানুষ আসে তো তাদের

সাথে বাড়ির ভিতরে যাইব আর ঘটনা জেনে আসব.. তো ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মত দাড়াইছিলাম… কিন্তু অবাক করা বিষয়… কোন পুরুষ কেই আসতে

দেখলাম.. সব মহিলা.. কালো বোরখা পড়া.. একবার বাহিরে আসছে আরেক বার ভিতরে যাচ্ছে… আর বাড়ির ভিতরে কান্নার আওয়াজ চলতেই আছে… আর

আমরা ঐখানে দাড়ানোর সময়। আরেকটা বিষয় লক্ষ্য করলাম যে.. যে মহিলারা আসতেছে আর যাচ্ছে তারা সবাই কালো বোরখা পড়া.. একই উচ্চতার..

সাধারন মহিলাদের থেকে অনেক উচু.. আর সবাই একই উচ্চতার.. এটা আমাকে প্রথমেই অবাক করে ছিল…

তো আমরা এখানে কিছুক্ষন দাড়িয়ে যখন কোন পুরুষ মানুষ কেই ভিতরে যেতে দেখলাম না.. তো আমরা ভাবলাম বাড়িতে যাই.. বাড়িতে গিয়ে আম্মাকে

সব বলি.. পরে আম্মাকেই পাঠাই.. আম্মা গিয়ে দেখুক কি হইছে… তো যখন আমরা বাড়িতে আসবার জন্য রাস্তায় উঠছি.. তখনি দেখি বাড়ির ভিতর থেকে

সব মহিলারা বের হয়ে আসতেছে…তাদেরকে দেখে আমাদের বুকের ভিতর ধড়ফর করে উঠল…কারণ যারা বের হয়ে আসছে তাদের কারও শরিরে বোরখা

ছিল না… সবাই ছিল একদম উলঙ্গ.. আর কি ভিবৎস চেহারা…আমরা ভয়ে একদম জমে গেলাম… মাথাটা ফাকা ফাকা লাগতেছিল…এত ভয় জীবনে

কখনও পাইনি…তাদের কারও মাথায় কোন চুল ছিল না.. শুধু মাথার তালুতে লম্বা মোটা একটা চুলের বেণি ছিল… কোমড় পর্যন্ত লম্বা.. তারা সংখ্যায় ৩০ ৪০

জন হবে…সবাই এক কাতার করে হাটতেছে…

অনেক মহিলা… সবাই এসে আমাদের সামনে দিয়ে গিয়ে আমাদের পথ আগলে দাড়াইছে আর বলতেছে…আর একটু দাড়া আমাদের সাথে চল… আর একটু

দাড়া আমাদের সাথে চল…. সবাই একসাথে একই স্বরে একই কথা বার বার বলতেছে… আমি কখনই এতটা ভিতু ছিলাম না… কিন্তু এরকম অদ্ভুদ ঘটনা

চোখের সামনে কখনই ঘটে নি…ভয়ে আমি ঐখানেই জ্ঞান হারাই…রফিকের কথা কিছুই বলতে পারিনা… পরেরদিন বিকালে আমার জ্ঞান ফিরে… নিজেকে

হাসপাতালের বেডে দেখতে পাই…শরিরে প্রচন্ড জ্বর…

পরে আম্মার কাছে.. জানতে পারি..

যে.. আমি জ্ঞান হারালেও রফিক ঠিক ছিল.. সে ভয়ে চিৎকার করতে করতে বাড়ির দিকে দৌড়ে যায়… এবং সেখানে সে জ্ঞান হারায়… পরে ওর চিৎকার

শোনে বাড়ির লোক এবং আশপাশের বাড়ির লোক সবাই বের হয়ে আসে…পরে আমাকে খুজতে থাকে এবং তোমার ছামাদ দাদুর বাড়ির সামনে থেকে নিয়ে

আসে…পরে ঐ রাতেই আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় প্রচন্ড জ্বরের কারণে… আর রফিকের ঐ সময়েই জ্ঞান ফিরে… কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত সে আর

কোন দিন কথা বলতে পারে নি… অনেক ডাক্তার কবিরাজ দেখানো হয়েছে কিন্তু কিছুই হয় নি…ডাক্তার বলেছে.. অনেক জোরে চিৎকার করার কারণে তার

গলায় সমস্যা হয়েছে… সে আর কথা বলতে পারবে না…

গল্পের বিষয়:
ভৌতিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত