ছেলেবেলার স্মৃতি-জড়ানো বিরাট পাইন গাছটার সামনে এসে দাঁড়াল হানস্। কী দশাই হয়েছে গাছটার। স্নিগ্ধ, সবুজ পত্র-পল্লবের কোনো ঐশ্বর্যই আজ আর নেই তার দেহে, শুধু একটা মৃত শুষ্ক কাণ্ড হাড়গোড় বার করে দাঁড়িয়ে আছে! গাছটার দিকে চেয়ে চেয়ে চোখে জল এল হানস-এর। এই গাছের তলাতেই কবর দেওয়া হয়েছিল তার বাবা-মাকে। তাদের ছোট দুই ভাই-বোনকে রেখে মারা যান হানস্-এর বাবা ও মা—অল্পদিনের মধ্যেই, পর পর। বুড়ো দাদু ও দিদিমার কাছে মানুষ হয়েছিল হানস আর তার ছোট বোন লেনা। এই গাছের তলায় বসে দিনের-পর-দিন দাদু ও দিদিমা তাদের নিয়ে কত মজার মজার গল্পই না বলতেন! কিন্তু আজ সে দাদুও নেই, দিদিমাও নেই, আর আদরের সেই একমাত্র বোন লেনাও নেই—নেই মানে, বেঁচেই নেই নিশ্চয়! অতীতের শেষ স্মৃতি বহন করে দাঁড়িয়ে আছে শুধু ঐ হাড়-বারকরা পাইন আর প্রাসাদসংলগ্ন বাগানের কারুকার্য করা লোহার গেটটা। বোমার মারাত্মক ধ্বংসলীলা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে ঐ গেটটা যে কেমন করে এখনও দাঁড়িয়ে আছে সেও এক আশ্চর্য ব্যাপার!
হানস আর বেশিক্ষণ চেয়ে দেখতে পারল না এই ধ্বংসস্তুপ। একটা অসহ্য যন্ত্রণায় তার শরীর ঝিমঝিম করতে লাগল; মাথা, কপাল আর গাল বেয়ে ঘাম ঝরতে লাগল অনর্গল। এই যুদ্ধ— এই তার পরিণতি! মানুষের সংসার-সুখ, ঘর-বাড়ি যদি নষ্ট হয়ে গেল, আপনার জন আত্মীয়স্বজন যদি সবই মরে-হেজে গেল; তাহলে আর রইল কি?—যুদ্ধে জয়লাভ হল আর না-হল, কি এসে গেল মানুষের তাতে!
যুদ্ধ-শেষে দেশের বাড়িতে ফিরে এসে একেবারে স্তম্ভিত হয়ে গেল হানস্। অবাক-বিস্ময়ে তাকিয়ে রইল তাদের ধ্বংসাবশেষ প্রাসাদ ও আদ্যিকালের ঐ পাইন গাছটার দিকে। বাড়ির চেয়ে ঐ গাছটাই যেন সব চেয়ে বেশি আজ আকর্ষণ করছে তাকে। এত দিনের যুদ্ধে পরিশ্রান্ত ক্লান্ত হানস চারিদিকের এই নিদারুণ দৃশ্য সত্যিই যেন আর সহ্য করতে পারল না—গাছটার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে তার শরীর অবশ হয়ে আসতে লাগল, চোখের পাতা ভারী হয়ে এল। ‘কোলোন’-এ থাকার সময়ই যদিও হানস শুনেছিল তাদের দেশে বোমা পড়ার কথা, কিন্তু এ দৃশ্য সে কল্পনা করেনি। নতুন করে এখানে ঘর বাঁধবার আর সম্ভাবনা নেই—তাছাড়া টাকাই বা কোথা!
যা ছিল, সবই জ্বলেপুড়ে ভেঙে-চুরে ধূলিসাৎ হয়ে গেছে—পড়ে আছে শুধু ইট-কাঠ-লোহার বিক্ষিপ্ত ছোট-বড়ো কতকগুলো ন্তুপ!
আর দাঁড়িয়ে থাকতে না পেরে, বিধ্বস্ত বাড়ির একটা খোলা অংশে গিয়ে বসে পড়ল হানস্। এখন একটু বিশ্রাম না নিলে আর চলতে পারা, এমন কি দাঁড়িয়ে থাকাও সম্ভব নয় তার পক্ষে। বেলা পড়ে এসেছিল। আকাশের গায়ে কে যেন ভুসোর কালি ফেরাতে আরম্ভ করেছে, সন্ধ্যা হয় হয়। হানস তার হাতের রেন-কোটটা মাথায় দিয়ে ঐ দাওয়ার উপরেই নিজেকে ছড়িয়ে দিল। এই নিরালায়, চারিদিকের এই অস্বস্তিকর পরিবেশের মধ্যেই কে যেন জোর করে শুইয়ে দিল তাকে।
বাল্যকাল থেকেই অসীম সাহসী ছিল হানস, ভয় বলে কিছুই জানত না। এখানেও ভয় তার কিছুই করছিল না বটে, কিন্তু বাল্য, কৈশোর ও যৌবনের স্মৃতি-জড়ানো এই বাড়িটার দুর্নিবার একটা মায়া আস্তে আস্তে কেমন যেন তাকে অভিভূত করে ফেলছিল তন্দ্রার মধ্যে।
চোখ জুড়ে আসার মুখে, শুয়ে শুয়ে দাদু, দিদিমা ও লেনার কথা গভীরভাবে মনে পড়তেই হানস হঠাৎ দেখল, লেনা তার চোখের সামনে দাঁড়িয়ে।
হানস লাফিয়ে চেঁচিয়ে উঠল, একি, লেনা তুমি! বেঁচে আছ তাহলে?’ বলে তার দিকে হাত বাড়িয়ে দিল সেকহ্যান্ড করার জন্যে, কিন্তু লেনা একটু ব্যবধান রেখে সরে গিয়ে বললে, ‘হ্যাঁ, আমি, দাদু ও দিদিমা আমরা সবাই আছি, কিন্তু এখানে নয়, অন্য দেশে!’
হানস আশ্চর্য হয়ে বললে, ‘দাদু-দিদিমাও বেঁচে তাহলে!—কোথায় তারা, এখুনি নিয়ে চলো তাদের কাছে আমায়! কিন্তু অন্য দেশে তোমরা চলে গেছ তো এখানে এ-সময় তুমি এলে কি করে?’
তুমি এখানে এসেছ জানতে পেরেই আমি এলুম। এখন আমি সব জানতে পারি, সব করতে পারি ইচ্ছে করলে।’ লেনা বললে গম্ভীরভাবে।
এ-কথার তাৎপর্য তলিয়ে দেখার অবসর হল না হানস্-এর। সে তাড়াতাড়ি বললে, সে কি অনেক দূর দেশ?
যত দূরই হোক নিমেষে আমি তোমায় সেখানে নিয়ে যাব আবার নিমেষেই পৌছে দিয়ে যাব এখানে? বললে লেনা।
এ-কথার উত্তরে হানস বিরক্তির সুরে বোকার মতো বললে, আবার পৌছে দিয়ে যাবে বলছ কেন? আমি আর যাব কোথায়, একসঙ্গেই তো থাকব আমরা সবাই?’
