অন্ধকার রাত

অন্ধকার রাত

রসিদ মিয়া একজন চায়ের দোকানদার প্রতিদিন সকালে দোকানে যান আে রাতে বাড়ি ফিরেন তবে বেশী রাত করেন না কারন বেশী রাত হওয়ার সাথে গ্রামের রাস্তাঘাট নির্জন আর ফাকা হয়ে লোকেরা বলাবলি করে ওই রাস্তায় বেশী রাতের বেলায় আসা যাওয়া করা উচিত নয় এতে ক্ষতি হতে পারে কারন এই অনেক সময় বিষাক্ত সাপ কালো কুকুর দেখা যায় এজন্য রসিদ মিয়া তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসেন।

ঘটনার দিন রাতে উনার দোকানে কয়েকজন মোসাফির আসলেন রসিদ মিয়া ভাবলেন হয় ত বড় কোন ধনি ব্যাক্তি উনারা সবাই ওই মোসাফির ব্যাক্তিরা রসিদ মিয়া কে বললো ভালো করে সবাইকে চা বানিয়ে দিতে রসিদ মিয়া তখন খুব খুশি মনে চা বানাতে লাগলেন রাত তখন ১০টা বাজে রসিদ মিয়া ভাবলেন ধনি মানুষ যেহেতু কিছু টাকা ব্যাবসা করা যাবে আর বড়লোক যেহেতু ওদের কাছে ত অবশ্যই গাড়ী থাকবে চা খাওয়া শেষ হলে পরে রসিদ মিয়া উনাদেন বলবেন যে তাকে যেনো ওদের গাড়ী করে একটু বাড়ি পৌছে দেন এমন কিছু ভাবছিলেন রসিদ মিয়া। রসিদ মিয়া সবাইকে চা বানিয়ে দিলেন ওরা সবাই বসে চা বিস্কট খাওয়ার বললো। ওদের আরো কিছু লোক আসবে তাই আরো কিছুক্ষন রসিদ মিয়া যেনো দোকানে থাকে রসিদ মিয়া কি আর করবে নিরুপায় হয়ে রসিদ মিয়া কে বসে থাকতেই হলো।

অনেক্ষন ধরে রসিদ মিয়া অপেক্ষা করলো কিন্ত কেউ আসলো না বিরক্ত হয়ে রসিদ ওই গুলো বললো ১টা বেজে গেছে রাত আমাকে এখন বাড়ি যেতে হবে তখন ওই লোকেরা রসিদ কে বললো ঠিক তুমি চলে যাও আমরাও বিদায় নেবো রসিদ মিয়া তখন ওই লোকদের বললো তাকে যেনো ওদের গাড়ীতে করে একটু বাড়ি পৌছে দেয় কিন্ত ওই লোকেরা বললো ওদের গাড়ী খারাপ হয়ে গেছে যেতে পারবে না রসিদ কি আর করবে কোন উপায় না পেয়ে ছোট একটা টর্চ লাইট নিয়ে অন্ধকার রাতে বাড়ি দিকে রওয়া হলো যত সুরা কালাম জানতো সব পড়ে নিলো রসিদ।

যেতে যেতে যখন পুরো অন্ধকার রাস্তায় রসিদ চলে গেলো তখন রসিদের ভিতরে একটু ভয় সৃষ্টি হলো রসিদ দ্রুত হাটা শুরু করলো কিছুদুর যাওয়ার পর রসিদ বুঝতে পারলো ওর পিছনে কেউ আসছে রসিদ পিছনে তাকালো কিন্ত কিছুই দেখতে পেলো না সে আরো দ্রুত হাটা শুরু করলো কিন্ত রসিদ যত হাটছে সে যেনো এই টা বুঝতে সে যতই হাটছে তথই রাস্তা বাড়ছে সে যেনো এক জায়গায়ই দাড়িয়ে রয়েছে। রসিদ হাটতে হাটতে যখন ক্লান্ত হয়ে গেলো তখন একবার দাড়িয়ে তাকালো সে দেখলো তার বাড়ি এখনো অনেক দুরে রয়েছে রসিদ আবার হাটা শুরু করলো কিন্ত বাড়ি পৌছাতে পারছে না রসিদ।

হঠাৎ সে বুঝতে পারলো ওর পিছনে কারা যেনো আসছে অন্ধকারের মধ্যে রসিদ দেখতে পারছে না যে কারা আসছে ওর পিছনে। সে তার ছোট টর্চ লাইট টা বের করে ওই লোকেন দিকে ধরলো রসিদ তখন দেখতে পারলো সেই লোকগুলো যারা ওর দোকানে একটু আগে চা খেয়েছিলো। ওই লোকদের দেখে রসিদের একটু শান্তি আসলো মনে। রসিদ ওই লোকদের বললো আপনারা কোথায় যাচ্চেন ওরা বললো এদিকেই ত যাচ্চি রসিদ বললো ঠিক চলুন আমিও ওদিকে যাবো তারপর রসিদ আগে আগে হাটছে আর ওই লোকগুলো রসিদের পিছন পিছন আসছে ওরা হাটতেছে হঠাৎ রসিদ কিছু একটা চিবানোর শব্দ শুনলো যেমন হাড় বা মটর চিবানোর।

রসিদ অযতা আর পিছনে না তাকিয়ে হাটতে থাকে কিন্ত যত যাচ্চে ততই যেনো শব্দ টা বাড়ছে রসিদের মনে তখন কৌতুল হলো দেখতে যে ওরা কি খাচ্চে কিন্ত সে তাকতে পারছে না কেমন জানি ভয় হচ্চে কিছুক্ষন পর রসিদ একটা বিশ্রি গন্ধ পেলো সে বুঝতে পারলো গন্ধ টা ওর পিছন থেকে রসিদ তখন সাহস করে ওর পিছন দিকে তাকালো তাকানোর পর রসিদ যা দেখলো তাতে গা শিউরে উঠলো রসিদ দেখলো ওই লোকগুলো লাল লাল চুখ হাতের বড় বড় নক আর সারা মুখে রক্ত লাগানো আর একজনের হাতে ছোট ছোট একটা বাচ্চার লাশ যা ওই লোকগুলো চিবিয়ে খাচ্চে সেই লাশ টা কে রসিদ এতো ভয় পেলো যে ওর পুরো ভিতর শুকিয়ে যাওয়ার মত অবস্তা ওই লোক তখন রসিদ কে বললো যা দেখেচিস ভুল করেও কাউকে বলবি না যদি বলিস তাহলে যেদিন তুই এই রাস্তা দিয়ে রাতের বেলা আসবি সেইদিন হবে তর শেষ দিন এই কথা বলে ওই লোকগুলো অট্রহাসিতে মেতে উঠলো রসিদ তখন ভয় পেয়ে একটা চিৎকার দিয়ে দৌড়ানো শুরু করলো দৌড়াতে দৌড়াতে কখন যে বাড়ির উঠানে গিয়েে বেহুশ হয়ে পড়ে গেলো সে বলতে পারেনা। যখন রসিদের হুশ ফিরলো তখন রসিদ দেখলো সে তার বাড়িতে শুয়ে আছে ওর বাবা মা ওকে বাতাস করছে।

( সমাপ্ত)

গল্পের বিষয়:
ভৌতিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত