রবিন অনেক দিন পর তার নানুর বাড়িতে বেড়াতে এসেছে। বছরে ২/১বার আসে গ্রামে কয়েকদিন থেকে চলে যায়। ওর পুরো ফ্যামেলী শহরে থাকে রবিনের বাবা ঢাকা
শহরের একজন বিখ্যাতো বিজনেজম্যান কোন কিছুরই অভাব নাই টাকা পয়সা বাড়ি গাড়ি সবই আছে। যাইহোক মূল গল্পে আসা যাক। প্রতিবারের মত রবিন এবারো
গ্রামে বেড়াতে আসলো। আর ওই দিন ১টা রাশপুর্নিমার অনুষ্টান ছিলো রবিনের নানুর বাড়ি থেকে প্রায় ৬মাইল দুরে অনুষ্টান টা হচ্চে ত রবিন তার মামা কে বললো
আজ রাতে সে অনুষ্টান দেখতে যাবে একমাত্র ভাগিনা তাই মামাও আর না করলো না শুধু এই কথা টা বললো যে রবিন তুই অনুষ্টান দেখতে যা সমস্যা নাই কিন্ত বেশী
রাত করবি নাহ ৮ টায় বাড়ি ফিরে আসবি কারন কিছু দুরেই শ্মসানঘাট জায়গাটা কিন্ত ভালো নাহ। রবিন বললো ওসব আমি ভয় পাইনা মামা। আমার কিছুই হবে না
আমি ঠিক ফিরে আসবো। এই কথা বলে সন্ধার পর রবিন তার মামার মোটর বাইক টা নিয়ে বেরিয়ে গেলো অনুষ্টান দেখতে। অনুষ্টান দেখতে দেখতে কবে যে রাত
একটা বেজে গেছে সেটা রবিন খেয়াল করেনি। হঠাৎ যখন ওর পকেট থেকে মোবাইল বের করে দেখলো রাত ১টা বেজে গেছে তখন সে কিছুটা ভয় পেয়ে গেলো কারন
ওর মামা ওকে আগেই বলে দিয়েছিলো রাত ৮টায় বাড়ি ফিরতে এখন ত বকা ঝকা শুনতে হবে। রবিন সাথে সাথে অনুষ্টানের আসর থেকে বেরিয়ে এলো রবিন। এবং
মোটরসাইকেল ষ্টার্ড করে বাড়ির দিকে রওয়ানা হলো ভালো কথা। কিছুদুর যাওয়ার পর গেলো টায়ার পামচার হয়ে। রবিন এখন কি করবে এত ভারি ১টা একা ঠেলতে
ঠেলতে নিয়ে যাচ্চে। অন্ধকার রাত চাদের আলোয় সামান্য সামান্য দেখা যাচ্চে রাস্তা পুরোটাই ফাঁকা কোন মানুষজন নাই রাস্তায় রবিন একাই আসতেছে আসতে
আসতে যখন সেই শ্মসানঘাটে চলে আসলো তখন ওর ভিতরে ১টা ভয় ডুকে গেলো কারন রবিন দেখতে পেলো ওর থেকে কিছু দুরে সাদা কি একটা দাড়িয়ে আছে।
রবিন ভাবলো কোন মানুষ হবে হয় ত সাদা পান্জাবী পরে আছে। সে সামনের দিকে এগুতে লাগলো এবং ওই সাদা জিনিসের দিকে লক্ষ্য করে ডাক দিলো কে ভাই
ওখানে দাড়িয়ে আছেন আমাকে একটু হেল্প করুন। রবিন এভাবে বার বার ডাক দিলো কিন্ত কোন সাড়া পেলো না। এদিকে ঠান্ডায় ওর হাত অবস হয়ে গেছে সাইকেল
ঠেলে নিয়ে যাওয়ার মত অবস্তায় নাই। তাই সে ভাবলো এভাবে ওই লোকটাকে না ডেকে লোকটার সামনে গিয়ে কথা বলবে। তাই সে সাইকেল ষ্টেন করে লোকটার
সামনে গিয়ে দাড়ালো। এবং বললো ভাই আমাকে একটু হেল্প করুন প্লিজ। লোকটা বললো কি হেল্প? রবিন বললো আমার মোটরসাইকেলের টায়ার টা পামচার হয়ে
গেছে আমি একা ঠেলতে পারছি না আপনি আমাকে হেল্প করবেন লোকটা বললো ঠিক আছে চলো। তারপর রবিন সামনে আর ওই লোকটা পিছনে গিয়ে ঠেলতে
লাগলো কিছুদুর যাওয়ার রবিন দেখলো রাস্তায় ১টা বস্তা পড়ে আছে। ওটা দেখার ওই লোকটে পিছন থেকে বললো দেখো ত একটু বস্তার ভিতরে কি আছে লোকটার কথা
শুনে রবিন বস্তার মুখ টা যেই না খুললো দেখেই ত সে অকাক হয়ে গেলো। একি এ ত সেই লোকটার লাশ যে আমাকে হেল্প করতেছে লাশ টা র সারাশরীরে রক্ত মাখা।
রবিন তখন সাথে সাথে পিছন ফিরে যে লোক টা তাকে সাহায্য করেছিলো সে লোক টা নেই গায়েব হয়ে গেলো। রবিন তখন বুঝতে পারলো যে সে খারাপ কিছু একটা
পাল্লায় পড়েছে। এই কথা ভেবে যখন রবিন মোটর সাইকেল নিয়ে হাটতে শুরু করলো ঠিক তখনই পিছন থেকে কে যেনো ওকে ডাক দিলো। রবিন আমাকে রেখে
কোথায় যাচ্চিস। রবিন ডাক শুনে পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখলো সেই লাশ টা উঠে দাড়িয়ে গেছে আর ওকে বলতেছে কি রে কই যাস আমাকে রেখে তুই যেতে পারবি
নাহ আজ পর্যন্ত এত রাতে যারা এখান দিয়ে যারা আসছে তারাই আমার হাতে মারা পড়েছে আজ তুই ও মরবি। তারপর যখন লাশ ওর দিকে এগুতে লাগলো তখন রবিন
দেখলো ওর মুখ দিয়ে রক্ত পড়তেছে সারাশরীর রক্তে লাল হয়ে গেছে পচা দুর্গন্ধ আসছে ওর শরীর থেকে এসব দেখে রবিন একটা চিৎকার দিয়ে বেহুশ হয়ে মাঠিতে
পড়ে গেলো। যখন ওর হুশ হলো তখন দেখলো সে বাড়িতে ওর নানু মামা মামি ওকে বাতাস করতেছে। রবিন তার মামাকে বললো সে বাড়িতে আসলো কিভাবে ওর মামা
তখন বললো অনুষ্টান থেকে কিছু লোক বাড়িতে আসতে সময় তকে রাস্তায় বেহুশ অবস্তায় পড়ে দেখে বাড়িতে নিয়ে আসে।
………………………………………(সমাপ্ত)………………………………