তোমার সেখানে থাকা হবে না হানস্—তুমি শুধু দাদু-দিদিমাকে দেখেই চলে আসবে। তাড়াতাড়ি ঐ গাছটার উপরে উঠে বসবে চলো—আমার হাতে বেশি সময় নেই।’ বলে লেনা সেই পাইন গাছটার দিকে দেখিয়ে দিল।
যন্ত্রচালিতের মতো লেনার সঙ্গে হানস শুকনো পাইন গাছটার উপর গিয়ে উঠে বসল। ওরা গাছে চড়ে বসবার সঙ্গে সঙ্গেই এরোপ্লেনের মতো হুস হুস করে শূন্যে চলতে আরম্ভ করল গাছটা। তারপর কিছুক্ষণের মধ্যেই গাছটা এক জায়গায় এসে নাবতে আরম্ভ করল নীচের দিকে।
নাববার মুখে লেনা বললে, ছেলেবেলা থেকেই তুমি তো খুব বীরপুরুষ, কিন্তু এখানকার সব দৃশ্য দেখে ভয় পেও না যেন!’ তার কথা শেষ হতে-না-হতেই গাছটা ঝুপ করে এনে নাবিয়ে দিল তাদের এক বিস্ময়কর দেশে। শোঁ শোঁ শব্দে অনবরতই ঝড়ের বেগে হাওয়া বইছে এলোমেলো। চারিদিকে অস্বাভাবিক রকমের গাছপালা মাইলের পর মাইল জুড়ে অন্ধকার করে রেখেছে সারা দেশটা। মধ্যে মধ্যে তৃণাচ্ছাদিত জলাভূমিতে নানা ধরনের বীভৎস সব সরীসৃপ কিলবিল করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অসংখ্য রক্তপায়ী বাদুড় বিরাট বিরাট ডানা বিস্তার করে উড়ছে আর ঝটাপটি কামড়া-কামড়ি করছে পরস্পরে। ধোঁয়ার মতো এক ধরনের গ্যাস উঠছে চারিদিক থেকে। জলাভূমির মাঝে মাঝে জল ফুটছে টগবগ করে …
যত বীরপুরুষই হোক না কেউ, এ-দৃশ্য দেখে ভয় না পেয়ে উপায় নেই। হানস জড়ানো গলায় বললে, ‘একি ব্যাপার! এখানে না আছে মানুষজন, না আছে মানুষের ঘর-বাড়ি—এখানে, এ কোন নরকপুরীতে নিয়ে এলে তুমি আমায়! শিগগির দাদু-দিদিমার কাছে নিয়ে চলো—তাদের সঙ্গে দুটো কথা বলেই আমি চলে যাব।’
হানস-এর কথার উত্তরে লেনা এক রকমের অদ্ভুত হাসি হেসে বললে, ঘর-বাড়ি, মানুষজন সবই আছে এখানে, তবে তুমি দেখতে পাবে না—দেখলে আরো ভয় পেতে!’
আচ্ছা বেশ, এখন ওঁদের সঙ্গে তাড়াতাড়ি দেখাটা করিয়ে দাও—আর এক মুহুৰ্তও আমি থাকতে পাচ্ছি না এখানে তীব্র বিরক্তি হানস্-এর কথায়।
‘এসো আমার সঙ্গে।’ বলে একটা জলার পাড়ে হানসকে নিয়ে গেল লেনা। দূর থেকে ইঙ্গিত করে বললে, “ঐ দেখ দিদিমাকে।
হানস দেখলে বুড়ি দিদিমা একটা লাঠির উপর ভর দিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। হানস সেদিকে যাবার জন্যে চেষ্টা করতেই লেনা ধমক দিয়ে চেঁচিয়ে উঠল, যেও না—যেও না ওদিকে, বিপদে পড়বে; তাছাড়া বুড়ি এখন মানুষও চিনতে পারে না, কথাও বন্ধ হয়ে গেছে!—দুজনেরই ঐ একই অবস্থা!”.
দাদু, দাদু কোথায়?’ বলে হানস মরিয়া হয়ে উঠল তাকে দেখবার জন্যে।
লেনা আর এক দিকে আঙুল দেখিয়ে বললে, “ওই দেখ দাদু বসে বাইবেল পড়ছে এক মনে। ওরও ‘শেল-শকে’ কথা বন্ধ হয়ে গেছে, লোক চেনারও ক্ষমতা নেই, আর কান তো গিয়েছিল আগে থেকেই!’
