চন্দ্র কুমার পর্ব :-৮

চন্দ্র কুমার পর্ব :-৮

ইরফান পিছনে ফিরে দেখে তার বাবা দারিয়ে আছে।।ইরফান তার বাবাকে দেখে বলে,
ইরফান:-বাবা তুমি এখানে তাহলে এটা কে।।
আজাদ:-ওটা আমাদের বাসার কাজের লোক।।
ইরফান:-ওর এই অবস্তা হল কি করে।।আর তুমি কোথায় গিয়েছিলে আমি এতোক্ষন ডাকলাম সাড়া দিলে না কেন।।
আজাদ:-ওর এই অবস্তা করেছে সেই মানুষ খেকো দানব।।আর দানব টা কে ছিল জানিস?
ইরফান:-কে ছিল এই মানুষ খেকো দানব?
আজাদ:-সেই মেয়েটি নিশিতা।।
ইরফান:-আমার আগেই সন্ধেহ হয়েছিল তাকে।।তার ভাব সাব আমাকে ভাল লাগেনি।।তাকে যদি থাকতে না দিতাম তাহলে হয়তো কাজের লোকটা বেচে যেত।।আর তোমার কিছু হয়নি তো বাবা।।
আজাদ:-আমাকেই মারতে চেয়েছিল সে।।সে এসেছিল সেইই পুথির সন্ধানে।।সেই পুথি না পেয়ে আমাকে বলে সেই পুথির সন্ধান দিতে আমি যখন পুথির সন্ধান দেই নাই তোখন ও আমাকে মারার জন্য আমার কাছে আসতে লাগল আর সেই মুহুরতে কাজের লোকটি ঘরে আসে।।আর আসেই সে তার সামনে যায়।।তাকে বাধা দেয় আমাকে যেন না মারতে পারে।।আমাকে বলে পালিয়ে যেতে।।আমি পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে আসি আ তারপর মনে হয় মানুষ খেকো দানবটা তাকে মেরে ফেলে।।
ইরফান:-যাক তুমি ঠিক আছ।।বেচারা তোমাকে বাচাতে গিয়ে নিজে জীবন দিল।।
ইরফানের কথা শেষ হতেই ইরফান দেখে তার বাবার পিছনে একটি মেয়ে দারিয়ে আছে।।ইরফান তার বাবাকে বলে,
ইরফান:-বাবা মেয়েটি কে??
আজাদ:-ওর নাম পরী।।আমি যখন পালিয়ে যাচ্ছিলাম হটাৎ করেই একজায়গায় ধাক্কা খেয়ে পরে যাই।।পরে যাওয়াতে মাথায় আঘাত পেয়ে অজ্ঞান হয়ে যাই।।আর জ্ঞান ফিরতেই তাকে দেখি।।সে আমার জ্ঞান ফিরায়।।
ইরফান:-বাবা এই মেয়েও আবার,,,
ইরফানের কোথা শেষ না হতেই তার বাবা বলে,
আজাদ:-না ইরফান ও নিশিতার মতো না।।ওই জন্তু ওর পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলে।।আর তাই নাকি ও সেই জন্তুদের শেষ করবে।।সেই জন্য সে রাতে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতেছে জুন্তু টাকে খুজার জন্য।।ওর কথা শুনে সব ঘটনা বলি।।এর পর ও আমাকে বারিতে নিয়ে আসে।।আর বলে ও নাকি তোর সাথে যাবে।।
ইরফান:-না বাবা আমার সাথে আমি কাও কে নিব না।।এই কাজ আমি একাই করতে চাই।।
হটাৎই পরী বলে উঠে,
পরী:-প্লিজ আপনি না করবেন না।।জানি আপনাকে কোনো সাহায্য করতে পারব না।।কিন্তু তোবুও যদি কোনো কিছু করতে পারি আপনার জন্য তাহলে আমার খুব ভাল লাগবে।।আমার পরিবারের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে পারব।।
ইরফান:-কিন্তু,,,,,
আজাদ:-আর কিছু বলিস না ইরফান মেয়েটা যেতে চাচ্ছে নিয়ে যা সমস্যা কি।।
ইরফান:-আচ্ছা বাবা তুমি যেহেতু বলেছ তাহলে নিয়ে যাব।।এখন তুমি ঘুমিয়ে পর রাত অনেক হয়েছে।।আর আপনি আসুন আপনাকেও থাকার জায়গা দেখিয়ে দেই।।
এই বলে ইরফান পরীকে একটা ঘর দেখিয়ে দেয় তারপর নিজেও ঘরে চলে যায়।।
ঘরে গিয়ে ইরফান শুয়ে শুয়ে ভাবতে থাকে ধাধার কথা কি হতে পারে সেই জিনিস।।যার মাধ্যমে আমি মঙ্গোল মণি পাব।।ভাবতে ভাবতে এক সময় ইরফান ঘুমিয়ে পরে।।সকালে পরীর ডাকে তার ঘুম ভাংগে।।ঘুম ভাংতেই সে এক দৃষ্টি তে পরীর দিকে দেখে আছে আর ভাবতেছে নামটা যেমন পরী দেখতেও তো অবীকল পরীর মতো।। কাল রাতে ভালো করে লক্ষই করি নাই।।ইরফান কে এই ভাবে দেখে থাকতে দেখে পরী বলে উঠে,
পরী:-কি হল মিস্টার এই ভাবে কি দেখতেছেন।।
পরীর কথায় ইরফানের ভাবনা কাটে আর বলে,
ইরফান:-না কিছু।।
পরী:-তারাতারি উঠুন আমাদের যেতে হবে তো নাকি।
ইরফান:-হুম হুম এই তো এখনি রেডি হয়ে নিচ্ছি।
অতপর ইরফান ঘুম থেকে উঠে রেডি হয়ে নিচে যায়।।
নিচে গিয়ে দেখে তার বন্ধুরা সবাই এসেছে।। সে নিচে যাওয়াতে সবাই তাকে জরিয়ে ধরে কান্না করতে লাগল।।
ওদের কান্না করতে দেখে ইরফান বলে, ইরফান:-কিরে তোরা কান্না করতেছিস কেন।।
আমি কি মরে যাচ্ছি নাকি।।
সোয়েব:-মারা যাচ্ছিস না ঠিক কিন্তু অনেক বড় পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিস।। আর এতে তোর মৃত্যু হতে পারে।।
রাহাত:-আমরা কতো করে বললাম আমাদেরও সাথে নিয়ে চল কিন্তু তুই রাজি হলি না।।
কেয়া:-আমাদের তো সাথে নিতে চাইলি না তাহলে এই মেয়েটাকে নিচ্ছিস কেন?
ইরফান:-দেখ এই কাজ আমায় একা করতে হবে।। আর তোদের নিয়ে যাব যদি তোদের কিছু হয়
তোখন আমি তোদের বাসায় কি বলব।।
আর ওর তো কোনো পিছু টান নেই তাই নিয়ে যাচ্ছি।।
এরি মধ্যে আজাদ সাহেব ইরফান কে ডাক দিলেন,
আজাদ:-ইরফান এদিকে আয় তোকে আমি সব বুঝিয়ে দিচ্ছি।।
ইরফান:-হ্যা বাবা আসছি।।
এই বলে ইরফান তার বাবার কাছে গেল।। তার বাবা তাকে একটা
কাগজ দিয়ে বলল,
আজাদ:-এই নে ইরফান এই কাগজে সেই রাজ্যের ম্যাপ রয়েছে।।
সেই রাজ্যে পৌছান মাত্র তুই এই ম্যাপ এর সাহায্যে রাজ্যের সব জায়গায় যেতে পারবি।।
কোথায় জংগল কথায় কি রয়েছে সব জানতে পারবি।।
ইরফান:-কিন্তু বাবা আমরা তো সেই রাজ্য চিনি না।। আমরা যাব কি ভাবে।।
আজাদ:-তোদের প্রথমে যেতে হবে উত্তর দিকে।। উত্তর দিকের শেষ প্রান্তে গিয়ে পশ্চিমে ঘুরবি।।
পশ্চিমের দিকে রয়েছে এক জংগল।। এর পর রয়েছে এক বিশাল উঁচু পাহাড় আর সেই পাহাড়
পেরিয়ে তোরা রাজ্যে পৌছাতে পারবি।।
ইরফান:-আর বাবা আমরা যাব কিসে করে এতো দুরের পথে।।
আজাদ:-বর্তমানে উত্তর দিকের শেষ প্রান্ত অবদি তোরা গাড়িতে করে যেতে পারবি।।
এর পর যখন পশ্চিমের দিকে জাবি তোখন তোদের হেটে হেটেই যেতে হবে।।
ইরফান:-ঠিকাছে বাবা আমরা তাহলে যাই।।
আজাদ:-হুম আরেকটু দারা।। এই বলে আজাদ সাহেব ঘরে জান।। ঘরে গিয়ে একটা তোলোয়ার আর একটা ব্যাগ নিয়ে আসেন।।
এসে ইরফানকে দেন আর বলেন,
আজাদ:এই তোলোয়ার রাজ বংশের তোলোয়ার আর এই ব্যাগে রয়েছে রাজার কাপর।। আর এতে কিছু খাবার ও প্রয়োজনীয় জিনিস রয়েছে।। পথে খিদে লাগলে খেয়ে নিস।। আর কিছু লাগলে সাহায্য পাবি।। আর হ্যা শুনে রাখ ইরফান এই পথ ওতো সজা নয়।। এই পথে তোকে অনেক বাধা বিপদ অতিক্রম করতে হবে।।
সেই জংগলে অনেক হিংস্র প্রানী রয়েছে সেই হিংস্র প্রাণীদের সাথে মোকাবেলা করার জন্য
এই তোলোয়ার তোর সাহায্যে লাগবে।। আর মানুষ খেকো দানবরা তোকে লক্ষ্যে পৌছাতে দিবে না।। তারা তোর কাছে আসতে পারবে না।। কিন্তু তোকে নানা রকম ভাবে ফাদে ফেলার চেষ্টা করবে।। তুই তোর লক্ষ ছারা কোনো দিকে জাবি না।। আর যখন সেই বৃক্ষের কাছে গিয়ে মণি উদ্ধার করবি তার আগে এই পোশাক পরে নিবি।। কারন এই পোশাক ছারা তুই মণি দিয়ে কোনো
কাজ করতে পারবি না।।
ইরফান:-আচ্ছা বাবা।। আমার জন্য দোয়া কর যেন আমি এই কাজে সফল হতে পারি।।
আপনি আসুন আমার সাথে আমাদের এখন যেতে হবে(পরীর উদ্দ্যেশে ইরফান বলে)
আজাদ:-পরীকে দেখে রাখবি।।
আর আমি তোদের অপেক্ষায় থাকব।।

এরপর ইরফান পরী কে নিয়ে বেরিয়ে পরে সেই রাজ্যের উদ্দ্যেশে।।
তারা গাড়িতে করে উত্তর দিকে যাবে বলে গাড়িতে চরে।। গাড়ি ছেরে দেয়।।
পরী আর ইরফান পাশাপাশি বসে।। গাড়িতে যখন তারা যাচ্ছিল তোখন পরী ঘুমিয়ে পরে
ইরফানের কাধে হেলান দিয়ে।। আর ইরফান পরীর দিকে অপলক দৃষ্টি তে তাকিয়ে আছে
আর ভাবছে এতো সুন্দর মানুষ হতে পারে কখনো ।। এ যেন এক পরীর দেশের রাজকুমারি।।
ইরফান পরীর দিকে তাকিয়ে আছে আর এদিকে পরীর ঘুম ভেংগে যায় আর সে দেখে ইরফান
তার দিকে তাকিয়ে আছে।।
ইরফানকে তাকিয়ে  থাকতে দেখে পরী বলে,
পরী:-কি দেখছেন ওই ভাবে।।
ইরফান:-তোমাকে যতো দেখছি তোতো তোমার প্রেমে পরে যাচ্ছি।।(মনে মনে বলে ইরফান)
আর মুখে বলে না কিছু না।।
পরী:-আপনি তো রাজকুমার তাই না।।
ইরফান:-হুম।।
পরী:-সব আপনার বাবার কাছ থেকে শুনলাম।।
কিন্তু আপনার নামটা জানা হয়নি।। আপনার নাম টা যেন কি।।
ইরফান:-ইরফান।
পরী:-এই নামটা না।।
আপনার আসল নাম কি।।
ইরফান:-চন্দ্র কুমার।।
পরী:-বেশ ভাল নাম।।
ইরফান:-আপনি আমার সাথে না আসতেও পারতেন।। আপনার যদি কিছু হয়।।
পরী:-আমার কিছু হবে না।। আর আপনি তো আছেন।। আর হ্যা এখন থেকে আপনি নয়
তুমি করে বলবে।।
ইরফান:-আচ্ছা ঠিকাছে।।
এর পর আরো অনেক কথা হয় ইরফান আর পরীর মধ্যে এক পর্যায় তারা তাদের গন্তব্যে পৌছায়।।
তারা উত্তর দিকের শেষ প্রান্তে এসে যায়।।  এখন তাদের হেটে হেটেই যেতে হবে।।
ইরফান আর পরী হাটতেছে।। হাটতে হাটতে তারা জংগলে পৌছায়।।
জংগলে পৌছেই ইরফান পরীকে বলে,
ইরফান:-আমার হাত ধর।।
যত কিছুই হক না কেন আমার হাত ছারবে না আর ভয় পাবেনা।।
পরী:-হুম ঠিকাছে।।
তারা দুজনে জংগলের ভিতর দিয়ে যাচ্ছে।। এদিকে রাত অনেক হয়েছে।।
তারা অন্ধকারের মধ্যে আলো জালিয়ে হাটছে।।
এক পর্যায় পরী বলে উঠে,
পরী:-আমি আর পারছি না।। একটু জিরিয়ে নেই।। খুব খিদেও পেয়েছে আমার।।
ইরফান তার কাধের ব্যগ থেকে কিছু খাবার বের করে পরীকে দেয়।। পরী সেটা খেয়ে নেয়।।
একটু পর তারা আবার হাটতে লাগে।।
হটাৎ পরী বলে উঠে,
পরী:-তুমি কি কোনো শব্দ শুনতে পাচ্ছ ইরফান।।
ইরফান:-হুম কিছু একটা আমাদের দিকে আসছে।।
পরী:-এটা আবার সেই মানুষ খেকো দানব নয়তো।।
ইরফান পরীকে একটা ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে থাকতে বলে।।
আর নিজে সেই শব্দের দিকে এগুতে থাকে।। একটু এগিয়ে গিয়ে ইরফান দেখে একটা নেকড়ে দারিয়ে আছে সামনে।। নেকড়েটা ইরফানকে আঘাত করতে চায় কিন্তু ইরফান সেই তোলোয়ার দিয়ে নেকড়ে টাকে মেরে ফেলে।।
এরপর ইরফান সেই জায়গায় আসে যেখানে পরীকে লুকিয়ে রাখে। সেই জায়গায় এসে ইরফান
দেখে পরী নেই।

