….১৯৩৮ সাল।
ঈশ্বরদীর সাথে রাজশাহীর যোগাযোগ পাকা পোক্ত করতে ইংরেজ সরকার রেল লাইনের কাজ দ্রুত করছিল।
এই কাজের সমস্ত দায়িত্ব পেয়েছিল জোনাথন হার্ট নামে এক খিট খিটে ইংরেজ বুড়ো।
রেল লাইন তৌরীর কাজ শুরু হবার কয়েকদিনের মাথায় একটা অঘটন ঘটে গেল। গুদাম ঘর থেকে একটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে গেল।
স্বভাবতই এর সমস্ত দায়ভার গিয়ে পরল দাড়োয়ান নিপিন মন্ডলের উপর। কিন্তু বেচারা নিপিন একেবারেই সাদাসিধা লোক।
তবে পাহাড়া দেবার সময় তার ঘুমানোর বদ অভ্যাস আছে। তাই সে এই অভিযোগ জোড় গলায় অস্বীকার করতে পারলনা।
…২১ শে জানুয়ারী, ১৯৩৮।
বাইরে প্রচণ্ড শীত পরেছে। রেল লাইনের লোহা আর ইস্পাত এই ঠান্ডাকে যেন আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে।
নিপিন মন্ডল ঘুম ঘুম চোখে চেয়ে চেয়ে বাইরে দেখছে। কিন্তু কুয়াশার কারণে কিছুই দেখতে পাচ্ছেনা।
তার মনে হচ্ছে চাদড়টা কে আরেকটু জড়িয়ে চেয়ারে গা লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু বুড়ো ইংরেজের ভয়ে তাও সম্ভব না।
ভিটে মাটি নেই, এখান থেকে চাকুরী চলে গেলে কি করে খাবে সে? মিছে অপবাদে এমনিতেই তার চাকুরীর অবস্থা টলমলে।
এভাবে নানা কথা ভাবতে ভাবতে চিন্তায় নিপিনের চোখ থেকে ঘুম ছুটে গেল।
বেশ কিছুক্ষণ এভাবেই কেটে গেল।
নিপিনের আলসে চোখদুটি ঘুমিয়ে পড়তে প্রস্তুত, ঠিক সেই সময়েই খুব কাছ থেকেই শব্দ পেল নিপিন।
ঘুম কাতুরে চোখদুটি চারদিকে চেয়ে চেয়ে দেখতে লাগল।
হাড়িকেনের আলোয় বাইরে আবছা যা দেখা যাচ্ছে তাতে সব কিছুকেই নিপিনের কাছে ভূত বলে মনে হচ্ছে।
কিন্তু সে জীবন্ত কিছুর পায়ের আওয়াজ পেয়েছে। বাতাস নেই কোন কিছু নড়বার সুযোগ নেই।
নিপিন শব্দের উৎসের দিকে চেয়ে থাকল। কিন্তু ঠিক বিপরীত দিক থেকে সে আবার আওয়াজ পেল, এবার সে নড়ে চড়ে বসল।
পেছনে ফিরে চাইল। দেখল কালো মত কিছু একটা সরে গেল, কিন্তু কী তা বুঝলো না।
বেশ কিছুক্ষণ সে সেই দিকে চেয়ে থাকল, এক সময় সে আন্দাজ করতে পারল, আসলে তার সামনে কোন কিছুর অস্তিত্ত নেই,
তার কানের পাশে সে ঠান্ডা কোন কিছুর অস্তিত্ত পেল। ঝট করে ঘুরল, ঘুরেই দেখে কালো পোষাক পরা কোন কিছু তার সামনে দাঁড়িয়ে।
মূহুর্তের মধ্যেই হাড়িকেনটি ধপ করে নিভে গেল।
নিপিন শুধু দেখতে পেল তার চোখের সামনে কেউ তার পাঁচ আঙ্গুল মেলে ধরে আছে।
সে চিৎকার করতে গিয়েও করতে পারছে না।
….২২শে জানুয়ারী, ১৯৩৮।
গত কাল সন্ধ্যে পর্যন্ত যেখানে চুরির মামলায় সকলেই ব্যস্ত ছিল আজ সেখানে নিপিন নিপিন করে সবাই ব্যস্ত।
ওর পরিবারের লোকেরা কেউ ওর কোন লাশেরও গন্ধ পাচ্ছেনা।
স্টেশন মাস্টার রুস্তম বেপারী রাত ২টা বাজেও নিপিনকে দেখেছে চেয়ারের উপর বসে থাকতে। তারপরে আর কেউ দেখেনি তাকে।
সারাদিন অপেক্ষার পর বুড়ো জোনাথন হার্ট এল। এসেই রুস্তমের দিকে আড় চোখে বারবার চাইতে লাগল।
কিন্তু লাশ না পাওয়া যাওয়ায় কাউকেই খুনের দায়ে দোষারোপ করতে পারবেনা কেউ। নিপিন আদৈ মরেছে কিনা তাও কেউ জানেনা।
জোনাথন হার্টের ভাব ভঙ্গিতে রুস্তম বুঝে গেছে কোন মতে যদি নিপিনের লাশ পাওয়া যায় তাহলে খুনের দায়ে এই ইংরেজ তাকে ফাসিয়ে দিবে।
তাই যেভাবেই হোক, নিপিনকে খুজে বের করতে হবে।
এদিকে রাত বাড়ার আগেই বুড়ো ইংরেজ গুদামঘর ও এর আশে পাশে পাহাড়া বসিয়ে দিল।
….২৫শে জানুয়ারী, ১৯৩৮।
তিন দিনের মাথায়
নিপিনের গল্প বলা সকলে বন্ধ করে দিয়েছে, কারণ এবার কাহিনীর মোড় নিয়েছে অন্য দিকে।
গত দুই দিন থেকেই রাতের বেলায় গ্রামের অনেকেই দেখেছে কেউ হাড়িকেন হাতে করে ঠিক নিপিনের মত করেই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে।
নিপিনদের সমাজ থেকে বলা হচ্ছে এটা নিপিনের অতৃপ্ত আত্মা। অন্যরা তা শুনে দিনের বেলায় মুচকি হেসে রাতে খুব তাড়াতাড়ি দরজা বন্ধ করছে।
এইদিকে রুস্তমের কারো কথায় কান দেবার সময় নেই। আজই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য পুলিশ এসেছিল। তারা তাকেই সন্ধেহ করছে।
সে জন্য যেভাবেই হোক নিপিনকে জীবিত কিংবা মৃত পেতে হবে। জীবিত পেলে বুড়োকে এক হাত নেয়া যাবে আর মৃত পেলে লাশ গুম করতে হবে।
রাত ২টা … বাইরে কেউ ফুপিয়ে কাঁদছে। ভূতুরে মেয়ে কান্না নয় সেটা। গম্ভীর গলার নাকি সুর।
রুস্তমের সমস্ত শরীরের লোম দাঁড়িয়ে তার ভয়ের জানান দিচ্ছে। সে স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছে কেউ কাঁদছে।
কিন্তু কে কাঁদছে তা বের হয়ে দেখার সাহস হচ্ছেনা। ভয় কাটাতেই রুস্তম হাড়িকেনের আলো বাড়াতে টেবিলের উপরে হাত দিল।
অসাবধানতা বশত টেবিলের উপরে তালার চাবির উপরে হাত পরল।
সেটি রাতের নিস্তব্ধতাকে কাটিয়ে ঝনঝন আওয়াজ করে মাটিতে আছড়ে পরল। সাথে সাথেই বাইরের কান্নার আওয়াজ বন্ধ হয়ে গেল।
কারো ধুপ করে মাটিতে পরে যাবার আওয়াজ আসল। রুস্তম কি করবে ভেবে পাচ্ছিলনা।
কিছুক্ষন সময় নিয়ে সে সিদ্ধান্ত নিল বাইরে বের হবে। হাড়িকেনের আলো বাড়িয়ে দিয়ে সে বাইরে বের হয়ে এল।
বাইরে শুধু কুয়াশা দেখতে পেল। কেউ নেই। ভয় পেল এই ভেবে কে এতক্ষণ কাঁদছিল?
নিপিনের আত্মা! কিছুক্ষণ পরেই রুস্তম কারো হেঁটে যাবার আওয়াজ পেল। স্বভাবতই হাড়িকেনটা সে আওয়াজের দিকে ধরল।
আবছা আলোয় চাদড় পরিহিত অবস্থায় কাউকে সে দেখল। মনে পরে গেল গ্রামবাসীর কথা।
আবার ভাবল সে কেন তার কোন ক্ষতি করছেনা? এই সাহস নিয়েই চাদড় পরা লন্ঠন ধারির পিছু নিল।
বাইরে ফাঁকা জায়গায় এসে সেতিকে দেখে তার নিপিনই মনে হল। কারন চাদর আর হাড়িকেন দুটিকেই তার নিপিনের মনে হল।
পাচ বছর ধরে এক সাথে আছে তারা। রুস্তম সাহস করে ডাকল, ‘এ্যাই নিপিন’। কিন্তু সেটা পিছনে ফিরে তাকালো না।
আগের গতিতেই সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। এদিকে রুস্তম এই লণ্ঠনধারীর পেছনে আসতে আসতে গোরস্থান পর্যন্ত চলে এসেছে।
কিন্তু সেটা আর থামছে না। এবার রুস্তম পুরো ভয় পেয়ে গেল। ওটার সাথে গোরস্থানের ভেতরে ঢুকবার সাহস পেলনা।
ঠায় দাঁড়িয়ে বেশ কিছুক্ষণ কী করবে তা ভাবল। তারপর স্টেশনে ফিরে আসতে লাগল।
ষ্টেশনের খুব কাছা কাছি আসার পর রুস্তম বুঝতে পারল কেউ তার পিছু নিয়েছে। তাই সে একটি রেলগাড়ির বগির আড়াল হল।
আরো কাছাকাছি কারো আওয়াজ পাওয়াতে সে ভয় পেয়ে বগির ভেতরেই ঢুকে গেল। ভেতরে আসতেই দম বন্ধ হবার যোগাড়।
সে হাড়িকেন উচিয়ে চারদিকে তাকাতেই নিপিনের চাদরটি দেখতে পেল।
সামনে এক কদম আগাতেই পিচ্ছিল কোন কিছু উপরে পা পড়তেই ধরাম করে নরম কিছুর উপর গিয়ে পড়ল রুস্তম।
তার শরীরের নিচে নরম কি আছে তা দেখতে যেয়েই দেখল……………..!!
..তার দিকে এক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে সাদা চেহারার প্রায় রক্তিম লাল দুটি চোখ যেন ঠিকরে বেরুচ্ছে। আর সেটির হাত তার ঘাড়ের উপরে।
…২৬শে জানুয়ারী, ১৯৩৮।
রাত পার হয়ে সকাল হল। রুস্তম অবচেতন ভাবে সেই পরিত্যক্ত ট্রেনের বগিতেই পরে রইল।
যখন চেতন পেল নিজেকে একটি মরা লাশের উপর আবিষ্কার করল।
মাথার উপরে এমন আঘাতের পর বেঁচে আছে তাতেই সে আশ্চর্য,…….!!
তার উপর প্রায় পচে যাওয়া জোনাথন হার্টের সহকারী রর্বাট ইউলিয়াম এর মরা লাশ কোথা থেকে এল তারই কোন হদিস পেলনা।
এই ঘরটাই বা কেন এত সাজানো গোছানো? মনে হয় কেউ এর মধ্যে নিয়মিত বসবাস করত।
একেতো নিপিনকে হত্যার দায়ে তাকে সন্দেহ করছে বুড়ো,
তার উপরে এমন মরা লাশের পাশে তাকে কেউ দেখলে নিশ্চিত ফাঁসির দড়িতে ঝোলাবে তাকে।
তাই সে খুব সতর্কতার সাথে বগি থেকে নেমে এল।বাইরে কে বা কারা পুলিশের সাথে কথা বলছে।
রুস্তম বের হয়ে আসতেই চার পাঁচজন পুলিশ তার সামনে এসে দাঁড়াল।
তারমানে এগুলো সাজানো নাটক,
রাতে তাকে ফাসাবার জন্যই ধাওয়া করা হয়েছিল যাতে কোনমতে তাকে এখানে ঢুকিয়ে পুলিশের কাছে চাক্ষুষ প্রমাণ করা যায়।
বুড়ো ইংরেজ সাথেই ছিল, তাকে দেখা মাত্রই খেকিয়ে উঠল, “দিস ইজ দ্যা বাস্টার্ড কিলার, এরেস্ট হিম”। যথারীতি ধরা খেল রুস্তম ।
….২৭ সে জানুয়ারী, ১৯৩৮।
গত কালকের পুলিশি রিমান্ডের পর রুস্তম গত পরশু রাতে কি কি করেছিল সব পুলিশকে বলল….,
তাতেই আজ রুস্তম হিরো বনে গেল আর শয়তান ইংরেজ বুড়ো হল খুনের আসামী।
কারণ রুস্তমের বর্ণনা মতে পুলিশ সে স্থানে আসল ঠিক যেখান থেকে সেদিন মাঝ রাতে কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়েছিল রুস্তম।
পুলিশ সেখানকার মাটি আলগা পেল। মাটি খুরে এক হাত যাবার পরেই দেখা গেল মাটির তলায় জোনাথন হার্টের মাঝবয়সী স্ত্রীর লাশ।
ঘটনার আরো বেশি তদন্ত করতে বুড়োর বাড়ির কাজের মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল।
তাতে সে বলল যে বেশ কয়েকদিন ধরেই তাদের দুই জনের বনিবনা হচ্ছিলনা।
ইংরেজী না বুঝায় আসলে কি নিয়ে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল তা সে বলতে পারেনা।
রবার্টের কথা জিজ্ঞেস করাতে মেয়েটি বলল যে, বাড়িতে সাহেব না থাকলে প্রায়ই জোনাথন হার্টের স্ত্রী রবার্টের সাথে বাইরে বের হয়ে যেত।
পুলিশ এবার রবার্টের মূল হত্যাকারী কে তা বুঝতে পারল।
পরিত্যক্ত ট্রেন বগির ভেতরের বিভিন্ন আলামতে এটাই প্রমাণিত হল যে, রবার্টের সাথে ইংরেজ বুড়োর স্ত্রীর পরিণয় চলছিল।
এটা স্বামী হিসেবে জোনাথন মানতে পারেনি।
তাই প্রথমে স্ত্রীকে বাধা দিয়ে এর কোন সুফল না পাওয়ায় তাকে হত্যা করে রুস্তমের ঘরের কোণায় তাকে পুতে রেখেছিল,
কারণ ঘরের পেছনে খুব কম মানুষের আসা যাওয়া ছিল।
নিপিনের ব্যাপারেও পুলিশ জানতে পাড়ল যে, রবার্টকে হত্যা ও স্ত্রী কবর দেবার কাজে নিপিনের সাহায্য নিয়েছিল বুড়ো।
তাকে লাশ পাহারায়ও কাজে লাগিয়েছিল। আর সেদিন রুস্তম যে কান্নার আওয়াজ পেয়েছিল তা জোনাথনের।
বুড়ো বয়সে স্ত্রী হত্যা করে একাকী হয়ে যাওয়ায় সে তার কবরের পাশে বসে বিলাপ করছিল।
খুত খুতে স্বভাবের হওয়ায় নিপিনকেও সে মেরে ফেলে যাতে এর কোন প্রমাণ না থাকে। কিন্তু নিপিনের লাশ রবার্টের সাথেই ছিল।
সেটা পাওয়া গেলনা। পাওয়া গেল শুধু হাড়িকেন ও চাদর। রাত ২টা বেকসুর খালাস পেয়েছে রুস্তম। কিন্তু চিন্তা হচ্ছে নিপিনের লাশটি নিয়ে।
জোনাথনের গ্রামের রাস্তা দিয়ে হেটে আসার প্রশ্নই আসেনা। কারণ তার বাড়ি ষ্টেশনের পেছনেই।
তাহলে নিপিনের মত করে চাদর আর হাড়িকেনের সাথে কে হেটে গিয়েছিল সেদিন? গ্রামের কেউ কেউ তা দেখেছিলও।
নানা কথা চিন্তা করতে করতে রুস্তম ঘরের মেঝেতে হাত দিল, তারপর কেমন যেন সব চিন্তা দূর হয়ে গেল এই ভেবে,
মেঝের তলায় যে ট্রান্সমিটারটা চুরি করে পুতে রাখা হয়েছে তার ভাগ সে একাই নিচ্ছে। রুস্তমের চিন্তায় ছেদ পরল।
বাইরে কারো পায়ের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। এত রাতে বাইরে আবার কে আসবে সে ভেবে পেলনা।
পাহারাদারদের অনুপস্থিতিতে চুরি করার পাঁয়তারা করছেনাতো কেউ! রুস্তম উৎসাহ নিয়ে বাইরে বেরিয়ে গুদাম ঘরের দিকে হাঁটা দিল।
কিছুদূর যাবার পর থমকে দাঁড়াল। কে যেন নিপিনের চেয়ারটাতে বসে আছে। পাশেই হাড়িকেনের আলো নিভু নিভু হয়ে জ্বলছে।
জোনাথনতো পুলিশকে বলেছিল নিপিনকে সে মেরে ফেলেছে। তবে এটা কে? রুস্তম ভেবে পেলনা। এই শীতের রাতেও সে ঘামতে লাগল।
কোন কথারও জবাব দিচ্ছেনা সেই ছায়ামূর্তি। রুস্তম নিজেও তার ঘর থেকে একশো ফুট দূরে দাঁড়িয়ে।
এখন তার মনে হচ্ছে দৌড় দিয়ে তার ঘরে চলে যায়, কিন্তু তার পা চলছেনা, যেন পাথর হয়ে গেছে।
কোন রকমে শরীরটাকে অচল পায়ের সাহায্যে এগিয়ে নিয়ে যেতে লাগল। কিছুদুর যেয়েই একবার পেছন ফিরে চাইল।
তারপর যা দেখল তাতে রুস্তমের পুরো শরীরটাই পাথর হয়ে গেল। এখন যে শুধু ফাঁকা চেয়ারটাই পরে আছে।
হাড়িকেন শুদ্ধ সেই ছায়া মূর্তি গায়েব। রুস্তমের শরীর ব্যাস্ত না হতে পাড়লেও চোখদুটি ঠিকই সেই ছায়ামূর্তিটিকে খুজতে লাগল।
কিন্তু সেটি কোথাও নেই। রুস্তম গাঢ় অন্ধকারে দাঁড়িয়ে থাকল। তার হাড়িকেনটাও নিভে গেছে তেলের অভাবে।
আর কয়েক সেকেন্ড আগে থেকেই সে তার পেছনে কারো উপস্থিতি সে টের পাচ্ছে। ঠান্ডা নিঃশ্বাস নিচ্ছে সেটি ঠিক তার ঘাড়ের উপর।