ঘটনাটা আমার এক বন্ধুর মামার কাছ থেকে শোনা। নাম পিয়ারুজ্জামান। উনি থাইল্যান্ড এ থাকতেন। তার সাথে থাইল্যান্ডের ই এক বাঙ্গালীর সাথে পরিচয় হয়। তো দেশে দুই জন এক্সা থেই ফেরেন। ঐ বন্ধুর নাম আখতার। দেশে ফেরার কয়েকদিন পরেই আখতার বিয়ে করেন। বিয়েতে মামাকে দাওয়াত দেন। উনাদের বাড়ি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে। বিয়ের দুই দিন আগেই মামা সিরাজগঞ্জ যান।
ঘটনার দিন আখতার এর গায়ে হলুদ ছিল। গায়ে হলুদের দিনই পাশের বাড়ির এক মেয়ে মারা যায়। মেয়েটি আখতার এর চাচাতো বোন ছিল। তো এমন ঘটনায় সবাই মন মরা হয়ে গেল। বিয়ে দুই দিন পিছিয়ে গেল। ঐ রাতেই মেয়েটির দাফন কাফনের কাজ শেষ হল।
রাতে মামা আর আখতার সহ সবাই বাড়ির উঠানে বসে কথাবার্তা বলছে। প্রসঙ্গ: মেয়েটার হঠাৎ মৃত্যু। তো এক সময় বাড়ির কোন এক সদস্য কল পারের গাছের নিচে কিছু একটা নড়তে দেখে। একটু ভাল করে খেয়াল করে দেখে সাদা কাফন পরা ঐ মেয়েটি দাড়িয়ে আছে। ভয়ঙ্কর ব্যপার তখন ঘটে যখন এই ঘটনা সবাই দেখে। শুধু একজন নয়। বাড়ি তে দোয়া দুরুদ পড়া শুরু হয়ে যায়। কোনভাবে রাত পার করে সবাই।
পর দিন সকালে ফজরের নামাজের সময় আখতার এর বাবা অজু করতে কল পারে গেলেন। তিনি ঠিক তখনো মেয়েটিকে একি জায়গায় দেখলেন। ব্যপারটা তার কাছে অনেক ভয়ঙ্কর মনে হল। সকাল বেলায়ও যে একই ঘটনা ঘটবে তা তিনিভাবেন নি। তিনি ঘটনাটি নিয়ে মসজিদের ইমামের সাহেবের সাথে আলাপ করেন। ইমাম সাহেব মেয়েটির লাশ কে কবর থেকে তুলতে বলেন।কবর থেকে লাশ তোলার পর ঈমাম সাহেব বাড়ির মহিলাদের বলেন মেয়েটির শরীর একবার পরখ করে নিতে। তো মেয়েটির শরীরে কোনো নাপাক কিছু আছে কিনা সবাই ভালকরে দেখল।
ভালভাবে দেখার পর দেখা গেল যে মেয়েটি হলুদের অনুষ্ঠান এর জন্য সাজতে গিয়ে হাতে পায়ে নেলপলিস লাগিয়ে ছিল। তারই কিছু অংশ পায়ের কোন এক নখে লেগে ছিল। গোসল এর সময় সেখানে পানি না যাওয়ার ফলে মেয়েটিকে কবর গ্রহণ করছিল না। পরে আবার লাশ টিকে গোসল করানো হয়। এবং পরিপাটি করে কবর দেয়া হয়। এর পর মেয়েটির আত্মা টিকে আর কেউ কলপারে দেখেনি। মামা আরো বলেছেন যে, আজও গভীর রাতে কল পার থেকে নাকি কান্নার শব্দ পাওয়া যায়। কিন্তু কেউ আর মেয়েটির আত্মা টিকে দেখতে পায়নি।