পরীকে দেখতে না পেয়ে ইরফান তাকে খুজতে লাগল আর চিৎকার দিয়ে ডাকতে লাগল।।
ইরফানের চিৎকার শুনে পরী অন্য একটা ঝোপের আড়াল থেকে বেরিয়ে এল।।পরীকে দেখে ইরফান বলে,
ইরফান:-কথায় গিয়েছিলে তুমি।।
পরী:-এখানেই লুকিয়ে ছিলাম।। ওই ঝোপে একটা সাপ ছিল তাই ভয় পেয়ে সেখান থেকে এখানে চলে আসি।।
পরীর কথা শুনে ইরফান হাসতে থাকে আর বলে,
ইরফান:-একটা সাপ দেখে তুমি ভয় পাচ্ছ আর তুমি এসেছ মানুষ খেকো দানবদের মারতে।।
ইরফান কে হাসতে দেখে পরী খুব রেগে যায়।।
ইরফানকে কিছুই বলে না শুধু চোখ বড় বড় করে তার দিকে তাকিয়ে থাকে।।
পরীকে এই ভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে ইরফান বলে,
ইরফান:-সরি সরি আর
হাসব না চল যাওয়া যাক।। এই বলে তারা আবার হাটতে শুরু করে।। তারা কিছুদুর যাওয়ার পরে
একটা কান্নার আওয়াজ শুনতে পায়।।
ইরফান বলে,
ইরফান:-পরী শুনতে পাচ্ছ কেউ একজন কান্না করছে।।
পরী:-ইরফান এইসব আমাদের ফাদে ফেলার চেষ্টা তুমি সেদিকে কান দিও না।।
চল আমরা সামনের দিকে যাই।।
ইরফান:-কিন্তু কে কান্না করছে এতো রাতে।। কেউ যদি বিপদে পরে।।
পরী:-না কেউ বিপদে পরেনি সব আমাদের আটকানোর চেষ্টা ।।
ইরফান:-না পরী আমি এভাবে এতো রাতে কে কান্না করছে তাকে না দেখে যেতে পারব না।
পরী:-ইরফান তুমি ভুল করছ।। তোমার বাবা কি বলেছে মনে নেই।।
ইরফান:-আমার সব মনে আছে কিন্তু কে কান্না করছে আমি না দেখে যাব না।।
এই বলে ইরফান পরীর হাত ধরে সেই কান্নার আওয়াজ কে খুঁজতে লাগে।। কিছুক্ষন খুজার পর তারা
তাদের সামনে দেখতে পায় একটা বয়স্ক মহিলা মাটিতে বসে হাটুর উপরে মাথা রেখে কান্না করছে।।
ইরফান সেই মহিলাটার
কাছে গিয়ে বলে,
ইরফান:-আপনার কি হয়েছে এখানে এতো রাতে কান্না করছেন কেনো।। ইরফানের কথা শুনে মহিলা মাথা তুলে তাদের দিকে তাকায়।। মহিলাটা তাকাতেই ইরফান আর পরী ভয় পেয়ে যায়।।
কারন মহিলাটার অর্ধেকটা মুখ যেন আগুনে পুরে ঝলসে গেছে।।

মহিলাটি তাদের বলে,
মহিলা:-বাবা আমি আর আমার নাতি বাসায় যাচ্ছিলাম।। নাতিটা আমার পিছনেই ছিল।।
কিন্তু কখন যে সে আমাকে হারিয়ে ফেলে বুঝতে পারি নাই।। আমি তো সামনের দিকেই হাটছিলাম।। এখন এতো রাতে তাকে আমি খুজব কথায় তাই কান্না করছিলাম।।
তুমি একটু খুজে দিবে বাবা।।
ইরফান:-আচ্ছা আপনি এখানেই থাকুন আমরা আপনার নাতীকে খুজে আনছি।।
মহিলা:-ও তো মেয়ে মানুষ ওকে নিয়ে যাওয়ার দরকার কি।।
ও আমার কাছেই থাক তুমি একটু খুজে দেখ।।
পরী:-না না আমি এখানে থাকব না।। আমিও যাব।।
ইরফান:-আহা পরী থাকই না কি হবে।। উনি একাই আছেন তুমিও উনার সাথে থাক আমি আশেপাশে খুজে দেখি পাই কি না উনার নাতিকে।।
পরী:-কিন্তু আমার খুব ভয় পাচ্ছে।
মহিলা :-ভয় পেও না।।আমি তো আছি।।
ইরফান:-হ্যা তুমি উনার সাথে এখানে বসে থাক আমি আসছি।।
এই বলে ইরফান চলে যায় সেই বুড়ির নাতীকে খুজতে।।
ইরফান যাওয়ার কিছুক্ষন পরেই সেই মহিলাটি উঠে দারায়।।
মহিলাটিকে উঠতে দেখে পরী বলে,
পরী:-একি আপনি কথায় যাচ্ছেন।।
মহিলা:-তুমি এখানে বস আমি এই সামনে যাব আর আসব।।
এই বলে মহিলাটি চলে যায়।। আর পরী একাই বসে থাকে।। পরী একা একা খুব ভয় পাচ্ছে।।
একটু পরেই সেই মহিলাটি আসে তোবে একা নয় তার সাথে এক জন্তুও আছে।।
আর সেই জন্তুটি হচ্ছে মানুষ খেকো দানব।
মহিলাটি কে দেখে পরী বলে,
পরী:-আপনি এই জন্তুর সাথে কেন। আপনি ওখান থেকে সরে আসুন।না হলে আপনাকে মেরে ফেলবে। পরীর কথা শুনে মহিলা টি হাসতে থাকে।একটু পর মহিলাটি আস্তে আস্তে সেই দানবে
পরিণত হয়।।
মহিলাটি কে সেই দানবে পরিণত হতে দেখে খুব ভয় পেয়ে যায় পরি।আর চিৎকার দিয়ে ইরফান কে ডাকতে থাকে।আর সেই দানব দুইটা একটু একটু করে পরীর দিকে এগুতে থাকে।এদিকে ইরফান মহিলাটির নাতীকে খুজতে থাকে। কিন্তু কথাও পায় না। খুজে না পেয়ে ইরফান ফিরে আসে।।
ইরফান এসে দেখে সেই দানব দুইটা পরীকে মেরে ফেলার জন্য তার কাছে চলে এসেছে। সাথে সাথে ইরফান সেই তোলোয়ার বের করে দানব দুইটাকে আঘাত করে। কিন্তু দানব দুইটার কিছুই হয় না।
তোবে ইরফানকে দেখে সেই দানব দুইটা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। আর সাথে সাথে পরী ইরফান কে জরিয়ে ধরে।

আর বলে,
পরী:-আমি আগেই বলেছিলাম এই সব মিথ্যা।।
ইরফান:-হুম তুমি ঠিক বলেছ আমি বুঝতে পারিনি। আচ্ছা চল এখন আমরা সামনের দিকে যাই।
আমরা জংগলের শেষ প্রান্তে এসে গেছি। এখন আমাদের পাহাড়ের ওই পাশে যেতে লাগবে।
এই বলে তারা আবার হাটতে শুরু করে। এক পর্যায় তারা জংগল পার হয়ে পাহাড়ের কাছে চলে আসে। তারা দুজনে পাহাড়ে উঠতে থাকে। পাহাড়ের অর্ধেক টা উঠার পর পরী বলে উঠে,
পরী:-ইরফান আর পারছি না। একটু জিরিয়ে নেই।এতো উচু পাহাড় উঠতে উঠতে পা ব্যাথা হয়ে গেছে।
ইরফান:-আচ্ছা ঠিকাছে। কিন্তু আমাদের খুব তারাতারি যেতে হবে।
দিনের আলো ফুটে উঠেছে। এই পাহাড় এর ওই পারে আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে আমরা কিছুই জানি না।

একটু পর তারা আবার পাহাড়ে উঠতে লাগল। তারা পাহাড়ের চুড়ায় উঠতে উঠতে দিনের সুর্য উদয় হয়। তারা পাহাড়ের চুড়ায় থেকে দেখতে পায় সেই রাজ্যের রাজ বাড়ি।
পরী:-ইরফান দেখ ওই যে রাজ বাড়ি দেখা যাচ্ছে।
ইরফান:-হুম দেখা তো যাচ্ছে। আমাদের এখন এই পাহাড়ের চুড়া থেকে নামতে হবে।
পরী:-হ্যা চল তারাতারি নামি।
ইরফান:-পরী খুব সাবধানে নামবে। একবার যদি পা ফসকে পরে যাও তাহলে নিশ্চিত মৃত্যু।
পরী:-আচ্ছা ঠিকাছে। তুমি আমার হাত ধরে নেও।
এর পর ইরফান পরীর হাত ধরে পাহাড়ের চুড়া থেকে নামতে থাকে।।
নামতে নামতে হটাৎ করেই পরী পরে যেতে ধরে আর পরীকে বাঁচাতে গিয়ে ইরফান পরে যায়।।
ইরফান কে পরে যেতে দেখে পরী চিৎকার দিয়ে উঠে কিন্তু কিছুই করতে পারে না।।
আর এদিকে ইরফান পাহাড় থেকে পরতে পরতে পাহাড়ের সাথে থাকা এক গাছের ডাল ধরে ফেলে।।
ইরফান সেই ডালের মাধ্যমে অনেক কষ্টে নিজেকে রক্ষা করে।। এরপর ইরফান নিচে নেমে যায়
কিন্তু ইরফান পরীকে কোথাও দেখতে পায় না।। ইরফান খুব চিন্তিত হয়ে পরে।। পরী একা একা নামতে পারবে কি না।। কোনো বিপদে পরল কি না।। এসব ভাবতে ভাবতে ইরফান
দেখে পরী নিচে নেমে এসেছে নিরাপদে।। পরীকে দেখে ইরফান দৌরে গিয়ে পরীকে জরিয়ে ধরে আর বলে,
ইরফান:-তোমার কিছু হয়নি তো পরী।। অনেক চিন্তা হচ্ছিল তোমাকে নিয়ে।।
কিভাবে একা একা নামবে সেই নিয়ে।। এখন নিশ্চিন্ত হলাম তোমাকে দেখে।।
পরী:-আমার কিছু হয়নি।। তোমার কিছু হয়েছে নাকি সেটা বল।। আর নিচে নামলে কি ভাবে।।
আমার জন্য তুমি মরতে যাচ্ছিলে।।

