এই ঘটনাটি আমি আমার কলিগের কাছ থেকে শুনেছিলাম । উনার বড় খালার ঘটনা আমাকে বলেছিলেন উনি । ওই আপুটার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর । উনার বড় খালা মাদারীপুরে থাকতেন। খালাদের বাড়িতে ওই খালা, খালু এবং খালার এক ননদ থাকতেন । আর খালার সব ছেলেমেয়েরা বিয়ে করে বা চাকরির সুবাদে বিভিন্ন জায়গায় থাকত।
একদিন খালা এশার নামাজ পরার জন্য কল পাড়ে যান অঁজু করতে। উনি যখন টিউবয়েল চাপ দিতে গেলেন, তখন তাঁর মনে হল পেছন থেকে কেউ উনার ডান পায়ে ধরেছে। ছোট বাচ্চারা যখন কাউকে পেছন থেকে ধরে, ঠিক সেভাবে। উনি ভাবলেন আশেপাশের বাড়ির কোন বাচ্চা এসেছে। উনার বাড়ির আশেপাশে অনেকগুলো বাড়িতে ছোট ছোট বাচ্চা আছে । সবাই তাঁকে দাদী বলে ডাকে। খালা ভাবলেন ওদেরই কেউ হয়ত। উনি এই যাহবললেন। তখন ছেড়ে দিল। আবার কল চাপবেন, এবার উনার বাম পা ধরল। উনি আবার এই যাহ বলে পিছনে ঘুরে দেখলেন কেউ নেই। উনি মনে করলেন, হয়ত পালিয়েছে বাচ্চাটা।
সাধারণত, উনারা এশার নামাজ পড়ে, খাওয়া দাওয়া করে ৯ টার মধ্যে শুয়ে পড়তেন। পরেরদিন রাতে, ঘুম ভাঙলে খালা উঠেন টয়লেটে যাওয়ার জন্য। এরপর নাকি তাঁর কিছু মনে নেই। তাঁর ঘুম ভাঙে কল পাড়ে।
তখনও রাত ছিল। উনি মনে করেন, বেশি রাত হয়নি। হয়ত টয়লেট থেকে বের হয়ে ঝিমুনি এসেছে। আর তিনি কোন রকম ভয়ও পাননি। তারপর তিনি ঘরে আসলেন। ঘড়িতে দেখলেন, ৪টার বেশি বাজে। তখন তাঁর খানিকটা ভয় লাগল যে, এতহ্মণ উনি কল পাড়ে কি করছিলেন!! তখন উনি গত দিনের ঘটনার সাথে এই ঘটনা মিলালেন।
পরের দিন খালা উনার ননদের সাথে বিষয়টা শেয়ার করলেন। সব কিছুই বললেন। উনার ননদ উনাকে এসব নিয়ে ভাবতে মানা করলেন। বললেন, এসব মনের ভুল।খালা তখন চুপ থাকলেও মনেমনে খুব ভাবতেন আর দুশ্চিন্তা করতেন। এর ২/৩ দিন পর, খালা মাটির রান্না ঘর লেপছিলেন। অল্প একটু লেপার পর নাকি তার খুব অস্থির লাগছিল। উনি উনার ননদকে বললেন যে খারাপ লাগছে। একটুশুই। পরে লেপব রান্নাঘর। এই বলে উনি রান্নাঘরেই মাটির উপর শুলেন। সেই যে শুলেন, উনিআর উঠেন নি। অজ্ঞান হয়ে যান। পরে উনাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ৭ দিন হাসপাতালে থাকার পর উনি মারা যান। ডাক্তার বলেন যে উনি স্ট্রোককরেছেন। এরপর, উনাকে বাড়িতে আনা হয়। উনাকে গোসল করান আমার কলিগের আম্মা,অর্থাৎ, ওই খালার ছোট বোন, খালার ননদ আরও অন্য মহিলা। উনারা নাকি গোসল দেওয়ার সময় খালার পায়ে, পিঠে আর হাতে কিছু দাগ দেখেন।কাউকে দড়ি দিয়ে খুব কষে বাঁধলে যেমন কালশিটে পরে, তেমন দাগ হয়ে ছিল ! তখন খালার যে ননদ, উনি বললেন যে খালা যেই জায়গা দেখিয়েছিলেন বাচ্চাটা ধরেছিল, সেই জায়গায় দাগ হয়ে আছে। জায়গাটা ছিল হাঁটু ও গোড়ালির মাঝ বরাবর।
এই ঘটনার বর্ণনা কি? হতে পারে খালা সব ভুল ভেবেছেন। ভয় মানুষকে অনেক কিছু ভাবায়, অনেক কিছু দেখায়। কিন্তু, দাগ গুলো? আমি ঘটনাটা শুনে খুব ভয় পেয়েছি। কারন, ওই জায়গায় আমি হলে কি হত তা ভেবে।