নির্জন পুকুরের ভূত

– জালাল একটা, পুকুরে কাজ করে, সাথে অন্য একটা ছেলেও আছে!!
– জালাল, যে পুকুরে কাজ করতো, সেটা গ্রাম থেকে একটু দূরে।
– যেখানে রাতের বেলায় তো দূর দিনেও যেতে চাইতো না। কেননা, জায়গাটায় যেতে হলে, অনেকটা জংগল পেরোতে হয়!!

> জালাল তবুও ঐ পুকুরে পাহারা দিতো, কেননা অন্য পুকুর থেকে এটায় টাকা অনেকটা, বেশি পায়! জালালের, কাজ শুরু করার পর থেকে দেখতো প্রতিদিন পুকুরের পারে, অনেক মাঁছের কাটা লেজ আঁশ পরে থাকতো, এগুলা দেখেও তেমন আমলে নেয়নি! কেননা ভৌতিক, কোন বিষয় নিয়ে তার কোন ভয়, ছিলোনা কখনো ভূতের মুখে পরেনি তো সেইজন্য!!

– একদিন জালাল, পুকুরে যাওয়ার জন্য, বাড়ি থেকে রওনা হলো, তার সাথে কাজ করা, ছেলেটাও ফোন করে জানিয়ে দিলো আজকে ও যেতে পারবেনা , তাই জালাল একাই যেতে লাগলো – কিছুদূর যাওয়ার পর, হঠাৎ পাঁশের জংগল থেকে একটা, কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলো!

– জালাল ভালো করে লক্ষ্য করে শুনলো, কান্নাটা একটা মহিলার , জালাল মহিলা , বিপদে পরেছে ভেবে – যেদিক থেকে কান্নার আওয়াজ শুনা যাচ্ছিলো সেদিকে, গেলো কিন্তু জালাল ওখানে কাউকে দেখতে পেলোনা, হঠাৎ আবার সেই কান্নার শব্দটা , জালাল যেদিক দিয়ে যাচ্ছিলো সেখানে শুনতে পেলো, তখনি জালালের মনে ভয় ঢুকে যায়!!
– আর তখনি তাড়াহুড়ো করে ওই জায়গা থেকে দ্রুতগতিতে যেতে, লাগলো পুকুরের উদ্দেশে – আবার সেই কান্নার আওয়াজ তার পেছন থেকে আসছিলো আর অনেক জুড়ে!!

– জালাল, একটু একটু ভয় পাচ্ছিলো তাই, পুকের পাশে থাকার জন্য যেই, ছোট ঘরটা বানিয়েছে সেখানে ঢুকলো , আর কিছু সিগারেট নিয়ে বেরিয়ে আসলো আর ধরালো কেননা সে জানতো, আগুন সাথে থাকলে, এইগুলা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।

– অনেকক্ষণ হয়ে গেলো, জালাল সিগারেট খাচ্ছিলো , তখন ভয়টা অনেক কমে গেছে, তাই প্রতিদিনের মতো পুকুরের চাঁরপাশটা একটু দেখে, তার ছোট ঘরে গেলো – ততক্ষণে অনেকটা রাত হয়ে যাওয়াতে, জালালের অনেক ঘুম পাচ্ছিলো তাই সে ঘুমানোর জন্য প্রস্তুতি নিলো – সাথে সাথে সেই কান্নার কথাটা মনে পরলো – ঐ মহিলাটি কেনই বা কাদছিলো ? প্রশ্নটা মনে মনে রেখাই ঘুমিয়ে, পরলো জালাল।

– রাত প্রায় একটা – দুইটার মতো হবে ঠিক, তখনি আগের সেই কান্না শুনে ঘুম ভেঙে গেলো , জালালের।
— আর ভাবতে, লাগলে কান্নাটা এখানেও চলে আসছে? নিশ্চয়ই কোন এটা, ভুত প্রেত বা অন্য টাইপের কিছু!
– কিন্তু আমার, কাছেই বা কি চায়? জালাল ভাবনা, থেকে ফিরে বাইরে কি হচ্ছে দেখার জন্য পুকুরের দিকে জানালাটা খুললো – আর দেখে ঠক ” ঠক ” করে কাপতে থাকলো, সেই কান্না করার জিনিসটা দেখে, দেখতে মানুষের মতোনা , জালাল ভাবলো হইতো ভূত হবে।

– যেটাই হোক! ঐ জিনিসটা পুকুরের এক কোনে বসে , মাথা নিচের দিকে দিয়ে কাঁদছে।
– হঠাৎ মূখটা , ওপরের দিকে, তুললো কিন্তু স্পষ্ট কিছু দেখতে পারছিলোনা, কেননা ঐ ভুতটার মুখটা অনেক কালো এতই কালো যে কিছুই দেখতে পেলোনা জালাল।

– একটুপর জালালকে, অবাক করে দিয়ে, ভুতটা হঠাৎ তার নিজের দেহকে প্রসারিত করতে, লাগলো আর একটু পরই ভুতটা অসম্ভব বড় হয়ে গেলো আর পুকুরের দিকে হাত, বাড়িয়ে মাঝখান থেকে একটা একটা করে বড় মাছ ধরে খেতে লাগলো – জালাল এটা দেখে নিজেকে শান্ত রাখতে পারলোনা প্রচন্ড ভয়ে মুখ থেকে একটু কান্নার শব্দ বের হয়ে গেলো, আর সাথে সাথেই ভয়ঙ্কর রপী সেই ভুতটা জালালের দিকে, অনেক রাগি ভাবে তাকালো, আর তখনি জালাল , আরো জুড়ে, জুড়ে কান্না শুরু করলো,

– আর ভাবলো তাহলে পুকুরের পাড়ে মাছের অংশগুলো তাহলে এইজন্যেই পাওয়া যায়!! জালাল, ভাবনা থেকে ফিরে আসছো তখনি, যখন ভূতটা তার দিকে – হাত বাড়ালো!! তখন জালাল, প্রচন্ড ভয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলো।

– পরদিন জ্ঞান ফিরার পর জালাল, কাজটা ছেড়ে দেয় – তারপর জালাল একটানা ৩ মাস জরে ভুগে, মারা যায় ..

সমাপ্ত

গল্পের বিষয়:
ভৌতিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত