আমারবয়স তখন ২২বছর !
আমার বাবার খুবই ডায়রিয়া হয়েছিল !
গ্রামের এক কবিরাজকে দেখিয়েছি এবং সে বলে না’ যত তারাতারি সম্ভভ শহরে নিয়ে ভাল ডাক্তার দেখাতে!
কারন তখনকার দিনে গ্রামের দিকে কোন ডাক্তার ছিলনা!
আর শহর ২৫কিঃ মিঃ দূরে! শহরে
যেতে হবে নৌকায়করে!
যোগাযোগে একমাএ উপায়ছিল নদীপথ!
ভাল রাস্তা তখন ছিলনা!
বাবাকে নিয়ে যখন রওনা করি তখন বেলা ১২ বাজে !
প্রথমে আকাবাকা ছোট খাল পেরিয়ে বড়
নদী তারঐ পাড়ে শহর !
শহরে পৌছাতে আরো ঘন্টা আডাঁই লেগেছে!
বিকাল ৫টার দিকে বাবা মারা যায়!
বাবার লাশটা নিয়ে আমি আবার বাড়ির দিকে রওনাদেই !
বড় নদীটা যখন পার করে খালের দিকে নৌকাঢূকাই তখন…………
দেখতে পাইনৌকা আর চলছে না’কাঁদায় আটকে গিয়েছে!
তখন ভাটা চলছে ! জোয়ার আসবে রাত ১২টার দিকে!
তখন সময়টাআনুমানিক সন্ধা সাডে ৬টাহবে!
শীতেরকাল থাকায় ঐ সময়ে অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল চারপাশ!
আকাশের জোত্নার আলো ছিল খুব!
জনমানব শূন্ন একটি স্থানে এসে নৌকাটাআর চলছে না!
খালটার বামপাশে একটু দূরে একটিপরিতেক্ত শ্বশান আর ডানপাশে গভীরজঙ্গল !
জঙ্গলের বটগাছ গুলে দানবের মত দাড়িয়ে আছে !
বটগাছের ডালে কিছু বাদুরঝুলে আছে!
এতটাই নির্জন জায়গায় যে কোন শব্দ হলেই বুকের
ভিতরে কেমন যেন করে ওঠে!
ভয়ে বাবার লাশটা স্পর্শ করে বাবার পাশে বসে থাকি !
শুধু অপেহ্মা ছাড়া আর কোন উপায়নেই!
একটাচাদর দিয়ে বাবার লাসটা ঢেকেদিয়েছি !
রাতযত বাডতে থাকে ভয় ততটাইতীর্বরোহতে থাকে !
মনে হয় জঙ্গল থেকে কিছু একটা বেডিয় এসে আমাকে ধরবে !
হটাত্ নৌকাটা কেমন যেন একটু দুলে উঠলে মনে হল আমার মৃতবাবা নাডে উঠছে!
বাবার ঠান্ডা শরির থেকে হাতটা সরিয়ে নেই!
দোয়া যতটুকুপাড়ি সবই পড়তে চেষ্টা করছিকিন্ত ভয়ে কিছুই মনে নেই!
ইচ্ছা করছিল চিত্কার করি বাচাঁও বাচাঁও বলে!
কিন্তু আমিজানি আমার এই চিত্কার কারো কানে পৌছাবেনা!
নাপারছি এখান থেকে যেতে ,না পারছি থাকতে !
নিজের মৃতবাবাকেও ভয় করছে!
আনুমানিক রাত ১১টার দিকে একটাছায়া দেখতে পেলাম
বট গাছের অড়ালথেকে বেডিয়ে আমাদের নৌকার কাছে আসলো ও….
আমাকে জিঙ্গাসা করলো’ তুমিকিঐ দিকে যাবা ?
লোকটি একটাচাদর গায়ে জড়িয়ে আছে ও তার মুখটা চাদরে ডাকা ছিল!
লোকটি ইশারায় যে দিকে দেখালো ঐ দিকেই আমরাযাচ্ছি!
লোকটিকে বললাম জোয়ার আসলে যাব !
লোকটি নৌকায় উঠলো ও বাবার কাছে বসলো কিন্তু বাবার সম্পর্কে কিছুই জিঙ্গাসাকরলো না!
একদৃষ্টিতে বাবার লাশটার দিকে চেয়ে ছিল!
লোকটার মুখটা আমিতখনো দেখতেপাই নি!
এই গহীনজঙ্গলে এতরাতে তার আগমনের কারনটা পর্যন্তে জানতে ইচ্ছা করে আগমনে শস্তি পেয়েছি!
রাত১২টারদিকে জোয়ার আসলে আমি নৌকাটা চালাতেশুরু করি!
নৌকাযত সামনের দিকে যাচ্ছে ততই একটাগন্ধ নাকে লাগছে!
ধিরে ধিরে গন্ধের তীবরোতা বাড়তে থাকে !
কিছু কচুরিপনা , কলাগাছ ও মরা একটাগরুর ফুলে থাকা দেহ একসাথে জটলাকরে এমনভাবে নৌকার সাথে আটকে আছে যে আমি অনেক চেষ্টা করেও
নৌকাটাকে কিছুতেই সামনের দিকে নিতে পারছিনা!
বাদ্ধ হয়ে আমি নৌকা থেকে পানিত রশিধরে টানতে থাকলাম !
প্রায় ৫ মিনিট টানার পর আমি নৌকার কাছে আসি ! তখন
যাদেখলাম বুকের ভিতর কেমন যেন করে উঠলো !
দেখি লোকটাবাবার বুকেরকাছে বসে বারার বুকের ভিতর হাত ঢুকিয়ে দিয়ে কলজাটা বেরকরে নেয়,
তখন আমিকোন উপায় নাদেখে বৈঠাটা হাতেনিয়ে লোকট মাথায় আঘাতকরি একাধিক বার!
লোকটা আমার দিকে যখন ঘুড়ে তখন ঠিকগলার মাঝখানে বৈঠাটা ঢুকিয়েদেই !
এতে লোকটা পানিতে পড়ে যায় !
আমিপানিতে খুব জোরে জোরে বৈঠাদিয়ে আঘাত করি ও চিত্কার করি সাহষথাকলে সামনে আয়!
চাঁদের আলোতে লোকটার রক্তমাখা লোমশ হাতটা দেখেছিলাম !
বড়বড় নখ ও কোঠরে ঢোকানো চোখের নীল আভামনে পড়লে বুকটাশুকিয়ে যায়!
দাতগুলো লালচে খুব ছোট ছোট তীখ্ন আর ধারালো!
আমারচিত্কার শুনে টর্চলাইট নিয়ে কয়েকজন লোক ছুটে আসে তাদের সব কিছু খুলে বলি!
সব কিছু শুনে তারা বাবার লাশটা দেখে ’তখন ও বাবার বুকের ছোপ ছোপ রক্তগুলো শুকায়নি!
ঐ রাতটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে ভয়ংকর রাত!
যেরাতের কথা আমিকখনো ভুলতে পারবো না!
ঐটাছিল একটা পিশাচ !