ঠিক যেন গা ছমছমে কোনও সিনেমার চিত্রনাট্য। ১৫ বছর আগে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে বাড়ির বউয়ের। তারই অতৃপ্ত আত্মা ভয় দেখিয়ে অতিষ্ট করে তুলছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের। রুপোলি পর্দায় নয়, রিয়েল লাইফে এই ঘটনা ঘটেছে বাস্তবে। উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের পাহাসু এলাকার বাসিন্দা রাজবিরের পরিবারে।
জানা গিয়েছে, রাজবিরের পরিবার যে বাড়িতে থাকে, সেখানে বিভিন্ন জায়গায় হঠাতই জ্বলে উঠছে আগুন। তাতেই পুড়ে যাচ্ছে ঘরের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস থেকে শুরু করে টাকা-পয়সাও। এইধরণের ভূতুড়ে ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ভীষন ভয় পেয়ে গেছে পরিবারের লোকজন।
আগুন লাগার কোনও কারণ বা সূত্রও খুঁজে পাচ্ছে না পরিবারের লোকজন। রাজবির পেশায় একজন বালা প্রস্তুতকারক। তাঁর ব্যবসার জন্য তৈরি করা বালাও রেহাই পায়নি এই রহস্যজনক আগুনের গ্রাস থেকে। তাঁদের বাড়ির অবস্থা এতটাই করুণ যে, তাঁরা ভয়ে খাবারও খেতে পারছেন না।
রাজবিরের প্রতিবেশীদের অনুমান, এসবের পিছনে রয়েছে রাজবিরের ছেলের প্রথম পক্ষের বউ পিঙ্কি, ১৫ বছর আগে যাঁর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছিল।
সেই ঘটনায় রাজবিরের গোটা পরিবারকে জেলেও যেতে হয়েছিল। কিন্তু জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ছেলে নগেন্দ্র-র আবার বিয়ে দেন রাজবির। বিয়ের পর থেকেই রোগভোগে আক্রান্ত নগেন্দ্রর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। এমনকী নগেন্দ্র-র ছেলেও অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছে।
এই সমস্ত ঘটনার জন্যই নগেন্দ্রর প্রথম পক্ষের বউ পিঙ্কিকেই দায়ী করছে রাজবিরের পরিবার ও প্রতিবেশীরা।
বাড়িতে শান্তি ফিরিয়ে আনতে তান্ত্রিকের পরামর্শও নিয়েছেন রাজবির। তিনিও এব্যাপারে একমত যে, পিঙ্কির অতৃপ্ত আত্মাই এইসমস্ত রহস্যজনক ঘটনার পিছনে রয়েছে।
নগেন্দ্রর মা জানিয়েছেন, ঘুমের মধ্যে স্বপ্নেও তাঁদের রেহাই দিচ্ছে না পিঙ্কির আত্মা। স্বপ্নে রাজবির গোটা পরিবারকে শেষ করে দেবার ভয় দেখাচ্ছে পিঙ্কি।