ইরফান:-ওসব কথা বাদ দেও দুজনেই নিরাপদ আছি সেটাই অনেক।
চল এখন আমরা রাজ বাড়ির দিকে যাই।
পরী :-হুম চল।। এই বলে তারা রাজ বাড়ির দিকে রোওনা দেয়। যেতে যেতে প্রায় দুপুর হয়ে যায়।
পরী বলে,
পরী:-পাহাড়ের চুড়ায় থেকে রাজ বাড়ি কাছে মনে হলেও এখন মনে হচ্ছে অনেক দুরে।
ইরফান:-হুম অনেক দুরে কিন্তু আমাদের তারাতারি সেইখানে পৌছাতে লাগবে।
আমাদের হাতে আর বেশি সময় নেই পরী। এক সময় তারা রাজ বাড়ি পৌছায়। তোখন প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যায়। তারা দেখে রাজ বাড়ির চারপাশে বন জংগল দিয়ে ঘেরা।। তারা দুজনে জংগল ছাফ
করতে করতে রাজ বাড়ির ভিতরে যেতে লাগল। তারা ভিতরে যেতেই তাদের সামনে একটা জন্তু চলে আসে। জন্তু টি হচ্ছে রক্তচোষা।রক্তচোষা টাকে দেখে পরী ভয় পেয়ে যায়।।
ইরফান বলে,
ইরফান:- ভয় পেয় না পরী আমি আছি তো। তোমার কিছু হবে না। এই বলে ইরফান সেই ছুরিটা বের করে। ছুরিটা নিয়ে ইরফান রক্তচোষাটার দিকে গেল। রক্তচোষা টাও ইরফানের দিকে এগুতে লাগল। ইরফান তার ছুরি দিয়ে রক্তচোষা টাকে আঘাত করল। রক্তচোষা টাও ইরফান কে আঘাত করল। ইরফানের শরির কেটে যায়। এই ভাবেই লড়াই করতে করতে এক পর্যায় ইরফান সেই
রক্তচোষা টার মাথা ছুরি দিয়ে এক কোপে কেটে আলাদা করে দেয়। এর পর পরী ইরফানের কাছে
এসে তার কাটা দাগে কাপর বেধে দেয়। তারা দুজনে আবার ভিতরের দিকে যেতে থাকে।
তারা যখন একিবারে ভিতরে যায় তোখন তারা শুনতে পায় কেউ একজন মন্ত্র পরছে।।
ইরফান আর পরী সেই মন্ত্র শুনে একে অপরের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকল।।
এর পর ইরফান বলে উঠে,
ইরফান:-এই পুরন রাজবাড়িতে মন্ত্র কে পরছে।।
পরী:-আমার তো একি প্রশ্ন।।

আরো গল্প পড়তে লিংক এ ক্লিক করুন……

চন্দ্র কুমার পর্ব:- ১

চন্দ্র কুমার পর্ব:-২

চন্দ্র কুমার পর্ব :-৩

চন্দ্র কুমার পর্ব :-৪

চন্দ্র কুমার পর্ব :-৫

চন্দ্র কুমার পর্ব :-৬

চন্দ্র কুমার পর্ব :-৭

চন্দ্র কুমার পর্ব :- শেষ পর্ব

গল্পের বিষয়:
ভৌতিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত