ঘটনাটি ঘটে ২ বছর আগে বন্ধুর মামার সাথে। মামার নাম সৌখিন। তো মামা ছিল ব্যাচেলর এবং তিনদিন হয়েছিল কুমিল্লার একটা নতুন বাসাভাড়া নেয়।
একরাতে আনুমানিক ৮টার দিকে মামার কাছে এক লোক আসে এবং লোকটা বলে যে সে মামার গ্রামের বাড়ি থেকে আসছে।
লোকটা মামাকে একটা চিঠি দেয় এবং চিঠিটা ছিল তার গ্রামের এক শিক্ষকের।
চিঠিতে ¬ লেখা “বাবা সৌখিন গ্রাম থেকে একজন লোকপাঠালাম তাকে একরাত থাকতে দিও”তাইমামা লোকটাকে থাকতে দিল এরপর লোকটার সাথে একসাথে ভাত খেল। একসময় ভাত খাওয়া শেষ হলো। এরপর লোকটার সাথে মামা আলাপ করতে লাগল ।
আলাপের এক পর্যায়ে লোকটা বলে ‘আমাকে একটা ছবি তুলে কারন লোকটা মামার ঘরে একটা ক্যামেরা দেখতে পেয়েছিল।
তো মামা লোকটার একটা ছবি তুলে।
হঠাত্ ক্যারেন্ট চলে গেল এবং এমন সময় লোকটা বলে ওঠে আপনি ভূত দেখেছেন কখনও?? মামা বলল না ।তখন লোকটা হেসে বলল আরে আমিই তো ভূত ।
লোকটার কথা শুনে মামাও হেসে উঠল।আলাপ করতে করতে রাতপ্রায় ১টা বেজে গেল ।
মামা লোকটার থাকার ব্যবস্থা করে দেয় । লোকটার রুম আর মামার রুম পাশাপাশি ।
রাত যখন প্রায় ৩টা তখন কে যেন মামার ঘরের দরজায় ঠক ঠক করে শব্দ করল ।
মামা দরজা খুলে দেখে লোকটার রুম থেকে মামার রুম পর্যন্ত রক্ত ।
মামা লোকটার রুমের দরজা ঠোকা দিতেই দরজাটা খুলে যায় ।
মামা দেখে যে সেই লোকটার কাটা মাথা দরজার সামনে এবং লোকটার বডি বিছানায় ছটফট করছে।মামার তখনও বিশ্বাস হয়নি যে এইটা একটা ভৌতিক ব্যাপার ।
মামা সত্যি ভেবেছিল যে লোকটাকে কেউ মার্ডার করছে ।
মামা ভয়ে চিত্কার দিয়ে দরজা খুলে বাইরে যেতে চায় কিন্তু খেয়াল করে যে দরজা বাহির থেকে বন্ধ । ঠিক তখনই মামা দেখেযে কাটা মাথাটা টেবিলের উপর ।এইটা দেখেই মামা সেন্সলেস হয়ে যায় । এরপরের ঘটনাগুলো–
১/ মামা সকালে উঠে রুমে কোন লাশ এবং সেই চিঠিটা পায়না কিন্তু দেয়ালে লেখা দেখতে পায় ‘দ্রুত বাসাটা ছাড়’
২/রাতে লোকটা যেসব খাবার খেয়েছিল তার সবই মামা টেবিলে দেখে চমকে ওঠে ।
৩/ মামা বাইরে এসে সবাইকে বলে যে গত রাতে ক্যারেন্ট ছিলনা বলে আমার খুব সমস্যা হয়ছে । তখন সবাই বলে গতরাতে তো ক্যারেন্ট ঠিকই ছিল ।