আমি এখন যে ঘটনাটা শেয়ার করতে যাচ্ছি সেটা এক রিকশাওয়ালা আর এক লোকের ঘটনা।
ঘটনাটি ঘটেছিল দোহার থানার চরজয়পাড়া নামক গ্রামের এসপি বাড়ির সামনের সেই রাস্তায়। যেখানে একটা কালভার্ট আছে আর তার ঠিক পাশেই আছে বড় একটা ঝোপ।
যে জায়গার আরও একটি ঘটনা আমি এর আগেও সবার সাথে শেয়ার করেছি। এখন আমি সেই জায়গার আরও একটি ভয়ঙ্কর ঘটনা সম্পর্কে তুলে ধরছি। এই ঘটনাটি ঘটেছিল আজ থেকে প্রায় ৭/৮ বছর আগে।
একদিন এক রিকশাওয়ালা রাতে এক প্যাসেঞ্জারকে নিয়ে সেই রাস্তা দিয়ে আসছিল। রাততখন প্রায় আনুমানিক এগারোটা কি সাড়ে এগারোটার মতন হবে। আমরা জানি যে গ্রামে ৯টা/১০টার দিকেই প্রায় বেশিরভাগ মানুষ ঘুমিয়ে পরে।
তাই সেই সময়টায় সেখানে একেবারেই জনমানবহীন ছিল। তারা দুজনই সেই রাস্তা ধরে যাচ্ছে।
এমন সময় তারা কিছুটা দূর থেকে হঠাৎ সাদা কিছু একটা লক্ষ করে।
তারা যখন সেই কালভার্টের কাছাকাছি জায়গায় গেল, তখন তারা দেখল যে কালভার্টের উপর সাদা কাপর পরা একটা লাশ শুয়ে আছে। এরপর তারা দুজনেই রিক্সা থেকে নেমে লাশটির কাছে যায়। তারা দুজনেই অবাক হয়ে গেল, যে এত রাতে এইখানে একটা লাশ কে রেখে গেল!
লোকটি রিকশাওয়ালাকে বলল, হয়তো কেও লাশটিকে এখানে ফেলে রেখে গেছে। চল আমরা লাশটিকে নিয়ে দাফনের বেবস্থা করি।
কিন্তু রিকশাওয়ালা এতে আপত্তি জানালো।
সে লোকটিকে বলল, আমাকে আমার ভাড়া দিয়ে দেন। আমি এইসব লাশ নিয়ে যেতে পারবনা। লোকটি তাকে বলল, ঠিক আছে তোমাকে ভাড়া ১০০ টাকা বেশি দেব।
একথা শুনে রিকশাওয়ালা লাশটি নিতে রাজি তবে রিকশাওয়ালা লোকটিকে শর্ত দেয় যে, লাশটি আপনাকেই তুলতে হবে।
লোকটি বলল, ঠিক আছে তাই হবে। তারপর লোকটি লাশের কাছে গিয়ে মুখের কাপরতুলতেই দেখতে পায় লাশটি চোখ খোলা অবস্থায় তাকিয়ে আছে। অর্থাৎ কেউ চোখ খোলা অবস্থায় মারা গেলে যেমনটা দেখা যায় ঠিক তেমন। এতে সে একটু ভয় পেয়ে যায়। এরপর সে লাশটির গায়ের কাপরের আরও কিছু অংশ সরাতেই দেখতে পায় লাশটির শরীরের পশমগুলো বেশ বড় বড়, যা কোন সাধারণ মানুষের থেকে একেবারেই আলাদা। অর্থাৎ পশমগুলো ছিল ঠিক ভেড়ার শরীরের
পশমের মত। এটা দেখে লোকটি চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। আর সেই রিকশাওয়ালা এক চিৎকার দিয়ে সেখান থেকে দৌড়ে চলে যায় আর এক বাড়ির
সামনে গিয়ে পরে। তার কথা শুনে লোকজন সেখানে যায়। কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সেখানে কোন লাশ পাওয়া
যায়নি।
এমনকি সেই লোকটিকেও সেখানে আর পাওয়া গেল না। পরদিন সকালে সেই কালভার্টের নিচে সেই লোকটির লাশ পাওয়া যায়, কাদায় অর্ধেক গাড়া অবস্থায়।