কী বলছ তুমি!’ বলেই হানস লেনার কাছ থেকে ছুটে যেই বুড়োর দিকে যাবে, হঠাৎ দেখে বুড়ো-বুড়ি দুজনেই অন্তর্ধান! কেউ কোথাও নেই; শুধু দুটো রক্ত-চোষা বাদুড় ঝটপট করে উড়ে গেল সেখান থেকে।
‘হা হা হা!” বিকট ভাবে হেসে উঠল লেনা।
‘এ কী সব কাণ্ড তোমার—কোথায় নিয়ে এলে তুমি…’ কথাটা সম্পূর্ণ শেষ না করেই হানস যেন হাঁফাতে লাগল। তার দম যেন বন্ধ হয়ে আসছে!
হানস্-এর কাছ থেকে একটু দূরেই দাঁড়িয়ে ছিল লেনা। এই কথার পর সে হানস-এর আরো কাছ ঘেঁষে এসে দাঁড়াল। ভারী বিশ্রী দেখাচ্ছে লেনাকে এখন। ক্রমশই তার স্বাভাবিক চেহারাটা বদলাতে বদলাতে এখন যেন কেমন একটা ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে! রঙটা বদলাতে বদলাতে হয়ে আসছে যেন পোড়া কাঠের মতো! যুদ্ধ-ফেরত সাহসী জার্মান-সন্তান হানস মায়ের পেটের বোনের চেহারার এই ভয়াবহ পরিবর্তন দেখে ভয়ে স্তম্ভিত হয়ে গেল। দুটো হাত জোড় করে কাঁপতে কাঁপতে সে চিৎকার করে উঠল, লেনা তোমার দুটি পায়ে পড়ি, তুমি আমায় বাঁচাও—এ আমি সহ্য করতে পারছি না!”.
কয়েক মুহুর্ত চুপ করে থাকার পর লেনা কথা বললে। গলাটাও তখন তার অস্বাভাবিক রকম বদলে গেছে। সোজাসুজি লেনা বললে, শোন হানস, তুমি ভয় পেও না, আমরা কেউই আজ আর বেঁচে নেই—সকলেই মৃত! যুদ্ধ যখন আমাদের দোরগোড়ায় এসে পড়ল, চারিদিকে যখন বোমা পড়ে লোক কুকুর-বেড়ালের মতো মরতে লাগল ‘ডুরেনে’, সব যখন ধ্বংসের মুখে, আত্মরক্ষার আর কোনো উপায়ই রইল না যখন, তখন বুড়ো দাদু ও দিদিমা নিরুপায় হয়ে আমায় অনুরোধ করলেন তাদের বিষ দিতে। কারণ তারা দেখলেন, এ বয়সে তারা বেঁচে থেকে যদি আমি মরে যাই তো তাদের আর দুৰ্গতির শেষ থাকবে না, আর সেটা হবে তাদের মৃত্যুর চেয়েও যন্ত্রণার। তাঁদের প্রস্তাবে শেষ পর্যন্ত আমি রাজি হই, এবং ঠিক করি, ওঁদের বিষ দেওয়ার পর আমি নিজেও বিষ খাব। এই ঠিক করে আমাদের যা পুরোনো মূল্যবান সোনাদানা ও জুয়েলারি ছিল, যার দাম হবে প্রায় পাঁচ-সাত লক্ষ টাকা, তা সবই বাগানের ঐ পাইন গাছের তলায় পুতে ফেলি। কিন্তু পুঁতে ফেলার আগে তার একটা লিস্ট খামের ভিতর পুরে সীল করে আমাদের পুরোনো মালী লিসেনভগকে দিয়ে দিই তুমি ফিরে এলে দেবার জন্যে। লিসেনভগ এখান থেকে পালিয়ে যায় আত্মরক্ষার জন্যে।
তারপর যখন সত্যিই আর আমাদের বাঁচার কোনো উপায় নেই দেখি, তখন একদিন রাত্রে দাদু ও দিদিমাকে আমি নিজের হাতে বিষ তুলে দিই! কিন্তু সেই বিষ নিজে খেতে যাবার আগেই আমাদের বাগানের পাশে বোমা পড়ে এবং তারই ধাক্কায় আমাদের হাত থেকে বিষের গ্লাস পড়ে যায়। কিন্তু পাঁচ মিনিট না যেতে-যেতেই আবার বোমা পড়ে, এবং এবার ঠিক আমাদের বাড়ির উপরেই। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি-ঘর হুড়মুড় করে সব ভেঙে পড়ে আগুন জ্বলে ওঠে চতুর্দিকে! আমি প্রাণ নিয়ে পালাতে গিয়ে দাদু-দিদিমার সঙ্গেই পুড়ে মরি এই বাড়িতে! উঃ, সে কী ভয়াবহ যন্ত্রণাদায়ক অবস্থা!
‘এখন তুমি ফিরে এসেছ দেখে, ঐ মূল্যবান ধনরত্ব যাতে তোমার হাতে পড়ে সেই খবরটাই দিতে এসেছি—থাকতে পারিনি!—আজ আমি মৃত! আমি মৃত! হানস আজ আমি মৃত!’ বলে শেষের দিকে বিকট চিৎকার করে কেঁদে উঠেই অদৃশ্য হয়ে গেল লেনা হানস-এর চোখের সামনে। যেমন হঠাৎ তার আবির্ভাব হয়েছিল,তেমনি অকস্মাৎ সে মিলিয়ে গেল!
গাঢ় ঘুমের মধ্যেই ঐ চিৎকারে কর্ণপটহ যেন ছিড়ে যাবার উপক্রম হয়েছিল হানস-এর। লাফিয়ে ধড়মড়িয়ে উঠে পড়ল সে। একবার ভালো করে নিরীক্ষণ করে দেখল চারিদিক। সে যেখানে ছিল সেইখানেই আছে। সারা আকাশ কুয়াশায় ঢেকে থাকলেও তার বুঝতে বাকি রইল না
যে ভোর হতে আর বেশি দেরি নেই। সারা গায়ে তখনও ভীতির কাঁটা। এটা যে স্বপ্ন তা কিছুতেই ভাবতে পারছিল না হানস্। এত স্পষ্ট, চাক্ষুষ দেখার মতো এত জীবন্ত কি কখনো স্বপ্ন হয়! পাইন গাছের তলায় লুকোনো ধনরত্বের কথা মনে হতেই সে চাইল বাগানের দিকে। এখান থেকে সোজাসুজিই গাছটাকে দেখা যাচ্ছিল। এতে চড়েই তো গিয়েছিল সে লেনার সঙ্গে। এখনও কিন্তু ঠিক তেমনিই দাঁড়িয়ে আছে শুকনো পাইনের কঙ্কালটা, যেমন ছিল আগের দিন বিকালের দিকে। লেনার কথা মতো ওরই তলায় যদি পোতা থাকে তাদের সমূহ ঐশ্বর্য তাহলে তো সবটাই সত্যি হয়ে যায়! একবার ভাবল হানস্।
এমনি সব ভাবতে ভাবতে হানস গাছটার দিকে যাবে বলে যেই উঠেছে, এমন সময় তার চোখের উপর ভেসে উঠল আর এক ভয়াবহ দৃশ্য। এই অদ্ভূত ভূতুড়ে গাছের কাণ্ড দেখে নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারে না হানস্। দেখে, তাদের সেই বিশ্বস্ত পুরোনো মালী লিসেনভগ উর্ধ্বশ্বাসে ছুটছে, আর তার পিছু পিছু তাড়া করে ছুটছে ঐ শুকনো ভূতুড়ে পাইন! এক ভয়াবহ স্বপ্নকে সম্পূর্ণ সত্য বলে বিশ্বাস করে নেবার পূর্বেই আর এক সত্য স্বপ্নের মতোই ভেসে উঠল হানস্-এর চোখের সামনে!
দুহাতে মাথাটা চেপে ধরে সাহসী হানস ভাবতে লাগল, তাহলে কি লিসেনভগ সেই খাম খুলে আজই ধনরত্ব আত্মসাৎ করার জন্যে পাইন গাছের তলা খুঁড়তে এসেছিল?
গল্পের বিষয়:
ভৌতিক