থার্টি ফার্স্ট নাইট।। রোহান ও তার কয়েক ফ্রেন্ড মিলে রাত ২ টা পর্যন্ত মজা করলো।। এখন হলে ফেরার পালা।। তারা মানুষ ৭ জন কিন্তু রিকশা পেলো দুটো।। ২ রিকশায় না হয় ৬ জন হল, কিন্তু রোহান??
ফ্রেন্ডরা তাকে বলল, “চল রোহান, এক রিকশায় ৪ জন উঠে পড়ি।।”
“নাহ রে।। তোরা যা।। আমি আসতে পারব।।” রোহানের উত্তর।।
চারিদিকে নিস্তব্ধতা।। খুব দূরে একটা কুকুর মতন কিছু দাঁড়িয়ে আছে।। খোলা আস্কাহের নিচে অন্ধকারকে সাথি করে হাঁটছিল রোহান।। হটাৎ একটা রিকশা দেখতে পেলো।।
“ভাই, হলে যাবেন??”
“জী যামু।।”
“কত??”
“১০ টাকা দিয়েন।।”
রোহান আকাশ থেকে পড়লো।। এতো রাত, কোন রিকশা নেই, তবুও ২০ টাকার জায়গায় ১০ টাকা রিকশা ভাড়া চাইলো!!
যাই হোক, রিকশায় চড়ে বসলো রোহান।। এই শুনশান নিরবতার মাঝে শুধু রোহান আর রিকশাওয়ালা।।
গোরস্থানের সামনে দিয়ে যাবার সময়ই রোহান কেমন যেনও আঁতকে উঠলো।। সে যা দেখল টা অবিশ্বাস্য।। দেখল, রিকশাওয়ালা উল্টো পায়ে প্যাডেল চাপছে।।
রিকশাওয়ালার মুখের দিকে এই পর্যন্ত একবারও তাকায়নি সে।। চেহারা দেখার চেষ্টা করতেই আবারো আঁতকে উঠলো রোহান।।
“একি!! এ কি দেখছে সে?? এ কিভাবে সম্ভব??”
এর মাঝে হলে পৌঁছে গেছে রোহান।। টাকাটা দিয়ে দ্রুত কেটে পড়লো।। রিকশাওয়ালার দিকে আরেকবার তাকানোর সাহস হল নাহ।। তাকালে হয়তো দেখতে পেত
তাকে কেমন লোভী চোখে দেখছে রিচকশাওয়ালাটা!
রুমে গিয়ে সাকিবকে সব ঘটনা খুলে বলল রোহান।।
সান্তনার সুরে সাকিব বলল, “তুই বরঞ্চ আজ রাতটা আমার রুমে থেকে যা।।”
কথাটা মনে ধরল রোহানের।। রাজি হল সে।। মধ্যরাত।।
রোহান, সাকিব দুজনই ঘুমুচ্ছে।। এর মাঝে কে যেনও রোহানের গায়ে আঁচড় কাটল।। চমকে উঠে জেগে গেলো রোহান।। ভীত স্বরে বলল, “সাকিব, মাঝরাতে দুষ্টমি করিস নাহ তো।।”
সকালে সূর্যের আলো চোখের উপর পড়তেই ঘুম ভাঙ্গে সাকিবের।। কিন্তু ঘুম থেকে উঠার সাথে সাথেই আবার মূর্ছা গেলো সে।।
বেলা ১০ টা।। সাকিবের রুমের সামনে রোহানের ছিন্ন বিচ্ছিন লাশ ঝুলছে।। আর রোহানের কাঁটা মুণ্ডুটা সাকিবের টেবিলের উপরেই রাখা।। কেউ জানে না রোহানের মৃত্যুটা কিভাবে হল।।
কাঁটা মুণ্ডুটার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সাকিব।। অনেক দিনের বন্ধু ওরা।। অনেক দিনের।।