চন্দ্র কুমার পর্ব :-৬

চন্দ্র কুমার পর্ব :-৬

ইরফান কলেজ ক্যাম্পাসে  পৌছাতে তার বন্ধুরা মানে  সোয়েব,রাহাত আর কেয়া  ঘিরে ধরল তাকে।। ইরফান বলে উঠল,
ইরফান:-কিরে তোরা আমাক এই ভাবে ঘিরে ধরেছিস কেনো।।
কেয়া:-আগে বল খবর কি তোর।।
ইরফান:-আমার আবার কিসের খবর।।
সোয়েব:-তোর খবর বলতে  তুই কি জানতে পেরেছিস  সেই জন্তুর ব্যাপারে।। আঙ্কেল তোকে আর কিছু বলেছে।।
ইরফান:-ও এই খবর।।
এই ব্যাপারে অনেক কিছু  জেনেছি কালকে বাবার কাছ থেকে।।
রাহাত:-তো আমাদের সব কিছু বল কি জানতে পেরেছিস।।
ইরফান:-তোদের বলার জন্যই এসেছি  কিন্তু এখন নয় ক্লাস শেষ করে।।
কেয়া:-আরে রাখ তোর ক্লাস  একদিন ক্লাস না করলে  কিছু যায় আসে না।।
রাহাত:-হ্যা হ্যা ঠিক বলেছিস।। আজকে ক্লাস করব না।। আজকে তোর কথা শুনব।।
ইরফান:-কিন্তু,,,,,,,,
সোয়েব:-কোনো কিন্তু নয়।। চল এক জায়গায় বসে সব বলবি।। এই বলে তারা সবাই  কলেজ ক্যাম্পাসের একটা  নিড়িবিলি জায়গায় বসে পরল।।
আর ইরফান তার বাবার  কাছ থেকে শুনা কথা  সব বলতে থাকল।।

এদিকে আজাদ সাহেব ঘরে ঘুমচ্ছিলেন।। আর নিশিতা সেই সুযোগে বাড়ির সব জায়গায়  সেই পুঁথি টা খুজতে লাগে।। কিন্তু নিশিতা সেই পুঁথি টা  কোথাও খুজে পায় না।। পুথি টা খুজে না পেয়ে  রেগে মেগে ঘরে চলে যায়।। ঘরে যাওয়ার পর সেই ঘর  থেকে এক বিকট ভয়ংকর  শব্দ আসতে থাকে।।
আর সেই শব্দ শুনে  আজাদ সাহেবের ঘুম ভেংগে যায়।। শব্দটি শুনতে অনেক ভয়ংকর।। তাই আজাদ সাহেব ভাবেন যে  এই শব্দ তো সেই জন্তু করে থাকে তাহলে কি,,।।
আজাদ সাহেব আর কিছু নানা ভেবে  ঘর থেকে বের হয়ে শব্দের  উৎস খুজতে লাগলেন।। খুজতে খুজতে আজাদ সাহেব   বুঝতে পারলেন যে   সকালের যেই মেয়েটি
মানে নিশিতা কে  যেই ঘর থাকতে দেওয়া  হয়েছিল সেই ঘর থেকে  শব্দটা আসতেছে।। আজাদ সাহেব নিশিতার ঘরের দিকে  এগুতে লাগলেন।। আজাদ সাহেব যেই
নিশিতার ঘরে  ঢুকবেন ঠিক সেই মুহুর্তে  বাসার কাজের লোক এসে আজাদ সাহেব কে ডাক দিলেন।। আর তাতে আজাদ সাহেব  সেখান থেকে চলে আসলেন।।
আর একটু পরেই ঘর থেকে নিশিতা বের হয়ে আসল।। নিশিতাকে দেখে মনে হচ্ছে  ভয় পেয়ে আছে।।  আজাদ সাহেব নিশিতাকে বল্লেন,

আজাদ:-নিশিতা তোমার ঘর থেকে  কিসের শব্দ শুনা যাচ্ছে।।
নিশিতা:-কোইইইই আঙ্কেল  কোনোোো শব্দ নেই তোোো।।
আজাদ:-না আমার মনে হল  তোমার ঘর থেকে একটা  ভয়ংকর শব্দ শুনলাম।।
নিশিতা:-না আঙ্কেল কোনো শব্দ হয়নি।।
আজাদ:-আচ্ছা ঠিক আছে  যাও তুমি ঘরে যাও।।
নিশিতা:-জী আঙ্কেল।।
এই বলে নিশিতা  ঘরে চলে গেল।।
ঘরে গিয়ে নিশিতা বলতে লাগল,
নিশিতা:-যাক বাবা অল্পের  জন্য বেচে গেছি।।
একটু হলেই ধরা পরে যেতাম।।
অন্য দিকে ইরফানের  সব কথা শুনে তার বন্ধুরা অবাক হয়ে গেছে।।
তারা বলে,
রাহাত:-তার মানে এই  মানুষ খেকো দানবদের  তুই শেষ করতে পারবি  আর কেউ পারবে না।।
কেয়া:-আর মণি তুই কিভাবে পাবি।।
ইরফান:-আমাকে খুজে বের করতে হবে।।
সোয়েব:-মণি খুজতে গেলে তো  তোকে সেই রাজ্যে যেতে লাগবে।।
আর সেখানে গিয়ে তোকে সব চেয়ে বিশাল আকৃতির  গাছ খুজে বের করতে হবে।।
ইরফান:-হ্যা ঠিক তাই।।
কেয়া:-ইরফান তুই কি  আমাদের নিয়ে যাবি।।
আমরা তোকে যদি  কোনো হেল্প করতে পারি  সোয়েব:-ঠিক বলেছিস কেয়া।।
আমাদের নিয়ে চল ইরফান তোর সাথে।।
ইরফান:-নারে তোদের নেওয়া যাবে না।।
এই কাজ আমার একার।। তোদের কে আমি বিপদে  ফেলতে পারব না।।

রাহাত:-কিন্তু গে,,,,
ইরফান:-না কোনো কিন্তু না।।
আমি তোদের নিয়ে  যাব না ফাইনাল।।
কেয়:-যেমন তুই চাস।।
তোবে গেলে আমরা তোকে গাছ খুজে দেওয়া আর  অন্য কোনো হেল্প করতে পারতাম।।
ইরফান:-এই কাজ আমি একাই করব।।
এই লড়াই আমার একার।। আচ্ছা এখন যাই।। বাবা বাসায় একা আছে।। আর সকালে আবার কোন  এক মেয়ে এসে জুটেছে বাড়িতে।।
মেয়েটাকে আমার কেমন  একটা সন্ধেহ জনক মনে হচ্ছে।। আবার ধাধা টা সেই পুঁথি টাতে আছে কি না  এখন জানি না।।
বাসায় গিয়ে দেখতে লাগবে।।
সোয়েব:-হুম তুই যা বাসায়।।
আমরা পরে যাব।।
রাহাত:-আর পারলে রাতে
আড্ডার জায়গায় চলে আসিস।। তোখন না হয় শুনব সেই ধাধাটা।।
ইরফান:-ওকে বাই।।
এই বলে ইরফান কলেজ  থেকে বাসায় চলে আসে।।
বাসায় এসে ইরফান  ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে।।
তারপর তার বাবাকে বলে,
ইরফান:-বাবা সেই পুঁথি টা
এখন দেখতে লাগবে।। আর পূর্ণীমা আসতে তো  বেশি দেরি নেই।। যা করার তারাতারি করতে হবে।।  আমাকে আবার সেই রাজ্যে যেতে হবে।।
আজাদ:-হ্যা যা।।
তোকে যেই জায়গার কথা  বলেছি সেই জায়গায়  পুঁথি টা রাখা আছে।।। এর পর ইরফান পুঁথি টার  শেষ পৃষ্ঠা পরার জন্য গেল।।
এদিকে নিশিতা আড়াল হতে ইরফান আর আজাদ সাহেবের সব কথা শুনে।। সে ভাবতে থাকে পুঁথি টা  তাহলে লুকিয়ে রেখেছিল।।
তাই আমি কোথাও খুজে পাইনি।। আমাকে দেখতেই হবে  কথায় আছে সেই পুঁথি টা।। ইরফান এর পিছন পিছন যেতে লাগবে।। ইরফান তার বাবার ঘরের
দিকে যাচ্ছে আর নিশিতা তার পিছন পিছন যেতে লাগল।। নিশিতা যখন ইরফানের  পিছন পিছন যাচ্ছিল হটাৎ  করেই নিশিতাকে আজাদ সাহেব  দেখে ফেলে আর বলে,
আজাদ:-নিশিতা তুমি কোথায় যাচ্ছ ওইদিকে।।নিশিতা ভয় পেয়ে যায়।।আর বলে,
নিশিতা:-নাাাা কোথাও যাাচ্ছিিিিি নাাা।।
এমনি দেখতে আসলাম।।।আর মনে মনে বলতে থাকে এ আবার কথা থেকে চলে এল।।
এখন কি করে দেখব পুথিটা কথায় আছে।।
অন্যদিকে ইরফান তার বাবার ঘরের ভিতর দিয়ে এক গোপন সুরংগের মধ্য দিয়ে এক কক্ষে পৌছায়।।
সে কক্ষে গিয়ে ইরফান পুঁথি টা বের করে আর শেষের পৃষ্ঠা বের করে দেখতে লাগে কি লিখা রয়েছে সেখানে।।
ইরফান দেখে সেখানে একটা কবিতার কিছু লাইনের  মতো লিখা রয়েছে।। ইরফান ভাবে এটা নিশ্চই ধাধা।।
ইরফান সেটা পড়ে সেখান   থেকে বের হয়ে আসে।। এর পর যখন সন্ধা হয়  ইরফান তার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার জন্য বাইরে যায়।।
এদিকে নিশিতা ভাবে এই ভাবে কোনো কাজ হবে না  যা কাজ করতে হবে  সামনা সামনি করতে হবে।।
এই বলে নিশিতা

আরো গল্প পড়তে লিংক এ ক্লিক করুন……

চন্দ্র কুমার পর্ব:- ১

চন্দ্র কুমার পর্ব:-২

চন্দ্র কুমার পর্ব :-৩

চন্দ্র কুমার পর্ব :-৪

চন্দ্র কুমার পর্ব :-৫

চন্দ্র কুমার পর্ব :-৭

গল্পের বিষয়:
ভৌতিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত