অতৃপ্ত আত্মার কাণ্ড

অতৃপ্ত আত্মার কাণ্ড

অনেকেই বিশ্বাস করেন আমাদের চারপাশে সবসময়ই অতৃপ্ত আত্মারা ঘুরেফিরে বেড়ান। আমরা কখনও তাদের অস্তিত্ব টের পাই, আবার কখনও পাই না। জাপানের এমনই পাঁচ অতৃপ্তআত্মার দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের কথা শোনা যায়যা সত্যিই ভয়ংকর। এই পাঁচ অতৃপ্ত আত্মার কথাই এখানে বলা হলো:

ওকিকু পুতুল: ছোট্ট মেয়েটির নাম ওকিকু। ঘটনাটা অনেক বছর আগের। মেয়েটির একটি সুন্দর পুতুল ছিল যার পরনে ছিল ঐতিহ্যবাহী পোশাক আরমাথায় ছোট চুল। ওকিকুর সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিল পুতুলটি। একদিন ঠাণ্ডাজনিত অসুখে পড়ে মারা যায় মেয়েটি। কিছুদিন পর ঘটলো আশ্চর্যজনক ঘটনা। পুতুলটির চুল আগের চেয়ে লম্বা হয়ে গেছে। সবাই ধরে নিল ওকিকুর আত্মা ঢুকে গেছে এই পুতুলটির মাঝে। এরপর থেকেই পুতুলটিকে রেখে দেওয়া হলো মানেঞ্জি মন্দিরে।

কুচিসাকে ওন্না: অপঘাতে মারা গিয়েছিল কুচিসাকে ওন্না। জীবিত অবস্থায় তার মুখে গভীর এক কাটা দাগ ছিল যা নিয়ে তার ভেতর গভীর দুঃখবোধ ছিল। মৃত্যুর পর ওন্নার অতৃপ্ত আত্মা প্রচণ্ড ক্রোধ নিয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়ায় আর কাইকে দেখলেই প্রশ্ন করে, আমি কি দেখতে সুন্দর? ট্রেঞ্চ কোট ও সার্জিকাল মাস্কে ঢাকা মুখ দেখে পথিক যদি তাকে সুন্দর বলে তবে ওন্না তার মুখ কেটে দাগ ফেলে দেয়। করে দিবে। আর কেউ যদি তাকে অসুন্দর বলে তাহলে তাকে মাথাটাই হারাতে হয়।

হিতোবাশিরা: জাপানে প্রচলিত প্রাচীন কিছু ধারণার একটি হলো, বিভিন্ন স্থাপনায় মানুষ ব্যবহার করলে স্রষ্টা খুশি হন এবং স্থাপনা দীর্ঘস্থায়ী হয়। এভাবে বিভিন্ন স্থাপনায় কত শত নারী, পুরুষ ও বাচ্চাকে বলি দেওয়া হয়েছে তার ইয়াত্তা নেই। বলি দেওয়া এই সকল মানুষের আত্মা আজও পথে পথে ঘুরে বেড়ায়।

গার্ল ফ্রম দ্য গ্যাপ: এই আত্মা ঘরের কোনায় কোনায় লুকিয়ে থাকে। ঘরের লোকজন কারো যদি চোখাচোখি হয় তাকে সম্মোহন করে ফেলে। লুকোচুরি খেলার আমন্ত্রণ জানায়। এতে সায় দিলেই বিপদ। অজানা এক স্থানে নিয়ে যাবে যেখান থেকে ফিরে আসা যায় না।

টিক টিক: এটা সুন্দরী এক নারীর অতৃপ্ত আত্মা। অনেক অনেক আগে ট্রেনে কাটা পড়ে মাঝ বরাবর কাটা পড়ে। এরপর থেকে নিচের অংশ খুঁজে না পেয়ে দুই হাতে ভর দিয়ে হাঁটে। হাঁটার সময় টিক টিক টিক আওয়াজ হয়। গভীর রাতে পথিমধ্যে কাউকে পেলে তারও একই হাল করে সে।

গল্পের বিষয়:
ভৌতিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত