এটা কিন্তু মিথ্যা ভূতের গল্প নয়। সত্যি ঘটনা।
আমরা সার্জিক্যাল মাস্কের কথা সবাই জানি। এটা সাধারণতঃ চিকিৎসকরা ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু জাপানের কথা একটু আলাদা। এখানকার সাধারণ মানুষরা কারণে অকারণে মাস্ক পড়ে ঘুরে বেড়ায়।
ঠিক সেরকমই ১৯৭৯ সালের দিকে হঠাৎ টোকিওর রাস্তায় মাঝে মাঝে মাস্ক পড়ে এক মেয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছিল। আর মাস্ক পড়া সেই মেয়েটা যখন তখন বাচ্চাদের পথ আগলে ধরত। হঠাৎই কোন বাচ্চার পথ আগলে ধরে তারপর জিজ্ঞাসা করত, “আমাকে কি খুব সুন্দর লাগছে?”
বাচ্চাটা উত্তর দেবার আগেই সে তার মাস্কটা খুলে ফেলত, তারপর চেঁচিয়ে বলত, “এবার দেখে বল, আমাকে সুন্দর লাগছে কি না?”
তার মুখটা দেখে কেউ যদি বলত, “না” তাহলে সে ক্ষেপে গিয়ে বের করত বিশাল এক কাঁচি। তারপর সেটা দিয়ে বাচ্চাটার মাথায় আঘাত করে করে মেরে ফেলত।
আর যদি বাচ্চাটা বলে, “হ্যাঁ” তবে সে তার বড় কাঁচি দিয়ে বাচ্চাটার মুখ কান পর্যন্ত কেটে দিত।
একমাত্র বাঁচার উপায় হল- এই মেয়েকে কনফিউজড করে দেয়া । সে যদি বলে, “আমাক কি সুন্দর লাগছে?” তাহলে বলতে হবে, তোমাকে খুব সাধারণ একটা মেয়ের মত লাগছে অথবা তুমিই বল, ‘তোমাকে কেমন লাগছে?’ একমাত্র কনফিউজড করলেই বাচ্চারা পালানোর জন্য অনেক সময় পেত।
এই ঘটনার পর পুলিশ রাস্তায় টহল বাড়িয়ে দেয়, বাচ্চাদের এক সাথে লাইন ধরে স্কুলে যেতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। এই মেয়েটাকে জাপানিজরা বলে কুচি-সাকে- অননা (কাটামুখো মেয়ে)।
এই মেয়েকে নিয়ে দুটো গল্প প্রচলিত আছে।
বলা হয়, কয়েকশ বছর আগে এক বদরাগী সন্দেহপ্রবণ সামুরাই তার অতীব সুন্দরী স্ত্রীকে সন্দেহের বশবর্তী হয়ে এভাবে মুখ কেটে দেয়।
একটি পুরোনো রিপোর্টে দেখা যায়, ১৯৭০ দিকেও একবার এই কাটামুখো মেয়ে বের হয়েছিল, এক সুন্দরী মেয়ে রোড এ্যাক্সিডেন্ট করে মারা যায়। মারা যাবার পর দেখা গিয়েছিল, তার মুখটা দারুণ ভাবে কেটে গেছে। তারপর থেকে তার অশরীরী আত্মা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়।
২০০৪ সালে দক্ষিণ কোরিয়াতেও এই আতম্ক ছড়িয়ে পড়ে। তখন দক্ষিন কোরিয়ার রাস্তায় লাল মাস্ক পড়ে এক মেয়ে, শিশুদের খোঁজে রাস্তায় ঘুরে বেড়াতো।